ভারত-পাকিস্তান মহারণ আজ



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মুখোমুখি সরফরাজ আহমেদ-রোহিত শর্মা

মুখোমুখি সরফরাজ আহমেদ-রোহিত শর্মা

  • Font increase
  • Font Decrease

‘এই ম্যাচে যে ক্রিকেটার ভাল পারফরমেন্স করতে পারে, সে তার দেশে বড় তারকা হয়ে যায়।’

-কে বলছেন এই কথা?

পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ।

-কোন ম্যাচকে ঘিরে? ভারত বনাম পাকিস্তান।

এশিয়া কাপে বিগম্যাচ আজ ১৯ সেপ্টেম্বর। দুবাইয়ে মুখোমুখি ভারত ও পাকিস্তান। টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে চারদিন আগে, ১৫ সেপ্টেম্বর। এরই মধ্যে চারটি ম্যাচও হয়ে গেছে। আপসেটের শিকার হয়ে শ্রীলঙ্কা বিদায় নিয়েছে। টানা দুই ম্যাচ হেরে হংকংয়ের টুর্নামেন্ট শেষ। সুপার ফোরের লাইনআপ চুড়ান্ত। তবে টুর্নামেন্ট যেন উত্তেজনার খোলস ছেড়ে বেরুচ্ছে আজ বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর। এদিন যে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ!

এই ম্যাচের টিকেট নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়ে গেছে। বিকেল বেলা অফিস থেকে একটু আগেভাগে ফেরার জন্য দরখাস্ত জমা পড়ছে কর্তার টেবিলে। কালোবাজারে চড়া মুল্যে বিক্রি হচ্ছে ম্যাচ টিকেট। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বলে কথা! তাও আবার দুবাইয়ে!

এবারের এশিয়া কাপের আয়োজন ভারত। কিন্তু তারা টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছে পাকিস্তানের ‘হোমগ্রাউন্ড’ হিসেবে পরিচিত সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাটিতে। দুবাইয়ের তীব্র তাপদাহ এবং পাকিস্তানের ভীষন পরিচিত মাঠ-এই দুই অনুষঙ্গকে সুবিধায় নিয়েই আজ পাকিস্তান নামছে ভারতের বিরুদ্ধে। বিরাট কোহলি বিশ্রামে। এই টুর্নামেন্টে ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। সঙ্গে আছেন অভিজ্ঞ মহেন্দ্র সিং ধোনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে যার ব্যাট বরাবরই বেশ ভাল কথা বলে!

তবে ভেুন্য, দুবাইয়ের আবহাওয়ায় মানিয়ে নেয়ার অভ্যাস এবং সব বিভাগে শক্তির ভারসাম্য-এসব বিষয়কে পরিমাপে রাখলে এই ম্যাচে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকছে পাকিস্তান। ব্যাটিং-বোলিংয়ে বেশ ভাল ধার দেখাচ্ছে পাকিস্তানের ওয়ানডে দল। টপঅর্ডার ব্যাটিংয়ে ফকর জামান, বাবর আজম এবং ইমাম-উল-হক ভাল ফর্মে। ওপেনার ফকর জামান বছরখানেক আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভারতকে ছিটকে দিয়েছিলেন ম্যাচ থেকে। চলতি বছর ওয়ানডেতে পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন (প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে) তিনি। শুরুতে তাকে আটকাতে না পারলে এই ম্যাচে বড় বিপদ অপেক্ষা করছে ভারতের জন্য। বাবর আজম আইসিসি র‌্যাঙ্কিংয়ে এখন বিশ্বে দুই নম্বরে অবস্থান করছেন। মিডলঅর্ডারে ইউনিস খানের অবসরের পর বেশ দক্ষতার সঙ্গেই দলের ব্যাটিং সামাল দিচ্ছেন আজম।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/19/1537335609933.jpg

বোলিংয়ে মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে স্পিডষ্টার হিসেবে যোগ দিয়েছেন উসমান খান। সঙ্গে থাকছেন হাসান আলী। এই তিন পাকিস্তানির বলে প্রচুর বৈচিত্র আছে। দুবাইয়ের উইকেট হয়তো পেস বোলারদের জন্য তেমন সহায়ক নয়। তবে এই উইকেট থেকেও কিভাবে সুবিধা আদায় করে নেয়া যায়, কিভাবে বলে রিভার্স সুইং করানো যায়-সেই কায়দা কানুন কিন্তু বেশ ভালই জানা পাকিস্তানি পেসারদের। লেগস্পিনার শাদাব খানও ম্যাচ উইনার বোলার।

ব্যাটিং-বোলিং সবমিলিয়ে পাকিস্তানের এই দলে বিগম্যাচ উইনার ক্রিকেটারের সংখ্যা বেশ। এলিট এই তালিকায় আছেন অভিজ্ঞ শোয়েব মালিকও।

ভারতীয় দলে শুধু বিরাট কোহলি খেলছেন না। বাকি সব তারকারাই আছেন এশিয়া  কাপে। হংকংয়ের বিরুদ্ধে ৩০ ওভার পর্যন্ত ভারতের বোলিংকে তেমন শক্তিশালী কিছু মনে হয়নি। কিন্তু ভারতের এই দলে চাপ সামাল দেয়ার ক্রিকেটারের অভাব সেই। আর সেই কাজটা সবচেয়ে দক্ষতার সঙ্গে করতে পারেন রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। রোহিত হংকং ম্যাচে বড় স্কোর পাননি। কে জানে নিজের সেরাটা তিনি জমিয়ে রেখেছেন বিগম্যাচের জন্যই! আর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে ধোনির পারফরমেন্সে চোখ বুলালে টেনশনে পড়ে যাওয়ার কথা পাক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের। প্রতিপক্ষ হিসেবে পাকিস্তানকে ভীষণ পছন্দ করেন ধোনি। তার পারফরমেন্সই সেই প্রমান দিচ্ছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩০ ইনিংসে ধোনির রান ১২৩০। আছে দুটি সেঞ্চুরি এবং নয়টি হাফসেঞ্চুরি। রান গড় ৫৫.৯!

হংকং ম্যাচে শূণ্য রানে আউট হওয়া ধোনি রানে ফেরার জন্য আজ তার প্রিয় প্রতিপক্ষকে পাচ্ছেন!

এশিয়া কাপে মুখোমুখি লড়াইয়ের পরিসংখ্যানে ভারত কিছুটা এগিয়ে থাকছে। এর আগে ১২টি ম্যাচে ভারত জিতেছে ছয়টিতে। পাকিস্তান পাঁচটিতে। একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে বাতিল হয়েছে। তবে আরব আমিরাতের মাটিতে পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ মানেই পাকিস্তানের জয়ের পাল্লা অনেক ভারী। আমিরাতের মাটিতে উভয় দল মুখোমুখি হয়েছে ২৬ ম্যাচে। পাকিস্তানের জয় ১৯ ম্যাচে। ভারত হেসেছে ৭ ম্যাচে।

আজ কে হাসছে জয়ের হাসি?

   

দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএল বেশি উপভোগ করেন মুস্তাফিজ!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কিছুদিন ধরেই মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘হট টপিক’। তাকে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের সিরিজে খেলানো উচিৎ-এই প্রশ্ন দেশের ক্রিকেট বিভক্ত। খোদ বিসিবিতেই এই ইস্যুতে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। এই যখন পরিস্থিতি, তখন মুস্তাফিজের বাংলাদেশ-সতীর্থ শরিফুল ইসলাম বড়সড় এক বোমাই ফাটালেন বলা চলে।

মুস্তাফিজ জাতীয় দলে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেলতেই নাকি বেশি স্বচ্ছন্দ, এমনটা মনে করেন শরিফুল। কেন এমন ভাবনা তার, খোলাসা করলেন শরিফুল নিজেই, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের থেকে আইপিএলে মোস্তাফিজ ভাই বেশি উপভোগ করে, কারণ ওখানে চাপটা খুব কম আর কী। বাংলাদেশে হয়তো অনেক চাওয়া থাকে। হয়তো একটু খারাপ হলে অনেক চাপ পড়ে।’

পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে যে মুস্তাফিজ বেশ চাপে আছেন তা অস্বীকার করার জো নেই। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজেই তো ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজ অটো-চয়েজ ছিলেন না। তানজিম হাসান সাকিব ক্রমেই জাতীয় দলে পারফরম্যান্স দিয়ে তার জায়গা অনিশ্চিত করে দিচ্ছেন।

অথচ আইপিএলে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই রাজসিকরূপে হাজির হন মুস্তাফিজ। চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে বনে যান ম্যাচসেরা। এরপর থেকে আইপিএলের চলতি আসরে শীর্ষ উইকেটশিকারিদের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে মুস্তাফিজের নাম।

মুস্তাফিজকে আদর্শ মেনেই ক্রিকেটকে আপন করে নেয়া শরিফুলের। সে মুস্তাফিজ খেলছেন আইপিএলের মতো মঞ্চে। সুযোগ এসেছিল তার সামনেও, ডাক পড়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস থেকে। কিন্তু বিসিবি অল্প সময়ের জন্য এনওসি দেবে, তাই তারা আর আলোচনা এগোয়নি।

নিজে খেলতে না পারলেও ঘরে বসে আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলা উপভোগ করছেন শরিফুল, ‘প্রতিটা ম্যাচ দেখি। মোস্তাফিজ ভাইয়ের প্রতিটা বল দেখি। উনার সঙ্গে ম্যাচের পরদিন কথা হয়।’

;

দাবদাহের প্রভাব পড়ল দেশের ফুটবল সূচিতে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে চলছে তীব্র দাবদাহ। সহসাই এই দাবদাহের শেষ দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সূচিতে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)।

যেহেতু দেশের ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচগুলো দিনের আলোতেই হয়, তাই খেলোয়াড় এবং অফিসিয়ালদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে দৃষ্টি রেখে সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

দেশের ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেষ রাউন্ড মাঠে গড়াবে আজ (মঙ্গলবার) ও আগামীকাল (বুধবার)। গতকাল (সোমবার) এই দুই দিনের ম্যাচগুলোর পরিবর্তিত সূচির কথা জানিয়েছে বাফুফে।

বিসিএলের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ায় ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে। এই মাঠে ফ্লাডলাইট থাকায় সেখানে আজ ও আগামীকালের ১টা ১৫ মিনিট ও বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের ম্যাচগুলো চলে গেছে যথাক্রমে বিকেল ৫টা ও রাতে।

তীব্র দাবদাহের কারণে দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচ সূচি পাল্টে দেয়া গেলেও বিপিএল এবং ফেডারেশন কাপের সূচি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আজ বিকেল তিনটায় গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফেড কাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা বাংলাদেশ পুলিশ এফসি ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। কিন্তু কাঠফাটা রোদের মধ্যে দুপুরেই হবে এই ম্যাচ, কারণ শেখ ফজলুক হক মনি স্টেডিয়ামে যে ফ্লাডলাইট নেই!

মূলত এই কারণেই বিপিএলের সূচিতে পরিবর্তন আসছে না। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে না বহু দিন ধরে। সেখানে ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা ছিল। এই ব্যবস্থা আছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। তবে এ ছাড়া বাকি কোনো স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট নেই। সে কারণে সূচিতেও পরিবর্তন আনা যাচ্ছে না, না হলে যে নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ করাটাই পড়ে যাবে শঙ্কায়!

;

ডার্বি জিতে শিরোপা উৎসব করল ইন্টার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তপ্ত এক মিলান ডার্বি জিতে লিগ শিরোপা জয়োৎসব করল ইন্টার মিলান। সান সিরোতে মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে পাঁচ বাকি থাকতেই স্কুদেত্তো ঘরে উঠেছে ইন্টারের। এই ম্যাচের আগে মিলানের দুই ক্লাবেরই সমান ১৯টি করে লিগ শিরোপা ছিল। লিগ শিরোপার সংখ্যার দিক দিয়ে মিলানকে ছাড়িয়ে এখন উড়ছে ইন্টার।

সান সিরো ইন্টার এবং মিলান দুই দলেরই ঘরের মাঠ। তবে এই ম্যাচে মিলান ছিল স্বাগতিক। মাঠে তাই মিলানের সমর্থকই বেশি ছিল। তাদের স্তব্ধ করে দিয়েই মিলানকে ছাড়িয়ে গেছে ইন্টার।

সান সিরোতে শুরু থেকেই দাপট ছিল ইন্টারের। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিল সিমোন ইনজাঘির শিষ্যরা। যার পুরস্কার ১৮ মিনিটেই পেয়ে যায় তারা, ফ্রান্সেসকো আকেরবির গোলে এগিয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে ধেয়ে আসা বলে ফ্লিক করেন বেঞ্জামিন পাভার, তাতে মাথা ছুঁইয়ে ইন্টার সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন আকেরবি।

এই গোলে পাওয়া লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইন্টার। বিরতির মিনিট চারেক পরই আরও এক গোল ইন্টারের। মাঝমাঠ থেকে আসা লং বল ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। ২-০।

মিলানের ইংলিশ ডিফেন্ডার ফিকায়ো টমরি ৮০ মিনিটে একটা গোল শোধ দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ততক্ষণে যে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। শেষদিকে দুই দলের খেলোয়াড়রাই মেজাজ হারিয়েছিলেন, তাতে মিলানের থিও এর্নান্দেজ এবং দাভিদে কালাব্রিয়া ও ইন্টারের ডেনজেল ডামফ্রিসকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।

তাতে অবশ্য ইন্টারের লিগ শিরোপার উৎসবে ভাঁটা পড়েনি। পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে  ১৭ পয়েন্টের লিড নিয়ে লিগ জয়, সেটাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের গায়ে জ্বালা ধরিয়ে-এমন উৎসবের সুযোগ তো আর বারবার আসে না!

;

টানা জয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল রাজস্থান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলের চলতি আসরে নিজেদের সেরা ফর্মেই যেন আছে রাজস্থান রয়্যালস। আট ম্যাচে মাত্র একটিতে হারের দেখা পেয়েছে তারা। এতে ১৪ পয়েন্টের সঙ্গে টেবিল টপার হিসেবে নিজেদের জায়গাটা শক্তভাবেই ধরে রেখেছে সাঞ্জু স্যামসনের দল।

গতরাতে আবারও নিজেদের দাপট দেখিয়ে জয় তুলে নিল রাজস্থান। ঘরের মাঠে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দেওয়া ১৮০ রানের বড় লক্ষ্যও মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে খুব সহজেই টপকে গেল তারা।

এদিন টসে জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সফরকারী মুম্বাই। কিন্তু শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয় তাদের। প্রথম দুই ওভারেই সাজঘরে ফেরত যান মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং ঈশান কিশান। ব্যাট হাতে নিষ্প্রভ ছিল মুম্বাইয়ের টপ ও মিডল অর্ডারের প্রায় সকলেই। তবে তিলক বর্মার ৪৫ বলে ৬৫ এবং নেহাল ওয়াধিরার ২৪ বলে ৪৯ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে দলীয় ১৭৯ রানের সংগ্রহ পায় মুম্বাই।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং জশ বাটলার। ৮ম ওভারে বাটলার ৩৫ রানে সাজঘরে ফিরলেও আরেক ওপেনার জয়সওয়াল এদিন ছিলেন নিজের সেরা ফর্মে। ৬০ বলে ১০৪ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসনকে সঙ্গে নিয়ে ১৯তম ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রাজস্থান।

৯ উইকেটের বিশাল এই জয়ের পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইল রাজস্থান রয়ালস। আট ম্যাচে ৭ জয়ের সঙ্গে ১৪ পয়েন্টের সঙ্গে প্লে-অফে এক পা দিয়েই রেখেছে তারা। অপরদিকে মাত্র ৩টি জয়ের দেখা পেয়ে সাতে অবস্থান করছে মুম্বাই। শীর্ষ চারে জায়গা করে নেওয়াটা তাদের জন্য বেশ কঠিন।

;