ডাকসু নির্বাচন: ভোটগ্রহণ শেষ, চলছে গণনা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন চলছে ভোট গণনা।
ভোট গ্রহণের নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৮টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত। কিন্তু কিছু হলে ভোটারদের লাইন থাকার কারণে নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার পরও ভোট নেওয়া হয়েছে।
তবে মেয়েদের দুটি দল কুয়েত মৈত্রী হল ও বেগম রোকেয়া হলে এখনো ভোট গ্রহণ চলছে। কারচুপির অভিযোগে কুয়েত মৈত্রী হলে নির্ধারিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর ভোট শুরু হয়। রোকেয়া হলে দুই দফা ভোট বন্ধ থাকার পর বেলা তিনটায় আবারও ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এ দুটি হল ছাড়া অন্য হলগুলোতে ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে।
মহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ ও রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'আমাদের হলে প্রায় ৫২ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছে।'
ডাকসুর ২৫টি পদে এবং হল সংসদের ১৩টি পদে ভোট দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। অবশ্য ছাত্রদলের প্যানেলসহ ৭টি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করেছে।
দুপুর ১টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রদল ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। এমনকি তারা আগামীকাল ক্যাম্পাসে ধর্মঘটসহ শিক্ষার্থীদের ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এরপর ভোট বর্জন করে ছাত্রদল, বাম সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্যানেলের প্রার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এখনো তাদের অনেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে অবস্থানে রয়েছে।
এর আগে সকাল আটটায় ভোট শুরুর পর কুয়েত মৈত্রী হলে আগেই সিল দেওয়া ব্যালট পেপার ভর্তি বাক্স উদ্ধারের পর ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ শবনম জাহানকে অব্যাহতি দেওয়া হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এরপর সকাল ১১টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই রোকেয়া হলে সিল না মারা ব্যালট পেপারসহ তিনটি ব্যালট বাক্স উদ্ধার করা হলে এ নিয়ে পরিস্থিতি আবারও উত্তপ্ত হয়।
এই দুই হল ছাড়া অন্য হলে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। সেগুলোতে কোন উত্তেজনার খবর পাওয়া যায় নি। তবে দীর্ঘক্ষণ লাইনে থেকে ভোট দিতে না পেরে অনেক ভোটার ফিরে চলে গেছেন।
ভোট নিয়ে ছাত্রলীগ ছাড়া প্রায় সব ছাত্র সংগঠন ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অভিযোগ করলেও প্রশাসন তা আমলে নিচ্ছিলেন না। উপাচার্য আখতারুজ্জামান অবশ্য ভোট নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে ভোট সুষ্ঠু হয়েছে।