উইন্ডিজকে উড়িয়ে বাংলাদেশের বদলা!



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
মিরাজের স্পিনে কুপোকাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ

মিরাজের স্পিনে কুপোকাত ওয়েস্ট ইন্ডিজ

  • Font increase
  • Font Decrease

এই ম্যাচের ফল কি হতে যাচ্ছে সেই আভাষ মিলে ছিলো দ্বিতীয়দিনের শেষে। তৃতীয় দিনের সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ফলোঅনে পড়ার পর স্পষ্ট হয়ে উঠে- ম্যাচে বড় ব্যবধানেই হারছে তারা। লাঞ্চের পর এই ম্যাচের তখন একটাই অপেক্ষা- কখন হারছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ!

সেই অপেক্ষা ফুরালো তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে, চা বিরতির জন্য বাড়িয়ে দেয়া সময়ে। ইনিংস ও ১৮৪ রানে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ ‘বদলার টেস্ট সিরিজ’ শেষ করলো ২-০ তে জিতে। বাংলাদেশের ৫০৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ইনিংস শেষ হয় ১১১ ও ২১৩ রানে। ম্যাচে উভয় ইনিংস মিলিয়ে ১১৭ রানে ১২ উইকেট নিয়ে অফ স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ সেরা শিকারি। টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো এক ম্যাচে ১০ বা তার চেয়ে বেশি উইকেট পেলেন মেহেদি। বাংলাদেশের হয়ে টেস্টে এটি সেরা বোলিংয়ের নতুন রেকর্ড। আগেরটি ছিলো ১৫৯ রানে ১২ উইকেট। সেই রেকর্ডটিও গড়েছিলেন মেহেদি হাসান মিরাজই, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৬ সালের অক্টোবরে। নিজের সেই শ্রেষ্ঠত্বকেই ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ছাড়িয়ে গেলেন মেহেদি মিরাজ। টেস্টে এটি বাংলাদেশের ১৩তম জয়। এই প্রথমবারের মতো কোন প্রতিপক্ষকে ইনিংসের ব্যবধানে হারালো বাংলাদেশ। টেস্টে এটাই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়।

প্রশ্ন উঠতে পারে এই সিরিজকে ‘বদলার টেস্ট সিরিজ’ এমন নামকরণ কেন করা হচ্ছে?

চলতি বছরের জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে যায় বাংলাদেশ। সেই সফরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে বাংলাদেশকে হারায় ২-০ তে, একেবারে একতরফা ভঙ্গিতে! দুটি ম্যাচই উইন্ডিজ জিতে তিনদিনের মধ্যে। টেস্টে নিজেদের সর্বনিম্ন ৪৩ অলআউটের লজ্জাও সেই সিরিজে পেয়েছিলো বাংলাদেশ। দ্বিতীয় মেয়াদে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে সাকিব আল হাসানের সেই সিরিজে বাংলাদেশ দাঁড়াতেই পারেনি। উড়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুরন্ত পেস বোলিংয়ের ঝড়ে।

নিজ মাটিতে এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পেয়ে সেই হারের বদলা নিলেন সাকিব যেন গুনে গুনে! একেবারে যাকে বলে হিসেব চুকিয়ে দেয়া; সেটাই করে দেখালো বাংলাদেশ এই টেস্ট সিরিজে। তাও আবার বছর না ফুরাতেই, পাঁচমাসের মধ্যে হিসেব বরাবর করে দিলো বাংলাদেশ।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটি থেকে টেস্ট সিরিজ এর আগেও জিতেছিলো বাংলাদেশ। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ তে হারিয়ে বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে টেস্ট সিরিজ জিতেছিলো। ৯ বছর পর এবার নিজ মাটিতেইও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে দিয়ে টেস্ট সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ।

চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ জিতেছিলো ৬৪ রানে। ঢাকায় জিতলো পুরোপুরি একতরফা ভঙ্গিতে। ইনিংস ও ১৮৪ রানে জয়ের ব্যবধান তো বাংলাদেশের হয়ে সেই প্রমানই দিচ্ছে।

চট্টগ্রামের মতো ঢাকায়ও স্পিনেই বধ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের গড়া ৫০৮ রানের বিশাল রানের পেছনে ছুটতে নেমে সেই যে হোঁচট খেলো আর মুখ তুলে দাড়াতে পারলো না। দ্বিতীয়দিনের শেষ বিকালে ৭৫ রানে ৫ উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয়দিনের সকালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে খুব বেশি কিছু করে ফেলবে এমন আস্থাও ছিলো না। যথারীতি সেই ধারণাকে সত্যি করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস ধ্বসে পড়লো মাত্র ১১১ রানে। মেহেদি মিরাজ ৭ এবং সাকিব আল হাসান ৩ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ করে দিলেন। এই ইনিংসে তাইজুল ইসলাম মাত্র এক ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পান!

ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে নামা উইন্ডিজ ফের মহা সঙ্কটে পড়ে। লাঞ্চের আগেই তারা ৪ উইকেট হারিয়ে বসে। তারপরও এই ম্যাচ এতদুরে গেলো তার পুরো কৃতিত্ব শুধু একজনের-শিমরন হেটমায়ার। মিডলঅর্ডার এই ব্যাটসম্যান ভিন্ন কৌশল নিলেন। অনায়াসে যার নাম দেয়া যেতে পারে; ‘ছক্কা মিশন’! পাল্টা আক্রমন বেছে নিলেন। সাকিবকে এক ওভারেই হাঁকালেন তিন ছক্কা। ৯২ বলে তার ৯৩ রানের ইনিংসে ছক্কার শট ৯টি। বাউন্ডারি মাত্র ১টি। প্রশংসা পাওয়ার মতো ইনিংস। তবে তার সেই চেষ্টা ওয়েস্ট ইন্ডিজের ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি; শুধু হারের সময়কে একটু দীর্ঘ করেছে।

প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও মেহেদি মিরাজের স্পিনেই কাটা পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংসে তার শিকার ৫৮ রানে ৭ উইকেট। দ্বিতীয় দফায় ৫৯ রানে ৫ উইকেট। ম্যাচে ১২ উইকেট পাওয়া মেহেদি মিরাজ ছিলেন এই টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানদের সামনে আনপ্লেয়েবল! সাদমানের চমৎকার অভিষেক। সাকিবের অলরাউন্ড নৈপূন্য। মাহমুদউল্লাহর চৌকষ ব্যাটিং। লিটনের আনন্দদায়ক হাফসেঞ্চুরি। সব ছাড়িয়ে সব ছাপিয়ে ঢাকা টেস্টে অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজই ছিনিয়ে নিলেন স্পটলাইট!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ১ম ইনি: ৫০৮/১০ (১৫৩.৬ ওভারে, সৌম্য ১৯, সাদমান ৭৬, মুমিনুল ২৯, মিঠুন ২৯, সাকিব ৮০, মুশফিক ১৪, মাহমুদউল্লাহ ১৩৬, লিটন ৫৪, মিরাজ ১৮, তাইজুল ২৬, নাঈম ১২*, অতিরিক্ত ১৫, রোচ ২/৬১, লুইস ১/৬৯, চেজ ১/১১১, বিশু ২/১০৯, ওয়ারিক্যান ২/৯১, ব্রাফেট ২/৫৭)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনি: ১১১/১০ (৩৬.৪ ওভারে, হেটমায়ার ৩৯, ডারউইচ ৩৭, সাকিব ৩/২৭, মিরাজ ৭/৫৮)। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনি: ২১৩/১০ (ফলোঅনেক পড়ে ৫৯.২ ওভারে, হোপ ২৫, হেটমায়ার ৯৩, বিশু ১২, রোচ ৩৭*, লুইস ২০, মিরাজ ৫/৫৯, তাইজুল ৩/৪০, সাকিব ১/৬৫, নাঈম ১/৩৪)।

ফল: বাংলাদেশ ইনিংস ও ১৮৪ রানে জয়ী।

সিরিজ: ২ ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-০তে জয়ী
ম্যাচসেরা: মেহেদী হাসান মিরাজ
সিরিজসেরা: সাকিব আল হাসান

   

আইসিসির এলিট প্যানেলে প্রথম বাংলাদেশি আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বহুকাল বাংলাদেশের আম্পায়াররা ছিলেন পাদপ্রদীপে আড়ালে। তবে সেদিন গত হয়েছে। দিনকয়েক আগে বাংলাদেশের চারজন নারী আম্পায়ার এবং একজন নারী রেফারি আইসিসির ডেভেলপমেন্ট প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলেন। এবার আইসিসির এলিট প্যানেলের অংশ হলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা।

আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে আইসিসির এলিট প্যানেলে যুক্ত হয়েছেন শরফুদ্দৌলা।

২০০৬ সাল থেকে আইসিসির ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে আম্পায়ার হিসেবে কাজ করছেন শরফুদ্দৌলা। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন তিনি।

এখন পর্যন্ত ১০ টেস্ট, ৬৩ ওয়ানডে এবং ৪৪ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেন শরফুদ্দৌলা। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এই আম্পায়ার।

এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ার খবর পেয়ে আইসিসিকে শরফুদ্দৌলা বলেন, ‘আইসিসির এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়া অত্যন্ত সম্মানের বিষয়। বাংলাদেশ থেকে প্রথম আম্পায়ার হিসেবে এলিট প্যানেলের সদস্য হওয়ায় উপলক্ষটা আরও বিশেষ হয়েছে। আমি এই আস্থার প্রতিদান দিতে চাই।’

এদিকে আইসিসির এলিট রেফারি প্যানেলের কলেবর ছোট করে ৬ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। বাদ পড়েছেন ২০০৩ সাল থেকে এই প্যানেলের সদস্য ক্রিস ব্রড।

;

চট্টগ্রাম টেস্ট দেখা যাবে ১০০ টাকায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ। ৩২৮ রানে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন শান্তরা। ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট। সে ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করতে চট্টলার দর্শকদের কেমন খরচ হতে পারে, তা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি।

বিসিবির বিবৃতি অনুযায়ী সবচেয়ে দামি টিকিট গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের। সে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে গুণতে হবে আপনাকে ১০০০ টাকা। এছাড়া রুফটপ হসপিটালিটির টিকিটও মিলবে সমান দামেই। আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। ক্লাব হাউজের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিট পাওয়া যাবে ২০০ টাকায়। সর্বনিম্ন দাম ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডে। সেখানকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলোও হয়েছিল চট্টগ্রামে। তবে ওয়ানডের তুলনায় একই মাঠে টেস্টের টিকিটমূল্য তুলনামূলক কম। ওয়ানডের চেয়ে টেস্টে টিকিটমূল্য প্রায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

টিকিটের প্রাপ্তিস্থানও জানিয়েছে বিসিবি। বিটাক মোড়ের কাছে সাগরিকা টিকেট কাউন্টারে পাওয়া যাবে টিকিট। পাওয়া যাবে ম্যাচের আগের দিন ও ম্যাচের দিন সকাল ৯:৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৪:৩০টা পর্যন্ত।

;

নিজের অবসর প্রসঙ্গে জানালেন লিওনেল মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা এবং সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন, তিনি লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ফুটবল খেলে যতরকম সাফল্য অর্জন করা যায়, বিশ বছরের ক্যারিয়ারে তার প্রায় সবই নিজের নামে করে নিয়েছেন মেসি। সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাটা তুলে ধরে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

এত সাফল্যমণ্ডিত ও বর্নাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের মাঝে খারাপ সময়ও পার করতে হয়েছে তাকে। একের অধিকবার ফাইনালে নিজের দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ তাকে ভেতর থেকে যন্ত্রণা দিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬- টানা তিন বছর তিনটি আন্তর্জাতিক ফাইনালে হারের পর হতাশায় তো ফুটবল থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন।

তবে হার মেনে নেওয়ার সময় সেটি ছিল না, তার আরও কিছু অর্জন করার বাকি, দেশের জন্য এবং নিজের জন্যও, এমনটাই তার মন বলছিল। তাইতো ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে আবারও ফিরে এলেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপেও তাকে হতাশা হজম করতে হয়েছে। তবুও থেমে থাকেননি মেসি, নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছেন মাঠের খেলায়, দেশের জন্য।

২০২১ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবার আর্জেন্টিনার জন্য আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা হাতে তুলে নেন মেসি। তখনই হয়তো বুঝেছিলেন যে আরও কিছু অর্জন বাকি আছে তার। কোপার শিরোপার পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে জিতে নিলেন ফিনালিসিমার ট্রফিটাও। শেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও পেল মেসির হাতের স্পর্শ। ফুটবল যেন পূর্ণতা পেল ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর রাতে।

অনেকে ধরেই নিয়েছিল বিশ্বকাপ অর্জনের পর হয়তো ফুটবলকে বিদায় জানাবেন লিওনেল মেসি। তবে না, নিজের ক্যারিয়ারটা আরেকটু দীর্ঘ করতে চান তিনি। আপাতত ২০২৪ কোপা আমেরিকাতে খেলবেন এমনটা নিশ্চিত করেছেন এই ফুটবল জাদুকর।

সম্প্রতি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমবিসি’র ‘বিগ টাইম পডকাস্টে’ কথা বলেন তিনি। সেখানেই জানিয়েছেন কবে নিবেন অবসর। মেসি বলেন, ‘অবসরের মুহূর্তটা কেমন হবে জানি, যখন টের পাব আর পারফর্ম করতে পারছি না। নিজেকে উপভোগ করছি না, সতীর্থদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না। আমি বুঝি কখন আমি ভালো খেলছি, কখন খারাপ খেলছি। যখন আমার মনে হবে এখন সেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া সময় হয়েছে, আমার বয়স কত সেটি মনে না রেখেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেব।’

ঠিক কবে অবসরে যাবেন এটি না বললেও মেসির কথা থেকে এটি পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে, এখনই থামছেন না তিনি। যতদিন সম্ভব নিজেকে টেনে নিতে থাকবেন ফুটবল স্বর্গেরাজ্যের অনন্য এক উচ্চতায়।  

;

দি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতারা আটক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন আগে আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আনহেল দি মারিয়া হত্যার হুমকি পান। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কিছুটা আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে তার পরিবার এবং আত্মীয়দের মধ্যে। গতকাল সেই হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ ও তাদের বিশেষ ইউনিট পিডিআই।

আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ জানিয়েছেন, এই হুমকি দেওয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। দি মারিয়াকে হুমকি দেওয়ায় তাকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে।

রোজারিওতে নিজ বাসায় তার পরিবারের উদ্দেশে হত্যার হুমকি সম্বলিত বার্তা দিয়ে যায় শহরের দুর্ধর্ষ মাদক চোরাকারবারিরা। সোমবার ভোরে হুমকি–সংবলিত কাগজ লিখে ছুঁড়ে ফেলে যায় অজ্ঞাত একটি দল। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা সেই কাগজে দি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, ‘আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নরও এই ফুটবলারের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না।‘

পাবলো আকোত্তো এই হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিন হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

;