বছরজুড়ে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে রাবি ছাত্রলীগ



সাইফুল্লাহ সাইফ, রাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতাকর্মীরা একের পর এক ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে চলেছেন। এক বছর মেয়াদী কমিটি দুই বছর পার করলেও এখনো পর্যন্ত নতুন নেতৃত্ব না আসায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের অপকর্মের মাত্রা একের পর এক বেড়েই চলেছে বলে দাবি করছেন সংগঠনটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা।

সাংবাদিক-সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন জনকে মারধর, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ছাত্রী উত্যক্ত, সিট বাণিজ্য, হলে অবৈধ সিট দখল ও হলগুলোতে পলিটিক্যাল ব্লক তৈরিসহ বিভিন্ন ধরণের অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন। এতে করে সংগঠনটির ইমেজ সংকটের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে দাঁড়িয়েছে রাবি ছাত্রলীগ।

এদিকে, মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির নেতাকর্মীদের অপকর্মের কারণে বিব্রত সংগঠনটির একাধিক জ্যেষ্ঠ নেতা। তারা বলছেন, কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও কাউন্সিল না দেওয়ায় এসব উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছেন নেতাকর্মীরা।

ছাত্রলীগ সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৮ ডিসেম্বর রাবি শাখা ছাত্রলীগের ২৫তম সম্মেলনে গোলাম কিবরিয়াকে সভাপতি ও ফয়সাল আহমেদ রুনুকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠিত হয়। প্রায় ছয় মাস পর ১৫১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির স্থলে ২৫১ সদসস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়।

মারধর:

পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর ২০১৭ সালের ১০ জুলাই ছাত্রলীগের প্রথম কর্মসূচির দিন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. কানন, সহসভাপতি আহমেদ সজীব, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান লাবন ও আইন বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী ডেইলি স্টারের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি আরাফাত রহমানকে বেধড়ক মারধর করেন।

এরপর গত বছরের ১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাণিজ্যিক সিনেমা প্রদর্শনীকে কেন্দ্র করে দৈনিক খোলা কাগজের রাবি প্রতিনিধি আলী ইউনুস হৃদয়কে মারধর করে রাবি ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুষ্ময়। গত ২০ ডিসেম্বর রাতে ছিনতাইয়ে বাধা দেওয়ায় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করে আহত করেন শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইমতিয়াজ আহমেদ।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল রাবির দর্শন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে লিচু পাড়ার অভিযোগে মারধর করার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগ নেতকর্মীর বিরুদ্ধে। এরপর মাদক সেবনের অভিযোগ এনে ঐ বছরের ২১ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাদার বখশ হলে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর করে রাবি ছাত্রলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহিল গালিব, সহসম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাফি ও ছাত্রলীগ কর্মী শুভ্রদেব।

এরপর গত ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তির অভিযোগ এনে আরবি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। গত বছরের ২০ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যায় পরিবহনের আব্দুল গনি নামের এক বাস চালককে মারধর করে সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুষ্ময়।

এর আগে ঐবছরের ২ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে তরিকুল ইসলাম নামে এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীকে সড়কে ফেলে বেধড়ক মারধর করেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। মারধরে তরিকুলের পা ভেঙ্গে যায় এবং তার মেরুদণ্ডের হাড় ফেটে যায়।

চাঁদাবাজি:

গত ৮ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে শিবির আখ্যা দিয়ে তার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করেন রাবি ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাফি।

গত ৭ ডিসেম্বর আল আরমান হৃদয় নামের এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ২০ হাজার টাকা চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউর রহমান রাথিক ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জসীমউদ্দীন রাহুল।

চুক্তি অনুযায়ী হৃদয় পাঁচ হাজার টাকা প্রদান করেন এবং পরে বাকি ১৫ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হৃদয়ের একাডেমিক সনদপত্র জিম্মি করে রাখেন রাথিক ও রাহুল।

সর্বশেষ ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মাদক ব্যবসায়ী ও ছাত্রদল কর্মী আখ্যা দিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদাবাজি করে শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সুরঞ্জিত প্রসাদ বৃত্ত, সহ-সম্পাদক আরমান কায়সার আবির ও সফির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠি।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে কক্ষে ইন্টারনেট সংযোগকে কেন্দ্র করে জীবন নামের এক শিক্ষার্থীর কক্ষ ভাঙ্চুর ও তার ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।

টেন্ডার ছাড়াই আম লিচু বাগান দখল:

টেন্ডার ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের আম ও লিচু বাগান দখলের অভিযোগ উঠে রাবি ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফ করিম রুপম ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরুন জামিল সুষ্ময়ের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শোকজও করা হয়।

ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির হুমকি:

নিজের প্রেমিকার সঙ্গে খারাপ আচরণ করায় ২০১৭ সালের ১১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানির হুমকি দেন রাবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সারোয়ার হোসেন।

অবৈধ সিট দখল সিট বাণিজ্য:

প্রত্যেক আবাসিক হলে একধিক কক্ষ অবৈধভাবে দখল করে সিট বাণিজ্য করছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর মধ্যে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি রুহুল আমিন, মাহমুদুল হাসান শাকিল ও কর্মী মাজাহারুল ইসলাম আধিপত্য বিস্তার করে অবৈধভাবে সিট দখল নিয়েছেন বলে অভিযোগ। এছাড়া সৈয়দ আমীর আলী হলে প্রথম সারির তিন জন নেতা পলিটিক্যাল ব্লক করে বৈধ শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক কক্ষ পরিবর্তনে বাধ্য করেন।

প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক:

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ডিগ্রি পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমেদ বান্ধবীসহ গ্রেফতার হন। এরপর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি জালিয়াতির দায়ে ঐ বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাবি ছাত্রলীগৈর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান সজল ও ছাত্রলীগ কর্মী মোস্তফা বিন ইসমাঈলকে আটক করে পুলিশ।

নিয়োগ পরীক্ষায় বাধা:

২০১৬ সালের ২৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শুরু হওয়া নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে দেন রাবি ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধান ফটক বন্ধ করে রাবি ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি একাডেমিক ভবন ও প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন নেতাকর্মীরা।

   

৬ বছর পর জাবির সিনেট-সিন্ডিকেটে অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে নতুন ৭ মুখ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল থেকে কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেটে ৫ জন এবং সিন্ডিকেটে ২ জন সদস্যকে নির্বাচিত করা হয়েছে। তারা সকলেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের' প্যানেল থেকে জয় লাভ করেছেন। অপরদিকে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ পানেল থেকে এই দুই পদে জয় পাননি কেউই।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কক্ষে অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১৩৮ তম সভা শেষে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়৷ ভোট গণনা শেষে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান এর ফল প্রকাশ করেন। 

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শেষে আবু হাসান জানান, নির্বাচনে ৩৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৬ জন ভোট দেন। সিন্ডিকেটে ২টি পদের বিপরীতে ৪ জন এবং সিনেটে ৫টি পদের বিপরীতে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ শিক্ষা পর্ষদের নিয়মিত সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯(১) (জি) ও ২২(১) (ডি) ধারা অনুযায়ী ২৪ ও ২৫ নাম্বার এজেন্ডায় অনুসারে ৫ জন অধ্যক্ষকে সিনেট সদস্য ও ২ জন অধ্যক্ষকে সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচনে আগামী ২ বছরের জন্য এই সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যদের নির্বাচিত করা হয়।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা পর্ষদ থেকে সিনেট ও সিন্ডিকেটের কলেজ অধ্যক্ষ প্রতিনিধি নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের একাংশের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' প্যানেল থেকে সিনেট প্রতিনিধি হিসেবে ৫ জন এবং আওয়ামীপন্থিদের আরেক অংশ ও বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সম্মিলিত জোট 'শিক্ষক ঐক্য পরিষদ' প্যানেল থেকে ৫ জন সহ এই 

প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ তবে সিনেট প্রতিনিধি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা  করেছেন বরগুনা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. মতিউর রহমান।

এছাড়া সিন্ডিকেট প্রতিনিধি হিসেবে উভয় প্যানেল থেকে ২ জন করে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন৷ নির্বাচনে ৭টি পদেই 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ' মনোনীত প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ  জয়লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ১৯ (১) (জি) ধারা অনুযায়ী একাডেমি কাউন্সিল থেকে সিনেট সদস্য ক্যাটাগরিতে ১৬১ ভোট পেয়ে রশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. খাদেমুল ইসলাম, ১৫৮ ভোট পেয়ে সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার, ১৫১ ভোট পেয়ে শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাহেজ উদ্দিন, ১৪৮ ভোট পেয়ে আনন্দমোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ এবং ১৩২ ভোট পেয়ে বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিন্ময় বাড়ৈ নির্বাচিত হয়েছেন ।

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টের ২২ (১) (ডি) ধারা অনুযায়ী নির্বাচনে 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ প্যানেল থেকে সিন্ডিকেট প্রতিনিধি পদে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ইউসুফ ১৬৩ ভোট পেয়ে ও তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো. হারুন অর রশিদ ১৫৫ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন৷ 

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে সর্বশেষ কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ৬ বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ 

;

নিরাপত্তা ও আত্মসম্মান রক্ষায় কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

কুবির সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

  • Font increase
  • Font Decrease

নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রক্টরিয়াল বডি থেকে এক সহকারী প্রক্টর পদত্যাগ করেছেন। পদত্যাগকারী শিক্ষক গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো এক পদত্যাগপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, সম্প্রতি ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস কমিটির সদস্য আবু ওবায়দা রাহিদ অনুমতি ছাড়াই আমাদের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নির্মিতব্য সংরক্ষিত কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে আসন বিন্যাস পরিকল্পনা করেন এবং তা কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠিয়ে দেন। অনুমতি ছাড়া ল্যাবে প্রবেশ ও আসন পরিকল্পনা করার কথা জানতে চাইলে তিনি আমার সঙ্গে উদ্ধত আচরণ করেন। পরবর্তী সময়ে ঈদ ছুটি শেষে 'অনুমতি নেওয়ার' বিষয়টিকে কেন্দ্র করে তিনি ক্যাম্পাসে গোল চত্বরে শিক্ষার্থীদের সামনে আমাকে বিভিন্নভাবে অপমানসূচক কথাবার্তা বলতে থাকেন। বিভিন্ন ধরনের কথাবার্তা বলে 'স্লেজিং' করতে থাকেন। ওই সময় উপস্থিত তিন শিক্ষক তাঁকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। তখনও তিনি আমার দিকে বারবার তেড়ে আসতে থাকেন। পরবর্তী সময়ে 'সমঝোতা বৈঠকে' বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও একজন অধ্যাপকের সামনে তিনি আমাকে মারতে উদ্যত হন এবং আমার পরিবার নিয়ে অশালীন কথাবার্তা বলেন।

পদত্যাগ পত্রে তিনি আরও বলেন, ওই সদস্য একজন সহকারী প্রক্টর। এ পদের ক্ষমতা এবং প্রভাবশালীর সঙ্গে তার সম্পর্কের জোর দেখিয়ে এ কাজ করেছেন বলে প্রতীয়মান হয় এবং তিনি আমাকে সুযোগ পেলে আক্রমণ করবেন বলে অব্যাহতভাবে হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পার হয়ে গেলেও ওই সহকারী প্রক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এমতাবস্থায় বিচার না পাওয়া ও তার ধারাবাহিক হুমকির মুখে তার উপস্থিতিতে প্রক্টরিয়াল বডিতে আমি কাজ করতে তীব্রভাবে শঙ্কিতবোধ ও বিব্রতবোধ করছি। তাই, নিজের নিরাপত্তা, আত্মসম্মান রক্ষার্থে ও বিভাগের অ্যাকাডেমিক কাজে মনোনিবেশ করার স্বার্থে আমি সহকারী প্রক্টর থেকে পদত্যাগ করছি।

পদত্যাগকারী শিক্ষক কাজী এম. আনিছুল ইসলাম বলেন, একজন সহকারী প্রক্টর নিজের ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে অপদস্থ করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। তাই আমি এই দায়িত্বে পালনে বিব্রতবোধ করছি। পাশাপাশি, আমার সাথে হওয়া অন্যায়ের বিচারের দাবি জানিয়ে আমি সহকারী প্রক্টরের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি৷

;

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত ইবি 



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্মিলিত গুচ্ছ (জিএসটি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বেলা ১২টায় প্রক্টর অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে এবিষয়ে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ।

এসময় তিনি জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা কমিটি ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। ক্যাম্পাসের ভেতরে ও বাহিরে র‍্যাবের সর্বক্ষণিক টহলের ব্যবস্থা থাকবে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালীন ক্যাম্পাসের সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমরা বদ্ধপরিকর। ভর্তি পরীক্ষা যেন নকল মুক্ত এবং প্রক্সি মুক্ত হয় সেজন্য আমাদের সর্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। কোনো ধরণের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যেনো না ঘটে সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। 

সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখতে প্রক্টরিয়াল বডির সাথে বিএনসিসি রোভার স্কাউটের ৬২ জন সদস্য বিভিন্ন ভবনে দায়িত্ব পালন করবেন, পাশাপাশি ক্যাম্পাসের নিরাপত্তায় ১৭৫ জন পুলিশ সদস্য এবং ২৩ জন পোশাকধারী আনসার সদস্য দায়িত্বে থাকবেন।

তিনি বলেন, ক্যাম্পাসে ১০০ জন ভ্যান চালকদের পোশাক ও আইডি কার্ড প্রদান করা হয়েছে অনুমতি সাপেক্ষে প্রয়োজনে তারা মেইন গেইট থেকে শিক্ষার্থীদের ভবনে পৌঁছে দেয়ার কাজ করবে। এছাড়াও পার্কিং করার ক্ষেত্রে কুষ্টিয়া হতে আগত শিক্ষার্থীদের ৩নং গেইটে (ডরমিটরি গেইট) নামিয়ে দিয়ে শান্তিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গাড়ি অবস্থান করবে এবং ঝিনাইদহ থেকে আগত শিক্ষার্থীদের শেখপাড়া বাজারে নামিয়ে দিয়ে ডিএম কলেজে গাড়িসমূহ অবস্থা করবে।

উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) এর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আগামী ৩ মে (শুক্রবার) ‘বি’ ইউনিট (মানবিক) এর ভর্তি পরীক্ষা এবং ১০ মে (শুক্রবার) ‘সি’ ইউনিট (ব্যবসায়ী শিক্ষা) বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমদিন ৬ হাজার ৪৪২ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় বসবে।

;

সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ে অনুমতি দেয়নি ঢাবি প্রশাসন



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে বৃষ্টি চেয়ে প্রার্থনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে ঢাবি প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় এ আয়োজন বাতিল করতে হয়।

বুধবার (২৪এপ্রিল) এ সালাত আদায়ের কথা থাকলেও আগের দিন রাতেই আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয় ঢাবি প্রশাসন এ আয়োজনের অনুমতি দেননি।

ঢাবির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছিল। তবে বুধবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এ ইস্তিস্কার নামাজ। ইমামতি ও মুনাজাতের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল শাইখ অধ্যাপক মুখতার আহমদকে। তবে, আয়োজকদের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি নিয়ে রাতেই জানানো হয়, এ কর্মসূচির অনুমতি দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ার বিষয়টি আয়োজকদের পক্ষ থেকে ক্ষুদেবার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে আয়োজকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, সালাতুল ইস্তেস্কার আদায় সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে। আগামীকালের অনুষ্ঠিতব্য সালাতুল ইস্তেস্কারের ব্যাপারে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের ডেকেছে। তীব্র তাপবদাহ চলমান থাকায় এই মুহুর্তে প্রশাসন আমাদের খোলা মাঠে সালাতুল ইস্তেস্কার আদায়ের অনুমতি দেয়নি। পরবর্তী সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে ঢাবি প্রক্টর ড.মাকসুদুর রহমান বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস ঘোষণা করা হয়েছে। সে জায়গায় আমরা খোলা মাঠে নামাজের অনুমতি দিতে পারি না। নামাজের জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় মসজিদ রয়েছে, হলে হলে মসজিদ রয়েছে, ইমাম-খতিবও রয়েছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার রাজধানীসহ সারাদেশে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির আশায় সালাতুল ইস্তেস্কার অনুষ্ঠিত হয়েছে। গরমের তীব্রতায় বৃষ্টির আশায় এ ইস্তেস্কার নামাজ আদায় করা হয়ে থাকে।

;