যবিপ্রবিতে অনুষ্ঠিত হলো দিনব্যাপী বিজ্ঞান মেলা
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দিনব্যাপী জমজমাট বিজ্ঞান মেলা। রোটার্যাক্ট ক্লাব অব যবিপ্রবির আয়োজনে বিজ্ঞান মেলায় যশোর এবং এর আশপাশের জেলাগুলোর ২০টিরও বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এতে অংশ নেয়।
সোমবার (১৮ মার্চ) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নবম তলায় আয়োজিত মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন।
তিনি বলেন, বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য, বিজ্ঞান চিন্তা-চেতনার সমৃদ্ধ যুব সমাজ গঠনের জন্য জাতির পিতা বিজ্ঞান শিক্ষার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ লক্ষ্যে দেশব্যাপী বিজ্ঞান শিক্ষাকে আরও এগিয়ে নিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।
যবিপ্রবি উপাচার্য বলেন, বিজ্ঞান মেলা আয়োজনের প্রকৃত উদ্দেশ্য হলো, আমাদের সন্তানদেরকে স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত বিজ্ঞান মনস্ক করে গড়ে তোলা। এটা একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং বিজ্ঞানের প্রসার আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। সেই নৈতিকতা থেকেই বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. শরীফ এনামুল কবির বলেন, বিজ্ঞানের অগ্রগতি না হলে দেশের অগ্রগতি সম্ভব হবে না। দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বিজ্ঞান শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে হবে।
বিশেষ আরেক অতিথি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিউপি) সাবেক উপাচার্য মেজর জেনারেল (অব.) সালাউদ্দীন মিয়াজী বলেন, দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য বিজ্ঞানের প্রতি সবাইকে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে। বিজ্ঞানের প্রতি তরুণ প্রজন্মের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণই দেশকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করি। এ জন্য বিজ্ঞান শিক্ষার বিকল্প নেই।
যবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. মীর মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন যশোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, রোটারি ক্লাব যশোর রূপান্তরের সভাপতি মো. শামসুল আলম, ঢাকা ব্যাংকের যশোর শাখার ব্যবস্থাপক এ এফ এম মাহমুদুর রহমান, যবিপ্রবি রোটার্যাক্ট ক্লাবের সভাপতি পিয়াস বিশ্বাস প্রমুখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অতিথিবৃন্দ মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখেন। সৌর শক্তি চালিত বিদ্যুৎ প্লান্ট, বিশুদ্ধ পানির ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, আধুনিক স্মার্ট সিটির নকশা, প্রাকৃতিক উপায়ে মাছ সংরক্ষণ, বাতাস এবং পানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন, শহরের ব্যস্ততম সড়ককে যানজট মুক্ত রাখতে উড়াল সড়কের নকশা, বিভিন্ন চমকপ্রদ আইডিয়ার পোস্টার প্রেজেন্টেশন অতিথিদের মুগ্ধ করে।
পরে বিচারকমণ্ডলী সবকটি স্টল ঘুরে প্রতিযোগীদের প্রদর্শিত প্রজেক্ট, নকশা ও পোস্টারসমূহ চুলচেরা বিশ্লেষণ করে বিজয়ীদের চূড়ান্ত করেন। এতে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম, নবম থেকে দশম, একাদশ থেকে দ্বাদশ এবং ¯স্নাতক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত চার ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়। সবশেষে বিজয়ীদের প্রাইজমানি, ক্রেস্ট এবং সনদ দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।