অনায়াসে নকআউট পর্বে বার্সেলোনা
পঁচা শামুকে পা কাটেনি বার্সেলোনার। বরং হেসে-খেলে জয় তুলে নিয়েছে ফেভারিটরা। তারই পথ ধরে দল পেয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী কোপা দেল রের নকআউট পর্বের ছাড়পত্র। শেষ ষোলতে উঠার পথে কাতালান ক্লাবটি হারাল নীচের সারির ক্লাব কুলতুরাল লেওনেসাকে।
বার্সার পাশাপাশি কোপা দেল রের শেষ ষোলোর টিকিট পেয়েছে আতলেতিকো মাদ্রিদ, সেভিয়া ও ভিয়ারিয়াল। তবে বিদায় নিয়েছে দেপোর্তিভো আলাভেস।
বুধবার রাতে ন্যু ক্যাম্পে নিজেদের মাঠে ৪-১ গোলে জয় পায় বার্সা। আর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ গোলের জয়ে পরের পর্বে উঠে গেছে তারা। টুর্নামেন্টে প্রথম লেগে অবশ্য বার্সা জিতেছিল ১-০ গোলে। প্রতিপক্ষকে সুযোগ না দিয়েই সেরা ষোলতে উঠে গেছে ফেভারিটরা।
দুই দলের মধ্যে অবশ্য শক্তির দুরত্বটা চোখের পড়ারই মতো। কুলতুরাল লেওনেসা স্পেনের তৃতীয় সারির ক্লাব। আর বার্সেলোনা শুধু স্পেনই নয়, বিশ্বসেরা ক্লাবের একটি। এ কারণে দলের মহাতারকা লিওনেল মেসি থেকে শুরু করে নিয়মিত একাদশের বেশ কয়েকজনকে মাঠের বাইরে রেখেই গড়া হয় একাদশ।
তারপরও অবশ্য জিততে বেগ পেতে হয়নি। খেলার ১৮তম মিনিটেই এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। ডি-বক্সের মধ্যে ইভান রাকিতিচের পাস পেয়ে যান মুনির এল হাদ্দাদি। নিশানা খুঁজে নিতে ভুল করেন নি তিনি।
এরপর ম্যাচের ২৬তম মিনিটে ব্যবধানটা দ্বিগুণ করে ফেভারিটরা। সেই রাকিতিচের পাসে এবার গোলদাতা দেনিস সুয়ারেস (২-০)। বার্সা তৃতীয় গোলটি পায় প্রথমার্ধের বিরতির দুই মিনিট আগে। এবার ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দেন দলের ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মালকম। এই গোলেরও উৎস তৈরি করে দেন মিডফিল্ডার রাকিতিচ। মেসির অভাবটা বুঝতেই দেননি দলের এই ক্রোয়াট তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য এতোটা আক্রমণাত্মক ছিল না বার্সেলোনা। এ সুযোগে ৫৪ মিনিটে ব্যবধান কমান ইয়োসেপ সেনে। কিন্তু উত্তেজনা ফেরাতে পারেন নি খেলায়। ৭০তম মিনিটে দেনিস সুয়ারেস করেন ম্যাচে তার দ্বিতীয় গোল। শেষ পর্যন্ত গোল উৎসব করেই মাঠ ছাড়ে বার্সেলোনা।