রাজনীতিতে নামলেও এখনো মাশরাফি শুধুই ক্রিকেটের



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি/ছবি: বার্তা২৪

সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি/ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মনোনয়ন সংগ্রহের পর থেকে প্রশ্নটা উঠছিলো; মাশরাফি বিন মর্তুজা কি এখন তাহলে রাজনীতির বেশি, ক্রিকেটের কম? নির্বাচন ও রাজনীতির ব্যস্ততা এড়িয়ে কিভাবে নিজেকে ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত করবেন অধিনায়ক? ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফিকে পাওয়া যাবে কিনা-তা নিয়ে একসময় সংশয় ছিলো খোদ বিসিবি প্রধানেরই! তবে মাশরাফি ৪ ডিসেম্বর সোমবার দুপুরে সব সংশয় দুর করে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন-রাজনীতির মাঠে নামলেও এখনো তিনি পুরোদুস্তর ক্রিকেট এবং ক্রিকেটের।

 

৯ ডিসেম্বর থেকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশ তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে। এই সিরিজের সময় রাজনীতি এবং সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন নিয়ে কেউ যাতে আর কোন বাড়তি প্রশ্ন তুলে তার ক্রিকেট মনোযোগ নষ্ট না করেন সেজন্যই সোমবার স্ব-উদ্যোগে মাশরাফি ক্রিকেট সাংবাদিকদের ডেকে নিজের অবস্থান ব্যাখা করলেন। জানালেন কেন তিনি রাজনীতিতে। বললেন কেন তিনি এখনো পুরোপুরি ক্রিকেটে। ঠিক  কখন থেকে মাঠের রাজনীতিতে মনোযোগী হবেন। আর আভাস দিলেন কখন ক্রিকেটকে গুডবাই বলবেন।

প্রায় ২৩ মিনিটের নিজস্ব সেই ব্যাখা দেয়ার আগে ঘণ্টাখানেক সময় ধরে মাশরাফিকে দেখা গেল মিরপুর স্টেডিয়ামের সেন্টার উইকেটে বোলিং অনুশীলন করছেন। পাশে দাড়িয়ে পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালস সেটা পর্যবেক্ষণ করলেন। পুরো রিদমে নেটে বোলিং করে কাটানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে বহু প্রত্যাশিত আলাপচারিতায় এলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা।

৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচন। কিছুদিনের মধ্যেই প্রতীক বরাদ্দ হবে। নির্বাচনে চুড়ান্ত প্রার্থীদের তালিকা মিলবে। শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার অভিযান। তবে এইসব কর্মযজ্ঞের আগে নড়াইল-২ আসনের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে ক্রিকেটীয় সিরিজে। ৯ থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ওয়ানডে সিরিজ খেলতে হচ্ছে। ক্রিকেটের এই সময়টায় রাজনীতির ঢোল মনোসংযোগে কোন সমস্যা তৈরি করবে কিনা, বা করছে কিনাÑ সেই প্রশ্ন এখন আমজনতার।

মাশরাফি জনতাকে আশ্বস্ত করছেন-‘আমার ক্রিকেটীয় মানষিকতায় এটা মোটেও কোন সমস্যা তৈরি করছে না। আমার মন পুরোপুরি অনুশীলনেই আছে। রাজনীতির বিষয়টায় আমি মনোযোগ দেবে ১৪ ডিসেম্বরের পর। তার আগ পর্যন্ত আমার পুরো মনোযোগ শুধুই খেলায়।’

-  খেলতে খেলতেই কেন হঠাৎ রাজনীতিতে মাশরাফি? এই প্রশ্নের বিস্তারিত ব্যাখা ওয়ানডে অধিনায়ক কিছুদিন আগে তার ফেসবুক পেইজে দিয়েছেন। সেই প্রসঙ্গে আরেকবার জানালেন-‘সামনের বিশ্বকাপের পর যদি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়, তাহলে পরের সাড়ে চার বছরে কি হবে আমি জানি না। আমি মানুষের সেবা করাটা সবসময় উপভোগ করি। আর আমার সামনে যেহেতু একটা সুযোগ এসেছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে সেই সুযোগ দিয়েছেন। দেখি মানুষের কল্যানে, নিজের এলাকার উন্নয়নে আরো কিছু কাজ করতে চাই। নড়াইলে আমার একটা ফাউন্ডেশন আছে।

সেটাকে কাজে লাগিয়ে আরো অনেক বড় পরিসরে কিছু করা যায় কিনা, আমি সেই চেষ্টাই করবো। এটা পরিস্কার যে আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ার এখন শেষের দিকে। আমি শচীন টেন্ডুলকার বা গ্লেন ম্যাকগ্রা যে আমার কথা মানুষ মনে রাখবে। আমি আমার মতো করেই ক্রিকেটটা খেলেছি। আমার সংগ্রামী জীবনে যতটুকু পেরেছি, খেলেছি। তবে ঐ যে বললাম আমি সবসময় মানুষের জন্য কাজ করতে পারাটা উপভোগ করেছি। এটা আমার ছোটবেলার শখ ছিলো বলতে পারেন। এখন প্রধানমন্ত্রী একটা সুযোগ দিয়েছেন, দেখি বৃহৎ পরিসওে যদি কিছু করা যায়।’

সংসদ সদস্যের কাজের পরিধি, সীমাবদ্ধতা ও কার্যকারিতা সম্পর্কে বেশ ভালই জানা আছে মাশরাফি বিন মর্তুজার। বললেন-‘সংসদ সদস্যের মুল কাজ তো দেশের কল্যানে আইন প্রনয়ন করা। তবে আমি দেখেছি এই পর্যায় থেকেও অনেক এলাকার অনেক সহায়তা করা যায়। সরকার থেকেও সহযোগিতা নেয়া যায়। সঠিক মতো সেই সাহায্য সহযোগিতা বণ্টনেরও একটা বিষয় আছে। আমি চেষ্টা করবো এগুলো ঠিকমতো করার।’

নড়াইল -২ আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান যে অবস্থান সেটা ভীষণ শক্তপোক্ত। আর নির্বাচনে প্রার্থী যখন মাশরাফি তখন এই আসনে নৌকা মার্কার জয়কে প্রায় সবাই সময়ের ব্যাপার বলেই মানছেন। তবে ক্রিকেট মাঠে তো অনেক হট ফেভারিট দলকে কম শক্তির দলের কাছে হেরে যেতে দেখা গেছে। তো নির্বাচনে মাশরাফি বা তার দল যদি জিততে না পারে তাহলে রাজনীতিবিদ প্লাস ক্রিকেটার হিসেবে মাশরাফির ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে দাড়াবে?

উত্তরটা দিতে বেশি সময় নিলেন না মাশরাফি-‘হতে পারে, কালকে আপনার জীবনে কি ঘটবে আমি তো জানি না। আমার জীবনেও কি ঘটবে সেটাও আমি জানি না। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমি যে কোন কাজ করতে যাওয়ার সময় স্বচ্ছ মন নিয়ে যাচ্ছি কিনা? দেখুন আমি শুধু নিজেকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কালকে আমার সঙ্গে কি ঘটবে সেটা আমি জানি না। তাই এখনই এতকিছু ভাবার সুযোগ নাই।

   

লক্ষ্ণৌয়ের কাছে পাত্তাই পেল না মুস্তাফিজের চেন্নাই



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘরের মাঠে চেন্নাই সুপার কিংসকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করল লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস। চেন্নাইকে ১৭৬ রানে আটকে দিয়ে কুইন্টন ডি কক আর কেএল রাহুলের জোড়া ফিফটিতে এক ওভার এবং ৮ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা।

লক্ষ্ণৌয়ের একানা স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামে টসভাগ্য স্বাগতিকদের পক্ষে ছিল। টস জিতে আগে অতিথিদের ব্যাটিংয়ে পাঠান লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক কেএল রাহুল। আইপিএলের চলতি আসরে দুইশ রানকে মামুলি বানিয়ে ফেলেছে বেশ কয়েকটি দল। তবে লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ নিয়েও তাদের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছে না চেন্নাই। আইপিএলে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে এসেও সে 'ম্যাজিক ফিগার' ছোঁয়া হয়নি তাদের।

রবীন্দ্র জাদেজার ৪০ বলে অপরাজিত ৫৭ রানের সঙ্গে রাহানে (৩৬) আর মঈনের (৩০) ছোট দুটি ইনিংসে লড়াকু সংগ্রহ পায় চেন্নাই। শেষদিকে মহেন্দ্র সিং ধোনির ৯ বলে ২৮ রানের জাদুকরী ক্যামিও'র কথা ভুলে গেলে চলবে না। তাতে ২০ ওভারে চেন্নাইয়ের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৭৬।

লক্ষ্ণৌয়ের পক্ষে ৩ ওভার বল করে ১৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন ক্রুনাল পান্ডিয়া।

জবাব দিতে নেমে মুস্তাফিজ-তুষারদের তুলোধুনো করে ওপেনিং জুটিতেই ডি কক-রাহুল মিলে তুলে ফেলেন ১৩৪ রান। ১৫তম ওভারের শেষ বলে মুস্তাফিজ যখন ডি কককে ধোনির ক্যাচ বানিয়ে ফেরান, ম্যাচ তখন লক্ষ্ণৌয়ের করতলে। তাই তো সেই উইকেটের উদযাপনও তেমন হল না বললেই চলে। ফেরার আগে ৫৪ রান করে দিয়ে গেছেন ডি কক।

লক্ষ্ণৌকে জয়ের দোরগোড়ায় রেখে মাতিশা পাতিরানার বলে আউট হয়েছেন ৮২ রান করা লক্ষ্ণৌ অধিনায়ক রাহুল। বাকি কাজটা নির্ঝঞ্ঝাটে সেরেছেন নিকোলাস পুরান (২৩*) ও মার্কাস স্টয়নিস (৮*)।

বল হাতে আরও একবার চেন্নাইয়ের সবচেয়ে খরুচে বোলার মুস্তাফিজ। একটি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে খরচ করেছেন ৪৩ রান।

এই জয়ে লক্ষ্ণৌয়ের পয়েন্ট হয়েছে চেন্নাইয়ের সমান ৮। তবে নেট রানরেটের ব্যবধানে চেন্নাই এখন টেবিলের তিনে, আর লক্ষ্ণৌয়ের অবস্থান ৫ নম্বরে।

;

মাঠ ছাড়ল মোহামেডান, পিছিয়ে থেকেও জয়ী আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অঘোষিত ফাইনাল! প্রিমিয়ার হকি লিগে আবাহনী-মোহামেডানের হাইভোল্টেজ ম্যাচ নিয়ে উত্তাপ কম ছিল না। ম্যাচের আগেই রাসেল মাহমুদ জিমির তিন হলুদ কার্ডে পাওয়া নিষেধাজ্ঞা নিয়ে একচোট বিতর্ক হয়ে গেছে। অন্তত মাঠের খেলা বিতর্ক মুক্ত থাকুক, সংশ্লিষ্টদের সেটাই প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু মাঠের খেলাতেও আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রইল বিতর্ক। তাতে নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১৭ মিনিট ২৭ সেকেন্ড আগেই শেষ হল আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ। ২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জিতল আবাহনী। এগিয়ে থেকেও শিরোপা হাতছাড়া মোহামেডানের।

মওলানা ভাসানি হকি স্টেডিয়ামে প্রথম দুই কোয়ার্টারে দুই গোল করে অনেকটা এগিয়ে যায় আবাহনী। তিন মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে আফফান ইউসুফ এবং দ্বিতীয় কোয়ার্টারে আবার সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই পুস্কর খিসা মিমোর গোলে এগিয়ে যায় তারা।

এর মাঝে দ্বিতীয় কোয়ার্টারে পেনাল্টি কর্নার নিয়ে আম্পায়ারদের সঙ্গে মোহামেডান খেলোয়াড়দের বচসায় খেলা বন্ধ ছিল কিছুক্ষণ।

তৃতীয় কোয়ার্টারে রাজসিকভাবে ম্যাচে ফেরে মোহামেডান। ফয়সাল বিন সারির হ্যাটট্রিকে ম্যাচে এগিয়ে যায় সাদাকালোরা। প্রথমে রিভার্স হিটে ফিল্ড গোল এবং পরে পেনাল্টি কর্নার থেকে আরও দুই গোল করে মোহামেডানকে চালকের আসনে নিয়ে আসেন তিনি।

তবে তৃতীয় কোয়ার্টারে যখন ঘড়ির কাটায় আর কেবল ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি, তখন দুই দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে হঠাৎ একপ্রকার হাতাহাতি শুরু হয়ে যায়। দুই আম্পায়ার দীর্ঘ আলোচনার পর মোহামেডানের মালয়েশিয়ান খেলোয়াড় মিজুন এবং আবাহনীর আফফান ইউসুফকে হলুদ কার্ড দেখান। আর মোহামেডানের সিয়াম, দ্বীন ইসলাম এবং আবাহনীর নাইমউদ্দিনকে সরাসরি লাল কার্ড দেখতে হয়।

কার্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে তাৎক্ষণিক মাঠ ছেড়ে ডাগআউটে চলে যায় মোহামেডানের খেলোয়াড়রা। সেখান থেকে মোহামেডানের কর্মকর্তা এবং খেলোয়াড়দের সঙ্গে আম্পায়ারদের অনেক আলোচনা হয়। তবে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত মানতে না পারায় শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামেনি তারা।  উপায়ান্তর না দেখে আম্পায়াররা শেষ বাঁশি বাজিয়ে এক কোয়ার্টার এবং আরেক কোয়ার্টারের ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ড বাকি থাকতেই শেষ বাঁশি বাজিয়ে দেন।

২-৩ গোলে পিছিয়ে থেকেও জয় পেয়ে যায় আবাহনী। এতে মেরিনার্সের সমান ৩৭ পয়েন্ট এখন আকাশি-হলুদদেরও। এখন এই দুই দলের মধ্যে প্লে-অফের মাধ্যমে শিরোপা নিষ্পত্তি হওয়ার কথা। আর যে মোহামেডানের এই ম্যাচ জিতলেই শিরোপা উৎসব করার কথা, ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে এখন তারা শিরোপার দৌড়েই আর নেই।

;

দারুণ প্রত্যাবর্তনে আবাহনীর দাপুটে জয়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখে জয় পেয়েছে আবাহনী। শুরুতে পিছিয়ে পড়েও দুই বিদেশির গোল ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে ম্যাচের অষ্টম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আবাহনী। আবু তোরের পাস ধরে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের মাটি কামড়ানো শট নেন আব্দুল্লাহ। আবাহনীর গোলকিপার শহিদুল আলম সোহেল ঝাঁপিয়ে পড়েও সে শট প্রতিহত করতে পারেননি।

২৬ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পেয়েছিল শেখ জামাল। দলটির অধিনায়ক ইগর লেইতে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিলেও তা শেষ পর্যন্ত অল্পের জন্য লক্ষ্যচ্যুত হয়।

মিনিট দুয়েক পরই এই মিসের মূল্য চুকাতে হয় শেখ জামালকে। বাম প্রান্ত থেকে আবাহনীর কর্নেলিয়াসের শেখ জামালের শট শাখজদ শেমানভ ব্লক করলেও ফিরতি শটে বল জালে পাঠিয়ে দেন জোনাথান ফার্নান্দেস।

সমতায় ফেরার পর দাপট বাড়ে আবাহনীর। ৩৩ মিনিটে আবাহনীকে এগিয়ে নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ পান প্রথম গোলের নায়ক জোনাথান। কিন্তু শেখ জামাল গোলকিপারকে এক পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে আর কোনো ভুল করেনি আবাহনী। মধ্যমাঠ থেকে জোনাথানের থ্রু বল ধরে কর্নেলিয়াসের দিকে পাস বাড়ান ওয়াশিংটন। আলতো শটে বল জালে জড়িয়ে আবাহনীর হয়ে জয়সূচক গোলটি করেন সেই কর্নেলিয়াস। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনো গোল না হলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে আকাশি-হলদুরা।

এই জয়ে ১২ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে তিনেই রইল আবাহনী। তবে হেরে যাওয়ার ফলে পাঁচে নেমে গেছে সমানসংখ্যক ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট পাওয়া জামাল। দিনের অন্য ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়ে চারে উঠে এসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের পয়েন্ট ১৭।

;

‘হকির স্বার্থে’ অঘোষিত ফাইনালে খেলছে মোহামেডান



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রীন ডেল্টা প্রিমিয়ার হকি লিগ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার অন্ত নেই। ম্যাচ অফিসিয়ালদের বিভিন্ন সিদ্ধান্তসহ নানা ইস্যুতে বিতর্ক লেগেই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) আবাহনী-মোহামেডানের অঘোষিত ফাইনালের আগেও ডালপালা মেলেছে বিতর্ক। তিন হলুদ কার্ড দেখা মোহামেডানের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় রাসেল মাহমুদ জিমির নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সরগরম হকির মাঠ।

জানা গেছে, কোনো খেলোয়াড় দুই হলুদ কার্ড দেখলে বাইলজ অনুযায়ী সেই দলকে নিষেধাজ্ঞার শঙ্কার কথা তার দলকে ফেডারেশনের জানানোর কথা। তবে এক্ষেত্রে হকি ফেডারেশন সেটা না করে বরং তিন হলুদ কার্ড দেখার পর জিমিকে সরাসরি নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। যার ফলে আবাহনীর বিপক্ষে আজ তার মাঠে নামার সুযোগ নেই।

এই বিষয়টি নিয়েই মুখোমুখি অবস্থানে  চলে এসেছিল মোহামেডান এবং হকি ফেডারেশন। আজ আবাহনীর বিরুদ্ধে ম্যাচটি জিতলেই শিরোপা উঠবে সাদাকালোদের হাতে। অথচ এমন একটা ম্যাচ তারা না খেলার হুমকি দিয়েছিল জিমির নিষেধাজ্ঞার ইস্যুতে।

শেহস পর্যন্ত অবশ্য তারা সে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে। ‘হকির স্বার্থে’ তারা ম্যাচটি খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সঙ্গে এও জানিয়ে রেখেছে, ম্যাচ চলাকালে কোনো অনিয়ম হলে তৎক্ষণাৎ মাঠ ছাড়তে পিছপা হবেন না তারা।

উল্লেখ্য, এই ম্যাচের আগে মোহামেডানের পয়েন্ট ১৪ ম্যাচে ৩৫। অন্যদিকে আবাহনীর ৩৪ ও মেরিনার্সের ঝুলিতে ৩৭ পয়েন্ট। মোহামেডানকে আবাহনী হারিয়ে দিলে মেরিনার্সের মতো তাদের পয়েন্টও হবে ৩৭। বাইলজ অনুযায়ী তখন আবাহনী-মেরিনার্স প্লে-অফ ম্যাচের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে শিরোপা। মোহামেডানের জন্য হিসেব সহজ, জিতলেই চ্যাম্পিয়ন। মোহামেডান-আবাহনী ড্র করলে শিরোপা উৎসব করবে মেরিনার্স।

;