তুরস্কে সরকারি স্কলারশিপে আবেদন গ্রহণ শুরু



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দেশ তুরস্ক। দেশটির ভৌগলিক অবস্থান ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশে হওয়াতে জিওপলিটিক্যালি বা স্ট্র্যাটিজিক্যালি বিশ্ব রাজনীতিতে তুরস্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। এদিকে গত দুই দশক ধরে শিক্ষা খাতে ব্যাপক আধুনিকায়নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবছর উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বের প্রায় ১৭২টি দেশ থেকে ৫০০০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেয় তুরস্ক। এ সুবাদে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পাড়ি জামায় এশিয়া-ইউরোপের এই দেশটিতে।

গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ২০১৯-২০২০ শিক্ষা বছরের সরকারি বৃত্তির আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে এবং আবেদনের নেয়া চলবে আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।

আগ্রহী শিক্ষার্থীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি প্রোগ্রামে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনার জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তি প্রাপ্তরা তুরস্কের ৫৫টি শহরের ১০৫টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবেন।

তাছাড়া তুরস্কের সকল বিশ্ববিদ্যালয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম এর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা ইরাসমাসের বৃত্তির আওতায় ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নের সুযোগ পায়।

তুরস্ক সরকারের বৃত্তি পৃথিবীর সকল দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। তুরস্ক সরকার বিভিন্ন স্তরে ৭০-৮০ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিয়ে থাকে প্রতিবছর । সাধারণত আবেদন করার এক মাসের মধ্যে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার জন্য ঢাকার তুরস্ক দূতাবাসে ডাকা হয়। মৌখিক পরীক্ষার দুই থেকে তিন মাসের পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ই-মেইল করা হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়াটি বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মাধ্যমে পুরোপুরি স্বাধী ভাবে তুরস্কের সরকারি বৃত্তি প্রদান কর্তৃপক্ষ তুর্কি বুর্সলারি (ইয়েতেবে) পরিচালনা করে থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547785163435.gif

বৃত্তির কয়েকটি ক্যাটাগরিতে অবেদন করার জন্য বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তা হলো,

১. অনার্স, মাস্টার্স এবং পিএইচডি।

২. যে কোন বিভাগের শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।

৩. উচ্চতর গবেষণা প্রোগ্রাম, গত বছর থেকে শুরু হয়েছে।

৪. খেলাধুলা এবং সংস্কৃতিতে,গত বছর থেকে শুরু হয়েছে।

তুরস্ক সরকারের বৃত্তিতে নিম্নোক্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে:

১. টিউশন ফিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় খরচ।

২. থাকা-খাওয়া সরকারি ডরমিটরিতে, যা সম্পূর্ণ ফ্রি।

৩. ফ্রি স্বাস্থ্য বিমা তথা বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা।

৪. এক বছরের তুর্কি ভাষা শিক্ষা কোর্স সম্পূর্ণ ফ্রি।

৫. মাসিক স্টাইপেন্ড (স্নাতক ৭০০ লিরা, স্নাতকোত্তর ৯৫০ লিরা ও পিএইচডিতে ১৪০০ লিরা প্রদান হয়)।

৬. যাওয়া-আসার ফ্রি বিমান টিকেট।

আবেদনের যোগ্যতা:

Ø অনার্স আবেদনের সর্বোচ্চ বয়স ২১ বছর, মাস্টার্সের জন্য সর্বোচ্চ ৩০ বছর, পিএইচডির জন্য সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

Ø যারা এইচএসসি উত্তীর্ণ হয়েছেন বা এইচএসসি পরীক্ষার্থী (তারা স্কুল, কলেজ প্রধান থেকে সম্ভাব্য ফলাফলের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে) অনার্স এর জন্য আবেদন করতে পরবেন।

Ø যারা অনার্স বা মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন বা যারা শেষ সেমিস্টারে আছেন (তারা ডিপার্টমেন্ট প্রধান বা কন্ট্রোলার থেকে সম্ভাব্য ফলাফলের প্রত্যয়ন পত্র নিয়ে) মাস্টার্স ও পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

Ø তুরস্কের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত থাকা যাবে না।

Ø ইংরেজি মাধ্যমে পড়তে চাইলে (IELTS, TOFEL, GRE, GMAT) লাগবে। সাধারণত তুরস্কের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে তুর্কি ভাষায় শিক্ষা দেওয়া হয়।

Ø এই বৃত্তির জন্য প্রাথমিকভাবে দুটি যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের নির্বাচন করা হয়।

প্রথমত, একাডেমিক রেজাল্ট। অর্থাৎ অনার্সের জন্য এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় ৭০% নম্বর (তবে মেডিকেলের জন্য ৯০% নম্বর) এবং মাস্টার্স-পিএইচডির জন্য অনার্স ও মাস্টার্সে ৭৫% নম্বর থাকতে হবে।

দ্বিতীয়ত, এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিস। অর্থাৎ কোনো সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, একাডেমিকসহ বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকা, অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে সম্পৃক্ততা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বিভিন্ন জাতীয়-আন্তর্জাতিক সিম্পোজিয়াম-সেমিনারে ওয়ার্কশপ বা অংশগ্রহণ করে থাকলে তা আবেদনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/18/1547785189546.gif

আবেদন করতে যা লাগবে :

* পাসপোর্ট/জাতীয় আইডি কার্ড/জন্ম নিবন্ধন সনদের (ইংরেজিতে অনুবাদ করা) স্ক্যান কপি।

* সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি।

* সকল একাডেমিক সার্টিফিকেট।

* সকল একাডেমিক মার্কশিট।

* অনার্স এর জন্য লেটার অফ ইনটেণ্ট। মাস্টার্স ও পিএইচডির এর জন্য একটি রিসার্চ প্রপোজাল।

* দুটি বা তিনটি রেফারেন্স লেটার। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং যারা এই মুহূর্তে চাকরি করছেন তারা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছ থেকে একটি হলে ভালো হয়।

* এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিসের সব সার্টিফিকেট।

* পাবলিকেশন থাকলে উল্লেখ করা।

ওপরের সব ডকুমেন্ট স্ক্যান কপি করে রেডি রাখতে হবে

বৃত্তির আবেদন করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় এবং সাবজেক্ট বাছাই করতে হয়। এ ক্ষেত্রে যাদের রেজাল্ট ভালো এবং ওপরে উল্লেখিত সব যোগ্যতা রয়েছে, তারা তুরস্কের ভালো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চয়েজ করতে পারেন। আর যারা যোগ্যতার দিক থেকে একটু দুর্বল, তারা র‍্যাঙ্কিংয়ের নিচের দিকের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো বাছাই করে দিলে বৃত্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

তুরস্কের প্রথম সারির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়

তুরস্কের সব বিশ্ববিদ্যালয়ই মানসম্মত। তবে এর মধ্যে কয়েকটি সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে:

# মিডল ইস্ট টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা।

# বোয়াজিসি ইউনিভার্সিটি, ইস্তাম্বুল।

# ইস্তাম্বুল টেকনিক্যাল ইউনিভার্সিটি, ইস্তাম্বুল।

# আঙ্কারা ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা।

# ইস্তাম্বুল ইউনিভার্সিটি।

# হাজেতেপে ইউনিভার্সিটি, আঙ্কারা।

# এগে ইউনিভার্সিটি, ইজমির।

# ডকুজ এইলুল ইউনিভার্সিটি, ইজমির।

উল্লেখ্য, আবেদনের জন্য কোনো ফি লাগে না। পুরো আবেদন প্রক্রিয়াই হয় বিনা মূল্যে। এছাড়া এই লিংকে প্রবেশের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

   

ঢাবির বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিট ও ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এক লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯ হাজার ৭২৩ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল।

ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪ হাজার ৫৮২ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। পাশের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। প্রথম হয়েছেন চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ৫০ নম্বর পেয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এদিকে বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রতীক রসুল। তিনি রাজধানীর নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১১১ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৮৫১টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১হাজার ৭৭৫টি, মানবিক শাখা থেকে ৫১টি, ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

আর ২৪ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট ১ হাজার ৫০টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যবসায় শিক্ষা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৩০টি মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৫টি বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ২৫টি আসন বরাদ্দ রয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল ফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে। এছাড়া মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU SCI <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

ঢাবির কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের আন্ডারগ্রাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ১ লাখ ২ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১০ হাজার ২৭৫ জন জন পাস করেছেন। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ফল ঘোষণা করেন।

এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল। তিনি খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

চলতি বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন ২ হাজার ৯৩৪টি। তার মধ্যে মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ১ হাজার ৭০৭টি, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের জন্য ৯৪৪টি, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ২৮৩ আসন বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

উল্লেখ্য, সম্মেলনে বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

প্রসঙ্গত, পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে। মোবাইলে এসএমসএসের মাধ্যমে ফল জানা যাবে। এছাড়া টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

;

২৪ দিন বন্ধ থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইস্টার সানডে, পবিত্র শবে কদর ও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২৪ দিন ছুটি থাকবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। আগামী ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২৮ মার্চ থেকে ১৮ এপ্রিল ২২ দিন সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ৩১ মার্চ ইস্টার সানডে উপলক্ষে একদিন এবং ৭-১৮ এপ্রিল ১২ দিন পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকবে। ১৮ এপ্রিলের পরের দুই দিন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় এবারের ইদের ছুটিতে শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা ২৪ দিন ছুটি পাচ্ছেন।

এ বিষয়ে রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ছুটি কার্যকর হওয়ার কথা জানান।

হল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে ছুটি চলাকালীন হল বন্ধ থাকবে, এ সময় কোনো শিক্ষার্থী হলে থাকতে পারবেন না। তবে বিশেষ কারণে যদি কেউ হলে থাকে সেক্ষেত্রে তাকে ২ এপ্রিলের মধ্যে হল অফিসে রক্ষিত রেজিস্টারে উপযুক্ত কারণসহ পরিচয় এন্ট্রি করতে হবে এবং নিজ দায়িত্বে থাকতে হবে। তবে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা চাইবো ছুটিতে হলে কেউ না থাকুক।’

;

স্বাধীনতা দিবসে টোকেন কিনেও খাবার পায়নি ইবি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাবারের টোকেন থাকার পরেও খাবার প্যাকেট ও কোমল পানীয় পায়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী। মহান স্বাধীনতা দিবস ২০২৪ উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আটটি হলের কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে খাবার বিতরণ করা হলে কিছু শিক্ষার্থী টোকেন থাকা স্বত্বেও খাবার না পেয়ে ফিরে যান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে।

জানা যায়, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আছরের নামাজের পড়ে হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আবাসিকতা কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে এবং অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ৫০ টাকার টোকেনের বিনিময়ে উন্নতমানের বিশেষ খাবার দেওয়ার কথা ছিল। তবে, নির্ধারিত সময়ে নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে টোকেন সংগ্রহ করলেও খাবার নিতে এসে খাবার না পেয়ে খালি হাতে ফিরে গেছেন বঙ্গবন্ধু হলের একাধিক অনাবাসিক শিক্ষার্থী।

তবে খাবার বিতরণের নির্দিষ্ট সময়সীমা বেধে দেওয়া ছিল বলে হল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

টোকেন থাকার পরেও খাবার না পাওয়া একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, অনাবাসিকদের জন্য বরাদ্দকৃত টোকেনে স্পষ্ট ভাবে লেখা আছে যে বাদ আসর আসতে হবে। তারা সে অনুযায়ী আসরের নামাজ শেষে খাবার আনতে হলে গিয়ে প্রভোস্ট অফিস এবং ডায়নিং উভয়ই বন্ধ পান৷ এরপর হলে টানানো নোটিশে দেখতে পান যে খাবার সংগ্রহ করার সময় বিকেল ৩টা থেকে ৪টা। উপায় না শিক্ষার্থীরা হলের প্রভোস্টকে ফোন দিলে প্রথমে কর্মকর্তা ফারুকের সাথে যোগাযোগ করতে বলেন এবং পরবর্তীতে তিনি দেরি করে আসার শিক্ষার্থীদেরই উল্টো দোষারোপ করেন। কিন্তু খাবার নেওয়ার সময় পরিবর্তনের নোটিশটি এমন সময় দেওয়া হয়েছে যখন অনাবাসিক অনেকেরই টোকেন নেওয়া শেষ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যারা অনাবাসিক শিক্ষার্থী তারা ক্যাম্পাসের আশেপাশে থাকি৷ ক্লাস বন্ধ থাকায় রোজা থেকে প্রতিদিন তো প্রয়োজন ব্যতীত ক্যাম্পাসে আসা হয়না। কাজেই দুইদিন আগে নোটিশ জানার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া আমাদের তো জানার কথা না যে টোকেন দেওয়ার পরেও উনারা পরবর্তীতে খাবার নেয়ার সময় পরিবর্তন করবেন। প্রভোস্ট স্যার আমাদের অফিস থেকে ৫০ টাকা ফেরত নিয়ে যেতে বলেছেন কিন্তু আমাদের জন্য যে খাবার বরাদ্দ ছিল সেটা তো অবশ্যই ৫০ টাকা সমমূল্যের খাবার না।

এবিষয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন বলেন, ২৪ তারিখেই নোটিশ করে খাবার বিতরণের সময়ের ব্যাপারে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। কেউ নোটিশ না দেখলে তার দায়ভার তো আমাদের না। বিকাল ৪ টার পরেই ১ ঘন্টা আমরা খাবার দিয়েছি। আমাদেরও তো ইফতার করতে হবে, আমরা তো কারো জন্য খাবার নিয়ে বসে থাকবো না।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ও অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত ৫০ টাকা মূল্যে টোকেন বিক্রি করে বিশেষ খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।

;