অতিথি পাখিতে মুখর জাবি ক্যাম্পাস



রুদ্র আজাদ,জাবি করেসপন্ডেন্ট
জাবি ক্যাম্পাসে অতিথি পাখি, ছবি: বার্তা২৪

জাবি ক্যাম্পাসে অতিথি পাখি, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ভোরের কুয়াশার বুক ঠেলে সকালের রৌদ্র যখন লাল শাপলা ফুলের উপরে হালকা স্পর্শ ঠেকিয়ে যায়। তার সঙ্গে যেন চারপাশের অতিথিরা গল্পের পশরা মেলে কিচির মিচির করতে থাকে। মূহুর্তে যেন স্বর্গভূমি হয়ে উঠে দেশের অন্যতম সুন্দর নগর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ক্যাম্পাস।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সৌন্দর্য যেন ভুবন জুড়ানো। দূর থেকে দেখলে মনে হবে কোন সবুজের দ্বীপ। যেদিকে দু’চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। কৃত্রিমভাবে লাগানো গাছের সারি আর প্রাকৃতিক লতাগুল্ম যেন বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সবুজের দ্বীপ বানিয়ে দিয়েছে। ডেইরী গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকলে সারি সারি সবুজ বৃক্ষগুলো যেন আপনাকে অভ্যর্থনা জানাতে ঠায় দাড়িয়ে আছে। আরও ভেতরে গেলে সৌন্দর্য যেন আরও বেশি। বোটানিক্যাল গার্ডেনের ফুলের সমারোহ, সুইজারল্যান্ড, লেকের লাল শাপলা সবকিছু যেন ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গোটা ক্যাম্পাসটাকে দেখে মনে হবে সৌন্দর্যের রাণী যেন নিজ হাতে গড়েছেন।

ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ক্রমান্বয়ে একেকটি ঋতু আসে একেক রকম রূপ নিয়ে। যেখানে ঋতু বদলের সাথে সাথে বদলে যায় প্রিয় মাতৃভূমির রূপ। সেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপ-লাবণ্যে পরিবর্তন আসবে না তা কি হয়। আর এই রূপ বদলের বদলের পালে নতুন হাওয়া সংযোজনা করেছে অতিথি পাখি।

প্রতি বছর শীতে সাধারণত সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া, জিনজিয়াং, নেপাল প্রভৃতি হিমালয়ের উত্তরের দেশগুলোতে প্রচুর তুষারপাত হয়। এছাড়া এসময় খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দেয়। কিছু কিছু পাখি তাই চলে যায় দূরদেশে। উত্তর মেরু অঞ্চলের এক জাতীয় সামুদ্রিক শঙ্খচিল নাকি প্রায় ২২ হাজার মাইল পথ অতিক্রম করে অন্য দেশে চলে যায়। আমাদের দেশে যেসব অতিথি পাখি আসে তারা সাধারণত এত পথ পাড়ি দিয়ে আসেনা। এদেশে আসা পাখির বেশিরভাগ হিমালয়ের উত্তর দিকের অঞ্চলগুলো থেকে আসে। তবে ইউরোপ ও সাইবেরিয়া থেকেও আসে। এসব পাখিরা সাধারণত তিব্বতের লাদাখ থেকে সেন্ট্রাল এশিয়ান ইন্ডিয়ান ফ্লাইওয়ে দিয়ে দেশে প্রবেশ করে।

আমাদের দেশে আগত অতিথি পাখিদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত নর্দান গিনটেইল। এছাড়া বালি হাঁস, কালিউ, খয়রা চকাচকি, হেরন, নিশাচর হেরন, ডুবুরি পাখি, সারস, কাদাখোঁচা, গায়ক রেন পাখি, রাজসরালি, পাতিকুট, নরদাম সুবেলার, প্যালাস ফিস ঈগল, পিনটেইল, কমন পোচার্ড, রাজ হাঁস, লেঞ্জা, সরালি, চিতি, গিরিয়া, খঞ্জনা, জলপিপি, পাতিহাঁস, বুটিহাঁস, পান্তামুখি, চখাচখি, পাতিবাটান, কটনচিল, কমনচিল, বৈকাল, নীলশীর পিয়াং উল্লেখযোগ্য।

প্রায় ৭০০ প্রজাতির অতিথি পাখির মধ্যে বাংলাদেশ আসে ৩০০ প্রজাতির অতিথি পাখি। এর মধ্যে শুধু জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে প্রায় ৬০ প্রজাতির। জাবির আঙ্গিনায় যেসব অতিথি পাখির আনাগোনা তা হল- সরাল, পাতারি, চিতাটুপি, জলপিপি, গার্গেনি, মুরগ্যাধি, মানিকজোড়, নাকতা, কলাই, ফ্লাইপেচার, কোম্বডাক, লাল গুড়গুটি, পিচার্ড ইত্যাদি।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন লেকগুলো মিশে আসে লাল, সাদা, নীল শাপলা। এসব শাপলার জালের মাঝে অতিথি পাখির খুনসুটি, উড়াউড়ি দেখলে সত্যিই যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। ব্যস্ত শহুরে জীবনে প্রকৃতির সান্নিধ্য পেতে প্রতি বছর বহু দর্শনার্থী ক্যাম্পাসে আসেন। মুগ্ধ নয়নে তাকিয়ে দেখে পাখিদের উড়াউড়ি। পড়ন্ত বিকালে সবুজের রাজধানীর লেকগুলোতে অতিথি পাখিদের এসব দৃশ্য যেন কল্পনার রাজ্যের কথা মনে করিয়ে দেয়।

শীত পুরোপুরি শুরুর আগে থেকেই এখানে অতিথি পাখির আগমন ঘটে। তবে কিছু সমস্যা অতিথি পাখির বসবাসের জন্য হুমকি হয়ে দাড়ায়। যেমন লেক অব্যবস্থাপনা, অযাচিত গাড়ির হর্ন, পাখির আবাসস্থলকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত মানুষ চলাচল, রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে পাখির খাবার নষ্ট করা ইত্যাদি। এসব সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস হবে অতিথি পাখির জন্য শ্রেষ্ঠ আবাসস্থল আর ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পাবে বহুগুণে।

   

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;

ফের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ফের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

ফের ক্লাস বর্জনের ঘোষণা কুবি শিক্ষক সমিতির

  • Font increase
  • Font Decrease

 

সাত দফা দাবি না মানায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শিক্ষক সমিতি তৃতীয় বারের মতো সেমিস্টার পরীক্ষা ছাড়া বাকি সকল শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের এবং সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছান সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানা গেছে। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গত ১২ মার্চ অনুষ্ঠিত শিক্ষক সমিতির জরুরি সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নানাবিধ অপ্রীতিকর ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সমিতি মাননীয় উপাচার্য বরাবর ৭টি দাবি উপস্থাপন করে। দাবিসমূহ ১৮ মার্চের মধ্যে বাস্তবায়িত না হওয়ায় গত ২৭ মার্চ পর্যন্ত শিক্ষকরা শ্রেণি কার্যক্রম থেকে বিরত থাকেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম গত ৪ এপ্রিল পর্যন্ত চালু থাকলেও শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সঙ্গত দাবিসমূহ বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ প্রশাসন কর্তৃক গ্রহণ করা হয়নি। শিক্ষক সমিতি আশা করেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান যে সংকট, সেগুলো দূরীকরণের জন্য মাননীয় উপাচার্য শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে ডাকবেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থিতিশীল পরিবেশকে স্বাভাবিক করার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন।

শিক্ষক সমিতি বিস্ময়ের সহিত লক্ষ করছে যে, মাননীয় উপাচার্য সংকট সমাধানের ন্যূনতম কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি বরং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে অনবরত মিথ্যাচারের মাধ্যমে শিক্ষকদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মানমর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন। তাই শিক্ষক সমিতি বাধ্য হয়ে গত ৩ এপ্রিল কার্যনির্বাহী কমিটির এক জরুরি সভা আহ্বান করে। উক্ত কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আগামী ২৩ এপ্রিল সাধারণ সভা আহ্বানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সাধারণ সভায় শিক্ষকদের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে এবং ক্লাস কার্যক্রম বিরতির চলমান কর্মসূচি সভার আগামী ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে চলমান চূড়ান্ত পরীক্ষাসমূহ পূর্বের ন্যায় এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।

এই বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, গত ৪ তারিখ পর্যন্ত অফিস কার্যক্রম চলমান ছিলো। আমরা ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষায় ছিলাম আমাদের দাবিগুলো উপাচার্য মেনে নিন কিনা। কিন্তু তিনি কোনো সমাধানের দিকে না গিয়ে বরং বিভিন্ন গণমাধ্যমে তিনি শিক্ষকদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন। তারই প্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষক সমিতি ২১ থেকে ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত শিক্ষকদেরকে শ্রেণী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। আমরা ২৩ তারিখ শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি সাধারণ সভা করবো। সে সভায় পরবর্তী কর্মসূচি সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

এই ক্লাস বর্জন প্রক্রিয়ায় মিডটার্ম, এসাইনমেন্ট এগুলো অন্তর্ভুক্ত কিনা এই প্রশ্নের জবাবে সভাপতি ড. আবু তাহের বলেন, চূড়ান্ত পরীক্ষা (সেমিস্টার) হবে, তবে বাকি মিডটার্ম বা প্রেজেন্টেশন এসাইনমেন্ট সকল বিষয়ই এর অন্তর্ভুক্ত।

এর আগে ১২ মার্চ (মঙ্গলবার) এক জরুরি সাধারণ সভায় সাত দফা দাবি ও তিন সিদ্ধান্ত পেশ করা হয়। একই দিনে প্রথমবারের মতো ১৩ ও ১৪ মার্চ শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ১৮ মার্চ দ্বিতীয়বারের মতো ১৯ থেকে ২৭ মার্চ পর্যন্ত শ্রেণি কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

;