সৌম্য-ইমরুলের সেঞ্চুরির সঙ্গী অনেক রেকর্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
সৌম্য সরকার ও  ইমরুল কায়েস

সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস

  • Font increase
  • Font Decrease

সুযোগ পেলে সেটাকে কিভাবে কাজে লাগাতে হয়-সেই প্রমানটা আরেকবার দিলেন সৌম্য সরকার। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দলে জায়গা পাননি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অধিনায়কত্বের সুযোগ পান। সেই ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে সৌম্য নির্বাচকদের সুনজরে পড়েন। সৌম্যর অধিনায়কত্বে সেই প্রস্তুতি ম্যাচেও বড় জয় পায় বিসিবি একাদশ। ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে তাকে জাতীয় লিগের মাঝপথ থেকে উড়িয়ে আনা হয়। ম্যাচে নেমে সৌম্য এখানেও সেঞ্চুরি হাঁকালেন! সঙ্গী ওপেনার ইমরুলও সেঞ্চুরির উৎসবেই সামিল হলেন তার সঙ্গে। এই ম্যাচে অবশ্য সৌম্য ওপেনার হিসেবে খেলেননি। ওয়ানডাউন ব্যাটসম্যান হিসেবে নামেন। তবে তাকে খেলতে হয়েছে ইনিংসের দ্বিতীয় বলটা। কারণ বাংলাদেশ ইনিংসের প্রথম বলেই ওপেনার লিটন দাস আউট হয়ে যান!

ম্যাচ জিততে টার্গেট জিম্বাবুয়ের ২৮৬ রানকে বড় টার্গেটই মানতে হবে। প্রথম বলেই আবার ওপেনার লিটন দাসকে হারানোর পর এই বড় টার্গেটকে যেন আরো বড় মনে হচ্ছিল। কিন্তু সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস সেই বড় টার্গেটকে যেন পুরোপুরি দুধ-ভাত বানিয়ে ছাড়লেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তার যোগ করলেন ২২০ রান। এই জুটিতে এটি বাংলাদেশের নতুন রেকর্ড। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব ও তামিমের গড়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে চলতি বছরের ২২ জুলাইয়ের ২০৭ রানের রেকর্ডকে সরিয়ে দেন সৌম্য ও ইমরুল জুটি। শুধু তাই নয়, ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের যে কোন উইকেট জুটিতে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। এই তালিকায় সবচেয়ে বেশি ২২৪ রানের রেকর্ড জুুটিটি গড়েছেন সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, ২০১৭ সালের ৯ জুন, কার্ডিফে।

ওয়ানডেতে এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির তৃতীয় নজিরও দেখল জিম্বাবুয়েকে হারানোর এই ম্যাচে বাংলাদেশ। সৌম্যর ১১৭ রানের সঙ্গে ইমরুল কায়েসের ৯৯ বলের সেঞ্চুরি। ওয়ানডে তে এর আগে এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরির কৃতিত্ব প্রথম দেখান মুশফিকুর রহিম ও তামিম ইকবাল জুটি, ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জেতা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ২০১৭ সালের ৯ জুনের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান সেঞ্চুরি করেন। চট্টগ্রামে ২৬ জুন, এক ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে জোড়া সেঞ্চুরির এলিট তালিকায় নাম লেখালেন দুই বাঁহাতি সৌম্য সরকার ও ইমরুল কায়েস।

তিন ম্যাচের সিরিজে জিম্বাবুয়ের বোলিংকে নিয়ে ইমরুল কায়েস যা করেছেন তার নাম- ছেলেখেলা! প্রথম ম্যাচে ১৪৪ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে ৯০ রান। তৃতীয় ম্যাচেও সেঞ্চুরি। তিন ম্যাচের এক সিরিজে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের নুতন রেকর্ডও ইমরুল কায়েসের। এতদিন ৩১২ রানের এই রেকর্ডটা ছিল তামিম ইকবালের। সেটাকে ছাড়িয়ে গেলেন ইমরুল তার সেঞ্চুরির এই ইনিংস খেলার পথেই।

এই ম্যাচের পর নিশ্চয়ই তামিমের কাছ থেকে একটা ফোন পাবেন ইমরুল; অভিনন্দন জানিয়ে ফোন!

   

নাহিদের ৫ উইকেটের দিনে মোহামেডানের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে শাইনপুকুরের কাছে ডিএলএস মেথডে ৬ উইকেটে হেরে গেছে মোহামেডান। ৫ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরকে জয় এনে দিয়েছেন তরুণ গতিতারকা নাহিদ রানা।

মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় মোহামেডান। ওপেনার ইমরুল কায়েস ফিফটি পেলেও টপ এবং মিডল অর্ডারের অন্য ব্যাটাররা তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি। ৫৬ রান করে ইমরুল থেমেছেন হাসান মুরাদের বলে বোল্ড হয়ে।

মোহামেডানের টপ এবং মিডল অর্ডার একাই গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নাহিদ রানা। ১০ ওভারে ৪৫ রান খরচায় ৫ উইকেট ঝুলিতে পোরেন এই পেসার।

লোয়ার অর্ডারে আবু হায়দার রনির ৫৫ বলে ৫১ রানের লড়াকু ইনিংসের সুবাদে দুইশ ছাড়ায় মোহামেডানের সংগ্রহ। ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২২৭ রান স্কোরবোর্ডে জমা করে সাদাকালোরা।

রান তাড়ায় শাইনপুকুরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম এবং জিসান আলম। ৩৬ বলে সমান ৩৬ রান করেন তানজিদ, ১৫ বলে ১ চার এবং ৩ ছক্কায় ২৬ রান আসে জিসানের ব্যাটে।

শাইনপুকুরের ইনিংসের মাঝপথে বৃষ্টি হানা দিলে তাদের কাজটা আরও সহজ হয়ে যায়। ৩০ ওভারে লক্ষ্য নেমে আসে ১৫৮ রানে।

অধিনায়ক আকবর আলির ২০ বলে ২৭ রানের ক্যামিওতে ১৪ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শাইনপুকুর। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন নাহিদ।

ডিপিএলের চলতি মৌসুমে ১০ ম্যাচ শেষে মোহামেডান এবং শাইনপুকুরের পয়েন্ট সমান ১৪। নেট রানরেটে এগিয়ে থাকায় তিনে রয়েছে শাইনপুকুর, চার মোহামেডান।

;

ভারতের বিপক্ষে মেয়েদের দলে দুই পরিবর্তন



Apon tariq
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে প্রস্তুতির অংশ হিসেবে পাঁচ টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশ সফর করবে ভারতীয় নারী ক্রিকেট দল। আগামী ২৩ এপ্রিল বাংলাদেশে পা রাখবে তারা। এই সিরিজের জন্য এরই মধ্যে দল ঘোষণা করেছে ভারত। এবার বাংলাদেশও সিরিজকে সামনে রেখে ১৫ সদস্যের দল চূড়ান্ত করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ফারজানা আক্তার লিসা এবং সুমাইয়া আক্তার দলে তাদের জায়গা হারিয়েছেন। তাদের বদলে দলে ডাক পেয়েছেন রুবয়া হায়দার ঝিলিক ও ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকি।

২৮ এপ্রিল মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-ভারত টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বাকি চারটি ম্যাচ যথাক্রমে ৩০ এপ্রিল, ২ মে, ৬ মে ও ৯ মে।

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দল

নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, সোবহানা মুশতারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, রাবেয়া, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, শরিফা খাতুন, দিলারা আক্তার, রুবয়া হায়দার ঝিলিক, হাবিবা ইসলাম পিংকি

স্ট্যান্ডবাই: সুমাইয়া আক্তার, নিশিতা আক্তার নিশি

;

হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হলেন মুশতাক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লঙ্কান রঙ্গনা হেরাথের উত্তরসূরি পাকিস্তান থেকে বেছে নিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে হেরাথের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন পাকিস্তানের স্পিন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিসিবি।

বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের কোচিং প্যানেল বড় রদবদল হয়েছে। হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে এবং সহকারী কোচ নিক পোথাস বাদে কোচিং প্যানেলের অন্য সদস্যরা তাদের চুক্তির মেয়াদ শেষের পর দায়িত্ব ছাড়েন। শ্রীলঙ্কার সাবেক স্পিনার হেরাথও তখন বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেন।

পরে অবশ্য হেরাথকে ফেরাতে চেয়েছিল বিসিবি। বছরে ২০০ দিন কাজের অভিনব এক প্রস্তাবও দিয়েছিল। তবে হেরাথ তাতে সাড়া দেননি। যার ফলে নতুন স্পিন বোলিং কোচ খুঁজতে হয় বিসিবিকে। মুশতাক আহমেদকে নিয়োগের মধ্যে সে খোঁজাখুঁজির কাজ শেষ হল।

মুশতাক আহমেদের খেলোয়াড়ি জীবন ছিল বর্ণাঢ্য। পাকিস্তানের ১৯৯২ বিশ্বকাপজয়ী দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪০০’র বেশি উইকেট রয়েছে এই ঘূর্ণিবাজের।

২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকিয়ে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ায় মনোযোগী হন মুশতাক। ২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের স্পিন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেন, ২০১৪ পর্যন্ত সে পদে ছিলেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন মেয়াদে পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ জাতীয় দলের কোচিং প্যানেলেও কাজ করেছেন। আইপিএল এবং কাউন্টি ক্রিকেটেও কোচিংয়ের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।

;

সহজ জয়ে ফেড কাপের সেমিতে বসুন্ধরা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেডারেশন কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে বসুন্ধরা কিংসের সামনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। যে রহমতগঞ্জের সঙ্গে আগের ১২ সাক্ষাতে কোনো হার নেই, তাদের মোকাবিলায় চ্যালেঞ্জ কী! সহজ কাজটা সহজেই সেরেছে কিংস। দুই অর্ধের দুই গোলে রহমতগঞ্জকে হারিয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে গেছে তারা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম বাঁশি থেকেই ছিল বসুন্ধরার দাপট। ২৪ মিনিটে সে দাপটের পুরস্কারও পেয়ে যায় তারা। ২৪ মিনিটে রবসনের লে অফে বক্সের বাইরে থেকে নেয়া বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে বসুন্ধরাকে এগিয়ে দেন সোহেল রানা। ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বসুন্ধরা।

বিরতির পর টনক নড়ে রহমতগঞ্জের। ৪৮ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগও পেয়েছিল তারা। ডান পাশ থেকে মোহাম্মদ রকির ক্রস থেকে গোলের মুখে ফাঁকায় সুযোগ পেয়ে গিয়েছিলেন দাউদা সিসে। তবে সে সুযোগ হেলায় হারান রহমতগঞ্জের এই ফুটবলার।

সুযোগ নষ্টের মূল্য দ্বিতীয় গোল হজম করে চুকাতে হয় রহমতগঞ্জকে। ৬২ মিনিটে রবসন রবিনিওর লব করে বাড়ানো বলে গোলরক্ষককে একা পেয়ে যান এমফন উদোহ। তার আলতো চিপে বোকা বনেন রহমতগঞ্জ গোলরক্ষক। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা।

শেষ বাঁশি পর্যন্ত এই স্কোরলাইন ধরে রেখে মোহামেডানের পর দ্বিতীয় দল হিসেবে ফেডারেশন কাপের শেষ চারের টিকিট পায় বসুন্ধরা।

;