করুণানিধির মৃত্যু: দক্ষিণ ভারতে রাজনৈতিক সূর্যের অস্ত



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শতবর্ষ স্পর্শ করা আর হলো না। দক্ষিণ ভারতের উজ্জ্বল রাজনৈতিক সূর্য অস্তমিত হলো। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন তামিলনাড়ুর রাজনীতির প্রবল পুরুষ মুথুভেল করুণানিধি। বয়স হয়েছিল ৯৪। রেখে গেছেন সুদীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের উত্থান-পতনের রোমাঞ্চে ভরা ইতিহাস, লক্ষ সমর্থক আর চার ছেলে ও দুই মেয়ে।

করুণানিধির স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছিল সোমবার (৬ আগস্ট) থেকেই। হাসপাতালের বুলেটিনে বলা হয়, অবস্থা গুরুতর। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) সকালে জানানো হয়, খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থা। সন্ধ্যায় ঘোষিত হয় মৃত্যুসংবাদ। দাক্ষিণাত্যের দ্রাবিড় রাজনীতির দীর্ঘ একটি ঐতিহাসিক যুগের অবসান হল তাঁর মৃত্যতে।

নিজের রাজ্যের পাঁচবারের মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধি। শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন এম জি রামচন্দ্রন, পরে জয়ললিতা। দু‌জনই প্রয়াত। অবশেষে অবসান হল করুণানিধির যুগেরও।

মেরিনা বিচে আন্না দুরাইয়ের সমাধিভূমিতে করুণানিধির দেহ সমাহিত করার জন্য জমি চেয়েছেন ছেলে এম কে স্ট্যালিন। করুণানিধির প্রতিপক্ষ এখন রাজ্য সরকারে। তারা সমাধির জমি দিতে নারাজ। করুণানিধির দল ডিএমকে সমর্থকদের শোক এখন উত্তেজনায় ফুটছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সি রাজাগোপালাচারি এবং কে কামরাজের স্মারকের কাছে জমি দিতে চাইছে রাজ্য সরকার।

ডিএমকে মানছে না। ২০ মাস আগে মেরিনা বিচেই সমাধিস্থ করা হয় আরেক নেত্রী জয়ললিতাকে। করুণানিধির সমর্থকরা পাশেই নেতার চিরনিদ্রার জায়গা চান। ফলে সমাধিস্থল বিষয়ক বিতন্ডায় রাজনীতির এই সিংহপুরুষ মৃত্যুতেও পরিণত হয়েছেন গরম রাজনৈতিক ইস্যুতে

পুরো নাম মুথুভেল করুণানিধি। এই নামটিই যথেষ্ট গোটা তামিল ভাবাবেগের কাছে। ১৯২৪ সালে জন্ম এই তামিল পুত্রের। যিনি একাধারে আঁকতে পারতেন, লিখতে পারতেন চিত্রনাট্য। তামিল ফিল্ম জগতে এভাবেই তাঁর প্রথম প্রবেশ। অধিকাংশ জনপ্রিয় তামিল রাজনৈতিক নেতার মতো তাঁরও উত্থান রূপালি পর্দার পথ ধরে।

কিন্তু ছবিতেই এখানেই থেমে থাকেনি তাঁর প্রতিভা। নিজেকে এমনভাবেই তৈরি করেছিলেন যে তামিলবাসীরা তাঁকে দেখে বলতেন, 'আগুনকে কখনও ছাই দিয়ে চাপা দেওয়া যায় না।' হয়তো এটাই সত্যি। কারণ তামিল সাহিত্য জগতে তাঁর অবদান এককথায় অনস্বীকার্য। তাঁর লেখা গল্প, নাটক, উপন্যাস তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল তামিলনাড়ুর মানুষের মনের মণিকোঠায়। নিজের আবেগ দিয়েই বুঝতে পেরেছিলেন তামিলনাড়ুর দ্রাবিড় জাতির কষ্টের কথা। ঠিক করেছিলেন কিছু একটা করতে হবে। যেমন ভাবনা তেমনই কাজ। ১৯৬৯–২০১১ পর্যন্ত নানা সময়ে পাঁচবার মুখ্যমন্ত্রীর সিংহাসন তাঁকে তুলে দিয়েছিলেন তামিলনাড়ুর মানুষ। আর টানা দশবার ডিএমকে দলের সভাপতি। উত্থান আর পতনের পরেও দক্ষিণের রাজনীতিতে তিনি ছিলেন সূর্যের মতো প্রখর আর উজ্জ্বল।

তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম জেলার তিরুকুভালাই গ্রামে জন্ম করুণানিধির। স্কুল জীবনেই তাঁর সাহিত্য প্রতিভা প্রকাশ পায়। জাস্টিস পার্টির নেতা আজাহাগিরিস্বামীর বক্তব্য তাঁর জীবনে রাজনৈতিক আবেগের ঝড় তুলে দেয়। তাই মাত্র ১৪ বছর বয়সে সামাজিক আন্দোলনে তিনি যুক্ত হয়ে পড়েন। কিছুদিন বাদে তৈরি করেন অল স্টুডেন্টস ক্লাব। দ্রাবিড় আন্দোলনের এটাই ছিল প্রথম পদক্ষেপ।

তারপর ১৯৫৩ সাল, তৈরি হয় ডিএমকে (‌দ্রাবিদা মুন্নেত্রা কাঝাগাম)‌। দলের মুখপত্র মুরাসোলি কাগজে লিখতে শুরু করেন তামিল রাজনীতি থেকে জাতীয়, আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশ্লেষণ। ভাষ্যকার হতেও সময় লাগেনি তাঁর। কাল্লাকুড়ি আন্দোলন তাঁকে তামিল রাজনীতিতে জনপ্রিয় করে তোলে। শিল্প শহরের আসল নাম ছিল কাল্লাগুড়ি। কিন্তু সেখানে সিমেন্টের প্রকল্প তৈরির নামে শহরের নাম বদলে করে দেওয়া হয় কাল্লাক্কুড়ি থেকে ডালমিয়াপুরম। শুরু হয় করুণানিধির আন্দোলন, পথ অবরোধ, ট্রেন অবরোধ, বিক্ষোভ। এই আন্দোলনের ফলে দু’‌জন মারা যায়। গ্রেপ্তার হন করুণানিধি।

১৯৫৭ সালে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে কুলিথালাই বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়ে তামিলনাড়ু সংসদে প্রবেশ করেন তিনি। তারপর একের পর এক সাফল্য রাজনীতির ময়দানে। ১৯৬২ সালের বিরোধী দলনেতা এবং ১৯৬৭ সালে তাঁর হাত ধরে ক্ষমতায় আসে ডিএমকে। ১৯৬৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী। যিনি ৭০ সালে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর জারি করা জরুরী অবস্থার প্রতিবাদ করেছিল একমাত্র শাসকদল হিসাবে। যার ফলে তাঁর সরকারকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বহু নেতাকে জেলে ভরাও হয়েছিল। কিন্তু তাতেও দমে যায়নি এই তামিল নেতা।

লড়তে লড়তে আবার ময়দানে ফিরে আসার প্রচন্ড ক্ষমতা ছিল তার। জয়ললিতার মতো গ্ল্যামারাস নেত্রীকে টক্কর দিয়ে আঞ্চলিক রাজনীতিতে দৃঢ অবস্থান বাগিয়ে ছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও ক্ষমতার পালাবদলে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করেছেন। দূর দক্ষিণের রাজনৈতিক অনুঘটক হয়েও দিল্লির কেন্দ্র ছিল তাঁর সমীহ আদায় করার মতো দাপট।

করুণানিধি তীব্র তামিল জাতীয়তাবাদী আবেগের রাজনীতি করেছেন। আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন তামিল স্বার্থে। দক্ষিণের রাজ্যগুলোর মতো জোর গলায় কেন্দ্রকে শাসানোর ক্ষমতা তাঁর মতো আর কারো ছিল না।

তাঁর মৃত্যুতে দক্ষিণ ভারতের রাজনৈতিক প্রাধান্য খর্ব হবে।  শিল্প-সাহিত্য জ্ঞানী রাজনীতিবিদের সংখ্যাও কমে আসবে। সর্বভারতীয় রাজনীতিতে তাঁর চিরবিদায়ের ফলে ঐতিহ্য, জাতীয়তাবাদ আর নন্দন প্রভায় আলোকিত যে রাজনৈতিক সূর্য অস্তমিত হলো, গেমন সূর্য সহসাই উদিত হবে বলে মনে হয় না।

   

ইরানে ইসরায়েলের হামলা, যা বলল যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যে ‘সামরিক অভিযান’ চালিয়েছে তা নিশ্চিত করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য দেননি তারা।

সিএনএনের বরাত দিয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, এ হামলা বিশ্বের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে ওই অঞ্চলটি সংঘাতের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।

মার্কিন কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরায়েল বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাইডেন প্রশাসনকে জানিয়েছিল যে, আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইরানে আঘাত আসছে। 

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করেছিল যে, হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হবে না। 

এদিকে ইসরায়েল শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইরানে ‘ক্ষেপণাস্ত্র হামলা’ চালিয়েছে বলে খবর দিয়েছে আলজাজিরা, এবিসি নিউজসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম। তবে এমন খবরের পর তেহরান বলছে, তারা বেশ তিনটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করেছে এবং দেশটিতে এখনও কোনো ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হয়নি।




;

ইরানে ইসরায়েলি হামলার খবর আগেই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে দেশটিতে আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। ইরানের ওপর ইসরায়েলের এই হামলার খবর আগেই পেয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই হামলাকে সমর্থন বা হামলায় কোনো ধরনের ভূমিকা পালন করেনি দেশটি। 

যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকজন কর্মকর্তার বরাতে মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি এবং সিএনএন খবরটি দিয়েছে। বলা হয়েছে যে, হামলা চালানোর আগে ওয়াশিংটনকে জানিয়েছিল ইসরায়েল।

বিভিন্ন সম্প্রচারমাধ্যম মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করেছে যে, ইরানের ভূখণ্ডে ইসরায়েল হামলা করেছে এবং ইসরায়েলের হামলার লক্ষ্য পারমাণবিক স্থাপনা ছিল না।

একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা সিএনএনকে বলেন, ইসরায়েল গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে বলেছিল যে, তারা সামনের দিনগুলোতে ইরানের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেবে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের এই প্রতিক্রিয়া সমর্থন করেনি বলেও জানান তিনি।

হামলার পর হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। হোয়াইট হাউসের দায়িত্বরত এক কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের কাছে এই মুহূর্তে দেওয়ার মতো কোনো খবর নেই।’

এর আগে, ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে বিমান হামলা হয়। এতে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) আল-কুদস ফোর্সের দুই শীর্ষ জেনারেলসহ সব মিলিয়ে ১১ জন নিহত হন। ইসরায়েল আনুষ্ঠানিকভাবে এই হামলার দায় স্বীকার না করলেও ইরান ইসরায়েলকেই এর জন্য দায়ী করে আসছে।

জবাবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। শনিবার রাতে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানায়, ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ইরান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে। সেই হামলায় ইসরায়েলের একটি গোয়েন্দা কেন্দ্র ও একটি বিমানঘাঁটি ধ্বংস করার দাবি করেছে ইরান।

;

নির্বাচনের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গে সহিংসতা, প্রাণহানি, অপহরণ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটগ্রহণ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল থেকে শুরু হয়েছে। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর আড়াই ঘণ্টার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের তিন লোকসভা আসন কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে বিশৃঙ্খলা, অগ্নিসংযোগ ও মারধরের খবর পাওয়া গেছে। নিরাপত্তাবাহিনীর এক সদস্যের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বিজেপির পোলিং এজেন্টকে অপহরণের খবরও পাওয়া গেছে। 

ভারতের স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। প্রথম ধাপে আলিপুরদুয়ার (তফসিলি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত), জলপাইগুড়ি (তফসিলি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত) ও কোচবিহার (তফসিলি জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত) কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। তবে ভোটকেন্দ্র খোলার পর থেকেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা করতে শুরু করেছে। 

কোচবিহারের দিনহাটায় উদ্ধার করা হয়েছে তাজা বোমা। একই এলাকায় তৃণমূলের এক ব্লক সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। জেলার চান্দামারিতে বিজেপির ব্লক সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। 

এদিকে কোচবিহারের তুফানগঞ্জে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় পোড়ানোর অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগও উঠেছে দলটির বিরুদ্ধে। দিনহাটা থেকে বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে অপহরণের খবর পাওয়া গেছে। ভোটের আগের রাতে একই জেলার মাথাভাঙায় সিআরপিএফ জওয়ানের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। 

জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়িতে বুথের মধ্যেই পোলিং এজেন্টকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আহত ওই এজেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। জেলার ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি কেন্দ্রের সিপাইপাড়া এলাকায় গতকাল রাতের বেলায় বিজেপির বুথ অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে কে বা কারা। 

এ ছাড়া বেশ কিছু জায়গা থেকে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে ভোটাররা ঝামেলার শিকার হয়েছেন বলে খবর এসেছ। নির্বাচন কমিশনে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগও পাঠানো হয়েছে।

;

৩টি ইসরায়েলি ড্রোন ধ্বংস করলো ইরান, ভিডিও প্রকাশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ইসফাহান শহরে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) ভোরে ইসরায়েলি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। তবে ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোন হামলা হয়েছে এবং সেগুলোকে প্রতিহত করতে সেখানে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

রাজধানী তেহরান থেকে ইসফাহান প্রদেশে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো অবস্থিত। দেশটির অন্যতম বড় সামরিক বিমান ঘাঁটিও রয়েছে এখানে। আর প্রদেশের নাতানজ্ শহরটিকে ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দু বলা চলে।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন নির্ভরযোগ্য সূত্রের কথা উল্লেখ করে দাবি করেছে সেখানকার পারমাণবিক স্থাপনাগুলো পুরোপুরি নিরাপদেই আছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আইআরআইবি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, কয়েকটি মিনি ড্রোনকে প্রতিহত করতে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়। এর ফলেই দেশের কয়েকটি অঞ্চলে প্রচণ্ড শব্দ শোনা গেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির বরাতে বিবিসি আরও জানিয়েছে, ইসফাহান শহরের আকাশে তিনটি ড্রোন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল। আর রয়টার্সের বলছে, দেশের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পরে ওই তিনটি ড্রোন ধ্বংস করা হয়। পরে ড্রোন ধ্বংস করার একটি ভিডিও প্রকাশ করে বিবিসি। ভিডিওটি স্থানীয় এক বাসিন্দার কাছ থেকে পাওয়া বলে উল্লেখ করেছে সংবাদমাধ্যমটি।

এদিকে সাময়িকভাবে ইরানের আকাশে বিমান চলাচল বন্ধ হওয়ার পর তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর পুনরায়  ফ্লাইট চালু করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরএনএ জানিয়েছে, তেহরানের ইমাম খামেনেয়ি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আবার ফ্লাইট চলাচল শুরু হয়েছে। এর আগে কেন্দ্রীয় প্রদেশ ইসফাহানে বিস্ফোরণের পর ইরানের বেশিরভাগ অংশে ফ্লাইট স্থগিত করা হয়।

;