জিম্বাবুয়ে সিরিজ; জিতলে হালকা হাততালি, হারলে হায় হায়!
জিতলে; ও জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে জয়, এমনটাই তো হওয়ার কথা ছিল! এ আর অমন নতুন কিছু কি!
হারলে; কি, জিম্বাবুয়ের কাছে হার! মান-ইজ্জত আর রইল না! আসলে এটাই আমাদের সত্যিকারের শক্তি!
জিম্বাবুয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগে হিসাব-নিকেষের সমীকরণ ঠিক এমনই। আর তাই যারা এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ কেন এত বেশি সিরিয়াস-এই চিন্তায় ভ্রু কুচকাচ্ছেন তাদের জন্য মোক্ষম উত্তর হতে পারে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মতুর্জা এই মন্তব্য-‘সবার প্রত্যাশা, আমরা জিতবো এবং জেতার আশাই করছে সবাই। হয়তো জিতবে সবাই বলবে, এটাই হওয়ার কথা ছিল। হারলে কিন্তু সবাই ভিন্ন কথা বলবে।’
এশিয়া কাপে ভাল পারফরমেন্স দেখানোর পর এখন দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এই সিরিজটা বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জের নাম-পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা। তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসানকে ছাড়া দল হিসেবে ভাল পারফর্ম করার দক্ষতা দেখানো। সাম্প্রতিক শক্তি ও পরিসংখ্যানের বিচারে জিম্বাবুয়ের এই দলটি বাংলাদেশের সামনে পাত্তা পাওয়ার কথা নয়। তবে সিরিজ শুরুর আগে এভাবে পরিস্কার এগিয়ে থাকা নিয়ে বাড়তি কোন আত্মতুষ্ঠিতে ভুগছেন না অধিনায়ক মাশরাফি। তাই এই দলের খেলোয়াড়রা যেন সিরিজ জেতার আগাম গ্যারান্টির সুখে গা না ভাসিয়ে দেন- সেদিকেও অধিনায়কের সতর্ক চোখ। সেই প্রসঙ্গে সিরিজ শুরুর আগে মাশরাফি ২০ অক্টোবর, শনিবার দুপুরে বলছিলেন-‘এশিয়া কাপে আমরা যে ভালো ক্রিকেট খেলে এসেছি, তারপর এই ধরনের সিরিজ খেললে এবং সেটা যদি খারাপ হয় তবে অনেক কথা উঠে। মনের মধ্যে উঠা এই একটি কথাই সিরিজ শুরুর আগে চাপ সৃষ্টি করতে পারে। সেই সমস্যা যাতে দেখা না দেয়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। জিম্বাবুয়ের কাছে এমন না যে আমরা কখনো হারিনি বা হারতে পারবো না, এমন কিছুই না। ওদের যেই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছে, এখানে একজন খেলোয়াড় দি সেঞ্চুরি করে তবে সেটা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটের সেঞ্চুরি হিসেবেই গণ্য হবে। কেউ যদি ম্যাচে পাঁচ উইকেট পায়, তবে সেটা তার আর্ন্তজাতিক ক্যারিয়ারে পাঁচ উইকেটের অর্জন হিসেবেই গণ্য করা হবে। প্রতিপক্ষ যেই হোক, যেমনই হোক না কেন-আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এমন কিছু অর্জন করা কঠিন কাজ। দলের একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার কাছে এই সিরিজটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা সিরিজ। তাছাড়া জিম্বাবুয়ে এই সিরিজে তাদের সেরা দল পাঠিয়েছে। তাই এই সিরিজে আমাদের চ্যালেঞ্জের মাত্রাটাও বাড়ছে।’
প্রতিপক্ষ জিম্বাবুয়ে হোক বা অস্ট্রেলিয়া; এটা আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট। আর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট তো ‘আর্ন্তজাতিক’ মেজাজ নিয়েই খেলা উচিত!
-আর্ন্তজাতিক মেজাজ?
জয় এবং জয়!