মোহামেডানকে চমকে দিল বসুন্ধরা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মৌসুমের শুরুতেই হোঁচট খেল মোহামেডান

মৌসুমের শুরুতেই হোঁচট খেল মোহামেডান

  • Font increase
  • Font Decrease

মোহামেডান ২ : বসুন্ধরা ৫
শেখ জামাল ২ : নোফেল ১

বাতাসে শীতের পরশ। সোমবার দিনভর আকাশ মেঘলা ছিল। কখনো বা হালকা বৃষ্টিও এনে এসেছে। এরইমধ্যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপ ফুটবলে চমকে দিল বসুন্ধরা কিংস। প্রথমবারের মতো মৌসুম শুরুর টুর্নামেন্টে খেলতে নেমেই হারিয়ে দিয়েছে মোহামেডানকে।

‘ডি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মতিঝিলের ক্লাবটিকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে বসুন্ধরা। এই গ্রুপে দিনের আরেক ম্যাচে নবাগত দল নোফেলকে ২-১ গোলে হারিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। সলোমন কিং ও শাখাওয়াত হোসেন রনির গোলে শুভসূচনা করেছে দলটি।

শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দাপট ধরে রেখে ম্যাচ জিতেছে বসুন্ধরা। তবে স্রোতের বিপরীতে প্রথম গোলটা হজম করতে হয়েছে তাদেরই। ১৮তম মিনিটে গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড ল্যান্ডিং দারবোয়ি গোলে এগিয়ে যায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব।

অবশ্য দশ মিনিট যেতেই খেলায় সমতা ফেরায় বসুন্ধরা। দলের কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস পেনাল্টি গোল করতে ভুল করলেন না! মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে ডি বক্সের মধ্যে মিন্টু শেখ ফাউল করলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বসুন্ধরা।

খেলার ৬৬তম ফের লিড নিয়েছিল মোহামেডান। পেনাল্টি থেকে ল্যান্ডিং দারবোয়ি গোল করলে উল্লাসে মাতে সাদা-কালো শিবির। চিগোজিকে ডি-বক্সের মধ্যে মিতুল ফাউল করলে পেনাল্টি দেন রেফারি।

এরপর ৭১তম মিনিটে সমতায় ফেরায় বসুন্ধরা। গোলদাতা দলের স্প্যানিশ ফুটবলার হোর্হে ব্লাস। কিন্তু তিন মিনিট যেতেই দশজনের দলে পরিণত হয় মোহামেডান। তকলিস আহমেদ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে চলে যান মাঠের বাইরে!

বাকী সময়ে দশজনের দল নিয়ে প্রতিপক্ষের সঙ্গে আর পারেনি মোহামেডান। ৭৮তম মিনিটে বসুন্ধরা কিংসকে এগিয়ে দেন মতিন মিয়া (৩-২)। তারপর ইনজুরি সময়ে জোড়া গোল তুলে নেন বসুন্ধরা কিংসের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মার্কোস সিলভা।

ওয়ালটন ম্যাচসেরা ফুটবলার হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের কোস্টারিকান রিক্রুট ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস।

   

ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ফেরার দরজা বন্ধ: নারাইন



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সুনীল নারাইনের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সতীর্থরা চায়, আবার জাতীয় দলে ফিরুন এই অলরাউন্ডার। কিন্তু নারাইনের সিদ্ধান্ত ইস্পাতদৃঢ়, জাতীয় দলের জার্সি আর গায়ে না চড়ানোর সিদ্ধান্তে এখনো অটল তিনি।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন নারাইন। এখন বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। একসময় লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করা নারাইন এখন মারকুটে ওপেনার। সঙ্গে দুর্ধর্ষ স্পিন বোলিং তো রয়েছেই।

চলতি আইপিএলে দারুণ ছন্দে রয়েছেন নারাইন। আইপিএলের এবারের আসরে পেয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ব্যাট করে তার রান ২৮৬, স্ট্রাইক রেট ১৭৬-এর বেশি।

বল হাতে ৭ ম্যাচে পেয়েছেন ৯ উইকেট। বোলিং গড়ও মন্দ নয়, ৭.১১। তার এমন পারফরম্যান্স দেখে রাজস্থান রয়্যালসে খেলা তার ক্যারিবিয়ান সতীর্থ রভম্যান পাওয়েল বলেছিলেন, ‘গত ১২ মাস ধরে নারাইনকে জাতীয় দলে ফেরার কথা বলছি। কিন্তু ও কারো কথা কানে তুলছে না।’

তবে এবার আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থ ও ভক্তদের জবাব দিয়েছেন নারাইন। আইপিএলে তার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের মাধ্যমে পাঠানো আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে নারাইন বলেছেন, ‘জেনে ভীষণ আনন্দ ও গর্ব হচ্ছে যে, আমার পারফরম্যান্স দেখে অনেকে অবসর ভেঙে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার জন্য বলছেন। কিন্তু নিজের নেওয়া সিদ্ধান্তের সঙ্গে সমঝোতা হয়ে গেছে আমার। আর হতাশ হতে চাই না। (জাতীয় দলে ফেরার) দরজা এখন পুরোপুরি বন্ধ।’ 

দেশের জার্সি আর গায়ে চড়ালেও বিশ্বকাপে তাদের সমর্থন দেবেন নারাইন, ‘জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে যারা মাঠে নামবে তাদের নিশ্চিত সমর্থন করবো আমি।’

;

দেশের হয়ে খেলার চেয়ে আইপিএল বেশি উপভোগ করেন মুস্তাফিজ!



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেশ কিছুদিন ধরেই মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘হট টপিক’। তাকে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যেতে দেয়া উচিৎ নাকি জিম্বাবুয়ের সিরিজে খেলানো উচিৎ-এই প্রশ্ন দেশের ক্রিকেট বিভক্ত। খোদ বিসিবিতেই এই ইস্যুতে রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মত। এই যখন পরিস্থিতি, তখন মুস্তাফিজের বাংলাদেশ-সতীর্থ শরিফুল ইসলাম বড়সড় এক বোমাই ফাটালেন বলা চলে।

মুস্তাফিজ জাতীয় দলে খেলার চেয়ে আইপিএলে খেলতেই নাকি বেশি স্বচ্ছন্দ, এমনটা মনে করেন শরিফুল। কেন এমন ভাবনা তার, খোলাসা করলেন শরিফুল নিজেই, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশের থেকে আইপিএলে মোস্তাফিজ ভাই বেশি উপভোগ করে, কারণ ওখানে চাপটা খুব কম আর কী। বাংলাদেশে হয়তো অনেক চাওয়া থাকে। হয়তো একটু খারাপ হলে অনেক চাপ পড়ে।’

পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলে যে মুস্তাফিজ বেশ চাপে আছেন তা অস্বীকার করার জো নেই। সবশেষ শ্রীলঙ্কা সিরিজেই তো ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি দলে মুস্তাফিজ অটো-চয়েজ ছিলেন না। তানজিম হাসান সাকিব ক্রমেই জাতীয় দলে পারফরম্যান্স দিয়ে তার জায়গা অনিশ্চিত করে দিচ্ছেন।

অথচ আইপিএলে গিয়ে প্রথম ম্যাচেই রাজসিকরূপে হাজির হন মুস্তাফিজ। চেন্নাই সুপার কিংসের প্রথম ম্যাচে ৪ উইকেট নিয়ে বনে যান ম্যাচসেরা। এরপর থেকে আইপিএলের চলতি আসরে শীর্ষ উইকেটশিকারিদের আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে মুস্তাফিজের নাম।

মুস্তাফিজকে আদর্শ মেনেই ক্রিকেটকে আপন করে নেয়া শরিফুলের। সে মুস্তাফিজ খেলছেন আইপিএলের মতো মঞ্চে। সুযোগ এসেছিল তার সামনেও, ডাক পড়েছিল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস থেকে। কিন্তু বিসিবি অল্প সময়ের জন্য এনওসি দেবে, তাই তারা আর আলোচনা এগোয়নি।

নিজে খেলতে না পারলেও ঘরে বসে আইপিএলে মুস্তাফিজের খেলা উপভোগ করছেন শরিফুল, ‘প্রতিটা ম্যাচ দেখি। মোস্তাফিজ ভাইয়ের প্রতিটা বল দেখি। উনার সঙ্গে ম্যাচের পরদিন কথা হয়।’

;

দাবদাহের প্রভাব পড়ল দেশের ফুটবল সূচিতে



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে চলছে তীব্র দাবদাহ। সহসাই এই দাবদাহের শেষ দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় দেশের ঘরোয়া ফুটবলের সূচিতে পরিবর্তন আনতে হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে)।

যেহেতু দেশের ঘরোয়া ফুটবলের ম্যাচগুলো দিনের আলোতেই হয়, তাই খেলোয়াড় এবং অফিসিয়ালদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে দৃষ্টি রেখে সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।

দেশের ফুটবলের দ্বিতীয় বিভাগ বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের শেষ রাউন্ড মাঠে গড়াবে আজ (মঙ্গলবার) ও আগামীকাল (বুধবার)। গতকাল (সোমবার) এই দুই দিনের ম্যাচগুলোর পরিবর্তিত সূচির কথা জানিয়েছে বাফুফে।

বিসিএলের ম্যাচগুলো মাঠে গড়ায় ঢাকার কমলাপুর স্টেডিয়ামে। এই মাঠে ফ্লাডলাইট থাকায় সেখানে আজ ও আগামীকালের ১টা ১৫ মিনিট ও বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটের ম্যাচগুলো চলে গেছে যথাক্রমে বিকেল ৫টা ও রাতে।

তীব্র দাবদাহের কারণে দ্বিতীয় বিভাগের ম্যাচ সূচি পাল্টে দেয়া গেলেও বিপিএল এবং ফেডারেশন কাপের সূচি পরিবর্তনের সুযোগ নেই। আজ বিকেল তিনটায় গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ফেড কাপের তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার কথা বাংলাদেশ পুলিশ এফসি ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের। কিন্তু কাঠফাটা রোদের মধ্যে দুপুরেই হবে এই ম্যাচ, কারণ শেখ ফজলুক হক মনি স্টেডিয়ামে যে ফ্লাডলাইট নেই!

মূলত এই কারণেই বিপিএলের সূচিতে পরিবর্তন আসছে না। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলা হচ্ছে না বহু দিন ধরে। সেখানে ফ্লাডলাইটের ব্যবস্থা ছিল। এই ব্যবস্থা আছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। তবে এ ছাড়া বাকি কোনো স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট নেই। সে কারণে সূচিতেও পরিবর্তন আনা যাচ্ছে না, না হলে যে নির্ধারিত সময়ে খেলা শেষ করাটাই পড়ে যাবে শঙ্কায়!

;

ডার্বি জিতে শিরোপা উৎসব করল ইন্টার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উত্তপ্ত এক মিলান ডার্বি জিতে লিগ শিরোপা জয়োৎসব করল ইন্টার মিলান। সান সিরোতে মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়ে পাঁচ বাকি থাকতেই স্কুদেত্তো ঘরে উঠেছে ইন্টারের। এই ম্যাচের আগে মিলানের দুই ক্লাবেরই সমান ১৯টি করে লিগ শিরোপা ছিল। লিগ শিরোপার সংখ্যার দিক দিয়ে মিলানকে ছাড়িয়ে এখন উড়ছে ইন্টার।

সান সিরো ইন্টার এবং মিলান দুই দলেরই ঘরের মাঠ। তবে এই ম্যাচে মিলান ছিল স্বাগতিক। মাঠে তাই মিলানের সমর্থকই বেশি ছিল। তাদের স্তব্ধ করে দিয়েই মিলানকে ছাড়িয়ে গেছে ইন্টার।

সান সিরোতে শুরু থেকেই দাপট ছিল ইন্টারের। আত্মবিশ্বাসে টগবগ করছিল সিমোন ইনজাঘির শিষ্যরা। যার পুরস্কার ১৮ মিনিটেই পেয়ে যায় তারা, ফ্রান্সেসকো আকেরবির গোলে এগিয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে ধেয়ে আসা বলে ফ্লিক করেন বেঞ্জামিন পাভার, তাতে মাথা ছুঁইয়ে ইন্টার সমর্থকদের আনন্দের উপলক্ষ্য এনে দেন আকেরবি।

এই গোলে পাওয়া লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ইন্টার। বিরতির মিনিট চারেক পরই আরও এক গোল ইন্টারের। মাঝমাঠ থেকে আসা লং বল ধরে ঠাণ্ডা মাথায় বল জালে পাঠিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। ২-০।

মিলানের ইংলিশ ডিফেন্ডার ফিকায়ো টমরি ৮০ মিনিটে একটা গোল শোধ দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু ততক্ষণে যে বড্ড দেরি হয়ে গেছে। শেষদিকে দুই দলের খেলোয়াড়রাই মেজাজ হারিয়েছিলেন, তাতে মিলানের থিও এর্নান্দেজ এবং দাভিদে কালাব্রিয়া ও ইন্টারের ডেনজেল ডামফ্রিসকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয়।

তাতে অবশ্য ইন্টারের লিগ শিরোপার উৎসবে ভাঁটা পড়েনি। পাঁচ ম্যাচ হাতে রেখে  ১৭ পয়েন্টের লিড নিয়ে লিগ জয়, সেটাও আবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের গায়ে জ্বালা ধরিয়ে-এমন উৎসবের সুযোগ তো আর বারবার আসে না!

;