জাবিতে নিরাপত্তা কর্মকর্তার বিচার দাবিতে মধ্যরাতে ভিসি ভবন ঘেরাও
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীনের বরখাস্তের দাবিতে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাত ১২টার দিকে প্রায় ২০০ কর্মচারী মিছিল নিয়ে এসে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা সুদীপ্ত শাহীনের পদত্যাগের দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে।
আন্দোলনকারীরা জানান, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি পদপ্রার্থী শরীফ মিয়া ও তার ভাই আরিফ এবং জামালকে মারধর করে।
কর্মচারীরা আরো জানান, সুদীপ্ত শাহীনের সঙ্গে নিরাপত্তা শাখার দাউদ মোল্লা, সোহেল ও খোকন ঘোষ মারধরে অংশ নেয়।
মারধরের ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে কর্মচারীরা জানান, বুধবার রাতে সুদীপ্ত শাহীন উচ্চ গতিতে মোটর সাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এই সময় সুদীপ্ত শাহিনের মোটর সাইকেলের লাইটের আলো কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি প্রার্থী শরীফের চোখে পড়ে। তিনি তখন বলেন, কে? এই কথা শুনে শাহীন গালাগালি করে চলে আসেন। পরবর্তীতে তিনি নিরাপত্তা শাখা কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে গিয়ে শরীফের ভাই আরিফকে মারধর করে। এসময় জামিল নামেরও এক কর্মচারীকে মারধর করা হয়।
এ ব্যাপারে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ও আসন্ন নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী শরীফ মিয়া বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহীন মাদকাসক্ত হয়ে আমাদের উপর হামলে পড়ে। আমাদেরকে বেধড়ক মারধর করে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।'
তবে সুদীপ্ত শাহীন মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'এমন কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি কাজ সেরে বিশমাইল থেকে আসতেছিলাম। আমার মোটর সাইকেলের লাইট শরিফ ও জামালের চোখে পড়ে। তখন তারা উত্তপ্ত হয়ে যায়। খারাপ ভাষা ব্যবহার করতে থাকে। তখন আমি নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের ডাকি তখন তারা পালিয়ে যায়।'
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) আ স ম ফিরোজ উল হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন,' কর্মকর্তারা যদি লিখিত অভিযোগ দেয় তাহলে অভিযোগ আমলে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। সুদীপ্ত শাহীন যদি মাদকাসক্ত হয়ে থাকে সে বিষয়টা খতিয়ে উপাচার্য বরাবর রিপোর্ট করবো।'