ওয়েস্ট ইন্ডিজকে গুঁড়িয়ে সিরিজ জিতলো বাংলাদেশ



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,সিলেট থেকে
সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

সিরিজ জয়ী বাংলাদেশ ক্রিকেট দল

  • Font increase
  • Font Decrease

লড়াই হবে। জম্পেশ ম্যাচ হবে। এমন ভাবনা নিয়ে যারা মাঠে এসেছিলেন তারা ঠকেছেন। তবে পুরো ম্যাচের প্রায় সারাটা সময় জুড়েই গ্যালারি থেকে উল্লাসের ধ্বনি শোনা গেল। টস থেকে শুরু করে বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং-অধিনায়কত্ব; সব বিভাগে দাপট দেখিয়ে বাংলাদেশ জিতলো সিরিজের শেষ ম্যাচ। ৮ উইকেটের একতরফা এই জয়ে ওয়ানডে সিরিজের ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ। তখনো ম্যাচের ৬৯ বল বাকি।

বোলিংয়ে মেহেদি মিরাজ এবং ব্যাটিংয়ে তামিম ইকবাল (অপরাজিত ৮১) ও সৌম্য সরকারের (৮০ রান) আনন্দময়ী ব্যাটিং-এই যুগপৎ সম্মিলনে যে কায়দায় বাংলাদেশ সিলেট ওয়ানডেতে জিতলো তাকে বলে-দুধভাত! বাংলাদেশের দাপুটে পারফরমেন্সের সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে মনে হচ্ছিলো তারা নতুন ক্রিকেট শিখছে; বাংলাদেশ শেখাচ্ছে!

তামিম ও সৌম্য শেষের দিকের ব্যাটিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের নিয়ে ¯্রফে ছেলেখেলা করলেন যেন। সৌম্য তো ইচ্ছে হলেই ছক্কা মারছেন। ইচ্ছে হলেই চার! ৮০ রান করে সৌম্য যখন আউট হলেন তখন ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের প্রয়োজন দাড়ায় ২৩ রান। বল বাকি ৮৮! তামিমের সঙ্গে সেই আনুষ্ঠানিকতা সারেন মুশফিক। ৮ উইকেটের জয় নিয়ে সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভিষেক ওয়ানডেকে স্মরণীয় করে রাখলো বাংলাদেশ।

সৌম্য সরকারের ৮১ বলে ৫ ছক্কা ও ৫ বাউন্ডারির ৮০ রানের এই ইনিংস ওয়ানডেতে বাংলাদেশ দলের আরেকটি সমস্যার সমাধান দিলো; একাদশে এই বাঁহাতির সুনির্দিস্ট জায়গা টপঅর্ডারেই।

চলতি বছর এটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় তৃতীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়। বছরের ২০টি ওয়ানডে’র ১৩টিতেই জয়। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির সাফল্যের বছরও বটে।

সিলেট আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের বেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিলো আহা কি কষ্টই না, এখানে ব্যাটিং করা! শুরুর ১০ ওভারের সময়টা বাদ দিলে ব্যাটিংয়ের বাকি সময়জুড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ যে ব্যাটিং করলো তা দেখে মনে হচ্ছিলো অক্সিজেন মাক্স ছাড়া এভারেস্টে উঠছে ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যানরা। অবশ্য এই তালিকায় ব্যতিক্রম হয়ে রইলেন কেবল একজন-উইন্ডিজ ওপেনার শাই হোপ। শুরু থেকে শেষঅব্দি ব্যাটিং করে গেলেন এই ওপেনার। ১৩১ বলে তার অপরাজিত ১০৮ রান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিংকে যা কিছু সঞ্চয় এনে দিলো। তিন ম্যাচের সিরিজে দুটি অপরাজিত সেঞ্চুরি এবং একটি ৪৩ রানের ইনিংস খেলে শাই হোপ কিন্তু ঠিকই জানিয়ে দিলেন- খেলতে জানলে বাংলাদেশের স্লো উইকেটেও খেলা যায়। চলতি বছর ব্যাট হাতে দারুণভাবে কাটলো উইন্ডিজ এই ওপেনারের। ওয়ানডেতে পেলেন তিনটি সেঞ্চুরি। যার দুটিই এই বাংলাদেশ সিরিজে।

ইনজুরি থেকে ফিরে আসা সিরিজটা তামিমও ইকবালও রাঙালেন শেষ দুই ম্যাচে হাফসেঞ্চুরির আলোয়। বোলিংয়ে কম গেলেন না স্পিনার মেহেদি মিরাজও। ২৯ রানে ক্যারিয়ার সেরা ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ী ম্যাচে তিনিও বড় নায়ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৯৮/৯ (৫০ ওভারে, হোপ ১০৮*, স্যামুয়েলস ১৯, পল ১২, মিরাজ ৪/২৯, সাকিব ২/৪০, মাশরাফি ২/৩৪, সাইফুদ্দিন ১/৩৮)। বাংলাদেশ: ২০২/২ (৩৮.৩ ওভারে, তামিম ৮১*, লিটন ২৩, সৌম্য ৮০, মুশফিক ১৬*, পল ২/৩৮)। ফল: বাংলাদেশ ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা: মেহেদি মিরাজ। সিরিজ সেরা: শাই হোপ। সিরিজ: বাংলাদেশ ২-১ এ জয়ী।

   

বিশ্বকাপে ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা’ দেখছেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটার জবাব আপাতত সময়ের কাছে তোলা। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক মাস আগেই খুব বেশি প্রত্যাশা বা মাতামাতি করতে নিষেধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে অবশ্য অন্য সুর শোনা গেল।

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন না দেখালেও অন্তত সমর্থকদের আনন্দ করার মতো কিছু উপলক্ষ্য এনে দিতে চান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’

সেজন্য সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার বার্তা সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্রে  এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।’

গত বছর ভারতে বিশ্বকাপের পর চোখ ও আঙুলের চোট নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে সাকিবকে। দীর্ঘ বিরতি শেষ গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন সাকিব। এর মাঝে অবশ্য দেশের দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল এবং ডিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলতে চান সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

;

শান্তর সেঞ্চুরিতে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস সমান ৩৩ রানে ফেরেন। তিনে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে তার ব্যাটে।

চার এবং পাঁচে নেমে ফিফটি করেন এনামুল হক বিজয় ও তাওহিদ হৃদয়। দ্রুতলয়ে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রান করেন এনামুল, হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে আবাহনী।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ পারভেজ জীবন।

জবাব দিতে গাজী গ্রুপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আবাহনীর রানপাহাড় টপকানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। অন্য ব্যাটারদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী।

আবাহনীর পক্ষে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। দুটি করে উইকেট যায় তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকতের ঝুলিতে।

প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় আবাহনী, এখন সুপার লিগেও দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।

 

;

ডার্বি হেরে ক্ষমা চাইলেন ক্লপ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌসুমের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এসে ছন্দ হারিয়েছে লিভারপুল। আতালান্তার কাছে হেরে শেষ হয়েছে তাদের ইউরোপা লিগ যাত্রা। এবার লিগ শিরোপার দৌড়েও হোঁচট খেয়েছে তারা। এভারটনের কাছে হেরে বসেছে তারা। শেষ তিন ম্যাচ দুই হারে লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটি এবং আর্সেনালের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়েছে তারা। এভারটনের কাছে হারের পর সমর্থকদের কাছে ‘ক্ষমা’ প্রার্থনা করেছেন ম্যানেজার ইয়ুর্গেন ক্লপ।

১৪ বছর পর এভারটনের মাঠ গুডিসন পার্কে হারের পর ক্লপ বলেন, ‘সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। আমি আসলেই এটার (এভারটনের বিপক্ষে হারের) জন্য দুঃখিত। আমি ক্ষমা চাচ্ছি।’

লিগ শিরোপার দৌড়ে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে রয়েছে আর্সেনাল। গানারদের সমান ৩৪ ম্যাচ খেলে লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৪। দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটির ঝুলিতে রয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

শিরোপার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ে হতাশায় মুষড়ে পড়েছেন ক্লপ, ‘আমি এখন ভালো কিছুই ভাবতে পারছি না। খুবই হতাশ। আমার ম্যাচ জেতার জন্য যথেষ্ট ভালো খেলতে পারিনি। এভারটন যেভাবে খেলতে চেয়েছে সেভাবেই ম্যাচটা সেভাবেই এগিয়েছে। তারা সেট-পিস থেকে দুটি গোল করেছে।’

হতাশা জেঁকে ধরলেও ক্লপের চোখ এখন ওয়েস্ট হ্যামের বিপক্ষে পরের ম্যাচের দিকে। সে ম্যাচ দিয়ে ছন্দে ফেরার প্রত্যয় ক্লপের কণ্ঠে, ‘আমাদের দ্রুত ছন্দে ফিরতে হবে। ওয়েস্ট হ্যামের এটা ভেবে হাত নিশপিশ করছে যে আমরা সেখানে এক পা নিয়ে খেলতে যাব, কিন্তু আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারি।’

;

‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব’ 



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জিম্বাবুয়ে সিরিজ না খেলে দেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব খেলবেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। খেললেও শুরুর দিকে থাকবেন না দলে। আর এতেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাকিবকে নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে দুদিন আগে জিম্বাবুয়ের সিরিজের প্রস্তুতি ক্যাম্পের জন্য ঘোষণা করা ১৭ সদস্যের দলেও নেই সাকিব। তবে কি আসলেই খেলছেন না সাকিব? বা ঠিক কয়টি ম্যাচ খেলবেন? সব প্রশ্নের উত্তর এবার দিলেন সাকিব নিজেই। জানালেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে খেলার কথা এবং জানালেন কয়টি ম্যাচে খেলবেন। 

সাকিব এই মুহূর্তে অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানেই এক অনুষ্ঠানে সব খোলাসা করে জানান দেশের সাবেক এই অধিনায়ক। 

সেই অনুষ্ঠানে জিম্বাবুয়ে সিরিজ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘জিম্বাবুয়ে সিরিজে অবশ্যই খেলব। দেশে হয়তো এ নিয়ে একটা কনফিউশন চলছে...আসলে অধিনায়ক ও নির্বাচকদের সঙ্গে কথা বলেছি, তারা বলেছে দুটো না তিনটা ম্যাচ খেলো, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। আমি বলেছি সমস্যা নেই।’

সেখানে সিরিজের শুরু দিকে কেন থাকছেন না এ নিয়েও কথা বলেন সাকিব। ‘আসলে এইগুলো আলোচনার মাধ্যমেই হয়। আমার ইচ্ছেমত না। যেহেতু ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দুটি ম্যাচ থাকবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ তিন ম্যাচ খেলার আগে। সেহেতু দুইটা ম্যাচ খেলার সুযোগ থাকবে। এছাড়া প্রস্তুতিটাও ভালো হবে। সে কারণে আসলে এই ম্যাচ দুইটা খেলা।’

উল্লেখ্য, আগামী ৩ মে থেকে শুরু জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটি। সেই ম্যাচ সহ সিরিজের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। সিরিজের সেই দুই ম্যাচ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে, ১০ ও ১২ মে। 

;