ক্রিকেটের মাশরাফি এবং রাজনীতির মাশরাফি



এম.এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখলেন মাশরাফি

নতুন এক অধ্যায়ে পা রাখলেন মাশরাফি

  • Font increase
  • Font Decrease

অন্তত ক্রিকেট নিয়ে তাকে কখনো বিতর্কে পড়তে হয়নি। একেবারে একপেশে সমর্থন, ভালবাসা পেয়ে আসছেন ক্যারিয়ার জুড়ে। ক্রিকেট মাঠে নেতা হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নাতীত। তিনি মাশরাফি বিন মর্তুজা।

নেতৃত্বের জন্য একটা কাল্ট ফিগার লাগে, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেকদিন ধরে ছিলো না। মাশরাফি সেই শূন্যতা পুরণ করেন। ক্রিকেটের মাশরাফি সবার সামনে নির্ভরতার অন্য নাম। খোলা একটা বই। প্রানখুলে সবার সঙ্গে মিশতে পারেন। তার সঙ্গে মনের আনন্দ নিয়ে মুর্হূতেই মিশে যেতে পারে আমজনতা। ক্রিকেট বোর্ডের কর্তাদেরও অগাধ আস্থা মাশরাফির নেতৃত্বে। ক্রিকেট মাঠে তার উপস্থিতিই পুরো দলের মেজাজ, শারীরিক ভাষা বদলে দেয়। দলকে উদ্বীপ্ত করার একটা অকল্পনীয় যাদুকরি প্রভাব আছে তার! কোন সন্দেহ নেই, বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন পর্যন্ত যত ক্রিকেটার পেয়েছে তার মধ্যে সার্বিক বিচারে সবচেয়ে প্রভাবী ক্রিকেটার হলেন মাশরাফি। ম্যাচে তার ব্যক্তিগত পারফরমেন্সের চেয়ে নের্তৃত্বগুনের প্রভাবটাই বেশি বিকশিত।

ক্রিকেট মাঠে তার একটা সার্বজনীন গ্রহণযোগ্যতা আছে। মাশরাফি যে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে সব ম্যাচ জিতেছেন তাও নয়। তারপরও তিনি সবার অকুণ্ঠ ভালবাসা, সমর্থন পেয়েছেন, তার কারণ; তার মধ্যেই মানুষ নিজেকে খুঁজেছে। নিজেকে পেয়েছেও! শক্তিশালীর বিপক্ষে জেতার এবং জিততে শেখার জেদ পেয়েছে। সেই সঙ্গে জেনেছে হেরে যাওয়া মানেই কোনকিছুর শেষ নয়; বরং নতুন করে উঠে দাড়ানোর শুরু যে সেটাই!

মাশরাফির ক্রিকেট জীবনই তো সেই শিক্ষার সবকিছু জুড়ে। দুই হাঁটুতে সবমিলিয়ে সাতবার অস্ত্রোপচারের পরও একজন ক্রিকেটার কিভাবে বছরের পর বছর অক্লান্ত ভঙ্গিতে খেলে চলেছেন। দাঁতে দাঁত চেপে ইনজুরিকে হারিয়ে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। প্রতিটা বল করার আগে পায়ের ব্যান্ডেজ ঠিক করে দৌড়াচ্ছেন। ব্যাথা হচ্ছে, কিন্তু মুখে হাসি নিয়ে লড়ছেন! ভালই জানেন থেমে গেলেই যে ‘ম্যাচ শেষ’! তাই চোট নিয়েও দৌড়াচ্ছেন। স্বপ্ন দেখছেন। স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। কণ্ঠের রগ ফুলিয়ে মাঠের একাদশকে বলছেন হারার আগে যেন হার নয়! মাঠে লড়ছেন এই এগারো। আর মাঠের বাইরে যে পুরো বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে। মাশরাফির পাশে; হাততালিতে, সমর্থনে, হৃদয়ের সব আবেগ উজাড় করে!

ক্রিকেট বুঝে এমন সংখ্যা বাংলাদেশে নেহাৎ কম নয়। আবার না বুঝেও চেঁচায় এমন সংখ্যাও হাতে গুনে শেষ করা যাবে না। এখানে একটা ছোট্ট ক্রিকেটীয় ভুলই যে অনেক বড় শূল! বাংলাদেশে সমালোচনার মুখে পড়েননি এমন কোন ক্রিকেট অধিনায়ককে খুঁজে পাওয়া দুঃস্কর। এখানেও বড় ব্যতিক্রম অধিনায়ক মাশরাফি। অধিনায়ক মাশরাফির নের্তৃত্ব কখনোই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি। তার সময়ে যে বাংলাদেশ খারাপ ক্রিকেট খেলেনি, তাও কিন্তু নয়। বাজে খেলেছে। হেরেছে। এমনকি টানাও হেরেছে। কিন্তু তারপরও মাশরাফির মধ্যেই সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণের পথ খুঁজেছে বাংলাদেশ। মাঝে একবার শুধু টি-টুয়েন্টিতে তার নেতৃত্ব নিয়ে কিছু অপরিণত চিন্তা ও গোঁজামিলে ভরা পরিকল্পনার পথে হাঁটে বিসিবি। মাশরাফি তখনই নিজেকে টি-টুয়েন্টি থেকে সরিয়ে নেন। সেই বিসিবি’ই এক সময় তাকে টি-টুয়েন্টিতে ফিরে আসার জন্য অনুনয় বিনয় পর্যন্ত করে। কিন্তু মর্যাদার মুল্যায়নটাই মাশরাফির কাছে সবচেয়ে বড় ট্রফির নাম। মাশরাফি টি-টুয়েন্টিতে আর ফিরলেন না। তবে ঠিকই জিতলেন ক্রিকেটীয় ‘মর্যাদার ম্যাচ’।

দর্শক-সমর্থক, মিডিয়া, সতীর্থ, ক্লাব বা বিসিবি-কখনোই কোথাও থেকে নিজের ক্রিকেট নিয়ে মাশরাফি কখনোই প্রশ্নের মুখে পড়েননি। তবে রাজনীতিতে যোগ দেয়া মাশরাফি বিন মর্তুজা এখন নিশ্চয়ই সেই ‘ওয়াকওভার’ বা ‘বাই’ পাবেন না। ক্রিকেট মাঠে অনেক শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলেছেন মাশরাফি। সেখানে হয়তো প্রতিপক্ষের সঙ্গে তাকে চোখে চোখ রেখে লড়তে হয়েছে। কিন্তু গালি শুনতে হয়নি। ম্যাচ শেষে হ্যান্ডশেক করার মধ্যেই শেষ মাঠের যতো বিরোধ। তবে রাজনীতির মাঠে বিরোধীতা ও কদর্যতা কেমন-সেটা মাশরাফি প্রথম পদক্ষেপ থেকেই টের পাচ্ছেন। এক বীরশ্রেষ্ঠের সহধর্মিনীর মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাস্টাস দিয়েছিলেন তিনি। প্রতিক্রিয়ায় সেখানে সাড়ে আট হাজার মন্তব্যে পড়ে। যার মধ্যে হাজার হাজার গালাগালি! কি ভয়াবহ কুৎসিত, কদর্য প্রতিক্রিয়া!

ক্রিকেট জীবনে এমনকিছু দেখতে হয়নি তাকে। কিন্তু রাজনৈতিক জীবনে প্রথম সপ্তাহে কদাকার, অরুচিকর, অসুন্দর অনেককিছুর সঙ্গেও সাক্ষাত হয়ে গেল তার। ভাবছেন এটাই শেষ। তাহলে আপনার ভাবনায় বড় ভুল। অসুন্দরের এই ইনিংস সবে তো শুরু!

মাশরাফি চ্যালেঞ্জ নিতে জানেন। লড়াই জিততে পারেন। মাশরাফির স্পর্শে এই অসুন্দরও সুন্দর হোক। আরো অনেকের মতো এই আমরাও হাততালি দিয়ে সেদিন অধিনায়ককে আরেকবার অভিনন্দনের অপেক্ষায়!

   

চট্টগ্রাম টেস্ট দেখা যাবে ১০০ টাকায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ। ৩২৮ রানে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন শান্তরা। ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট। সে ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করতে চট্টলার দর্শকদের কেমন খরচ হতে পারে, তা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি।

বিসিবির বিবৃতি অনুযায়ী সবচেয়ে দামি টিকিট গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের। সে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে গুণতে হবে আপনাকে ১০০০ টাকা। এছাড়া রুফটপ হসপিটালিটির টিকিটও মিলবে সমান দামেই। আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। ক্লাব হাউজের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিট পাওয়া যাবে ২০০ টাকায়। সর্বনিম্ন দাম ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডে। সেখানকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলোও হয়েছিল চট্টগ্রামে। তবে ওয়ানডের তুলনায় একই মাঠে টেস্টের টিকিটমূল্য তুলনামূলক কম। ওয়ানডের চেয়ে টেস্টে টিকিটমূল্য প্রায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

টিকিটের প্রাপ্তিস্থানও জানিয়েছে বিসিবি। বিটাক মোড়ের কাছে সাগরিকা টিকেট কাউন্টারে পাওয়া যাবে টিকিট। পাওয়া যাবে ম্যাচের আগের দিন ও ম্যাচের দিন সকাল ৯:৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৪:৩০টা পর্যন্ত।

;

নিজের অবসর প্রসঙ্গে জানালেন লিওনেল মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা এবং সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন, তিনি লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ফুটবল খেলে যতরকম সাফল্য অর্জন করা যায়, বিশ বছরের ক্যারিয়ারে তার প্রায় সবই নিজের নামে করে নিয়েছেন মেসি। সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাটা তুলে ধরে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

এত সাফল্যমণ্ডিত ও বর্নাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের মাঝে খারাপ সময়ও পার করতে হয়েছে তাকে। একের অধিকবার ফাইনালে নিজের দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ তাকে ভেতর থেকে যন্ত্রণা দিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬- টানা তিন বছর তিনটি আন্তর্জাতিক ফাইনালে হারের পর হতাশায় তো ফুটবল থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন।

তবে হার মেনে নেওয়ার সময় সেটি ছিল না, তার আরও কিছু অর্জন করার বাকি, দেশের জন্য এবং নিজের জন্যও, এমনটাই তার মন বলছিল। তাইতো ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে আবারও ফিরে এলেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপেও তাকে হতাশা হজম করতে হয়েছে। তবুও থেমে থাকেননি মেসি, নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছেন মাঠের খেলায়, দেশের জন্য।

২০২১ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবার আর্জেন্টিনার জন্য আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা হাতে তুলে নেন মেসি। তখনই হয়তো বুঝেছিলেন যে আরও কিছু অর্জন বাকি আছে তার। কোপার শিরোপার পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে জিতে নিলেন ফিনালিসিমার ট্রফিটাও। শেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও পেল মেসির হাতের স্পর্শ। ফুটবল যেন পূর্ণতা পেল ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর রাতে।

অনেকে ধরেই নিয়েছিল বিশ্বকাপ অর্জনের পর হয়তো ফুটবলকে বিদায় জানাবেন লিওনেল মেসি। তবে না, নিজের ক্যারিয়ারটা আরেকটু দীর্ঘ করতে চান তিনি। আপাতত ২০২৪ কোপা আমেরিকাতে খেলবেন এমনটা নিশ্চিত করেছেন এই ফুটবল জাদুকর।

সম্প্রতি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমবিসি’র ‘বিগ টাইম পডকাস্টে’ কথা বলেন তিনি। সেখানেই জানিয়েছেন কবে নিবেন অবসর। মেসি বলেন, ‘অবসরের মুহূর্তটা কেমন হবে জানি, যখন টের পাব আর পারফর্ম করতে পারছি না। নিজেকে উপভোগ করছি না, সতীর্থদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না। আমি বুঝি কখন আমি ভালো খেলছি, কখন খারাপ খেলছি। যখন আমার মনে হবে এখন সেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া সময় হয়েছে, আমার বয়স কত সেটি মনে না রেখেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেব।’

ঠিক কবে অবসরে যাবেন এটি না বললেও মেসির কথা থেকে এটি পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে, এখনই থামছেন না তিনি। যতদিন সম্ভব নিজেকে টেনে নিতে থাকবেন ফুটবল স্বর্গেরাজ্যের অনন্য এক উচ্চতায়।  

;

দি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতারা আটক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন আগে আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আনহেল দি মারিয়া হত্যার হুমকি পান। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কিছুটা আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে তার পরিবার এবং আত্মীয়দের মধ্যে। গতকাল সেই হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ ও তাদের বিশেষ ইউনিট পিডিআই।

আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ জানিয়েছেন, এই হুমকি দেওয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। দি মারিয়াকে হুমকি দেওয়ায় তাকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে।

রোজারিওতে নিজ বাসায় তার পরিবারের উদ্দেশে হত্যার হুমকি সম্বলিত বার্তা দিয়ে যায় শহরের দুর্ধর্ষ মাদক চোরাকারবারিরা। সোমবার ভোরে হুমকি–সংবলিত কাগজ লিখে ছুঁড়ে ফেলে যায় অজ্ঞাত একটি দল। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা সেই কাগজে দি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, ‘আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নরও এই ফুটবলারের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না।‘

পাবলো আকোত্তো এই হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিন হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

;

মুম্বাই-হায়দরাবাদ ম্যাচে যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে বুধবার রাতের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচটি দীর্ঘদিন মনে থাকবে বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের। এই ম্যাচেই বিশ্ব ক্রিকেট দেখল একাধিক রেকর্ড। এদিন দুই ইনিংস মিলে মোট রান হয়েছে ৫২৩। ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে প্রায়ই যে রানের দেখা মিলে, আইপিএলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই ম্যাচেই তা দেখা গেল।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট হাতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে হায়দরাবাদ, যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে রান তাড়ায় ২৪৬ রান তোলে মুম্বাই। এতে ৩১ রানের জয় পায় ‘টিম অরেঞ্জ’।

৫২৩ রানের এই ম্যাচে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছাড়াও হয়েছে অনন্য সব রেকর্ড। সেসব রেকর্ডে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের করা এই ম্যাচে ২৭৭ রানের সংগ্রহ আইপিএলের ১৭ আসরের সর্বোচ্চ। এতদিন রেকর্ড ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দখলে। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল তারা। তার এক দশক পেরিয়ে আজ রেকর্ডটি ভেঙে দিল হায়দরাবাদের।

ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

হায়দরাবাদের ২৭৭ এর বিপরীতে মুম্বাইয়ের ২৪৬ রান। এতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান ৫২৩। যা শুধু আইপিএল নয়, স্বীকৃত যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আইপিএলের গত রাতের ম্যাচটি এখানে পেছনে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৫১৭ রানের আগের রেকর্ডটি।

সবচেয়ে বেশি ছক্কা

দুই দল মিলিয়ে এই ম্যাচে ছক্কা হাঁকিয়েছে মোট ৩৮টি। এটা ক্রিকেটের যেকোনো ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড, বিশ্ব রেকর্ডই বলা যায়। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল জাওয়ানানের মধ্যকার ম্যাচে ৩৭টি ছক্কা নিয়ে।

সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি

দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৬৯টি বাউন্ডারি হয়েছে এ ম্যাচে, ৩৮টি ছক্কার ও ২১টি চার। যা আইপিএলের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ড। যৌথভাবে এই রেকর্ড ধরে আছে ২০১০ আসরের চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচটি।

;