আটলান্টিক সমুদ্রের পানি রক্ত লাল!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সমুদ্রবেষ্টিত দুর্গম দ্বীপ ‘ফারো’

সমুদ্রবেষ্টিত দুর্গম দ্বীপ ‘ফারো’

  • Font increase
  • Font Decrease

সমুদ্রবেষ্টিত দুর্গম দ্বীপ ‘ফারো’। নরওয়ে আর আইসল্যান্ডের মধ্যবর্তী আটলান্টিক সাগরের দক্ষিণে অবস্থিত স্বায়ত্তশাসিত ফারো দ্বীপপুঞ্জ ডেনমার্কের আওতাভুক্ত। সম্প্রতি সেখানকার সমুদ্রের পানি টুকটুকে লাল আকার ধারণ করেছিল। আর এ জন্য দায়ী মানুষের হিংস্রতা।

সম্প্রতি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক অ্যালেস্টার ওয়ার্ড (২২) ছুটি কাটাতে ওই দ্বীপে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ৩০ জুলাই তিনি সান্তামাউগে উপসাগরে দেখতে পান ভয়াবহ ‘অমানবিক’ দৃশ্য। দ্বীপটির স্থানীয় বাসিন্দারা সেদিন দলগতভাবে তিমি শিকার করছিল। তরুণ, তরুণী, বৃদ্ধ, বাচ্চা সবাই ছিল সেই শিকারে। সৈকতে শয়ে শয়ে তিমি দড়ি দিয়ে টেনে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। তিমির রক্তে লাল হয় সমুদ্রের পানি। আর এ সব দৃশ্য ক্যমেরাবন্দী করেন ওয়ার্ড। পরবর্তীতে তার তোলা সেসব আলোকচিত্র ‘ট্রায়াঙ্গাল নিউজ’ নামে ম্যাগাজিনে প্রকাশ হলে রক্ষণশীল ও পরিবেশবাদীদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়।

ওয়ার্ডের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে ফারো দ্বীপপুঞ্জের বাসিন্দারা বাৎসরিক এই তিমি শিকার উৎসব পালন করে আসছে। আসন্ন তীব্র শীত মৌসুমে খাবার মজুদ করার উদ্দেশ্যে দলগতভাবে ওই তিমিগুলোকে শিকার করে ফারো দ্বীপের বাসিন্দারা। এমনকি দ্বীপের বাচ্চারা পর্যন্ত অংশ নেয় দলগত ওই তিমি শিকারে। দ্বীপের বাইরের যে কোনো বাসিন্দা বা পর্যটকের কাছে ভয়ঙ্কর মনে হলেও ফারোবাসীদের কাছে সেটি উৎসবের মতো। এবং এই দলগত তিমি শিকার সেখানে আইনগতভাবে বৈধ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/18/1534575376037.jpg

জানা যায়, ওই কয়েক ডজন পাইলট প্রজাতির তিমির মাংস আর চর্বিই হবে আসন্ন শীতে ৫০ হাজার ফারোবাসীর খাবারের মূল উৎস।

উপসাগরে এত তিমি দেখে প্রথমে আশ্চর্য হয়ে যান আলোকচিত্রী ওয়ার্ড। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ‘ট্রাইঅ্যাঙ্গেল’কে ওয়ার্ড বলেন, ‘শিকারীরা শুরুতে দাঁড় দিয়ে গুতিয়ে গুতিয়ে তিমিগুলোকে দ্বীপঘেঁষা বেলাভূমিতে নিয়ে আসে, যখনই তারা কাছাকাছি চলে আসে দ্বীপবাসী দৌড়ে নেমে যায়, আর তিমিগুলোকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে।’

‘এমনকি বাচ্চারাও যুক্ত হয় ওই কাজে; দড়ি ধরে টানে, তিমির মরদেহগুলোর ওপরে উঠে লাফালাফি করে,’ বলেন ওয়ার্ড।

ফারোর চারপাশে পাইলট প্রজাতির তিমি পর্যাপ্ত সংখ্যক আছে বলে জানান দ্বীপের বাসিন্দারা। সেগুলোর সংখ্যা প্রায় এক লাখ হবে, আর তারা বছরে প্রায় ৮০০ তিমি শিকার করে।

শিকার দেখার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে ওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা নির্বাক আর বিষণ্ণ হয়ে বসে ছিলাম শুধু, এ ছাড়া আর কিছু করার ছিল না।’

ফারোবাসী তিমি শিকারের ব্যাপারটাকে সবার জন্য অংশ্রগ্রহণমূলক বলে মনে করে। খাবারের প্রয়োজনে ওই তিমি শিকার জাতীয় আইনে আনুমোদিত বলে জানা যায়। আইনে শুধু লক্ষ্য রাখতে বলা হয়েছে, শিকারের সময় তিমিদের যাতে সবচেয়ে কম কষ্ট দেওয়া হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Aug/18/1534575413005.jpg

যদিও তিমিগুলোকে হত্যা করার পদ্ধতিটি দেখে উদ্বিগ্ন হয়ে ওয়ার্ড বলেন, ‘শিকারের সময় তিমিগুলোর আহাজারি ছিল বিভীষিকাময়, দড়িতে আঙটা লাগিয়ে তাদের শরীর বিদ্ধ করে তীরের দিকে নিয়ে আসা হয়, আর তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কুপিয়ে মারা হয়।’

‘স্বাভাবিক মানুষের মতো তিমিগুলো মরার সুযোগ পায় না,’ বলে আক্ষেপ করেন অ্যালেস্টার ওয়ার্ড।

গোটা ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পশুপ্রেমী সংগঠনগুলি। রীতির নামে কেন নিরপরাধ প্রাণিদের মারা হবে? বিভিন্ন মহলে এই প্রশ্ন উঠছে। এমন নিষ্ঠুর রীতি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন বরাবরই সেখানে তিমি শিকারকে বৈধ বলে যুক্তি দিয়ে এসেছে।

   

‘মাই নেম ইজ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১০ সালের বলিউড ফিল্ম ‘মাই নেম ইজ খান’-এ রিজওয়ান খান চরিত্রে শাহরুখ খানকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘মাই নেম ইজ খান, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’

বলিউড বাদশার সেই সংলাপ ১৪ বছর পর আবারও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠে এলো দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর মুখে।

এনডিটিভি জানিয়েছে তিনি বলেছেন, ‘মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’ আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা সঞ্জয় সিং মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) জেলবন্দি কেজরিওয়ালের একটি বার্তা পড়ে শোনাতেতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন।

গত ২১ মার্চ দিল্লির আবগারিনীতি বিষয়ক মামলায় ধৃত কেজরিওয়ালের বর্তমান ঠিকানা এখন তিহার কারাগার। সেখানকার দুই নম্বর সেলেই দিন কাটছে তার। তবে, গ্রেফতার হওয়ার পরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েননি তিনি।

আপ দাবি করেছে, জেল থেকেই সরকার চালাবেন কেজরিওয়াল। বন্দি হওয়ার পর থেকেই স্ত্রী সুনিতাসহ আপের বিভিন্ন নেতা-নেত্রীর মাধ্যমে নিজের বার্তা জানিয়ে আসছেন তিনি। তেমনই এক বার্তা মঙ্গলবার পড়ে শোনালেন আপের রাজ্যসভার সাংসদ সঞ্জয়।

আপ সাংসদের অভিযোগ, ‘জেলে কেজরিওয়ালের সঙ্গে সন্ত্রাসবাদীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে।’

সোমবার তিহারে গিয়ে কেজরিওয়ালের সঙ্গে দেখা করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবত মান। তিহার থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে, একজন দাগী আসামিকে যেসব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, কেজরিওয়ালকে সেটুকুও দেওয়া হচ্ছে না। তার দোষটা কোথায়?’ মঙ্গলবার একই অভিযোগ করেছেন সঞ্জয়ও।

সেইসঙ্গে আপ সাংসদ অভিযোগ করেছেন, ‘জেলে কাছের মানুষের সঙ্গে কেজরিওয়ালকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। এটিই স্পষ্টতই একটি প্রতিহিংসার রাজনীতি। এভাবে তাকে আটকে রাখা যাবে না। এতে করে তিনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন।’

সঞ্জয় বলেন, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, যিনি দেশ এবং দিল্লির জনগণের জন্য তাদের ভাই এবং পুত্রের মতো কাজ করেছেন, তিনি জেল থেকে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন।

আপ প্রধান বলেছেন, ‘মাই নেম ইজ অরবিন্দ কেজরিওয়াল, অ্যান্ড আই অ্যাম নট এ টেররিস্ট।’

আপ সাংসদ আরও বলেন, ‘আপনি যতই তাকে (অরবিন্দ কেজরিওয়াল) ভাঙার চেষ্টা করবেন, ততই তিনি শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসবেন। এটি আমাদের সকলের কাছে একটি সংবেদশীল বিষয়, কিন্তু বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য লজ্জার।’

;

ইসরায়েলে হামলার পর ইরানের পরমাণু স্থাপনা সাময়িক বন্ধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান সোমবার (১৫ এপ্রিল) বলেছেন, ‘নিরাপত্তার বিষয় বিবেচনা করে তাদের পারমাণবিক স্থাপনা সাময়িকভাবে বন্ধ করেছে ইরান।’

চলতি সপ্তাহে ইসরায়েলে কয়েকশ’ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার পর তেহরান এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় আন্তর্জাতিক আনবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ইরানের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলি হামলার সম্ভাবনা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন কি-না।

জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বদা এমন হামলার সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন। ইরানে অবস্থানকারী আমাদের পরিদর্শকদের দেশটির সরকার জানিয়েছে, ‘আমরা প্রতিদিন যেসব পারমাণবিক স্থাপনা পরিদর্শন করছি নিরাপত্তার কথা বিবেচনায় রেখে সেসব স্থাপনা রবিবার বন্ধ থাকবে।’

গ্রোসি বলেন, ‘সোমবার পারমাণু স্থাপনাগুলো ফের খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে। তবে পরিদর্শকরা ওই দিন পর্যন্ত এসব স্থাপনা পরিদর্শনে যাবেন না।’

এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি সম্পূর্ণ শান্ত না হওয়া পর্যন্ত পরিদর্শকদের সেখানে যেতে দেব না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

এদিকে, ইসরায়েলের প্রতি ইরানের সংযমের প্রশংসার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সোমবার (১৫ এপ্রিল) আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর পর দেশটি এ আহ্বান জানাল।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরিবর্তে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত হবে নিজেদেরকে দোষারোপ করা।’

কানানি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইরানের সংযমের প্রশংসা করা উচিত।’

অন্যদিকে, গত ১ এপ্রিলের ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতভর ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

ওই হামলার জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে তার কয়েক সেকেন্ড ব্যবধানেই ইরান ফের হামলা চালাবে এবং এর যথেষ্ট সক্ষমতা আছে বলে হুমকি দিয়েছে তেহরান।

ইরানের রাজনীতিবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি এই হুমকি দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান উত্তেজনার মধ্যে আলি বাঘেরি কানি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় ইরান কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে। নজিরবিহীন হামলার পর এবার ইসরায়েলকে কঠোর হুমকি দিল ইরান।

;

ইরানের সংযম প্রদর্শনের প্রশংসা করতে পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের প্রতি ইরানের সংযমের প্রশংসার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি সোমবার (১৫ এপ্রিল) আহ্বান জানিয়েছে তেহরান।

দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ চালানোর পর দেশটি এ আহ্বান জানাল।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরিবর্তে পশ্চিমা দেশগুলোর উচিত হবে নিজেদেরকে দোষারোপ করা।’

কানানি বলেন, ‘পশ্চিমা দেশগুলোকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক ইরানের সংযমের প্রশংসা করা উচিত।’

এদিকে, গত ১ এপ্রিলের ইসরায়েলি হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে শনিবার (১৩ এপ্রিল) রাতভর ইসরায়েলে শত শত ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।

ওই হামলার জবাবে ইসরায়েল পাল্টা হামলা করলে তার কয়েক সেকেন্ড ব্যবধানেই ইরান ফের হামলা চালাবে এবং এর যথেষ্ট সক্ষমতা আছে বলে হুমকি দিয়েছে তেহরান।

ইরানের রাজনীতিবিষয়ক উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী আলি বাঘেরি কানি এই হুমকি দিয়েছেন বলে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়।

মঙ্গলবার বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চলমান উত্তেজনার মধ্যে আলি বাঘেরি কানি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েল যদি পাল্টা হামলা চালায় ইরান কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে জবাব দেবে। নজিরবিহীন হামলার পর এবার ইসরায়েলকে কঠোর হুমকি দিল ইরান।

;

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবি ইসরায়েলের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়ে ৩২টি দেশকে চিঠি পাঠিয়েছি ইসরায়েল।

মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এই চিঠিগুলো পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ।

ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে একটি কূটনৈতিক আক্রমণের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাই আজ সকালে ৩২টি দেশে চিঠি পাঠিয়েছি এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবিতে দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছি।

ইরানকে দমন ও দুর্বল করার উপায় হিসাবে তিনি ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসকে (আইআরজিসি) সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করার আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, ইরানকে এখনই থামাতে হবে।

এদিকে, ফ্রান্স, জার্মানি, ব্রিটেনসহ ইসরায়েলের পশ্চিমা মিত্ররা সংযত থাকতে বললেও ইরানের হামলার জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হেরজি হালেভি।

তিনি বলেন, তাদের ভূখণ্ডের ভেতরে ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তার জবাব অবশ্যই দেওয়া হবে।

ইসরায়েলের সামরিক কর্মকর্তারা ইরানের বিরুদ্ধে কি রকম প্রতিক্রিয়া দেখাবেন সে সম্পর্কে বিশদ বিবরণ দেননি।

;