বই সংস্কৃতি ও আত্মপরিচয়ের বিকাশ ঘটায়: পরিকল্পনামন্ত্রী
বই মানুষের সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়ের বিকাশ ঘটায় বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম. এ. মান্নান। জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য উপলক্ষে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শাহবাগে গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে 'গ্রন্থাগারে বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি' প্রতিপাদ্য সামনে নিয়ে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে গণগ্রন্থাগার অধিদফতর ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, 'বই হচ্ছে জ্ঞান ও সংস্কৃতির আধার। আর গ্রন্থাগার হলো জ্ঞানের সূতিকাগার। সম্মান, শ্রদ্ধা, স্নেহ এবং ভালোবাসার সহিত বই পড়তে হবে। কেননা বই আমাদের সংস্কৃতি এবং আত্মপরিচয়ের বিকাশ ঘটায়। এই বিকাশের মাধ্যমেই আমাদের সবকিছু এক জায়গায় মিলিত হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'আমাদের লক্ষ্যে বিশাল ঘাটতি রয়েছে। নিজেদের আত্মপরিচয় বিকশিত হয়ে অন্য মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করে একসঙ্গে পথ চলার ক্ষেত্রে আমাদের জ্ঞানের কিছুটা ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি পূরণে আমাদের গ্রন্থাগারের বিকাশ ঘটাতে হবে।'
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। এতে মূল আলোচক ছিলেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক আশীষ কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তব্যে আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, 'আমরা উন্নত দেশ তখনই হতে পারবো, যখন আমরা জ্ঞান নির্ভর হবো। আর জ্ঞানের জন্য আমাদের বেশি করে বই পাঠ করা প্রয়োজন।' এ সময় তিনি সংস্কৃতির সুষ্ঠু বিকাশে সবাই এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামাল অতিথিদের বই উপহার দেন। এরপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এর আগে সকালে র্যালির মাধ্যমে ‘জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০১৯’-এর উদ্বোধন করা হয়। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদফতর চত্বরে দিবসটির উদ্বোধন করেন।