লাইসেন্সধারী নেতার মতো কাজ করব: গোলাম রাব্বানী



তপন কান্তি রায়, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডাকসুর নতুন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী, ছবি: বার্তা২৪

ডাকসুর নতুন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নতুন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) গোলাম রাব্বানী নিজেকে লাইসেন্সধারী নেতা হিসাবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন, নিজের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে লাইসেন্সধারী নেতার মতো শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করব।

গত ১১ মার্চ ডাকসুর ভোট গ্রহণে ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে জিএস নির্বাচিত হন সংগঠনটির এই সাধারণ সম্পাদক। বার্তা২৪.কমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে, ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে নিজ উদ্যোগ আর পরিকল্পনার কথা জানান তিনি

গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘আমি আমার জায়গা থেকে বলছি, শিক্ষার্থীরা আমার ওপর আস্থা রেখেছে। নিজের স্বার্থে ঊর্ধ্বে উঠে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করব। সেই জায়গা থেকে যেহেতু আমাকে বৈধ ম্যান্ডেট দেওয়া হয়েছে; এক ধরনের লাইন্সেসধারী নেতা যাকে বলে, শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার। সুতরাং আমি অবশ্যই তাদের জন্য কাজ করব। কথা দিতে চাই, কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দেব। সকল ইতিবাচক কাজে, সত্য সুন্দরের পথে নীতি নৈতিকতা রেখে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

ডাকসুর নবনির্বাচিত জিএস হিসাবে অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেনে, ‘তপ্ত মরুভূমিতে হেঁটে চলা তৃষ্ণার্ত উদ্ভ্রান্ত পথিকের মতো; জলের সন্ধান পেলে যেমনটি হয়, অনুভূতিটা তেমনিই। আমরা সবাই সত্যিকার অর্থে ডাকসুর জন্য, শিক্ষার্থীদের অধিকারের প্লাটফর্মের জন্য তৃষ্ণার্ত ছিলাম। বহু আকাঙ্ক্ষা-সাধনার ধন হচ্ছে এই ডাকসু। এই ডাকসু দীর্ঘ ২৮ বছর পর আলোর মুখ দেখেছে। আমরা এই ডাকসুকে সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের চাওয়া-পাওয়ার প্রত্যাশা, প্রাপ্তির যে মেলবন্ধন এবং অধিকার বাস্তবায়নের মঞ্চ হিসাবে গড়ে তুলতে চাই।’

ডাকসুর জিএস বলেন, ‘এত দিন ছাত্রলীগের নেতা ছিলাম। শিক্ষার্থীরা ছাত্রনেতা বা সবার নেতা বলার যে অধিকার; ভালোবাসার ম্যান্ডেট দেয়। এখন সবার জন্য কাজ করতে চাই। দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে তাদের কথাগুলো সিনেটে গিয়ে বলার জন্য আমরা মানসিকভাবে প্রস্তুত।

নির্বাচনের ইশতেহার ধরে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করবেন জানিয়ে গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ইশতেহার দিয়েছি, বাস্তবতার নিরিখে, ভেবে চিন্তে দিয়েছি। আমরা অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ইশতেহারের প্রতিটা পয়েন্ট ধরে বাস্তবায়ন করতে চাই।

‘আমরা অভিষেক হওয়ার পূর্বেই রোকেয়া হলের দু’টি দাবি হল সংসদের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেছি। মেয়েদের মায়েদের শুক্র ও শনিবার হলে প্রবেশ করতে দেওয়া, লিফট খোলা রাখা এবং রাত ১০টা পর্যন্ত মূল গেইট খোলা রাখা। বিজয় একাত্তর হলেও ছেলেদের আবাসিক সমস্যা সমাধানের কাজ করছি।’

ভোট গ্রহণের দিন মধ্যরাতে রোকেয়া হলে ছাত্রীদের আন্দোলন ও উত্তেজনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি নাটক মঞ্চস্থ করতে চেয়েছিল, তারা দেখলো পুরোপুরি ছাত্রলীগের পক্ষে যাচ্ছে, তখন গণপ্রত্যাখ্যাত হওয়ার ভয়ে একটা সেভ এক্সিট তারা খুঁজছিল। সেই এক্সিটের জন্যই তারা একটা নাটক মঞ্চস্থ করলো।’

তিনি বলেন, ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান খন্দকার অনিক, প্রগতিশীল ছাত্র ঐক্য পরিষদের লিটন নন্দী এবং নুরুল হক নুরসহ ডাকসুর প্রার্থীরা দাবি করেছিল- ক্রস দেওয়া ব্যালেট বাক্স হলের কক্ষে রয়েছে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রশাসন ও সকলের প্রার্থীদের সামনে কক্ষ খুলে দেয়। দেখলাম, কোনো ব্যালেট বাক্স নেই, তলাবদ্ধ ট্রাঙ্ক ছিল। হল প্রাধ্যক্ষ ট্রাঙ্কের চাবি নুরুল হক নুরকে দিলেন; নুর খুললেন। সেখানে শুধু সিল করা খালি পেপার রয়েছে। তাদের নাটক পূরণ হয়নি, মঞ্চস্থ করতে পারেনি।

তার দাবি, কক্ষের বাইরে গিয়ে ওই ঘটনা নিয়ে কিছু না বলে নুর ও অনিক পালিয়ে যায়। আর নুর পানি খেয়ে মাথা ঘুরে পড়ে, অভিনয় করে হাসপাতালে যায়। তারা স্টেটমেন্ট না দিয়ে ঘটনা ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে। তাদের ‘প্ল্যান এ’ কাজ করেনি; তাই ‘প্ল্যান বি’ দিয়ে ভোটারদের সহানুভূতি পেতে প্রতারণার আশ্রয় নেয়।

ডাকসু নির্বাচনে ভোটচুরির মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে দাবি করেন গোলাম রাব্বানী। বলেন, ‘কোটা আন্দোলনের মতো কুয়েট মৈত্রী হলেও ভোট চুরির গুজবে ছড়িয়ে দেয় তারা। ভোটচুরি যদি করা হয়ে থাকে, পেপার ব্যালেট বাক্সে পাওয়া যাবে, সেটা কোনো বস্তায় না। সেখানে ব্যালেট পেপারের রঙের মিল নেই, সিলের মিল নেই। কিন্তু হল সংসদের কিছু ক্রসযুক্ত ব্যালেট পাওয়া যায়। কিন্তু আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ধরেনের মেকানিজম করা হয়ে থাকতো, সেটা নিশ্চয়ই কেন্দ্রীয় ডাকসুকে বাদ দিয়ে নয়। তারা সেখানে নাটকটি করেছে কিন্তু ঠিক মতো মঞ্চস্থ করতে পারেনি। কিন্তু তারপরও তারা সফল, কারণ ভোটারদের মধ্যে যে প্যানিক (ভীতি) তারা ছড়িয়ে দিয়েছে যে, এখানে ভোট চুরি হচ্ছে, মিথ্যা একটি অপপ্রচার সফল করেছে।’

আরও পড়ুন: ‘অস্বীকার করছি না আমি ছাত্রলীগ করেছি’- ভিপি নুরুল হক নুর

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;