অধিনায়ক মাশরাফি ‘৭০ নটআউট’!
সিলেট থেকে: -এটাই কি শেষ?
ক্রিকেটের এমন শেষ নিয়ে হরদম প্রশ্ন শুনতে হচ্ছে মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।
দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে এবং পরে শুনতে হলো তাকে-এটাই কি মিরপুরে আপনার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ কিনা? সিলেটে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য এমন কোন ‘শেষ বিষয়ক’ প্রশ্ন মাশরাফিকে শুনতে হয়নি। তবে সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তার সঙ্গে সেলফি তোলার ভিড় দেখে অধিনায়ক নিজেই মুচকি হাসেন-‘শেষ বলেই ছবির আয়োজন!’
মাশরাফি এখন যাই করছেন সেটাই যেন তার ক্রিকেটের শেষ পদক্ষেপ! অধিনায়ক অবশ্য এই বিষয়ে সুনির্দিষ্ট করে জানাননি। শুধু বলেছেন, ‘শেষ কিনা, তা নিয়ে আমি নিজেও নিশ্চিত না। আমি খুব বেশি সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনকিছু করি না।'
তবে বাস্তবতা হলো দেশের মাটিতে এটাই মাশরাফির শেষ আন্তর্জাতিক সিরিজ। সামনের বছর জুনের বিশ্বকাপের পর মাশরাফি আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে গুডবাই জানাবেন। এমন একটা দিনক্ষণ বিসিবিও আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে। আর সেই বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে বাংলাদেশের আর কোন ওয়ানডে ক্রিকেট সিরিজ নেই। সেই সূত্রে সমীকরণ মিলিয়ে ধারণাটা স্পষ্ট হচ্ছে-দেশের মাটিতে এটাই মাশরাফির শেষ।
তবে ক্রিকেটার মাশরাফির শেষের এই সূত্র সবাই যখন মেলাচ্ছেন সেই ফাঁকে অধিনায়ক মাশরাফি নতুন এক বাংলাদেশি রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৭০টি ম্যাচে অধিনায়কত্বের নতুন রেকর্ড এখন মাশরাফি বিন মর্তুজার। বাংলাদেশের অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ৩৯টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও তার। অধিনায়কত্বের সংখ্যা এবং সাফল্যের এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন হাবিবুল বাশার। ৬৯ ম্যাচে হাবিবুল জিতেছেন ২৯টিতে।
নিজের অধিনায়কত্বের এই মাইলফলক নিয়ে মাশরাফি উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত এবং সহযাত্রায় যারা সঙ্গী ছিলেন তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, ‘২০১৪ সালে দ্বিতীয়বারের মতো যখন অধিনায়কত্ব পাই, তখন নিজেকে নিয়ে ভবিষ্যতে চিন্তা করা বা খেলোয়াড় হিসেবে নিজে কোন কিছু সেট করতাম না। চলতে থাকুক, যতদিন চলতে থাকুক-এভাবেই চিন্তা করেছি। এভাবে করতে করতে প্রায় চার বছর হতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের হয়ে দীর্ঘসময়ের জন্য অধিনায়কত্ব করতে পেরেছি, এটা আমার এবং আমার পরিবারের জন্য অনেক গর্বের একটা বিষয়। এটা অবশ্যই ভাল একটা অনুভূতি। তবে আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এই দলে ১১ জন যারা পারফর্মার আছে। সেই দলের একজন সদস্য হয়ে থাকাও কিন্তু বিরাট গর্বের ব্যাপার।’
সেই ২০০২ সাল থেকেই মাশরাফির তার ক্রিকেটীয় সময়কালকে গর্বিত করে চলেছেন।