অভিষেকেই স্বাধীনতা কাপ বসুন্ধরা কিংসের
প্রথমবার অংশ নিয়েই বাজিমাত। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে হারিয়ে স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে শিরোপা জিতে নেয় নবাগত এই ক্লাবটি।
বুধবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে শেখ রাসেলকে তারা হারায় ২-১ গোলে।
এর আগে এ বছর ফেডারেশন কাপেও চমক দেখিয়েছিল বসুন্ধরা কিংস। ফেভারিটদের স্বপ্ন মাড়িয়ে দল উঠে এসেছিল ফাইনালে। যদিও আবাহনী লিমিটেডের কাছে হেরে স্বপ্ন ভাঙে। কিন্তু এবার শিরোপা নিয়েই মাঠ ছাড়ল দলটি।
বুধবার ফাইনালে ৯০ মিনিটের খেলা ছিল ১-১ গোলে। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এরপর পঞ্চম মিনিটের মাথায় বসুন্ধরা কিংস পেয়ে যায় জয়সূচক সেই গোল। বদলি ফরোয়ার্ড মতিন মিয়া সেই জয়ের নায়ক!
যদিও পুরো ম্যাচেই গোল মিসের মহড়া দিয়েছে শেখ রাসেল। খেলার ৮ মিনিটে তাদের পিছু নেয় আক্ষেপ। আরিফুল ইসলামের ক্রসে রাফায়েল ওডোইনের প্রচেষ্টা কোনরকমে আটকে দেন গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। এরপর ১৭তম মিনিটেই অবশ্য এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। গোলদাতা দলের ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কোস দি সিলভা।
অন্যদিকে শেখ রাসেলের গোল মিসের মহড়া চলতেই থাকে। ২৯তম মিনিটে সমর্থকদের হতাশ করেন আলিশের। তবে এভাবেই আক্রমণের সুফল পেয়ে প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে। রাফায়েল ওডোইন খুঁজে নেন নিশানা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭তম মিনিটে সেই ওডোইন আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন।
নির্ধারিত ৯০ মিনিটে খেলা ১-১ সমতা। এরপর খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ৫ মিনিটে মতিন মিয়ার সেই বিস্ময় জাগানিয়া গোল। এরপর খেলায় ফেরার অনেক চেষ্টাই করেছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ফুটবলাররা। তবে অতি আক্রমনাত্মক হতে গিয়ে উল্টো আরো গোল হজম করতে যাচ্ছিল দলটি। কিন্তু বসুন্ধরার কোস্টারিকান ফরোয়ার্ড দেনিয়েল কলিনদ্রেস সোলেরার শট আটকে দেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।
শেষ পর্যন্ত অবশ্য এই ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে বসুন্ধরা। আর জিতে নেয় স্বাধীনতা কাপ ফুটবলের ট্রফি।
টুর্নামেন্টের সেরা ফুটবলার হয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। ৪ গোল নিয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের পল এমিল। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় বিজয়ী দলের মার্কোস দি সিলভা। আর ফেয়ার প্লে ট্রফি পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড।