আহতদের দেখতে গিয়ে তোপের মুখে শোভন-রাব্বানী



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,ঢাকা
ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দেখতে গেলে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে বাধা দেয় পদবঞ্চিতরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দেখতে গেলে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে বাধা দেয় পদবঞ্চিতরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দেখতে গিয়ে পদ বঞ্চিতদের তোপের মুখে ফেরত এলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণার পর মধুর ক্যান্টিনে মারধরে আহতদের দেখতে  তারা ঢাকা মেডিকেলে যান। পরে জরুরি বিভাগের গেট থেকে ফেরত আসেন ।

কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রাত পৌনে এগারটার দিকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আহতদের দেখতে গেলে সেখানে আহতদের সঙ্গে থাকা শতাধিক নেতা-কর্মী বাধা দেয়। প্রায় আধা ঘণ্টা বাকবিতণ্ডার পর পিছু হটেন শোভন রাব্বানী।

এ সময় উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিতে থাকেন। শোভন ও রাব্বানী মেডিকেলের গেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পথ রুদ্ধ করে রোকেয়া হলের সভাপতি ও ডাকসুর ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক বিএম লিপি আকতার। এ সময় সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‌‌রাজাকার পুত্র, বিবাহিত, অছাত্রদের কমিটিতে রেখেছেন, আমাদের মত ত্যাগীদের কেন মূল্যায়ন করেন নি।'

জবাবে রাব্বানী বলেন, ‌‌‌‌‌ 'সামনে মূল্যায়ন করা হবে।' একই সময় আল আমিন বলেন, ‌যাদের কমিটিতে রেখেছেন তারা কোন বিবেচনায় আমাদের চেয়ে যোগ্য'

শোভন বলেন, ‌সবকিছু বিবেচনা করা হবে। আমরা আহতদের দেখতে আসছি।'

এ সময় সাবেক কমিটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুদ্দিন বাবু বলেন, ‌ত্যাগী নেতাদের মারধর করে, কেন সিম্পেথি নেওয়ার জন্য এসেছেন? কোনোভাবেই এই নাটক করতে দেওয়া হবে না।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/May/14/1557775309086.jpeg

পরে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হাসপাতালে প্রবেশ না করে চলে যান।এর আগে সন্ধ্যা পৌনে সাততটার দিকে মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রলীগের ঘোষিত কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ বলে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন পদবঞ্চিত ও আশানুরুপ পদ না পাওয়াদের একাংশ।

এসময় সিন্ডিকেটের কালো হাত ভেঙে দাও স্লোগান দিয়ে তাদের ওপর চেয়ার ও পানির বোতল নিক্ষেপ করে কমিটির পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এতে রোকেয়া হলের শ্রাবনী দিশাসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।পরে তারা আহতদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল যায় এবং সেখানে অবস্থান নেয়।

প্রত্যকক্ষদর্শী জিয়া হল ছাত্রলীগের নেতা তুহিন রেজা জানান, বি এম লিপি, সাদ বিন কাদের, শামস ই নোমান, তানভীর হাসান সৈকত, শ্রাবনী শায়লা, তিলোত্তমা শিকদার ব্যানার নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আসেন। আর বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয় এবং একপর্যায়ে চেয়ার ও পানির বতল নিক্ষেপের ঘটনাও ঘটে। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন।

   

অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যিরো
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশও দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে চুয়েটের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ১৫১তম একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবিরের সই করা চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ এপ্রিল মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন মেধাবী ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে উদ্ভুত পরিস্থিতির কারণে ২৫ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম (জরুরি) সভার সিদ্ধান্তক্রমে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক/স্নাতকোত্তর পর্যায়ের সকল একাডেমিক কার্যক্রম (পরীক্ষাসহ) বন্ধ ঘোষণা করা হলো।

এতে আরও বলা হয়, ছাত্রদের বৃহস্পতিবার ( ২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামিকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হলো। শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ত্যাগের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ক্যাম্পাস থেকে শহরে চলাচল করবে।

এর আগে গত সোমবার মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী।

ওইদিন আনুমানিক বেলা সাড়ে তিনটায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যান চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত সাহা এবং গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌফিক হোসাইন। এ ছাড়া গুরুতর আহত হন পুরকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাকারিয়া হিমু। এই ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে মাঠে নামেন। আন্দোলন চলার সময় শিক্ষার্থীরা বাসেও আগুন দেন।

;

কুবিতে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টর কার্যালয়ে তালা



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দিয়েছে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) প্রশাসনিক ভবন ঘুরে এই তিন দপ্তর তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী দপ্তরে তালা লাগানো আছে। দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সংশ্লিষ্ট কেউ সকাল থেকে দপ্তরে আসেননি।

এই বিষয়ে জানতে তিনজনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নি।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, 'আমরা আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। সে সময় শেষ হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে দাবি বাস্তবায়নের কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় আমরা পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি।' 

;

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইন ক্লাস, বন্ধ থাকবে পরীক্ষা

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলমান প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে এক সপ্তাহ অনলাইনে ক্লাস চলার পর তাপমাত্রা স্বাভাবিক না হওয়ায় এবার অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কর্তৃপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো আইনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে চলমান তাপদাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বিবেচনা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সশরীরে সকল ক্লাস, পরীক্ষা বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অনলাইনে ক্লাস ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।

এদিকে অনলাইন ক্লাস নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা ফরছে শিক্ষার্থীদের মাঝে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অনলা ক্লাসের পক্ষে ও বিপক্ষে নানা ধরনের যুক্তি তুলে ধরছেন শিক্ষার্থীরা।

আকরাম হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ বা অনলাইনে ক্লাস কোনটার পক্ষেই আমি নাহ। কেউ ছুটি নিয়ে বাসায় বসে থাকে বা গরমের জন্য বাসায় থাকে এমন নাহ। আর থাকলেও সংখ্যাটা ১০% এর আশেপাশে। সামান্য একটা অংশের জন্য অনলাইনে ক্লাস এনে বা ছুটি দিয়ে সেশন জটের মত দুর্ভোগ সৃষ্টি করা কতটা যোক্তিক সেটা বুঝে আসেনা।

লিমন ইসলাম স্বাধীন নামের আরেক শিক্ষার্থী লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইনে হলে সবাই ঘরে বসে থাকে না ব্যাপারটা সত্য। কেউ টিউশনি করে, কেউবা অন্য কোন কাজে থাকে। আর টিউশনি করলেও সেটা সবাই রাতে করে। তখন আবহাওয়া কিছুটা শীতল থাকে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস অনলাইন হলে মূল স্বস্তির জায়গা হলো যাতায়াত করা লাগে না। ৩.৩০ এ ক্লাস শেষ করে এমন অসহ্য গরমে ৩/৪ ঘণ্টা জার্নি করে বাসায় যাওয়াটা কতটা অসহ্য সেটা শুধু যাদের বাসা দূরে তারাই উপলব্ধি করতে পারে, সে সংখ্যাটা ৬০ শতাংশের বেশি। তবে যাদের বাসা ভার্সিটির আশেপাশে তাদের ক্ষেত্রে এইটা সমস্যা না। মুদ্রার দুইটা পিঠ নিয়ে যেমন কথা বলা যায়। ঠিক তেমনি অফলাইন আর অনলাইন ক্লাস নিয়েও কথা বলা যায়। দুইটাই দরকার, শুধু সময় বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার।

;

চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। যেখানে প্রতি বছর আকাশসম স্বপ্ন  বাস্তবে রূপদান করতে হাজারো শিক্ষার্থী প্রবেশ করে। কিন্তু মুক্ত ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ ও অসৎসঙ্গ পেয়ে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই যুক্ত হয় মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে। যেখান থেকে বের হতে না পেরে ঝরে যায় সহস্র মেধাবী শিক্ষার্থী, ভেস্তে যায় হাজারো পিতা-মাতার আশা-আকাঙ্ক্ষা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে। এদের মধ্যে অধিকাংশই অছাত্র ও বহিষ্কৃত। সন্ধ্যা নামতেই মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আসর বসে তাদের। শুরু হয় মাদকাসক্তদের আনাগোনা। যে করিডরে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপা গুঞ্জন, সেখানে মেলে গাঁজার উৎকট গন্ধ। এদের মধ্যে কেউ আবার নিয়মিত বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকের চালান নিয়ে এসে করেন ব্যবসাও। সাপ্লাই দেন পুরো ক্যাম্পাসে।

সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয়ের মাদক কারবারির সাথে যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ মেলে। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তার মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহের জন্য রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। এজন্য সে রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে চালায় মাদক ব্যাবসা। তার দাবি- সে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারী, থাকেন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। মদ, গাঁজা ও ইয়াবা তাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে প্রকাশ্যে মাতলামি করতেও দেখা যায় অনেককে।

ঘটনার অনুসন্ধানে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে প্রকাশ্যে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়ায় কক্ষটি গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিলগালা করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টায় এ. এফ রহমান হলে মদপান, মাতলামি ও মাদক সরবরাহের অভিযোগে আশিকুজ্জামান জয় নামের ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী।

এ ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ জানান, চবির এ এফ রহমান হলে সাম্প্রতিক সময়ে মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে সবচেয়ে বেশি মদ, গাজা ও ইয়াবা খায় এই হলের ছেলেরা। আমাদের ব্যাচেরই এক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয় ঈদের পরপরই হলে ৭ থেকে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং খেয়ে মাতলামি করে। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে শুনেনি। ফলে তার সাথে আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার কাছে জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এফ রহমান হলের সকলেই জানে জয় সম্পূর্ণ মাদকাসক্ত। সে দীর্ঘদিন থেকে মদ ইয়াবা সেবনের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি হলে মাদক বিক্রিও করতো। আমরা তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে এগুলো না ছাড়াই তার সাথে আমাদের একটু ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে।

আশিকুজ্জামান জয়কে মারধরের পর সরেজমিনে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষ পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া যায়। সেগুলোতে মদ না থাকলেও মদের টাটকা গন্ধ মেলে।

তবে, আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সাথে সম্পর্ক খারাপ কেন- এই জের ধরে মারধরের কথা স্বীকার করলেও মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। যদিও আশিকুজ্জামান জয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন। পাশে রাখা আছে আরও দুইটি মদের বোতল।

এসব ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী জানান, আমরা গতকাল (বুধবার) হাউজ টিউটরাসহ কক্ষটিতে গিয়েছিলাম। আমরা আপাতত কক্ষটি সিলগালা করে দিয়েছি। রুমে যে থাকতো তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।

মাদক কারবারির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলব। তার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে হল প্রভোস্টসহ আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নিব।

;