বাতির নিচেই অন্ধকার!



সাইফ সাইফুল্লাহ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) সকাল ১০টা। ক্যাম্পাসের একটি চায়ের দোকানের এপাশ থেকে ওপাশে ছুটোছুটি করছে দশ বছর বয়সী শিশু শুভ। ‘এই পিচ্চি, এদিকে আয়’ বলে বিভিন্ন পাশ থেকে ডাক পড়ছে তার। ডাক পড়তেই সেখানে ছুটে যাচ্ছে সে। চাহিদা মতো সরবরাহ করছে চা-সিগারেট।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) তৃতীয় বিজ্ঞান ভবনের পাশে খালেকের চায়ের দোকানের সামনের দৃশ্য এটি। শুধু এই দোকানই নয়, ক্যাম্পাসের চাসহ অন্যান্য খাবারের দোকানের চিত্র একই। উত্তরবঙ্গের সেরা এই শিক্ষাঙ্গনে আইন অমান্য করে দোকানগুলোতে কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে শিশুদের। জ্ঞানার্জনের বিদ্যাপীঠে এ চিত্র যেন আলোর প্রদীপের নিচেই অন্ধকার।

শিশু শ্রমিক শুভ জানায়, তার বাবা একজন রং মিস্ত্রি। মা অন্যের বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করেন। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে বড়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে কাজ করে ৪০ টাকা পায় সে। সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মা তাকে খাইয়ে দিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে চলে যান। পড়াশোনা করার ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের অভাব অনটনের কারণে প্রতিদিন তাকে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চায়ের দোকানে কাজ করতে হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/16/1542341839407.gif

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের সামনে চায়ের দোকানে কাজ করে ১২ বছর বয়সী শিশু নাসরুল্লাহ। সে জানায়, সাত বছর বয়সে বাবাকে হারায়। মা অন্যের বাড়িতে কাজ করে। মায়ের উপার্জনে সংসারের খরচ না মেটায় চায়ের দোকানে কাজ নেয় নাসরুল্লাহ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চায়ের দোকানে কাজ করলে প্রায় দেড়শ টাকা পায় সে। সকালে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় তার মা একটি বাটিতে করে খাবার দিয়ে দেয়। সেই খাবার দুপুরে খায়। লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ থাকলেও অভাবের কারণে নাসরুল্লাহের আর বিদ্যালয়ে যাওয়া হয়ে ওঠেনি।

এছাড়া ক্যাম্পাসে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে রাব্বী। সকাল হতেই চুলায় বাদাম ভেজে দেন মা। তারপর ক্যাম্পাসেই ঘুরে ঘুরে বাদাম বিক্রি করে সে। দুপুরে খাবার হাতে মা ছুটে আসে ক্যাম্পাসে। একসঙ্গে মা ও ছেলে খাবার ভাগ করে খায়। এভাবেই তাদের মা ছেলের দিন চলে।

রাব্বীর মা রাবেয়া খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এই ব্যাটাটা (ছেলে) বাপ মইরি যাওয়ার পর থেইকি সংসারের হাল ধইরিছে। এই বয়সীর ছাওয়ালেরা (ছেলেরা) সারাদিন কতো দৌড়ি বেড়ায়, আর আমার রাব্বীক বাদাম লিয়া ছুটতি হয়। ক্যাম্পাসের মামারা (শিক্ষার্থীরা) ওক অনেক আদর করে। আমি হতভাগা মা ওর জন্য কিছুই করতি পারি না। আমি দুয়া করি আমার রাব্বী জানি জীবনে মেলা বড় অয়।’

ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা গেছে, শুভ, রাব্বী ও নাসরুল্লার মতো আরও অনেক শিশু ক্যাম্পাসের বিভিন্ন দোকানে কাজ করে। যে বয়সে তাদের বই-খাতা নিয়ে স্কুলে যাওয়ার কথা, অন্য শিশুদের মতো মাঠে খেলাধুলা করার কথা, সেই বয়সে তারা কাজে নিয়োজিত। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করে দোকান থেকে তারা পায় পঞ্চাশ থেকে দেড়শ টাকা। দিন শেষে তা তুলে দেয় বাবা-মায়ের হাতে। তাদের এই সামান্য রোজগারের টাকায় ঘুরছে সংসারের চাকা।

দোকানিরা বলছেন, অল্প মজুরিতে শিশুদের বেশি কাজ করানো যায়। এছাড়া শিশুদের যা বলা হয়, তারা তাই শোনে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিকে যেখানে দিনে তিন থেকে চারশ টাকা দিতে হয়, সেখানে শিশুদের পঞ্চাশ থেকে দেড়শ টাকা দিলেই চলে। এজন্য সবাই শিশুদের কাজে লাগায়।

অথচ বাংলাদেশ শ্রম আইন (২০০৬) অনুসারে শ্রমিকের বয়স ১৪ বছরের নিচে হওয়া যাবে না। কিন্তু বাস্তব চিত্র ভিন্ন। শ্রমে নিয়োজিত বহু শিশুর বয়স ১৪ বছরের নিচে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনেকেই শিশু শ্রমে নিয়োজিত থাকলেও দেখার যেন কেউ নেই। অপরদিকে, ছোট বয়সে শ্রমে নিয়োজিত হওয়ায় মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Nov/16/1542341865135.gif

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ওয়ারদাতুল আকমাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর বিষয়টা অমানবিক। শিশু কাজে নিয়োজিত থাকলে তার মানসিক বিকাশ সঠিকভাবে হয় না। দোকান মালিক নিজেদের লাভের আশায় শ্রমে শিশুদের ব্যবহার করছেন, এটা উচিত না। শিশু শ্রম বন্ধে সবার এগিয়ে আসার পাশাপাশি সামাজিক সচেতনা প্রয়োজন।

আইন অমান্য করে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুল আলম প্রধান বার্ত২৪.কমকে বলেন, ‘শিশুদের দিয়ে কোনো ভাবেই স্বাস্থ্যহানিকর বা ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কাজ করানো যাবে না। এ বিষয়টি ২০০৬ এর শিশু শ্রম আইনে বলা থাকলেও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে আইনি বিধান ও প্রয়োগের সীমাবদ্ধতার কারণে শিশুদেরকে শ্রমে নিয়োজিত করা হচ্ছে। যার ফলে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। দেশে শিশু শ্রম বন্ধের আইন ও নীতিমালা আছে, কিন্তু আইনের যথাযথ প্রয়োগ না থাকার ফলে শিশু শ্রম বন্ধ হচ্ছে না।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক লায়লা আঞ্জুমান বানু বার্তা২৪.কমকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব দোকান রয়েছে তা প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছেন এর মালিকরা। এ সকল দোকানগুলোতে শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে মালিক পক্ষের ভূমিকা থাকে। তারা কাকে দিয়ে দোকানের কাজ পরিচালনা করবেন এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তবে কেউ যদি এ বিষয়ে অভিযোগ করে তাহলে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।

   

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টর নিয়োগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার একদিন পরেই এবার একযোগে পাঁচজন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে.এম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সহকারী প্রক্টরবৃন্দরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক লিটন মিত্র, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাশ, ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত রহমান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সবাইকে যথারীতি প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ যোগদানের তারিখ হতে এক (১) বছরের জন্য সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো।

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব। হলগুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ সিট বরাদ্দ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সিট বরাদ্দের বিষয়টা নিয়ে কাজ করব এবং যাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা আন্তর্জাতিক মানের র‍্যাংকে নিয়ে আসা যায় সেদিকেও নজর দিব।

;

ইবি ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে ২ হাজারের অধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের ডায়না সত্বরে ১০০ গাছ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তন্মধ্যে দশ দিনে পাঁচ লাখ এবং বছরব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ৭ দিনে ৫০০ গাছ এবং ৬ মাসে ২ হাজার বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজায়ন হোক এবং সারা দেশ সবুজে ভরে ওঠুক।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবি শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতায় ২ হাজার গাছ রোপণ করতে পারবে বলে আশাবাদী। সেই সাথে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ৫ হাজার গাছ লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

;

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাঁতার কাটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটে। এই অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর হতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোহাদ হকের অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য-সচিব করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।

কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কী না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

;

জব ফেয়ারের আয়োজন করল শেকৃবির এএসভিএম অনুষদ



শেকৃবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এএসভিএম অনুষদের শিক্ষার্থীদের জন্য জব ফেয়ারের আয়োজন করল এএসভিএম অনুষদ। সদ্য ইন্টার্নশিপ শেষ করা অনুষদের লেভেল-৫, সেমিস্টার-II (জুলাই -ডিসেম্বর /২০২২)শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ এই উদ্যোগ গ্রহণ করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে অনুষদ।

মূলত অনুষদের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিনের দ্বি বার্ষিক পরিকল্পনার অংশ এবং অনার্স শেষ করা শিক্ষার্থীদের বেকারত্ব থেকে মুক্ত রাখতে ও দ্রুত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার তাগিদে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিশ্ব ভেটেরিনারি দিবসকে সামনে রেখে আগামী শনিবার (২৭ এপ্রিল) শেখ কামাল ভবনস্থ এএসভিএম সেমিনার গ্যালারিতে এই জব ফেয়ারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয় নূন্যতম চল্লিশ হাজার (৪০,০০০) বেতনে কমপক্ষে ৮-১০ জন কে নিয়োগের উদ্দেশ্য এই উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড কে বিএম সাইফুল ইসলাম বলেন, অনুষদের শিক্ষার্থীদের অনার্স শেষ হওয়ার মধ্যেই চাকরির ব্যবস্থা করবো এটা ছিল আমার ডিনশীপ গ্রহণের সময়ে নেওয়া দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনার অংশ। এছাড়াও আমার শিক্ষার্থীদেরকে অনার্সের সার্টিফিকেট পাওয়ার সঙ্গে চাকরির ব্যবস্থা করব এটা ছিল ওদের প্রতি ওয়াদা। যদিও সরকারি চাকরির ব্যবস্থা করার সুযোগ আমাদের হাতে নেই, তবে বেসরকারি সেক্টরে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে আমি আনন্দিত। আশা করছি বর্তমান ইন্টার্নি শেষ করা ব্যাচ অতি শীগ্রই রেজাল্ট পাবে এবং ওদের এটা বিশেষ একটা সুযোগ হতে যাচ্ছে। এমন পদক্ষেপে সদ্য অনার্স শেষ করা ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীদের বেকার থাকতে হবে না একদিনও।তবে একটি জব ফেয়ারেই আমরা সীমাবদ্ধ থাকব এমন নয়, খুব দ্রুতই এর পরেও এরকম জব ফেয়ার হতে চলছে। বিভিন্ন বড় প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ও পরিকল্পনা চলমান রয়েছে। আশা করছি আমরা শিক্ষার্থীবান্ধব এই উদ্যোগে সফল হব এবং অনুষদকে ভিন্ন এক অবস্থানে অধিষ্ঠ করতে সমর্থ হবো। 

এমন বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্নভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন এবং এমন পদক্ষেপের প্রশংসা ও সফলতা কামনা করেছেন।অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন VASA এর সহ-সভাপতি রাহাত ইসলাম বলেন, এমন একটা উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীদের আনন্দিত করেছে। এই উদ্যোগ আমাদের অনুষদের গুরুত্ব বৃদ্ধি করবে। শিক্ষার্থীরা আরো আগ্রহ নিয়ে পড়াশোনা করবে এবং নিশ্চয়তা পাবে । তবে জব ফেয়ারের এই কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করা নিশ্চয়ই সহজ ছিল না।  এর আগে আমাদের অনুষদে এমন উদ্যোগ নিতে দেখি নি। আমাদের বর্তমান ডিন স্যারের পরিশ্রম, পরিকল্পনা ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থে তার কার্যক্রমই এরকম ভিন্নধর্মী পদক্ষেপ নিতে সাহায্য করছে। আশা করছি ভিন্নধর্মী শিক্ষার্থীবান্ধন এমন উদ্যোগ অব্যহত থাকবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. অলক কুমার পাল বলেন, এটি একটি ভালো এবং শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ। এএসভিএম অনুষদ এবং তাদের ডিনের এমন উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। আমরা অন্য অনুষদের ডিনদেরকেও আহ্বান করছি এমন উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে নেওয়া সকল উদ্যোগই আমাদের জন্য আনন্দের এবং গর্বের।

উল্লেখ্য যে, চাকরি প্রার্থী লেবেল-৫,সেমিস্টার -II ( জুলাই-ডিসেম্বর/২০২২) ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) এর মধ্যে ডিন কার্যলায়ে নাম অন্তর্ভুক্তি, পাসপোর্ট সাইজ দুই কপি ছবি, সত্যায়িত সকল সার্টিফিকেট ও ডকুমেন্টস জমা দেওয়ার জন্য বিজ্ঞপ্তি উল্লেখ করা হয়।

;