ভর্তিযুদ্ধ

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করতে হলে



হারুনুর রশিদ, জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এমসিকিউ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হয়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো ২০১৮-১৯ সেশন থেকে লিখিত ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও এমসিকিউ'র পাশাপাশি লিখিত পরীক্ষা নেয়া হবে। লিখিত পরীক্ষায় কেমন প্রশ্ন আসে, কিভাবে উত্তর করতে হয় এ নিয়ে সংশয় অনেক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর মাঝে। তাদের জন্য পরমার্শ দিয়েছেন গত বছর জবি'তে লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীরা। লিখেছেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হারুনুর রশিদ।

জীবনে সফল হওয়ার জন্য কোনো শর্টকাট পথ নেই, তবে কৌশলী হতে হবে। পরীক্ষার যেহেতু বেশিদিন বাকি নেই তাই গৎবাঁধা না পড়ে কিছুটা কৌশলী হয়ে পড়তে হবে। কেননা অনেকেই ভালোভাবে পারা বিষয় কিভাবে লিখবে তা বুঝতে না পেরে পরীক্ষায় খারাপ করে। লিখিত পরীক্ষা হওয়ায় অনেকেই হয়তো দুশ্চিন্তা করছো। তাই তোমাদের জন্য কিছু কথা -

নাজিয়া আফরোজ সেশন ২০১৮-১৯, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়লিখিত ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের জন্য নির্ধারিত জায়গা থাকে। তাই অপ্রাসঙ্গিক উত্তর না লিখে অবশ্যই মূল কথাগুলো লিখতে হবে। পরীক্ষায় যেহেতু বিকল্প প্রশ্ন থাকবে না নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবশ্যই সকল প্রশ্নের উত্তর সঠিক ও সুন্দরভাবে লিখতে হবে। যেহেতু এটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা, তাই ০.১ পয়েন্টের জন্যই অনেকে চান্স পাবে না বা সিরিয়ালে অনেক ব্যবধান বেড়ে যাবে। পড়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই পাঠ্যবইকে গুরুত্ব দিতে হবে। কেননা বেশিরভাগ প্রশ্নই পাঠ্যবই থেকে হয়ে থাকে। সাধারণ জ্ঞানের জন্য বাংলাদেশ, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু, সাম্প্রতিক বিষয়াবলী ও বুদ্ধিমত্তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। তাছাড়া প্রত্যেকটি বিষয়ের নির্দিষ্ট কিছু টপিক আছে যেগুলো থেকে প্রশ্ন প্রায়ই আসে। বিষয়গুলো বারবার পড়ো এবং লিখো। দেখবে বিষয়গুলো আয়ত্তে চলে আসবে। সকল বিষয় সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়তে হবে। পড়াশোনার পাশাপাশি পর্যাপ্ত ঘুম ও খাওয়া-দাওয়া অত্যন্ত জরুরি। কারণ সবকিছুর আগে তোমার সুস্থতা। সময় একদমই অপচয় করবে না। ভর্তিযুদ্ধে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে আত্মবিশ্বাস। তাই আত্মবিশ্বাস রেখো। পরিশেষে বলতে চাই, সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রেখে সৎভাবে পরিশ্রম করলে অবশ্যই সফল হবে।

নাজিয়া আফরোজ
সেশন ২০১৮-১৯, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

প্রিয় ভর্তি পরীক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিও। নিশ্চয় ব্যস্ত আছো ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে। এই গুরুত্বপূর্ণ সময়টা মোটেই হেলায় কাটিয়ে দেয়া যাবেনা৷ পরীক্ষার আগ পর্যন্ত এই কয়েকদিনের উত্তম প্রস্তুতিই তোমার স্বপ্নপূরণ করতে পারে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বারের মতো সম্পূর্ণ লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। লেখার সময় প্রতিটি প্রশ্নোত্তর নির্দিষ্ট পৃষ্ঠার মধেই লিখতে হবে৷ পৃষ্ঠা পূর্ণ করে অনেক বেশী লিখতে পারলেই ভালো নাম্বার পাওয়া যাবে- এই ভুল ধারণা পোষণ না করে, মূলভাব নিজের ভাষায় প্রকাশ করবে। স্পষ্ট করে লিখার চেষ্টা করবে। তথ্যপূরণ, বিষয় নির্বাচনের সময় অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে, বুঝে বিষয় নির্বাচন করবে৷ যে যে বিষয়ে পড়তে আগ্রহী, সে বিষয়গুলো ক্রমানুসারে আগে নির্বাচন করবে। এসব কাজ সম্ভব হলে নিজে করাই ভালো।
সব মিলিয়ে অনেক পরীক্ষার্থী, অচেনা অঙ্গন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষা শেষ করা এসব নিয়ে মোটেও ঘাবড়াবেনা, বিচলিত হবেনা। আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে৷ আত্মবিশ্বাসের মাত্রা এমন হওয়া চাই, এই কক্ষ থেকে যদি একজন পরীক্ষার্থীও চান্স পায়, সে হবো আমি। শুভকামনা রইলো।

আব্দুল্লাহ আলম নুর
সেশন ২০১৮-১৯, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় চেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রশ্নের ধরন কিছুটা আলাদা। কারন এখানে লিখিত পরীক্ষা হয়, বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থাকে না! তাই তোমাদেরকে কৌশলী হতে হবে। লিখিত ভর্তি পরীক্ষার জন্য সর্বপ্রথম মেইন বইয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এই সময়ে তোমরা শুধু রিভিশন দেয়ার চেষ্টা করবে। আর নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখবে। সবমিলিয়ে বলা চলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ভালো করার জন্য সময়ের দিকে একটু সচেতন থেকে উত্তরগুলো দিতে হবে।

উত্তর ছাড়া অতিরিক্ত কিছুই লিখা যাবে না। এতে মার্ক তো পাবেই না, সময় নষ্ট হবে এবং সবগুলো উত্তর দিতে পাবে না। সুতরাং মনে রাখবে, উত্তরটা বুঝানোর জন্য যতটুকু লিখা দরকার ঠিক ওইটুকুই লিখবে। এর বেশি কিছু নয়। আশা করি তোমারা ভালো করবে এবং টিকে থাকবে স্বপ্ন সার্থক করার লড়াইয়ে।

আরাফাত সবুজ
সেশন ২০১৮-১৯, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

জুনিয়রস, আশা করি সবাই ভাল আছো। শেষ মুহুর্তে পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখতে সবাই ব্যস্ত। আজ আমি লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে কিছু পরামর্শ শেয়ার করবো। আশা করি তোমাদের কাজে লাগবে। আমি মানবিক অর্থাৎ ইউনিট '২' নিয়ে কথা বলব। অনেকেই ইতিমধ্যে বেশকিছু তথ্য জেনেছো, তবুও অনেকে সন্দিহান থাকে। এতো টেনশন নেয়ার কোনো কারণ নেই। এবার মূল কথায় আসি।

২০১৮-১৯ সেশনে বাংলা অংশে ৬টি, ইংরেজি ৬টি এবং সাধারণ জ্ঞান ও বিশ্লেষণ দক্ষতা মিলিয়ে ৬টিসহ মোট ১৮টি প্রশ্ন ছিলো। মোট ৭২ নম্বর এবং সময় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট। এবারও ব্যতিক্রম হবে না। প্রতিটি প্রশ্ন হালকা ব্যাখ্যা করার জন্য বলা হবে। তোমরা যেভাবে সৃজনশীলের অনুধাবনমুলক প্রশ্ন উত্তর দিতে একই রকম। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য নির্ধারিত পৃষ্টা থাকবে এবং সেখানেই সমাধান করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষা একেবারেই দরজায় কড়া নাড়ছে সুতরাং এখন শুধু রিভিশন দেয়ার পালা। লিখিত পরীক্ষার জন্য রিভিশনটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

লিখিত পরীক্ষায় ভালো করতে হলে হাতের লেখার গতি খুব দরকার। প্রতিটি প্রশ্নের জন্য কত সময় ধরে উত্তর করবে সেটা ঠিক করতে হবে। ভালোভাবে খাতায় উত্তর লিখার চেষ্টা করতে হবে। মনোযোগ সহকারে লিখতে হবে, তাহলেই সময়মতো সব উত্তর করতে পারবে। মেইন বই পড়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাল করে বাংলা রিডিং, শব্দার্থ, ব্যাকরণের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পড়তে হবে। ইংরেজিতে ভোকাবুলারি, ট্রান্সলেশন, কোন বিষয়ে আলোচনা এইসব ভাল করে লিখতে হবে। গত বছরের প্রশ্ন দেখলেই বুঝতে পারবে। সাধারন জ্ঞানও একই রকম হবে। কোনো বিষয় নিয়ে ব্যাখা করতে হবে। মানসিক দক্ষতার দুইটি প্রশ্ন নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে করতে পারলে দিনশেষে লাভটা তোমারই।

সবার জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা থাকবে। শেষ মুহুর্তে নিজেকে তৈরি করতে সময়কে গুরুত্ব দাও। আশা করি সবাই ভালো পরীক্ষা দিবে।

আবুল হাসনাত নান্নু
২০১৮-১৯ সেশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়

   

বর্ণাঢ্য আয়োজনে নতুন বছরকে বরণ করল জবি



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলা নববর্ষকে বরণ করা হয়েছে।

১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ (১৪৩১) উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা আয়োজন করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের আয়োজনে মঙ্গল শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিমের নেতৃত্বে মঙ্গল শোভাযাত্রাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে রায় সাহেব বাজার ও ভিক্টোরিয়া পার্ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শেষ হয়।

এবারের নববর্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশাচিত্রকে মূল প্রতিপাদ্য করে এবং ‘বৈশাখে নূতন করিনু সৃজন, মঙ্গলময় যত তনু-মন’ স্লোগানকে সামনে রেখে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে।

শোভাযাত্রায় রিকশাচিত্রের পাশাপাশি সংকটাপন্ন প্রাণী প্রজাতির মধ্যে কুমিরের মোটিফ তুলে ধরা হয়। এছাড়াও লক্ষ্মীপেঁচা, ফুল, মৌমাছি, পাতা, বাঘ এর মুখোশ এবং গ্রামবাংলার লোক কারুকলার নিদর্শনসমূহ স্থান পায়।

মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষে একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্বরে আলোচনা সভা হয় ৷ সংগীত বিভাগ ও নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান ও যাত্রাপালার আয়োজন করা হয় ৷

ভাষা শহীদ রফিক ভবনের নিচতলায় জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় দিনব্যাপী প্রকাশনা প্রদর্শনী।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও ইন্সটিটিউটের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব, রিপোটার্স ইউনিটিসহ সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে।

;

শূন্যপদ নিয়ে টেনেটুনে চলছে লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে চলছে টেনেটুনে। এতে কোনোভাবে ক্লাস চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হলেও ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার মান।

অধ্যক্ষসহ বিভিন্ন পদে এখানে লোকবলের চাহিদা রয়েছে ২শ ৩৫ জনের। অথচ এতসংখ্যক লোকবলের বিপরীতে এখানে রয়েছেন মাত্র ৫১ জন। যেখানে শূন্যপদের চাহিদার সংখ্যা ১শ ৮৪ জনের, সেখানে ইনস্টিটিউটটির টেনেটুনে না চলে উপায়ও নেই।

লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, এখানে চিফ ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ১৪টি। আছেন মাত্র ৩ জন। বাকি ১১টি পদ এখনো খালি।

ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৬টি। আছেন মাত্র ৮ জন। বাকি ৩৮ পদ খালি। জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে মোট পদসংখ্যা ৪৫টি। আছেন মাত্র ৫ জন। বাকি ৪০ পদ খালি। ওয়ার্কশপ সুপার পদের সংখ্যা ৩টি। ৩টি পদই খালি। ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টর পদসংখ্যা ১০৮টি। কর্মরত আছেন ২৪ জন, খালি ৮৪।
৩য় শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ৭টি। কর্মরত ৪, খালি ৩টি। ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদসংখ্যা ১১টি। কর্মরত ৭, শূন্য ৪টি। খণ্ডকালীন শিক্ষক আছেন ১২ জন। অধ্যক্ষের পদও খালি। চলছে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে। ল্যাব সংখ্যা ২০টির মতো।

এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. জহিরুল ইসলাম জানান, ল্যাব সংখ্যা ৪০টি হলেও শিক্ষার মান যথাযথ রাখা যাবে। তবে যে কয়টি ল্যাব রয়েছে, সেগুলোতে সরঞ্জামাদি প্রয়োজনীয়সংখ্যক সরবরাহ রয়েছে।

একইসঙ্গে তিনি এটাও জানান, সারাদেশের পলিটেকনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র প্রায় একইরকম। তবে প্রতি বছরই নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি বছর লক্ষ্মীপুর পলিটেকনিকে ৪ জন শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে কাজে যোগ দিয়েছেন ৩ জন।

তিনি আরো জানান, নতুন ল্যাব করার আগে এখানে একটি নতুন ভবন প্রয়োজন। তা হলে ল্যাবসহ ক্লাসরুমের প্রয়োজনও মেটানো যাবে।

 

;

ঢাবি এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদনপত্র আহ্বান



ঢাবি করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমফিল প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে নির্ধারিত ফরমে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অধিদফতর এর বিজ্ঞপ্তি হতে এ তথ্য জানা যায়।

এ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিভাগ/ইনস্টিটিউটের শিক্ষকদের মধ্য থেকে তত্ত্বাবধায়ক নির্বাচন করতে হবে এবং তত্ত্বাবধায়কের অধীনে ও মাধ্যমে এমফিল, গবেষণার জন্য আবেদন করতে হবে। আগামী ২৩ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (https://du.ac.bd) আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে। ভর্তি ফরমের ফিস বাবদ ১০০০/- টাকা আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে জনতা ব্যাংক টিএসসি শাখায় জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র যথাযথভাবে পূরণ করে আগামী ২৩ মে ২০২৪ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে ফিস বাবদ টাকা জমার রশিদের মূলকপি, সকল পরীক্ষার সনদ ও নম্বরপত্রের ফটোকপি এবং সম্প্রতি তোলা ১ (এক) কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক/বিভাগের চেয়ারম্যান/ইনস্টিটিউটের পরিচালক কর্তৃক সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। এছাড়া, গবেষণার একটি রূপরেখা (Synopsis) জমা দিতে হবে।

এতে আরো জানানো হয়, বাংলাদেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ব্যতীত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশ থেকে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) ও মাস্টার্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ভর্তির ক্ষেত্রে আবেদনপত্র গ্রহণের পূর্বে তাদের অর্জিত ডিগ্রির সমতা নিরূপণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমতা নিরূপণ কমিটির আহ্বায়কের (ডিন, জীববিজ্ঞান অনুষদ, কার্জন হল সংলগ্ন) নিকট আবেদন করতে হবে। এম.বি.বি.এস/ সম্মান ডিগ্রিধারী প্রার্থীগণ তাদের ডিগ্রির সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত বিভাগে আবেদন করতে পারবেন।

প্রার্থীদের ক্ষেত্রে জানানো হয়, প্রার্থীর সকল পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় বিভাগ/শ্রেণি এবং CGPA নিয়মে ৫-এর মধ্যে ৩.৫ ও CGPA ৪-এর মধ্যে ৩ থাকতে হবে।

এছাড়াও প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীভুক্ত ও ট্রান্সজেন্ডার প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সকল পরীক্ষায় ন্যূনতম দ্বিতীয় বিভাগ/শ্রেণি থাকতে হবে এবং সিজিপিএ পদ্ধতিতে ৫-এর মধ্যে ৩ এবং ৪-এর মধ্যে ২.৫০ থাকতে হবে।

উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইট (https://du.ac.bd) ভিজিট করে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

;

চবির শাটলের নিচে পড়ে কিশোরের মৃত্যু 



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীদের একমাত্র বাহন শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে দ্বিখন্ডিত হয়ে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তবে তার নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫ টার শাটল ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বটতলী রেলস্টেশনের উদ্দেশ্য ছেড়ে যাচ্ছিলো। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে চট্টগ্রাম পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে পৌঁছালে কিশোরটি শাটল ট্রেনের নিচে পড়ে যায়। এসময় ট্রেনের নিচে পড়ে তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানা যায়, চবির শাটল ট্রেন পিলখানা জামে মসজিদের নিকটে আসলে ওই ছেলে ট্রেনের সামনে পড়ে যায় এবং তার পুরো শরীর দুই ভাগ হয়ে তৎক্ষনাৎ দুর্ঘটনাস্থলেই মারা যায়। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ষোলশহর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ খোরশেদ আলম গণমাধ্যমকে জানান, ‘আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, ছেলেটি ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। তার পুরো শরীর দ্বিখণ্ডিত হয়ে গেছে। তার শরীর ও চেহারা দেখে আমরা যতটুকু বুঝতে পেরেছি, সে বস্তির কোনো ছেলে হবে। কিন্তু এখনও তার পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মরদেহ বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (চমেক) রয়েছে। পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অধ্যাপক ড. নুরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘শাটলের নিচে পড়ে এক কিশোরের মারা যাওয়ার ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগেই জেনেছি। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে। তার পরিচয় শনাক্ত করে পরিবারের কাছে মরদেহ পৌঁছে দেওয়া হবে।



;