নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই ছাত্রসংসদ নির্বাচনের বিধান!



মোঃআশিকুর রহমান
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের মধ্যে উত্তেজনা থাকলেও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় আইনে ছাত্রসংসদের বিধান রাখা হয়নি। ফলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করতে হলে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়টির সব ছাত্রসংগঠনের পক্ষ থেকেও আইন সংশোধন করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার পর নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে ছাত্রসংসদ নির্বাচন নিয়ে। ২০০৬ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার সময় আইনে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের বিধান রাখা হয়নি। এখন এখানে ছাত্রসংসদ নির্বাচন করতে হলে আগে আইন সংশোধন ও ছাত্রসংসদের গঠনতন্ত্র তৈরি করতে হবে। ছাত্রসংসদ নির্বাচনের বিধান না রাখায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ছাত্রসংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে দ্রুত আইন সংশোধন করার দাবি জানানো হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও বলছে, 'ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। ডাকসু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে আইনে সংশোধন এনে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।'

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছে, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের আইন নেই। এটি দুঃখজনক এবং অবিশ্বাস্য। ছাত্রসংসদ নির্বাচন তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য ছাত্রসংসদ খুবই প্রয়োজন।'

শিক্ষার্থীদের দাবি, শিক্ষার্থীদের চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন ঘটে ছাত্রসংসদের নেতাদের মাধ্যমে। শিক্ষকদের ক্লাস-পরীক্ষা নেওয়ায় অবহেলাসহ আরও কিছু কারণে তাদের সেশনজটে পড়তে হচ্ছে। কোনো কোনো বিভাগে ছয় মাসের সেমিস্টার ১২ মাসেও শেষ হচ্ছে না। অনার্স-মাস্টার্সে পাঁচ বছরের জায়গায় পাস করে বের হতে সময় লাগছে সাত থেকে আট বছর। এতে প্রতিবছর সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে। আবাসিক সমস্যা, পরিবহন সংকট, লাইব্রেরিতে বই সংকটসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা থেকে শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত ছাত্রসংসদ না থাকায়।

তাদের এসব সমস্যা ও যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য ছাত্রসংসদ জরুরি। এছাড়া ছাত্রসংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বের বিকাশ ঘটে। যারা পরে জাতীয় রাজনীতিতে অবদান রাখতে পারে। এসব কারণে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছে তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু বলেন, 'দীর্ঘদিন ছাত্রসংসদ নির্বাচন বন্ধ থাকায় গ্রহণযোগ্য ও ছাত্রবান্ধব নেতৃত্বের ক্ষেত্রে শূন্যতা বিরাজ করছে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মৌলিক অধিকার, দাবিগুলো নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধিদের মাধ্যমে আদায় করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর অধিকার নিশ্চিত করতে ভোটের মাধ্যমে ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের বিকল্প নেই। আমরা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের নীতিমালা ও কার্যপরিধি প্রণয়ন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।'

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, 'ছাত্রসংসদ রাজনীতির সূতিকাগার। আগামী দিনের বাংলাদেশ পরিচালনার জন্য সঠিক নেতৃত্ব তৈরি করা জরুরি। তাই এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন করে দ্রুত ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।'

বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক ফজলুল হক রনি বলেন, 'মূলত ছাত্রসংসদ ছাত্রদের অধিকার আদায়ে কাজ করে থাকে। বর্তমানে ছাত্রসংসদ না থাকায় ছাত্রদের সঠিক ও গ্রহণযোগ্য নেতৃত্ব উঠে আসছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, সকল জটিলতার নিরসন করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়া হোক।'

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল আমিন বলেন, 'ছাত্রসংসদের মূল উদ্দেশ্য হলো নেতৃত্বের বিকাশ। ছাত্রদের অধিকার নিয়ে কথা বলা। সব বিশ্ববিদ্যালয়েই নিয়মিত ছাত্রসংসদ নির্বাচন হওয়া উচিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্রসংসদ নেই। দ্রুত আইন সংশোধন করে ছাত্রসংসদ নির্বাচন দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।'

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্রসংসদ নির্বাচন খুবই প্রয়োজন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে ছাত্রসংসদের বিধান রাখা হয়নি। তবে ডাকসু নির্বাচন শেষ হলে শিক্ষার্থীরা যদি চায়, তাহলে আইন সংশোধন করে এবং গঠনতন্ত্র তৈরি করে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। আইন সংশোধন করে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটে পাস করে অনুমোদনের জন্য জাতীয় সংসদে পাঠানো হবে।'

   

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, কুমিল্লা
কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

কুবি উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণার আলটিমেটাম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হবে বলে আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। এমনকি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত থাকার কথাও বলা হয়েছে। তবে শিক্ষক সমিতির এই কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষার দিন শিথিল থাকবে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান স্বাক্ষরে উপাচার্য বরাবর প্রেরিত এক চিঠি থেকে বিষয়টি জানা যায়।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ১৩ মার্চ উপাচার্য বরাবর প্রেরিত শিক্ষক সমিতির ৭টি যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ বারবার মৌখিক ও লিখিতভাবে অবহিত করলেও উপাচার্য দাবিসমূহ সমাধানের কোনো কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করেননি। উপরন্তু গত ২২ এপ্রিল তারিখে দাবিসমূহ বাস্তবায়নে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহের স্পষ্টীকরণ, অগ্রগতি এবং করণীয় সম্পর্কে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে অবৈধভাবে পদায়িত, বিতর্কিত ও দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ফৌজদারি মামলার আসামি সদস্য সহযোগে একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষকদের যৌক্তিক ও ন্যায়সংগত দাবিসমূহ সমাধানে প্রশাসন কর্তৃক গৃহীত এ উদ্যোগ অত্যন্ত হাস্যকর হিসেবে শিক্ষকরা মতামত দেন এবং উক্ত কমিটি প্রত্যাখ্যান করেন।’

চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘এতে স্পষ্টতই প্রতীয়মান হয় যে, মাননীয় উপাচার্য শিক্ষকদের অবজ্ঞা করে সমস্যা সমাধানে মোটেও আগ্রহী নন। এমতাবস্থায় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিক্ষক সমিতির দাবিসমূহ আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে (২৪ এপ্রিলের মধ্যে) সমাধানের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনাকে চরমপত্র (আল্টিমেটাম) প্রদান করা হলো। অন্যথায় আগামী ২৫ এপ্রিল হতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, আপনার সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির দোসর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান এবং প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত করা হবে এবং সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকবে। ঘোষিত কর্মসূচি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের দিন শিথিল থাকবে।’

এব্যাপারে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘গত ১২ মার্চ শিক্ষক সমিতি থেকে উপাচার্য মহোদয়ের কাছে আমাদের দাবি উপস্থাপন করা হয়। উপাচার্য দাবিগুলো পূরণে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের শিক্ষকদের দাবিগুলো যৌক্তিক। বারবার উপাচার্যের কাছে যৌক্তিক দাবিগুলো মৌখিক ও লিখিত দুইভাবেই উপস্থাপন করা হলেও তিনি কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। গতকাল দাবি বাস্তবায়নের যে কমিটি দিয়েছে এটা বিতর্কিত কমিটি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি হলো আইন লঙ্ঘন করে যাদেরকে বিভাগীয় প্রধান এবং ডিন নিয়োগ করা হয়েছে তাদেরকে প্রত্যাহার করা। প্রক্টরের উপস্থিতি শিক্ষকদের উপর হামলা করা হয়েছে প্রক্টর দায় এড়াতে পারেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যত আর্থিক দুর্নীতি হয়েছে তার মূলে রয়েছে কোষাধ্যক্ষ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি আমাদের দাবিগুলো মেনে না নেয় তাহলে আমরা উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করব।’

এ ব্যাপারে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি সব সময় শিক্ষকদের স্বার্থে কাজ করে থাকেন। শিক্ষক সমিতির দাবির সাথে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার বিষয় কতটুকু যুক্তিযুক্ত সেটা আমি জানি না। শিক্ষক সমিতির এমন সিদ্ধান্ত আমি মনে করছি রাজনৈতিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘শিক্ষক সমিতি কেন অবাঞ্ছিত ঘোষণা করবে বিষয়টা বুঝতে পারছি না। শিক্ষক সমিতির দাবির ব্যাপারে কথা বলার জন্য কাল একটি মিটিং হবে কমিটির সাথে।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘আমাদের নিয়োগ রাষ্ট্রপতি দিয়েছে। রাষ্ট্রপতির নিয়োগকে কেউ অবাঞ্ছিত করতে পারে কিনা সেটা তাদের বিষয়। কেউ অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা বলতেই পারে। তবে সেটা কতটা আইনসিদ্ধ সেটা একটা প্রশ্ন।’

;

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টর নিয়োগ



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

চবিতে একযোগে পাঁচ সহকারী প্রক্টরের নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রক্টর নিয়োগ দেওয়ার একদিন পরেই এবার একযোগে পাঁচজন সহকারী প্রক্টর নিয়োগ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে.এম নূর আহমদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত সহকারী প্রক্টরবৃন্দরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক লিটন মিত্র, ওশানোগ্রাফি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক, ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রন্টু দাশ, ব্যাংকিং এন্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রিফাত রহমান ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সবাইকে যথারীতি প্রদেয় ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ যোগদানের তারিখ হতে এক (১) বছরের জন্য সহকারী প্রক্টর হিসেবে নিয়োগ করা হলো।

সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কাজ করব। হলগুলোতে দীর্ঘদিন যাবৎ সিট বরাদ্দ নেই। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য আমরা সিট বরাদ্দের বিষয়টা নিয়ে কাজ করব এবং যাতে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটা আন্তর্জাতিক মানের র‍্যাংকে নিয়ে আসা যায় সেদিকেও নজর দিব।

;

ইবি ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপণ



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনের লক্ষ্যে এবং ক্যাম্পাসকে সুরক্ষা রাখতে ২ হাজারের অধিক বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রথম দিন বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি শুরু করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত এবং সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসের ডায়না সত্বরে ১০০ গাছ রোপণের মাধ্যমে কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে পরিবেশবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়েছে তন্মধ্যে দশ দিনে পাঁচ লাখ এবং বছরব্যাপী এক কোটি বৃক্ষরোপন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তারই অংশ হিসেবে আজকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ৭ দিনে ৫০০ গাছ এবং ৬ মাসে ২ হাজার বৃক্ষরোপণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস সবুজায়ন হোক এবং সারা দেশ সবুজে ভরে ওঠুক।

এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ইবি শাখা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর সহযোগিতায় ২ হাজার গাছ রোপণ করতে পারবে বলে আশাবাদী। সেই সাথে আসন্ন বর্ষা মৌসুমে ৫ হাজার গাছ লাগানোর প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছে।

;

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত কমিটি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সুইমিংপুলে সোমবার (২২ এপ্রিল) সাঁতার কাটার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. সোহাদ হকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটে। এই অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর হতে এ তথ্য জানানো হয়।

সোহাদ হকের অপমৃত্যুর কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমানকে আহ্বায়ক এবং সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মুহিতকে সদস্য-সচিব করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ এই কমিটি গঠন করেন।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- দর্শন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সদস্য এবং তথ্য বিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ শরিফ উল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের আবাসিক শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিন।

কমিটিকে তদন্ত কাজ সম্পন্ন এবং সুইমিংপুলের ব্যবস্থাপনায় কোনো অবহেলা বা ত্রুটি আছে কী না, তা চিহ্নিত করে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

;