রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে আশিয়ান নেতৃবৃন্দের আহ্বান



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease
রোহিঙ্গা সংকট নিরসনের আহ্বান জানিয়েছে আশিয়ান নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া ও তার আশিয়ান প্রতিবেশী দেশগুলো রোববার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদারের অঙ্গীকারের পাশাপাশি বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে অসামরিকীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। সিডনিতে অনুষ্ঠিত আশিয়ান গ্রুপের তিনদিনের এ সম্মেলনে ‘জটিল’ রোহিঙ্গা সংকট ইস্যুটি আলোচনার মূল কেন্দ্রে ছিল। এ ছাড়া আসিয়ান নেতৃবৃন্দ ক্রমবর্ধমান সহিংসতা, মৌলবাদ ও বিচ্ছিন্নতবাদ মোকাবেলায় আরো নিবিড়ভাবে কাজ করতেও সম্মত হয়েছেন। তবে চূড়ান্ত প্রতিবেদনে ‘আমাদের জনগণের মানবাধিকার রক্ষা’ বিষয়ক সমাধানের কথা উল্লেখ করা হলেও শেষ পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর মিয়ানমারের অত্যাচার নির্যাতনের নিন্দা জানাতে আসিয়ান ব্যর্থ হয়েছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে প্রায় ছয় মাস আগে সেনাবাহিনীর অত্যাচার-নিপীড়নের শিকার হয়ে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ একে জাতিগত নিধন হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে মিয়ানমার নেত্রী অং সান সুচি সিডনিতে এ অভিযোগ প্রবলভাবে অস্বীকার করেছেন। তিনদিনের এ সম্মেলন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম ট্রার্নবুল বলেছেন, আজ আমরা বিবেচনার সঙ্গেই রাখাইন রাজ্যের পরিস্থিতি আলোচনা করেছি। অং সান সুকি বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন। এটি খুবই জটিল সমস্যা। তবে প্রত্যেকেই চান, এ সংকটের অবসান হোক। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লী হাইচেন লুং বলেন, আশিয়ানভুক্ত সকল দেশের জন্যই এটি একটি উদ্বেগের বিষয়। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী নাজিব রাজ্জাক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নতুন হুমকি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এদিকে দক্ষিণ চীন সাগরের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয় হওয়ায় ক্যানবেরা ও আশিয়ান এ সমুদ্র এলাকায় শান্তি, স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা এবং নৌ চলাচলের স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছে। এদিকে সম্মেলন চলাকালে সিডনিতে মূলত মানবাধিকার ইস্যুতে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা দমনপীড়নের অভিযোগে অংসান সুকি, কম্বোডিয়ার হুস সেন ও ভিয়েতনামের নগুয়েন জুয়ান পুকের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছে। আশিয়ানভুক্ত ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ১৯৭৪ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ার ডায়ালগ পার্টনার।
   

গাজায় দুর্ভিক্ষ বন্ধে ইসরায়েলকে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ আন্তর্জাতিক আদালতের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে ইসরায়েলকে প্রয়োজনীয় এবং কার্যকর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে)।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক আদালত সর্বসম্মতভাবে ইসরায়েলকে এই নির্দেশ দিয়েছে। তবে হামাস নেতারা বলেছে, মানবিক সংকট ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন।

গাজায় রাষ্ট্র পরিচালিত গণহত্যার জন্য ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করা মামলার অংশ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা নতুন ব্যবস্থার অনুরোধ করেছিল আদালতকে। পরে আদালত এই নির্দেশ দেয়।

বার্তা সংস্থা রয়র্টাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর জন্য মৌলিক খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়া বন্ধে প্রয়োজনীয় ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ইসরায়েলকে নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক আদালত। গাজার আল শিফা হাসপাতালের চারপাশে ইসরায়েলি বাহিনী এবং ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা লড়াই করার সময় এই আদেশটি এলো।

আদালতের বিচারকরা বলেছেন, গাজার মানুষরা আরও খারাপ অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। বিচারকরা আদেশে বলেছেন, আদালত পর্যবেক্ষণ করেছে যে গাজার মানুষেরা শুধুমাত্র দুর্ভিক্ষের ঝুঁকির সম্মুখীন হচ্ছে না বরং সেখানে দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।

হামাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাসেম নাইম বলেছেন, এই রায়টি যথেষ্ট নয়। দুর্ভোগ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে অবশ্যই সামরিক আক্রমণ বন্ধ করার নির্দেশ দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, গাজায়, বিশেষ করে উত্তর গাজা উপত্যকায় মানবিক ট্র্যাজেডির অবসান ঘটানোর জন্য যেকোনও নতুন দাবিকে আমরা স্বাগত জানাই, তবে আমরা আশা করি যে গাজায় আমাদের লোকেরা যে সমস্ত দুর্দশার মধ্য দিয়ে বসবাস করছে তার সমাধান হিসেবে আদালত যুদ্ধবিরতির আদেশ দেবেন।

আন্তর্জাতিক আদালতের রায়ের বিষয়ে ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ মঙ্গলবার অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি এবং সমস্ত জিম্মিদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ভোট দিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভোট থেকে বিরত ছিল, কিন্তু ভেটো দেয়নি।

;

গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া মুখতার আনসারি মারা গেছেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারাগারে থাকা গ্যাংস্টার থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মুখতার আনসারি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

৬৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ)  রাত সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

এর আগে, গত মঙ্গলবার কারাগারে অজ্ঞান হয়ে গেলে জেল কর্তৃপক্ষ তাকে জেলার রানী দুর্গাবতী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যায়। পরে নয়জন ডাক্তারের একটি দল তাকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ১৪ ঘণ্টা আইসিইউতে থাকার পর তার মৃত্যু হয়।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, উত্তর প্রদেশের ৫ বারের এই সংসদ সদস্য ২০০৫ সাল থেকেই কারাগারে বন্দি ছিলেন।

বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আনসারিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরেই হাসপাতালের বাইরে পুলিশের একটি বড় দল মোতায়েন করা হয়েছিল এবং তার মৃত্যুর পরে উত্তরপ্রদেশ জুড়ে ১৪৪ ধারার অধীনে নিষেধাজ্ঞামূলক আদেশ জারি করা হয়েছে।

উত্তরপ্রদেশের পুলিশের মহাপরিচালক প্রশান্ত কুমার বলেছেন, বান্দা, মাউ, গাজিপুর এবং বারাণসী জেলায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে।

;

দক্ষিণ আফ্রিকায় বাস খাদে পড়ে নিহত ৪৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আফ্রিকার উত্তরাঞ্চলীয় লিম্পোপো প্রদেশে একটি যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে ৪৫ জন মানুষ নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানী জোহানেসবার্গ থেকে ৩০০ কিলোমিটার দূরের লিম্পোপো রাজ্যের মামটলাকালা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেশটির পরিবহণ মন্ত্রণালয়ের বরাতে বিবিসি এতথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, যাত্রীবাহী বাসের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে বাসটি একটি সেতুর রেলিংয়ে ধাক্কা খেয়ে নিচে পড়ে যায়। এরপর বাসটিতে আগুন ধরে যায় বলে মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়।

বাসটি প্রতিবেশী দেশ বতসোয়ানা থেকে যাত্রী নিয়ে লিম্পোপোর শহর মোরিয়া যাচ্ছিল।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছিলেন উদ্ধার কর্মীরা। ঘটনাস্থলে অনেকের আগুনে পোড়া লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের চিহ্নিত করা দুষ্কর। বাকিরা বাসের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে এবং অন্যরা ঘটনাস্থলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বলে লিম্পোপোর পরিবহন বিভাগের পৃথক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।

দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবহণ মন্ত্রী সিন্দিসিওয়ে চিকুঙ্গা, দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। মর্মান্তিক এই বাস দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবারগুলোর প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার মৃতদেহ ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে তদন্ত করবে।

;

ন্যাটোর দেশে আক্রমণ নয়, তবে এফ-১৬ দিলে ধ্বংস করা হবে: পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোভুক্ত কোনো দেশের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। এছাড়া পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক কোনো দেশের ওপরও হামলা চালাবে না রাশিয়া। তবে এসব দেশ যদি ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহ করে, তবে সে যুদ্ধবিমান গুলি করে ধ্বংস করা হবে।

রাশিয়ার স্থানীয় সময় বুধবার (২৭ মার্চ) রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এসব কথা বলেন।

রুশ বিমানবাহিনীর পাইলটদের উদ্দেশে পুতিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়ার দিকে বিস্তৃত হয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তাদের ওপর হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই। এ জোটভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও কোনো আগ্রাসন দেখানো হবে না। পোল্যান্ড, চেক রিপাবলিক বা বাল্টিক রাষ্ট্রগুলোকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে যেসব কথা রটানো হয়েছে, সেগুলো সম্পূর্ণ বাজে কথা।

ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র মূলত ইউক্রেনকে অর্থ, অস্ত্র ও বুদ্ধি দিয়ে সমর্থন করে আসছে। সে কারণে ওয়াশিংটনের সঙ্গে মস্কোর যে সম্পর্ক, তা সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় পৌঁছেছে।

ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দিয়ে সহায়তা করতে চাওয়া পশ্চিমা দেশগুলোকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পুতিন বলেন, এসব যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি পরিবর্তন করবে না। আমরা এখন যেমন ট্যাংক, সাঁজোয়া যান এবং একাধিক রকেট লাঞ্চারসহ অন্যান্য সরঞ্জাম ধ্বংস করি, ঠিক তেমনি আমরা যুদ্ধবিমান ধ্বংস করব।

পুতিন বলেছেন, ন্যাটোর কোনো সদস্যদেশের ওপর আক্রমণাত্মক চালানোর কোনো উদ্দেশ্য আমাদের নেই। তবে হ্যাঁ যুদ্ধবিমান যদি ইউক্রেনের বাইরের কোনো দেশ থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে আসে, সে স্থানগুলো বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে। সেটি যে স্থানই হোক না কেন।

বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও নেদারল্যান্ডসের মতো দেশ ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব দেশের একটি জোট ইউক্রেনের চালকদের প্রশিক্ষণ দেবে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধবিমান চেয়ে অনুরোধ করা হচ্ছে।

;