আন্দোলনে পাল্টে গেছে জবি ক্যান্টিনের রূপ
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ক্যান্টিনের রূপ। শিক্ষার্থীদের সাত দফার দাবির অন্যতম দাবি ছিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যান্টিনের খাবার মান বৃদ্ধি ও ক্যান্টিনের সংস্কার করা।
সংস্কারকৃত নতুন ক্যান্টিনে রয়েছে আধুনিক গোলটেবিল, নতুন পানির ফিল্টার, টেলিভিশন, নতুন বেসিন এবং নতুন পেইন্টিং। সব মিলিয়ে এক জাঁকজমক পূর্ণ পরিবেশ।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২ টায় সংস্কারকৃত ক্যান্টিনের উদ্বোধন করেন জবি উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘কিছুদিন পর আমাদের বিশাল ক্যাম্পাস হবে। তখন হয়তো আমরা থাকব না। তবে যদি বেঁচে থাকি তাহলে দেখতে যেতে পারব। আর এই বেঁচে থাকার জন্য দরকার খাবার। তাই আমরা ক্যান্টিনের সংস্কার করেছি। ক্যান্টিনে যা কিছু রয়েছে সবই আপনাদের, এর সংরক্ষণের দায়িত্বও আপনাদের।’
তিনি আরও বলেন, ‘ক্যান্টিনে একটা অভিযোগ সবসময় শোনা যায়। কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী টাকা না দিয়ে খায়। একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কিভাবে এমন কাজ করতে পারে আমার মাথায় আসে না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যারা অতি দরিদ্র এমন ৮০-১০০ জন শিক্ষার্থীকে ফ্রি খাওয়ানোর ব্যবস্থা করব।’
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জবি ট্রেজারার অধ্যাপক মো. সেলিম ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. ওহিদুজ্জামান, প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, শিক্ষক, সাংবাদিক এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, গত ১ জুলাই থেকে ক্যান্টিনে খাবারের মান বৃদ্ধি ও মূল্য কমানোসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনের এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা অনশনে গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলো হলো, এক মাসের মধ্যে বাসের ডাবল শিফট চালু করতে হবে, আগামী চার মাসের মধ্যে জকসু নির্বাচন দিতে হবে, আগামী দুই মাসের মধ্যে ছাত্রী হলের কাজ শেষ করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে ও আবেদনের ক্ষেত্রে সিজিপিএ শর্ত শিথিল করে স্বচ্ছ নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে হবে, জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ অবিলম্বে শুরু করতে হবে এবং গবেষণা খাতে শর্ত কমিয়ে বাজেট বাড়াতে হবে।