বাংলাদেশের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে ফিলিস্তিন
সেমিফাইনাল ম্যাচটিকে ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরেই চলেছে উন্মাদনা। কক্সবাজারের ফুটবলপ্রেমীরা দুপুরে সূর্য মাথার উপরে নিয়েই হাজির হয়ে যান গ্যালারিতে। ম্যাচ শুরুর আগেই চৌদ্দ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামের গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু পর্যটন নগরীর এই ফুটবল ভক্তদের হতাশ হয়েই মাঠ ছাড়তে হল। পারল না বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের স্বপ্ন ভেঙ্গে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে উঠে গেছে ফিলিস্তিন।
দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুধবার বাংলাদেশকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ফেভারিট ফিলিস্তিন। শুক্রবার শিরোপা লড়াইয়ে তারা তাজিকিস্তানের মুখোমুখি হবে।
প্রথমবার কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে কোন আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ। এ কারণেই দর্শকের আগ্রহের কমতি ছিল না। ওয়ালি ফয়সাল-সুফিলদের খেলা দেখতে গ্যালঅরিতে ছিল উপচে পড়া ভীড়। কিন্তু জেমি ডের শিষ্যরা প্রত্যাশিত ফুটবল খেলতে পারেনি।
জয়ের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ ম্যাচের শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে! খেলার অষ্টম মিনিটে ফিলিস্তিনের মুসাব বাতাতের ভাসানো ক্রসে মোহাম্মদ বালাহ হেড (১-০)। পরের মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করতে যাচ্ছিল ফিলিস্তিন। কিন্তু আব্দুল্লাতিফ আলবাহাদারির হেডে বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।
অবশ্য খেলার ৬০তম আবারো গোল হজম করতে যাচ্ছিল বাংলাদেশ। এবার খালেদ সালেমের শট আটকে দেন তপু বর্মণ। তবে শেষদিকে গোলের জন্য মরিয়া স্বাগতিকরা আরেক গোল খেয়ে বসে। ইনজুরি সময়ে ফিলিস্তিনকে আরো এগিয়ে দেন বদলি ফরোয়ার্ড মারাবাহ সামেহ।
অবশ্য দুই দলের ব্যবধানটাও ছিল স্পষ্ট। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৯৩ ধাপ এগিয়ে ফিলিস্তিন। র্যাঙ্কিংয়ে ফিলিস্তিনের অবস্থান এখন ১০০ এবং বাংলাদেশ ১৯৩ নম্বরে। তারপরও স্বাগতিক বলেই জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু জেতা হলো না।
এনিয়ে চার ম্যাচ খেলে ফিলিস্তিনের সঙ্গে জয়ের মুখ দেখতে পারল না লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। তিনবার হার, একবার ড্রয়ের তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়তে পেরেছিল বাংলাদেশ। ২০০৬ এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অন্য ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়। এবারো জয় অধরা হয়েই থাকল।