জুভদের জয়ের রাতে লালকার্ড দেখলেন রোনালদো
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জুভেন্টাসের হয়ে অভিষেকটা ভুলে যেতে চাইবেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। লালকার্ড দেখে মাঠ ছাড়ার স্মৃতি কি কেউ জমিয়ে রাখে?
ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সেরা আসরে প্রথমবারের মতো লালকার্ড দেখে চোখের জলে মাঠ ছাড়লেন রোনালদো। তবে তার দল ঠিকই তুলে নিয়েছে জয়। প্রায় ৬০ মিনিট একজন কম নিয়ে খেলেও ভ্যালেন্সিয়াকে বুধবার রাতে হারিয়েছে ২-০ গোলে।
পেনাল্টি থেকে জুভদের হয়ে গোল দুটি করেছেন মিরালেম পিয়ানিচ।
গ্রুপ 'এইচ' এর রাতের আরেক ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডও। পল পগবা করেছেন জোড়া গোল। তারা ৩-০ গোলে হারায় ইয়াং বয়েজকে।
ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে দুর্দান্ত খেলে জয় তুলেছে জুভেন্টাস। ম্যাচের শুরুতেই একাধিক সুযোগ মিস না করলে আরো বড় ব্যবধানেই জিততে পারতো দলটি। বিশেষ করে মারিও মানজুকিচ আর সামি খেদিরা হতাশায় ডুবিয়েছেন দলকে।
একইভাবে ২১তম মিনিটে এক এক পলকে দু'বার দলকে বাঁচালেন ভালেন্সিয়ার গোলরক্ষক নেতো। ফেদেরিকোর শট ফেরানোর পরই ব্লেইস মাতুইদির শটও আটকে দেন এই ব্রাজিলিয়ান গোলকিপার।
এরপর ৩১ মিনিটে ১০ জনের দল হয়ে যায় জুভেন্টাস। প্রতিপক্ষের ফুটবলার জেইসন মুরিয়োকে ধাক্কা দিয়ে লালকার্ড দেখেন রোনালদো। আক্ষেপ আর কান্না নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফিফার বর্ষসেরা এই ফুটবলার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের ১৫৪তম ম্যাচে এসে প্রথমবারের মতো লালকার্ড পেয়ে মাঠ ছাড়লেন রোনালদো।
দশজনের দল হলেও আক্রমণ থেকে সরে যায়নি জুভেন্টাস। এ কারণেই হয়তো জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছে তুরিনোর ওল্ড লেডিরা।
৫১তম মিনিটে জুভদের পক্ষে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করেন পিয়ানিচ। ডি-বক্সে লিওনার্দো বোনুচ্চিকে ফাউল করেছিলেন মুরিয়ো। রেফারি এরপরই স্পট কিক দেন। যেখান থেকে গোল করতে ভুল করলেন না পিয়ানিচ। এই ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে ইতালিয়ান জায়ান্টরা।
গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইয়াং বয়েজের মাঠে দাপটে খেলে জয় তুলে নিয়েছে ম্যানইউ। অবশ্য সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে আরো বড় ব্যবধানেই জিততে পারতো রেড ডেভিলরা। ৩৫তম মিনিটে প্রথম গোলটি পান পগবা। ৪৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। আর শেষ গোলটি করেন অ্যান্তোনিও মার্সিয়াল। শেষ পর্যন্ত হাসি মুখে মাঠ ছাড়ে হোসে মরিনহোর দল।