অভিষেকেই ফাইনালে বসুন্ধরা কিংস
উত্তেজনায় ঠাসা এক ম্যাচ! আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ সব কিছুরই দেখা মিলল, শুধু গোল ছাড়া! অথচ ফুটবল গোলেরই খেলা। অার নকআউট ম্যাচের নিস্পত্তি গোল ছাড়া অসম্ভব। তেমনই লড়াইয়ে মঙ্গলবার চমকে দিল বসুন্ধরা কিংস। ফেডারেশন কাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়েই উঠে গেল ফাইনালে। শেষ রাসেল ক্রীড়া চক্রের স্বপ্ন ভেঙ্গে দলটি উঠে গেছে মৌসুমের প্রথম ফুটবল টুর্নামেন্টের সেরা দুইয়ে।
টাইব্রেকারের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল লড়াই। শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত সময়ের শেষ দিকে এসে নিশানা খুঁজে নেন বসুন্ধরার বদলি ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে ১-০ গোলে জেতে নবাগত এই দলটি।
শুক্রবার ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বসুন্ধরা প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেডকে।
উত্তেজনা ছড়ানো দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে কিছুতেই দেখা মিলছিল না গোলের। তবে পুরোটা সময় কিংসের ফুটবলারদেরই দাপট চোখে পড়ল। আর প্রতিবারই হতাশ হয়েছেন মাঠে হাজির কিংসের দর্শকরা। ভাগ্যটাও যেন সঙ্গে ছিল না তাদের। না হলে ৫৯তম মিনিটে দলের কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার পোস্টে চুমু খেয়ে কেন বাইরে চলে যাবে? কেনই বা ৮৪তম মিনিটে দলের স্প্যানিশ ডিফেন্ডার হোর্হে গতোর ব্লাসের শট ক্রসবারে লেগে ফিরবে?
নির্ধারিত ৯০ মিনিট খেলা গোলশূন্য থাকার পর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। তারপর ম্যাচের ১১৮তম মিনিটে বসুন্ধরা কিংসের তৌহিদুল আলম সবুজ গোল করেন সেই মহামূল্যবান গোলটি। অভিষেকেই দলটি পেয়ে যায় ফাইনালের টিকিট। অথচ এই ম্যাচটি খেলারই কথা ছিল না সবুজের। ইনজুরিতে ছিলেন তিনি। কিন্তু সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করলেন সবুজ।
ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব পাবে ৫ লাখ আর রানার্স-আপ দল ৩ লাখ টাকা প্রাইজমানি। একইসঙ্গে প্রতিটি দল ২ লাখ টাকা করে অংশগ্রহণ ফি পাচ্ছে।