মহারাজা এক্সপ্রেস: ভারতের সবচেয়ে বিলাসবহুল ট্রেনে ভ্রমণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের ‘প্যালেস অন হুইলস’ ট্রেনের কথা সবাই জানেন। দেশটির বিলাসবহুল ট্রেনযাত্রায় নতুন মাত্রা যোগ হয়েছিল ‘প্যালেস অন হুইলস’ উদ্বোধনের পর। কিন্তু জানেন কি ইন্ডিয়ান রেলওয়ে ক্যাটারিং এবং ট্যুরিজম কর্পোরেশন আরও একটি ট্রেন তৈরি করেছে, যা বিলাসিতা ও আভিজাত্যে পিছনে ফেলে দিতে পারে পৃথিবীর অন্যান্য প্রথম সারির বিলাসবহুল ট্রেনকে। হ্যাঁ, কথা হচ্ছে বর্তমানে ভারতের সব থেকে বেশি বিলাস বহুল, ব্যয়বহুল ও আরামদায়ক ট্রেন মহারাজা এক্সপ্রেসের।

ভারতীয় রেলওয়েজ এবং রাজস্থান ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন যখন ‘প্যালেস অন উইলস’ এর উদ্বোধন করে, তখন বিলাস এবং বৈভবের দিক থেকে এর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো আর কোনও ট্রেন ভারতে ছিল না। এমনকি ২০১০ সালে পৃথিবীর চতুর্থ বিলাসবহুল ট্রেন হিসেবে নির্বাচিত হয় এই ট্রেনটি। তবে বর্তমানে করা একটি সমীক্ষা বলছে, প্যালেস অন উইলস-এর ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে মহারাজা এক্সপ্রেস। শুধু ভারতেই নয়, এশিয়ার অন্যতম ব্যায়বহুল ট্রেন এখন মহারাজা এক্সপ্রেস।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Jul/31/2018-Jul-31_18_30_40_news_post.jpg

বিভিন্ন প্যাকেজ অনুসারে ট্রেনটিতে বিভিন্ন রেঞ্জের ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। সর্বোচ্চ ভাড়া ২৬ হাজার ডলার।  সব খাওয়া এবং ড্রিঙ্কংস এই ভাড়ার মধ্যেই। ২৩টি বগির এই ট্রেনে ৮৮ যাত্রী সফর করতে পারবেন। ভারতের উত্তরাঞ্চলের রাজস্থান রাজ্যের রাজা মাহারাজাদের ভূমি এখন বিখ্যাত ‘মহারাজা এক্সপ্রেস’ এর কারণে। দর্শনার্থীদের জন্য দারুণ আকর্ষণ এই ট্রেনে ভ্রমণ। ‘হেরিটেজ অব ইন্ডিয়া’ প্যাকেজে ৭দিন ৬ রাতের দীর্ঘ ভ্রমণ শুরু হয় মুম্বেই স্টেশন থেকে। এরপর একেকদিন একেক শহড়ে গিয়ে থামে ট্রেনটি। উদয়পুর, যোধপুর, বিকানোর, জয়পুর, র‌্যানথম্বোরপুর এন্ড ফতেপুর সিক্রি ও সবশেষে আগ্রা।

মুম্বাই থেকে রাজস্থানের এই দীর্ঘ যাত্রায় আপনি দেখতে পাবেন বিখ্যাত সব প্রাচীন দুর্গ, প্যালেস, মার্বেল নির্মিত সৌধের জন্য। জয়পুর থেকে ঝোধপুর পর্যন্ত দীর্ঘ যাত্রায় বিশাল বিশাল প্রাসাদ, মরুভূমির বিশালতায় চোখ জুরিয়ে যায় পর্যটকদের। দর্শনাথীদের বারবার ব্যাগ গোছানোর কোন চাপ নেই। শুধু নতুন নতুন স্টেশনে পৌঁছানো আর জায়গাগুলো আবিস্কার করা। বাকী সব দায়িত্ব দেখভাল করে ট্রেনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Jul/31/2018-Jul-31_18_30_55_news_post.jpg

মহারাজা ট্রেনের ভেতরে ভীর-ভাট্টার বালাই নেই ট্রেনের ভেতরে। চারদিকের দেওয়ালগুলো অভিজাত, ঐহিত্যবাহী নকশা করা। ট্রেনে প্রতি চারজন অতিথির সেবায় তিনজন কর্মচারী নিয়োজিত থাকে। ট্রেনের পরিষেবার অংশ হিসেবে অতিথিদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ভারতীয় ঐতিহ্যবাহী নন্দনতত্ত্বের নানা উপকরণ। রাজস্থানের রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আট দিনের যাত্রায় মনে হবে আপনি যেন রাজপারিবারেরই কেউ।

ট্রেনে অতিথিদের থাকার জন্য তৈরী কেবিনগুলো ১১২ স্কয়ার ফিটের, আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা সেখানে নিশ্চিত করা আছে। প্রেসিডেন্টিয়াল স্যুটে দুটো বেডরুম, ব্যক্তিগত লিভিং এরিয়া, বাথটাব, রাজকীয় সাজসজ্জা সবকিছুই আছে। থাকার ঘরের ডাইনিং, বার, লাউঞ্জ, জেনারেটর এবং স্টোর কারের পাশাপাশি ব্যবস্থা আছে । প্রতিটি কেবিনে রয়েছে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা, এলসিডি টিভি, ডিভিডি প্লেয়ার, টেলিফোন, লাইভ টিভি, ইন্টারনেট কানেকশন এবং সেফ-ডিপোজিট বক্স।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Jul/31/2018-Jul-31_18_31_19_news_post.jpg

মহারাজা এক্সপ্রেসে খাওয়া-দাওয়ার যে আয়োজন আছে, তার নামের সঙ্গে একদম মানানসই বলা যায়। ‘ময়ূরমহল’ এবং ‘রঙমহল’ নামে ভারতের স্থানীয় সব খাবারের আয়োজন নিয়ে আছে দুটি রেস্টুরেন্ট। ৪২ জন অতিথি একসঙ্গে খাবার খেতে পারেন সেখানে।

ব্রিটিশ দর্শনার্থী জোয়ানা নিউম্যান বলেন, ‘ভারত ভ্রমণে আসা পর্যটকদের আমি অবশ্যই এই ট্রেনে ভ্রমনের জন্য পরামর্শ দেব কেননা এতে চড়লে ভারতের অনেক জায়গা খুব সহজে দেখা সম্ভব। এই ট্রেনভ্রমণে মনে হয়ছে যেন আমি এই ট্রেনের একটা অংশ, এতটা আরামদায়ক ছিল।’

‘তোমাকে উড়তে হবে না, চালাতে হবে না, কিন্তু প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখবে নতুন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছো’ যোগ করেন তিনি।

   

ইউরোপ মরণশীল, এটি মারা যেতে পারে : ইমানুয়েল মাখোঁ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সতর্ক করে বলেছেন, ‘রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে অস্তিত্বের হুমকির সম্মুখীন হয়েছে ইউরোপ।’

তিনি মহাদেশটিকে যুক্তরাষ্ট্রের উপর কম নির্ভরশীল একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রতিরক্ষা কৌশল গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

তিনি ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর রাশিয়ার আচরণকে আগ্রাসী বলে বর্ণনা করে বলেছেন, ‘মস্কোর সীমানা কোথায় তা এখন আর স্পষ্ট নয়।’

মাখোঁ রাশিয়া এবং চীন উভয়ের ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে তার বাণিজ্য নীতি সংশোধন করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ইউরোপ আজ মরনশীল এবং এটি মারা যেতে পারে।’

তিনি ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র পাওয়ার ঝুঁকির দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘আগামী দশকে ইউরোপের দুর্বল হয়ে যাওয়ার বা এমনকি মরে যাওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।’

ম্যাক্রোঁ অর্থনীতি এবং প্রতিরক্ষায় ইউরোপকে যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ইউরোপকে তার নিজের ভাগ্যের মালিক হতে হবে। কারণ, মহাদেশটি অতীতে শক্তির জন্য রাশিয়া এবং নিরাপত্তার জন্য ওয়াশিংটনের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল ছিল।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের নিজেদের জন্য একটি বিশ্বাসযোগ্য ইউরোপীয় প্রতিরক্ষার কৌশলগত ধারণা তৈরি করতে হবে।’

;

সন্দেশখালির ঘটনায় প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করলো সিবিআই



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আদালতের নির্দেশে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সন্দেশখালির ধর্ষণের তদন্তে নেমে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।

উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতন ও জমি দখলের যাবতীয় অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে ই-মেইল আইডি তৈরি করে স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রহণ করে সিবিআই।

তদন্তকারী সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ই-মেইলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এক নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে কথা বলে অভিযোগকারী নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই। সেই বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। তবে ধর্ষণে অভিযুক্ত কে বা কারা তা জানা যায়নি।

এর আগে সন্দেশখালিতে তৃণমূল মাফিয়া শেখ শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে গ্রাম্য নারীদের ধর্ষণের অভিযোগ উঠে। স্থানীয়দের অভিযোগ, যে নারী শাহজাহান বাহিনীর চোখে পড়ত তাকে রাতে তৃণমূল পার্টি অফিসে যেতে বাধ্য করা হতো। কেউ যেতে না চাইলে বাড়ি থেকে তাকে তুলে নিয়ে যেত শাহজাহান বাহিনী। এমনকী মারধর করা হতো ওই নারীর স্বামীকে।

গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে সব রকম সাহায্য করার নির্দেশ দেন আদালত।

নির্দেশে আদালত জানায়, ই-মেইল আইডি তৈরি করে অভিযোগ গ্রহণ করতে হবে সিবিআইকে। সঙ্গে রাজ্য সরকারকে সন্দেশখালির সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা ও বাতি লাগাতে হবে।

;

দুই শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে বুরকিনা ফাসোর সেনাবাহিনী



ziaulziaa
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের (এইচআরডব্লিউ) নতুন একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী গত ফেব্রুয়ারিতে দেশটির দুটি গ্রামে কমপক্ষে ৫৬ জন শিশুসহ ২২৩ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে।’

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন্দিন ও সোরোর উত্তরাঞ্চলীয় গ্রামে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গণহত্যার ঘটনা ঘটে।

আন্তর্জাতিক অধিকার গোষ্ঠীটি বলেছে, গণহত্যাটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে অভিযুক্ত বেসামরিক নাগরিকদের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক সামরিক অভিযানের অংশ বলে ধারণা হচ্ছে।

বুরকিনা ফাসোর সেনারা ননদিনে ২০ শিশুসহ কমপক্ষে ৪৪ জনকে এবং কাছাকাছি সোরোতে ৩৬ জন শিশুসহ ১৭৯ জনকে হত্যা করে।

এইচআরডব্লিউ বলেছে, তারা গত ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে কয়েক ডজন প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে এবং বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের শেয়ার করা ভিডিও ও ছবি বিশ্লেষণ করেছে।

তারা জীবিতদের দ্বারা নিহতদের নামের তালিকাও পেয়েছে এবং গত ১৫ মার্চ থেকে স্যাটেলাইট চিত্রের ভিত্তিতে আটটি গণকবরের ভূ-অবস্থান সনাক্ত করেছে বলে জানা গেছে।

গত ২৪ এবং ২৫ ফেব্রুয়ারী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো ব্যারাক এবং ঘাঁটিসহ সামরিক লক্ষ্যবস্তু এবং ধর্মীয় স্থানগুলোর মতো বেসামরিক অবকাঠামোতে দেশজুড়ে হামলা চালায়। এতে বহু বেসামরিক নাগরিক, সেনা এবং মিলিশিয়া সদস্য নিহত হন।

বুরকিনা ফাসোর প্রতিরক্ষা মন্ত্রী মাহামুদু সানা ওই হামলাকে একযোগে এবং সমন্বিত আক্রমণ হিসাবে অভিহিত করে নিন্দা করলেও নন্দিন এবং সোরোতে বেসামরিকদের গণহত্যার বিষয়ে মুখ খোলেননি তিনি।

রয়টার্স জানিয়েছে, আল-কায়েদা, আইএসআইএল (আইএসআইএস) এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াইয়ের ফলে বেসামরিক লোকেরা মারা পড়েছে এবং বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বর্তমানে বুরকিনা ফাসোর প্রায় অর্ধেক সরকারি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। চলমান সহিংসতায় প্রায় ২০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে এবং দুই মিলিয়নেরও বেশি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, পশ্চিম আফ্রিকার দেশটি ক্যাপ্টেন ইব্রাহিম ট্রাওরের নেতৃত্বে একটি সামরিক সরকার দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে, যিনি ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে একটি অভ্যুত্থানেন মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করেছিলেন।

রিপোর্টে বলা হয়েছে, বুর্কিনা ফাসোর থিউ জেলার মধ্যে নন্দিন এবং সোরোকে আল-কায়েদার সহযোগী জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিম (জেএনআইএম) দ্বারা অবরুদ্ধ করা অনেক গ্রামের মধ্যে একটি বলে মনে করা হয়।

এইচআরডব্লিউ-এর নির্বাহী পরিচালক তিরানা হাসান বলেন, ‘নন্দিন এবং সোরো গ্রামে গণহত্যা হলো বুরকিনা ফাসোর সামরিক বাহিনী কর্তৃক বিদ্রোহ বিরোধী অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের সর্বশেষ গণহত্যা।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই ধরনের নৃশংসতা প্রতিরোধ ও তদন্ত করতে বুর্কিনাবে কর্তৃপক্ষের বারবার ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে। মানবতার বিরুদ্ধে সম্ভাব্য অপরাধের একটি বিশ্বাসযোগ্য তদন্তকে সমর্থন করার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তা গুরুত্বপূর্ণ।’

জাতিসংঘ এবং আফ্রিকান ইউনিয়নকে তদন্ত সমর্থন করার আহ্বান জানিয়েছে এইচআরডব্লিউ।

;

মার্কিন ও ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে হুতিরা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি বলেছে, তারা গাজা যুদ্ধ থেকে সরে আসার জন্য পশ্চিমা জোটের একটি প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও মার্কিন এবং ইসরায়েলি জাহাজে হামলা চালিয়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, গোষ্ঠীটির সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বুধবার (২৪ এপ্রিল) গভীর রাতে একটি ভিডিও ভাষণে বলেছেন, হুতিরা এডেন উপসাগরে মারস্ক ইয়র্কটাউন কার্গো জাহাজে হামলা চালিয়েছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীও নিশ্চিত করেছে যে, হুতিরা তাদের ভূখণ্ড থেকে জাহাজটির দিকে একটি অ্যান্টিশিপ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে, ১৮ মার্কিন এবং চার গ্রীক ক্রু’র মাধ্যমে পরিচালিত জাহাজটিকে মার্কিন পতাকাবাহী ও মালিকানাধীন বলে চিহ্নিত করা গেছে।

তবে ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মার্কিন, জোট বা বাণিজ্যিক জাহাজে কোনো হামলা বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।’

এদিকে, গ্রিসের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বলেছে, লোহিত সাগরে হুতিদের মোকাবিলায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌ-মিশনে কাজ করা দেশটির সামরিক জাহাজগুলোর একটি ইয়েমেন থেকে একটি বাণিজ্যিক জাহাজের দিকে যাত্রা করা দুটি ড্রোনকে বাঁধা দিয়েছে।

এ ছাড়াও ইউনাইটেড কিংডম মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস (ইউকেএমটিও) এর আগে এডেন উপসাগরে জিবুতি বন্দরের প্রায় ১৩৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে একটি হামলার ঘটনা নিশ্চিত করেছে।

শারি বলেন, ভারত মহাসাগরে ইসরায়েলি জাহাজ এমএসসি ভেরাক্রুজকে লক্ষ্যবস্তু করে এবং মার্কিন যুদ্ধজাহাজে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে হুতিরা।

মার্কিন সামরিক বাহিনী বলেছে যে, মারস্ক ইয়র্কটাউনে হামলার দুই ঘন্টার মধ্যে তাদের বাহিনী ইয়েমেনের চারটি ড্রোন সফলভাবে ধ্বংস করেছে।

সেন্টকম জানিয়েছে, ‘এই পদক্ষেপগুলো ন্যাভিগেশনের স্বাধীনতা রক্ষা করতে ও মার্কিন জোট এবং বণিক জাহাজগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক জলসীমাকে আরও নিরাপদ এবং আরও সুরক্ষিত করার জন্য নেওয়া হয়েছে।’

উল্লেখ্য, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসকে সমর্থনকারী হুতিরা নভেম্বর থেকে গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে তাদের উপকূলের কাছাকাছি জলসীমায় ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।

গোষ্ঠীটি ধীরে ধীরে ইসরায়েল-সংযুক্ত জাহাজ থেকে মার্কিন এবং যুক্তরাজ্য-মালিকানাধীন বাণিজ্যিক জাহাজ এবং যুদ্ধজাহাজে আক্রমণ প্রসারিত করেছে। কারণ, ইসরায়েলের পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন।

ইউএস মেরিটাইম অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, নভেম্বরে একটি বাণিজ্যিক জাহাজ জব্দ করা এবং মার্চ মাসে যুক্তরাজ্যের মালিকানাধীন একটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি হুতিরা নভেম্বর থেকে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে ৫০টিরও বেশি আক্রমণ শুরু করেছে।

;