নির্বাচনে ৭১’র শক্তি প্রদর্শন করতে হবে: আতিউর রহমান
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধের শক্তি প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমান। বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের এমবিএ ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি এ আহ্বান জানান।
‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী ইশতেহার পর্যালোচনা’ শীর্ষক ওই সেমিনারের আয়োজন করে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ পরিবেশ আন্দোলন’।
ড. আতিউর রহমান বলেন, 'অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বর্তমানে উন্নয়নের মডেল। মহান মুক্তিযুদ্ধে শক্তিশালী ঐক্যের মাধ্যমে এর সূচনা হয়েছিল। আমরা মুক্তিযুদ্ধের শক্তির উত্তরাধিকারী। নির্বাচনে আমাদের এই শক্তিই প্রদর্শন করতে হবে।'
আওয়ামী লীগের ইশতেহারের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এবারের ইশতেহার লক্ষ্যভিত্তিক। আগামীর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার ইঙ্গিত আছে এখানে। ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আলোকে বৃহৎ পরিসরে এই ইশতেহার প্রণীত হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের ইশতেহারের কোনো থিম নেই। তাদের পরিকল্পনার কোনো ব্যাখ্যা নেই।'
তিনি আরো বলেন, 'আমরা ইশতেহার বলতে বুঝতাম নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর জনতুষ্টিমূলক মিথ্যাচার। কিন্তু কোনো ইশতেহার যদি সফলভাবে বাস্তবায়নের উদাহরণ থাকে তবে তা আওয়ামী লীগ সরকারের আছে। ২০০৮ সালে প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন, যা এখন সর্বস্তরের মানুষের জন্য বাস্তবতা।'
যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো পর্যবেক্ষক দলকে ভিসা না দেওয়ার বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ড. ওয়ালিউর রহমান বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার এজেন্ডা নিয়ে পর্যবেক্ষক দল পাঠাতে চেয়েছিল। আমরা বলতে চাই, যুদ্ধ করে স্বাধীন করেছি। আমাদের গণতন্ত্র আমাদের মতো করে গড়তে দেন।'
এ সময় তিনি বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বহির্বিশ্বের দেশগুলোকে নাক না গলানোর আহ্বান জানান।
সেমিনারে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় বিশ্বের প্রায় সব দেশই আমাদের বিরোধিতা করেছিল। মাত্র ৭টি দেশ আমাদের পক্ষে ছিল। কিন্তু বিরোধিতাকারী অনেক দেশই এখন আমাদের উন্নয়নের অংশীদার। তাই দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। আমাদের নির্বাচন আমাদের মতো করে করতে হবে।'
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জিনাত হুদা, মানবাধিকারকর্মী ব্যারিস্টার ফারজানা, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সিদ্ধার্থ সাহা, ওয়ার্কাস পার্টির নেতা বাপ্পাদিত্য বসু প্রমুখ।