জাবিতে শিক্ষক নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, প্রত্নতত্ত্ব, চারুকলা এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগের গত ৮ নভেম্বর প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অস্থায়ী প্রভাষক নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র গাজী ইব্রাহিম আল মামুন ও মো. শহিদুল ইসলামের দায়েরকৃত রিটের বিপরীতে এ ঘোষণা আসে বলে জানা যায়।
বুধবার (২ জানুয়ারি) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ উল্লেখিত বিভাগগুলোর সকল নিয়োগ কার্যক্রম আগামী ৬ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।
এছাড়া প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এই মর্মে জানতে চেয়ে হাইকোর্টের উক্ত দ্বৈত বেঞ্চ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের সভাপতি বরাবর রুল জারি করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ৮ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে একটি, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে দুটি, চারুকলা বিভাগে একটি এবং সরকার ও রাজনীতি বিভাগে দুটি অস্থায়ী প্রভাষক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারীর এসএসসি ও এইচএসসি উভয় ক্ষেত্রে সনাতন পদ্ধতিতে ১ম বিভাগ এবং গ্রেডিং পদ্ধতিতে বিজ্ঞান ও বাণিজ্য শাখার জন্য জিপিএ ৪.২৫ এবং মানবিক শাখার জন্য জিপিএ ৪.০০ এবং স্নাতক ও ¯স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় সনাতন পদ্ধতিতে ১ম শ্রেণি এবং গ্রেডিং পদ্ধতিতে সিজিপিএ ৩.৫০ থাকতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
তবে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় গত ২ মার্চ ২০১০ তারিখে জিপিএ ৩.০০ বা তার বেশিকে সনাতন পদ্ধতিতে প্রথম বিভাগ, জিপিএ ২.০০- ৩.০০ এর কম দ্বিতীয় বিভাগ এবং জিপিএ ১.০০-২.০০ এর কমকে তৃতীয় বিভাগ বলে সামঞ্জস্য বিধান করা হয়। কিন্তু ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ক্ষেত্রে উক্ত নীতিমালা অনুসরণ করা হয়নি বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে রিট আবেদনকারী শহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমাকে যে জিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু একই জিপিএ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হওয়ার জন্য আবেদন করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। ফলে আমি মনে করছি আমার সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। এছাড়া ২০১০ সালের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এ সর্ম্পকিত প্রজ্ঞাপনও লঙ্ঘন করা হচ্ছে বলে মনে করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমি শুনেছি এমন একটা আদেশ এসেছে, তবে বিস্তারিত জানি না।’