সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে গেল বাংলাদেশ
হতাশা দিয়ে শুরু হয়েছিল ইমার্জিং এশিয়া কাপ। আবার হতাশাতেই শেষ হল মিশন। প্রথম ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে বিব্রতকর হারে চুপসে গিয়েছিল দল। এরপরই হংকং ও পাকিস্তানকে হারিয়ে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল পেয়ে যায় সেমিফাইনালের টিকিট। কিন্তু ফাইনালে উঠা হল না। শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে বিদায় নিল নুরুল হাসান সোহানের দল।
করাচি পর্ব শেষে কলম্বোতে ইমার্জিং কাপের সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার ব্যাট-বল দুটোই সেই পুরনো ছন্দের দেখা পেল না। শেষ চারের লড়াইয়ে টাইগারদের ৪ উইকেটে হারাল শ্রীলঙ্কা।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪৯.১ ওভারে ২৩৭ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। মিজানুর রহমান ৭২, ইয়াসির আলি ৬৬ ও মোসাদ্দেক হোসেন তুলেন ৩৯ রান। জবাব দিতে নেমে ১০ বল হাতে রেখে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙর করে শ্রীলঙ্কা।
ম্যাচ টস হেরে টাইগারদের আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। কিন্তু প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ৪১ রান তুলতেই বিদায় নেন তিন ব্যাটসম্যান। অবশ্য একপ্রান্তে আগলে রাখেন ওপেনার মিজানুর রহমান। চতুর্থ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তিনি। মিজানুর ৭২ রান তুলে ফিরতেই অাটকে যায় রানের চাকা। শেষদিকে ইয়াসির আলির দৃঢ়তায় দুইশ পেরোয় বাংলাদেশ। শেষ অব্দি অলআউট হয়ে তুলে ২৩৭ রান।
চামিকা কারুনারত্নে ৮.১ ওভারে ৩১ রানে নেন ৪ উইকেট। আসিকা ফার্নান্দো ৫০ রানে তুলেন ২ উইকেট।
শ্রীলঙ্কার জবাব দিতে নেমেই অবশ্য হোঁচট খায়। দলীয় ৩ রানে হারায় প্রথম উইকেট। পেসার শফিউল ইসলাম আশা জাগিয়েছিলেন। হাসিথা বয়াগোদাকে এলবিডব্লিয়ের ফাঁদে ফেলেন তিনি। এরপর সান্দুন ওয়েরাকোদা-আভিস্কা ফার্নান্দো ৪৩ রানের জুটি গড়েন। এক পর্যায়ে ৮৭ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। ৪৭ রানে ফিরেন সান্দুন।
তবে ম্যাচের দৃশ্যপট পাল্টে দেন কামিন্দু মেন্ডিজ। পঞ্চম উইকেটে শেহান জয়াসুরিয়ার (৩৯) সঙ্গে ৭০ আর ষষ্ঠ উইকেটে গুনারত্নের (২৪) সঙ্গে ৬৪ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৮৮ বলে ৯ চারে ৯১ রানে শেষ পর্যন্ত দলকে জিতিয়ে ফিরেন মেন্ডিস। বাংলাদেশের হয়ে ৯.২ ওভারে শরিফুল ইসলাম ৫০ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট। এছাড়া শফিউল, আফিফ ও নাঈম নেন ১টি করে উইকেট।
শনিবার প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের সঙ্গে লড়বে শ্রীলঙ্কা।