ইমরুলের ঝড়ো সেঞ্চুরি, বাংলাদেশ ২৭১



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মুশফিকের সঙ্গে ইমরুল কায়েস

মুশফিকের সঙ্গে ইমরুল কায়েস

  • Font increase
  • Font Decrease

আদর্শ শুরু বলতে যা বোঝায় তা পায়নি বাংলাদেশ। ১৭ রানে নেই দুই উইকেট। মুশফিক-মিঠুন ভাল শুরু করেও ইনিংসটা লম্বা করতে পারেননি। ২৮ ওভারে ১৩৭ রানে ৫ উইকেট হারানো বাংলাদেশ শঙ্কায় ছিল দুশো কি পেরুবে দল?

সেই দল ৫০ ওভার শেষে তুলল ২৭১ রান। ব্যাটিংয়ে নিজের কমফোর্ট জোন ফিরে পেয়ে ইমরুল কায়েস সেঞ্চুরি হাঁকালেন। এটি তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১৪০ বলে ১৪৪ রানের তার এই ইনিংস পেছনের অনেক ‘বলা না বলা’ কথার জবাব হয়ে গেল। সম্ভবত এখন অনেকদিন দলে জায়গা হারানোর ভয় তাকে না পেলেও চলবে! যেভাবে খেলছিলেন তাতে মনে হচ্ছিল ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে তামিম ইকবালের ১৫৪ রানের সর্বোচ্চ রান রেকর্ডটা ভেঙ্গে যাচ্ছে। কিন্তু তামিমের সেই রেকর্ড থেকে সামান্য দুরুত্বে এসে থামলেন ইমরুল। তার ১৪৪ রানের ইনিংস ওয়ানডেতে এখন বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের মর্যাদা পাচ্ছে। ঠিক সমান এই রান নিয়ে মুশফিকুর রহিমও এই তালিকায় এখন যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে।

শেষের পাঁচ ওভারে ইমরুল কায়েস ও সাইফুদ্দিন ব্যাট হাতে যা করলেন তাকে এককথায় বলে-ঝড়! ৪৫ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৬ উইকেটে ২১৫ রান। শেষের পাঁচ ওভারে বাংলাদেশ ছক্কা-চারের ঝড় তুলে আরো ৫৬ রান যোগ করে। শেষের এই অংশে মিরপুরের দর্শকরা টি-টুয়েন্টির ব্যাটিং দেখলেন।

ক্যারিয়ারের তৃতীয় এই সেঞ্চুরির পথে যোগ্য সঙ্গী হিসেবে ইমরুল পান সাইফুদ্দিনকে। লোয়ার অর্ডারে ম্যাচ ফিনিসারের খোঁজ চালাচ্ছে বাংলাদেশ অনেকদিন ধরে। সাইফুদিনের ৬৯ বলে ৫০ রানের ইনিংস জানান দিল-এই খোঁজের তালিকায় তার নামও রাখতে হবে!

শুরুটা মোটেও ভাল হয়নি বাংলাদেশের। লিটন দাস শুরু থেকেই যেভাবে ছটফট করছিলেন তাতেই স্পষ্ঠ হয়-সমস্যায় পড়ছেন তিনি। বারদুয়েক শর্ট বলে পুল করার চেষ্টা চালান। ব্যাটে-বলে হয়নি। কাভারে একবার ক্যাচ দিয়েও রক্ষা পান। তবে সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। উইকেট ছেড়ে মারতে বেরিয়ে এসে নিজেই ‘হারিয়ে’ গেলেন। ১৪ বলে তার ৪ রানের ইনিংস বা আউটের ধরন-কোনকিছুতেই প্রশংসা পাওয়ার মতো কিছুই যে নেই!

দলীয় ১৬ রানে ভাঙলো ওপেনিং জুটি।

জীবনের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ফজলে রাব্বী কোন রানই করতে পারলেন না। মিরপুরের এই উইকেটে শুরুতে পেস বোলাররা একটু বাড়তি সুবিধা পাবেন এটা জেনেই জিম্বাবুয়ে আক্রমণের শুরুতে বেশ কিছু বল ঠুকে দেয়। তেমনই এক ঠুকে দেয়া বলের লাইন থেকে সরে দাড়াতে পারেননি ফজলে রাব্বী। বল তার ব্যাটের কোনা ছুঁয়ে উইকেটের পেছনে যায়। উইকেটরক্ষক ব্রেন্ডন টেইলর হাইজাম্পের কায়দায় লাফিয়ে উঠে একহাতে সেই ক্যাচ নেন। বেচারা ফজলে রাব্বীর অভিষেক ওয়ানডে শূণ্য রানেই শেষ।

১৭ রানে বাংলাদেশ হারালো ২ উইকেট।

শুরুর সেই ধাক্কার পর প্রতিরোধ ইমরুল কায়েস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। উইকেটে শুরুর তেজও ততক্ষণে কমে এসেছে। এই জুটিতে বাংলাদেশের রান যেভাবে সামনে বাড়ছিলো তাতে মনে হচ্ছিল ঠিক পথে ফিরে এসেছে দলের ইনিংস। শুরুতে অস্বস্তিতে থাকা ইমরুল কায়েস উইকেটে জমে যান। ত্রিপানোর বলে সাইটস্ক্রিনের ওপর তার প্রথম ছক্কাটা জানিয়ে দিল-এই ম্যাচে ‘বড়কিছু’ করতেই নেমেছেন তিনি। মুশফিকের ব্যাটিং সবসময়ে সৌন্দর্য্য ছড়ায়। এই ম্যাচেও তাড়াহুড়ো করছিলেন না। কিন্তু লেগস্পিনার মাভুতার যে বলে মুশফিক আউট হলেন সেটা মোটেও উইকেট নেয়ার মতো কোন বল নয়। উইকেটের পেছনে ক্যাচটা নিয়েই ব্রেন্ডন টেইলর উৎসবে মেতে উঠেন। কিন্তু আম্পায়ার তাতে সায় দেননি। সঙ্গে সঙ্গে টেইলর কোনদিকে না তাকিয়ে রিভিউ’র আবেদন জানান। রিভিউতে দেখা গেল বল মুশফিকের ব্যাটের নিচের অংশের কোনা ছুঁয়ে এসেছে! ১৫ রান করে মুশফিক আউট।

৬৬ রানে ৩ উইকেট হারালো বাংলাদেশ।

মোহাম্মদ মিঠুন শুরুটাই করেন আক্রমনের তোড়ে। প্রেসবক্স এন্ডের দিকে সিকান্দার রাজাকে টানা দুই বলে দুটো ছক্কা হাঁকান দর্শনীয় কায়দায়। যাকে বলে ক্লিন এন্ড সুইট সিক্স! তবে তার আউটের ধরনটাও হল আনাড়ি মার্কা। জায়গায় দাড়িয়ে কাইল জার্ভিসের বলে আসলে কি করতে হবে এটা নিয়ে দোটানায় পড়ে খোঁচা মেরে বসলেন। উইকেটের পেছনে টেইলের গ্লাভসে আরেকটি ক্যাচ জমা পড়ল। ৪০ বলে ৩৫ রান তুলে মোহাম্মদ মিঠুন আউট। চতুর্থ উইকেটে ৭১ রানের জুটি ভাঙ্গল।

১৩৭ রানে হারালো বাংলাদেশ ৪ নম্বর উইকেট।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ স্কোরারদের বেশি কষ্ট দিলেন না। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন কোন রান না করেই। খানিকবাদে তাকে অনুসরণ করলেন মেহেদি মিরাজ। এই দুজনেই একই বোলারের বলে আউট। আউটের ধরণও প্রায় একই। উইকেটের পেছনে তাদের ক্যাচও নিলেন সেই একই জন- ব্রেন্ডন টেইলর।

১৩৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তাহলে বড় বিপদে!

তবে সেই শঙ্কা উড়ে গেল ইমরুল কায়েসের সেঞ্চুরি ও সাইফুদ্দিনের ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরির ইনিংসের সামনে। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুজনে মিলে ১২৭ রান যোগ করলেন। এই একটা জুটিই বদলে দিলো ইনিংসে চালচিত্র।

শুরুতে এবং মাঝে শঙ্কায় থাকা বাংলাদেশ শেষের ঝড়ে নির্ভার প্রায়।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ: ২৭১/৮ (৫০ ওভারে, লিটন ৪, ইমরুল ১৪৪, ফজলে রাব্বী ০, মুশফিক ১৫, মিঠুন ৩৭, মাহমুদউল্লাহ ০, মেহেদি ১, সাইফুদ্দিন ৫০, মাশরাফি ২*, মুস্তাফিজ ১*, জার্ভিস ৪/৩৭, চাতারা ৩/৫৫)

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮১ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

পিছিয়ে পড়েও আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;