ইউজিসি’র অনুমোদন ছাড়াই চলছে জাবি’র রিমোট সেন্সিং ইনস্টিটিউট
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন ছাড়াই চলছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং নামের একটি ইনস্টিটিউট। ফলে অনেকে ইনস্টিটিউটের বৈধ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
জানা গেছে, ইউজিসি মনোনীত সদস্যদের পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে দুই দফায় এ ইনস্টিটিউট খোলার অনুমতি বাতিল করা হয়। তৃতীয় দফা পর্যালোচার সুপারিশের আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সিন্ডিকেট সভায় এই ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব পাস করা হয়। কিন্তু ইউজিসির অনুমোদন না নিয়েই উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করেন। এমনকি তিনি শেখ তৌহিদুল ইসলামকে পরিচালক হিসেবে নিয়োগও দিয়েছেন।
আরো জানা গেছে, ওই ইনস্টিটিউট খোলা যাবে কি না, পরিবেশ আছে কি না- তা যাচাই করতে অধ্যাপক দিল আফরোজাকে দায়িত্ব দেয় ইউজিসি। কিন্তু তিনি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে 'না' করে দেন। দ্বিতীয় দফায় ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী মোল্লাকে দায়িত্ব দিলে তিনিও নতুন এ ইন্সটিটিউট চালু না করার সুপারিশ করেন। পরবর্তীতে অধ্যাপক ড. মো. শাহনেওয়াজকে দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তার সুপারিশের আগেই ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের ডায়েরিতেও ইনস্টিটিউটের নাম ও পরিচালকের নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।
জানা গেছে, ১৯৮২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৪২তম নিয়মিত একাডেমিক কাউন্সিল সভায় এই ইনস্টিটিউট খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ১৭ জুন অনুষ্ঠিত সিনেট সভায় এটি অনুমোদিত হয়। এর আগে এই ইনস্টিটিউট খোলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০১তম সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদিত হয়।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিংয়ের পরিচালক শেখ তৌহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কোনো বিভাগ, ইনস্টিটিউট গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট সভা। ইউজিসি থেকে শুধু অনুমোদন নিতে হয়। আমরা অনুমোদন নেওয়ার জন্য দুইবার আবেদন করেছি। কিন্তু এখনো অনুমোদন পায়নি। অনুমোদন না পাওয়া পর্যন্ত আমরা আবেদন করেই যাবো।’
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘নতুন ইনস্টিটিউট চালু করতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে তিনবার আবেদন করেছে। আমরা আবেদন পর্যালোচনা করছি। তবে অনুমোদন ছাড়া ইনস্টিটিউট চালুর কোনো আইন নেই এবং সেটা কেউ খুলতে পারে না।’
এ বিষয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বর্তমান উপাচার্য কাউকেই তোয়াক্কা করেন না।
এ ব্যাপারে উপাচার্য ফারজানা ইসলামের বক্তব্য জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। আর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) নূরুল আলমের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।