‘ইউক্রেন হেরে গেলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে’
পুরো যুদ্ধ পর্বে পশ্চিমা শক্তিগুলোর কাছে অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য চেয়ে এসেছে ইউক্রেন। তাদের সাহায্য করেছেও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো। কিন্তু, সম্প্রতি সেই সাহায্যে ভাটা পড়েছে। কারণ, যুদ্ধ-বাবদ খরচ নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস।
সেখানে আটকে রয়েছে বৈদেশিক সাহায্য সংক্রান্ত বিল। সামনে এ নিয়ে ভোটাভুটি হবে। এ অবস্থায় আমেরিকান কংগ্রেসের সামনে তোপ দাগলেন ইউক্রেনের প্রধানমন্ত্রী ডেনিস শ্মিহাল।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, তিনি বলেছেন, ‘রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইউক্রেন যদি জিততে না পারে, তা হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে।’’
ডেনিস আশাবাদী, কংগ্রেসের ভোটাভুটিতে শেষমেশ ইউক্রেনই জয়ী হবে। কমপক্ষে ৬১০০ কোটি ডলার সাহায্য দেওয়া হবে কিয়েভকে।
কিন্তু কোথাও যে সংশয় রয়েছে, সেটাও ডেনিসের কথায় স্পষ্ট। শনিবার বিপর্যস্ত দেশগুলোকে সাহায্য করা নিয়ে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে ভোট। এর মধ্যে ইউক্রেন ছাড়াও রয়েছে ইসরায়েল এবং ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অংশ।
এদিকে, চুপ নেই রাশিয়াও। তাদের হুঙ্কার, আমেরিকা নতুন করে সাহায্য করলেও কোনও লাভ হবে না। কারণ যুদ্ধক্ষেত্রে কোনও পরিস্থিতিই ইউক্রেনের জন্য আর অনুকূলে নেই।
এক ব্রিটিশ দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী ডেনিস ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আজ কিংবা আগামীকাল নয়, গতকালই আমাদের এই অর্থের প্রয়োজন ছিল। আমরা রক্ষা না করলে ইউক্রেন ভেঙে যাবে। এই বিশ্বে ভাঙন ধরবে। বিশ্বের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় ভাঙন ধরবে। গোটা দুনিয়া তখন দেখতে পাবে নতুন নিরাপত্তা ব্যবস্থার দশা।’
তার ভাষ্যমতে, ‘তখন আরও দ্বন্দ্ব দানা বাঁধবে, আরও যুদ্ধ শুরু হবে। আর দিনের শেষে সেটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ ডেকে আনবে।’
এবারই প্রথম নয়, যুদ্ধে হার কিংবা বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার কথা আগেও শোনা গিয়েছে ইউক্রেনের মুখে।
গতবছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, রাশিয়া যদি এই যুদ্ধে জিতে যায়, তাহলে এর পরে মস্কোর নিশানা হবে পোল্যান্ড। তখন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবেই। ক্রেমলিন অবশ্য ইউক্রেনের দাবি হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছে বরাবরই।
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা নিহত
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আইএস-এর দুটি হামলায় দেশটির সরকার সমর্থক বাহিনীর ২০ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। খবরটি নিশ্চিত করেছে সিরিয়ান যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, হোমস প্রদেশের পূর্ব গ্রামাঞ্চলে একটি সামরিক বাসে আইএস হামলা চালিয়ে সরকারি বাহিনী ও সরকার সমর্থক বন্দুকধারীদের মোট ১৬ জনকে হত্যা করেছে।
ব্রিটেনভিত্তিক এই পর্যবেক্ষক সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের আলবুকামাল প্রত্যন্ত এলাকায় একটি সামরিক সাইটে আইএস-এর অপর এক হামলায় সরকারি বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত হয়েছে।
এদিকে, আইএস ছাড়াও সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার একটি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরিয়ার সরকার ও ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানিয়েছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি শত্রু পক্ষ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে কিছু জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, সোয়াইদা ও দারা প্রদেশের মধ্যবর্তী জায়গায় সিরীয় সেনাবাহিনীর একটি রাডার ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির সেনাবাহিনী ও ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শতাধিকবার হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইরান-সমর্থিত হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামলার হার বেড়েছে।
এদিকে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যদিও ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইস্পাহান বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে।
সিরিয়ায় আইএসের হামলায় সরকার সমর্থক ২০ সেনা নিহত
যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়ার দামেস্ক-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আইএস-এর দুটি হামলায় দেশটির সরকার সমর্থক বাহিনীর ২০ সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। খবরটি নিশ্চিত করেছে সিরিয়ান যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা।
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস বলেছে, হোমস প্রদেশের পূর্ব গ্রামাঞ্চলে একটি সামরিক বাসে আইএস হামলা চালিয়ে সরকারি বাহিনী ও সরকার সমর্থক বন্দুকধারীদের মোট ১৬ জনকে হত্যা করেছে।
ব্রিটেনভিত্তিক এই পর্যবেক্ষক সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের আলবুকামাল প্রত্যন্ত এলাকায় একটি সামরিক সাইটে আইএস-এর অপর এক হামলায় সরকারি বাহিনীর ৪ সদস্য নিহত হয়েছে।
এদিকে, আইএস ছাড়াও সিরিয়ার দক্ষিণাঞ্চলে শুক্রবার একটি সামরিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সিরিয়ার সরকার ও ব্রিটিশ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস এ কথা জানিয়েছে।
সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলি শত্রু পক্ষ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলে আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে এবং এতে কিছু জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেন, সোয়াইদা ও দারা প্রদেশের মধ্যবর্তী জায়গায় সিরীয় সেনাবাহিনীর একটি রাডার ব্যবস্থাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশটির সেনাবাহিনী ও ইরান-সমর্থিত যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী শতাধিকবার হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইরান-সমর্থিত হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে হামলার হার বেড়েছে।
এদিকে এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শুক্রবার ইরানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। যদিও ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, ইস্পাহান বিমানবন্দরের কাছে বিস্ফোরণ হয়েছে।
২০০ আসনও পাবে না বিজেপি : মমতা
ভারতে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) শুরু হয়েছে লোকসভা নির্বাচন। প্রথম দফায় পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। কুচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়িতে নির্বাচনের চলাকালীন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার কৃষক বাজার ময়দানে জনসভা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
মুর্শিদাবাদের তৃণমূল প্রার্থী আবু তাহের খানের সমর্থনে সেখানে প্রচারণাও চালান তিনি। তৃতীয় দফায় আগামী ৭ মে মুর্শিদাবাদে ভোট রয়েছে। শুক্রবার হরিহরপাড়ার জনসভা শেষ করে মমতা যাবেন জঙ্গিপুরে। সেখানে দলের প্রার্থী খলিলুর রহমানের সমর্থনে প্রচার করবেন তিনি। এর পর শনিবার যাবেন মালদহে।
এদিকে, লোকসভা নির্বাচনের যে সমীক্ষাগুলোতে বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হয়েছে, সেগুলোকে ভুয়া বলে উল্লেখ করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দেশে ২০০টি আসনও পাবে না বিজেপি। সব সমীক্ষা ভুয়া। লাখ লাখ টাকা ঢেলে সমীক্ষা করেছে। ওতে কান দেবেন না। মানুষের চোখ বলছে, বিজেপি জিতবে না।’
এনডিটিভি জানিয়েছে, শুক্রবারের সভায় নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘যার বিয়ে সে-ই পুরোহিত-এটা প্রথম দেখছি। কী করে রাজ্যের পুলিশকে পুরো বাদ দিয়ে আপনারা শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করাচ্ছেন? যাতে লোকে ভোট দিতে না পারে?’
‘ইন্ডিয়া’ প্রসঙ্গে মুর্শিদাবাদের সভায় মমতা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছে, আমরা ইন্ডিয়া, আমাদের ভোট দিন। ইন্ডিয়া এখানে নেই, ওটা দিল্লির। আমিই তৈরি করেছি। কংগ্রেস, সিপিএম এখানে ইন্ডিয়া নয়। ওরা বিজেপি করে। ওদের একটা ভোট দেওয়া মানে বিজেপিকে দুটো ভোট দেওয়া। একটা ভোটও দেবেন না।’
এ ছাড়াও মুর্শিদাবাদের সভায় ১০০ দিনের কাজের বিকল্প হিসাবে রাজ্যে ৫০ দিনের কাজের গ্যারান্টি দিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয় না। আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি। ৫০ দিনের কাজ করতে পারবেন। কেউ চাইলে ৬০ দিনও করতে পারেন।’