স্পট ফিক্সিং : সন্দেহের তালিকায় বাংলাদেশের ম্যাচও!
একের পর এক বিস্ময়কর খবর জানাচ্ছে আল-জাজিরা। ক্রিকেটে ম্যাচ গড়াপেটা নিয়ে আরো একবার এক্সক্লুসিভ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে কাতারভিত্তিক এই টিভি চ্যানেলটি। রোববার তাদের বিশেষ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে আরো ১৫টি ম্যাচ। চ্যানেলটির রিপোর্টে সন্দেহের তীরে আছে বাংলাদেশের একটি ম্যাচও!
আল জাজিরা তাদের গোপন অনুসন্ধানে জানিয়েছে ২০১১ থেকে ২০১২ সাল, এই দুই বছরে ১৫টি ম্যাচে স্পট ফিক্সিং হয়েছিল।
গোপন ক্যামেরা নিয়ে বিভিন্ন অভিযানে সেই গড়াপেটার তথ্য তারা তুলে এনেছে টেলিভিশনস চ্যানেলটি। দুঃখজনক হলেও সত্য-এবার বাংলাদেশের নামও জড়িয়ে গেছে। বলা হচ্ছে ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের জেতা ম্যাচেও নাকি হয়েছিল স্পটফিক্সিং। ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় চট্টগ্রামের জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
টাইগারদের এই ম্যাচ ছাড়াও তালিকায় রয়েছে ২০১১ সালেের ইংল্যান্ড-ভারত লর্ডস প্রথম টেস্টও। যেখানে ভারত হেরেছিল ১৯৬ রানের বড় ব্যবধানে। সন্দেহের তালিকায় যে ১৫টি ম্যাচ আছে তার বেশির ভাগই ইংল্যান্ড আর অস্ট্রেলিয়ার।
যদিও এর আগেও তাদের বিপক্ষে এমন অভিযোগ উঠেছিল। তখন ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড তেমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছিল। এবার এনিয়ে এখনো মুখ খুলেনি তারা। আল জাজিরাই জানায়, তাদের সন্দেহে থাকা ১৫টি ম্যাচে ২৬বার ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠে এসেছে। প্রতিটিই ছিল স্পট ফিক্সিং। মানে ম্যাচের ছোট ছোট ঘটনা নিয়ে গড়াপেটা হয়েছে!
২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে শুধু বাংলাদেশের ম্যাচ নয়-সন্দেহের তালিকায় আছে অস্ট্রেলিয়া-জিম্বাবুয়ে, ইংল্যান্ড-নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রেলিয়া-কেনিয়া, ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচও আছে। প্রতিবেদনে বলা হয় ২০১২ ইংল্যান্ড-পাকিস্তান টেস্ট সিরিজেও স্পট ফিক্সিং হয়েছে। একই বছরের টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের তিনটি ম্যাচেও স্পট ফিক্সিং হয়েছে বলে দাবী করেছে আল জাজিরা।
এদিকে আল জাজিরার নতুন এই ডকুমেন্টারি রিপোর্টের পর আইসিসির পক্ষ থেকে এনিয়ে তথ্য-প্রমাণাদি জন্য আপিল করা হয়েছে। তবে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থার অাবেদনে এখনো সাড়া দেয়নি আল জাজিরা কর্তৃপক্ষ! আইসিসির অ্যান্টি করাপশন ইউনিট এনিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
পাশাপাশি আল জাজিরার পক্ষ থেকে করা এই নতুন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ইংল্যান্ড আর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের দাবী কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই করা হয়েছে এই প্রতিবেদন! তারপরও দুটো বোর্ডই নিজেদের মধ্যে এই অভিযোগগুলো নিয়ে তদন্ত করবে।