বিপিএলে তাদের অন্য মিশন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
নাসির, সাব্বির ও এনামুল

নাসির, সাব্বির ও এনামুল

  • Font increase
  • Font Decrease

তারা তিনজনই বাংলাদেশের জার্সি গায়ে শেষ বিশ্বকাপে খেলেছেন। খুব আহামরি কোন পারফরমেন্স করেছেন তাও কিন্তু নয়। আগে তাদের সেই ২০১৫ সালের বিশ্বকাপ পারফরমেন্সের দিকে এক নজর।

এনামুল হক বিজয়। ডানহাতি ব্যাটসম্যান, ওপেনার। গেলবারের বিশ্বকাপে প্রথম দুই ম্যাচে আফগানিস্তান ও ভারতের বিপক্ষে করলেন ২৯ করে রান। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে ফিল্ডিংয়ে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন। কলার বোন ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যাট করতে নামতেই পারলেন না। তার বিশ্বকাপ ওতেই শেষ। মাঝপথেই দেশে ফিরলেন।

সাব্বির রহমান। ডানহাতি, লেট মিডলঅর্ডার ব্যাটসম্যান। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে খেলেন ৬টি ম্যাচ। সবমিলিয়ে রান করেন ১৮২। ম্যাচ প্রতি রানগড় ৩৬.৪। একটি হাফসেঞ্চুরি। সর্বোচ্চ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মেলবোর্নে ৫৩। পারফরমেন্স পরিসংখ্যানের হিসেবে মন্দ নয়!

নাসির হোসেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান। মুলত সাত-আট নম্বরে ব্যাট করেন। গেল বিশ্বকাপে মাত্র তিন ম্যাচে একাদশে খেলার সুযোগ হয় তার। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নামতে হয়নি। তার আগেই তামিম ইকবালের বিশাল সেঞ্চুরিতে জয় পায় বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ড ও ভারতের বিপক্ষে খেলেন। রান যথাক্রমে ১১ ও ৩৫। মনে রাখার মতো কোন বিশ্বকাপ পারফরমেন্স নেই তার।

বিশ্বকাপ শেষে সাব্বির রহমান বাদে নাসির হোসেন ও এনামুল হক বিজয় মনে রাখার মতো আর তেমন কিছু করতেও পারেননি। আর তাই জাতীয় দল থেকে লম্বা সময়ের জন্য বাদ পড়েন তারা। সাব্বির রহমান ব্যাট হাতে কদাচিৎ ভাল কিছু করলেও মাঠের বাইরের বিতর্কে এতো বেশি জড়ালেন যে সহানুভূতির নজর থেকেও বিচ্যুত! এই সময়টায় মাঠের বাইরের হরেক রকম অসামাজিক র্কীতি কলাপ নিয়েই বেশি শিরোনামে থাকেন দুই ‘কীর্তিমান’; নাসির হোসেন ও সাব্বির রহমান!

ফল-; ২৯ নভেম্বর ২০১৬ সাল থেকে ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮। এই দুবছরের মধ্যে সাব্বির রহমান মাঠের বাইরের বিভিন্ন অসদাচারনের জন্য ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা গুনেন। দু’বার ক্রিকেটে নিষিদ্ধ হন। প্রথমবার ছয়মাস ঘরোয়া ক্রিকেটে। দ্বিতীয়বার ছয়মাসের জন্য আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে। শেষের সেই নিষেধাজ্ঞা সাব্বিরের এখনো চলছে। শেষ হবে চলতি বছরের ফেব্রয়ারির শেষদিনে।

সন্মান ও সামাজিকতায় হানি হতে পারে এমনসব কেলেঙ্কারির অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে নাসির হোসেনের নাম। বিসিবি তাকে ডেকে নিয়ে সতর্কও করে দেয়। এমনিতেই পারফরমেন্স নেই, তারওপর লম্বা সময়ের জন্য ইনজুরিতেও পড়ে ক্রিকেট থেকেও যেন হারিয়ে গেলেন নাসির। ব্যাট হাতে তার যা পারফরমেন্স তাতে জাতীয় দলে খুব দ্রত তার জায়গা পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্যের কোটায়।

একটা উদাহরণ দেই। ২০১৩ সালের ২৯ অক্টোবর থেকে ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি-এই সময়কালের মধ্যে খেলা ৪০টি ওয়ানডে ইনিংসে তার কোন হাফসেঞ্চুরি নেই! এই ইনিংস গুলোর মধ্যে দশটিতে অবশ্য ব্যাট করার সুযোগই পাননি নাসির। তবে বাকি যে ৩০টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন তাতে দলে জায়গা ধরে রাখার মতো যে কিছুই দেখাতে পারেননি।

নাসির ক্রিকেটীয় পারফরমেন্সে জিরো থাকলেও ফেসবুকে কেলেঙ্কারির তালিকার একেবারে টপ লিস্টে ছিল তার নাম!

এনামুল হক বিজয়ের অবশ্য অ-ক্রিকেটীয় কোন সমস্যা নেই। তার এক এবং একমাত্র সমস্যার নাম পারফরমেন্স করতে না পারা। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের পর জাতীয় দলে ফিরলেন তিন বছর পর, গেল জানুয়ারিতে। বছরে সবমিলিয়ে ৭টি ওয়ানডে খেলার সুযোগ পান। কোন হাফসেঞ্চুরি পর্যন্ত নেই। সর্বোচ্চ রান ৩৫। তিনবার সিঙ্গেল ডিজিটে আউট। যার মধ্যে দুবার আবার শূন্য! নিজের ব্যাটিং কিভাবে সাজাতে চান, সেই দ্বিধাদ্বদ্বই আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে এনামুলের আরেকটি বছর শেষ!

আরেকটি বিশ্বকাপ চলে আসছে। জুনে শুরু ইংল্যান্ডে ওয়ানডে ক্রিকেটের বিশ্বকাপ। গেল বিশ্বকাপের দলে এই ত্রয়ী ছিলেন। এবার থাকবেন কি? আশা কতদুর? সম্ভাবনার মাত্রাই বা কেমন? সমস্যা হলো নিজেদের আরেকটি বিশ্বকাপের জন্য যোগ্য প্রমানের এই ত্রয়ী ওয়ানডে ক্রিকেট খেলার সুযোগ তেমন পাচ্ছেন না। যা পাচ্ছেন তার নাম বিপিএল। টি-টুয়েন্টির এই ফরমেটই এখন এই তিনজনের বিশ্বকাপ স্বপ্ন টিকিয়ে রাখার অক্সিজেন!
মঙ্গলবার বিসিবির ক্রিকেট একাডেমির মাঠে বিপিএলে নিজ দলের অনুশীলন শেষে তিনজনই এই প্রশ্নের উত্তরে যা বললেন তা ঠিক এমন।

এনামুল হক বিজয়:

-‘আমি গত বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে দলে ফিরলাম এবং ম্যাচ গুলোতে ভাল করতে পারলাম না। তখন থেকেই প্রতিটি ম্যাচই আসলে আমার কাছে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। এনসিএল বলেন। বিসিএল বলেন, বিপিএলের প্রতিটি ম্যাচ এবং বিপিএলের পরে যদি কোন ওয়ানডে ম্যাচ খেলি বা অন্য যে কোনো ম্যাচই আমার জন্য ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের জন্য প্রস্তুতি। আমি সবসময় তৈরি থাকার চেষ্টা করবো। জানি এখন প্রতিটি ম্যাচ আমার নিজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমি অবশ্যই ২০১৯ বিশ্বকাপ খেলতে চাই। এই স্বপ্ন আমি সবসময়ে দেখি। আমার মনে প্রাণে আছে, আমার প্রতিটি চেষ্টাতে, প্রতিটি নেট বা জিম সেশনে আমি চিন্তা করি যে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে খেলবো। এর জন্য যতোটা প্রস্তুত হওয়া প্রয়োজন এবং যতটুকু পারফর্ম করা দরকার, আমি চেষ্টা করবো করার।’

সাব্বির রহমান:

-‘বিশ্বকাপ অনেক দুরে আছে এখনও। আপাতত বিপিএল নিয়ে চিন্তা করছি। বিপিএলে যদি ভাল পারফর্ম করতে পারি তাহলে জাতীয় দলে হারানো জায়গা ফেরত পাওয়ার একটা সুযোগ থাকবে আমার। আমি চেষ্টা করবো বিপিএলে ভাল কিছু করার। তারপর বিশ্বকাপে সুযোগ।’

নাসির হোসেন:

-‘ বিশ্বকাপ অনেক বড় স্টেজ। সবাই বিশ্বকাপে খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। আমি জাতীয় দলে নেই অনেকদিন হলো। বিপিএলে ভাল পারফর্ম করতে হবে। তাহলেই সুযোগটা সামনে আসবে।’

   

চট্টগ্রাম টেস্ট দেখা যাবে ১০০ টাকায়



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেটে বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে বাংলাদেশ। ৩২৮ রানে হারের ক্ষতে প্রলেপ দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন শান্তরা। ৩০ মার্চ থেকে চট্টগ্রামে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্ট। সে ম্যাচ মাঠে বসে উপভোগ করতে চট্টলার দর্শকদের কেমন খরচ হতে পারে, তা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে বিসিবি।

বিসিবির বিবৃতি অনুযায়ী সবচেয়ে দামি টিকিট গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের। সে গ্যালারিতে বসে খেলা দেখতে গুণতে হবে আপনাকে ১০০০ টাকা। এছাড়া রুফটপ হসপিটালিটির টিকিটও মিলবে সমান দামেই। আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডের টিকিটের দাম ৫০০ টাকা। ক্লাব হাউজের টিকিটের দাম ধরা হয়েছে ৩০০ টাকা। ইস্টার্ন স্ট্যান্ডের টিকিট পাওয়া যাবে ২০০ টাকায়। সর্বনিম্ন দাম ওয়েস্টার্ন স্ট্যান্ডে। সেখানকার টিকিটের দাম ১০০ টাকা করে।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশের ওয়ানডে সিরিজের ম্যাচগুলোও হয়েছিল চট্টগ্রামে। তবে ওয়ানডের তুলনায় একই মাঠে টেস্টের টিকিটমূল্য তুলনামূলক কম। ওয়ানডের চেয়ে টেস্টে টিকিটমূল্য প্রায় ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত কমে গেছে।

টিকিটের প্রাপ্তিস্থানও জানিয়েছে বিসিবি। বিটাক মোড়ের কাছে সাগরিকা টিকেট কাউন্টারে পাওয়া যাবে টিকিট। পাওয়া যাবে ম্যাচের আগের দিন ও ম্যাচের দিন সকাল ৯:৩০ টা থেকে সন্ধ্যা ৪:৩০টা পর্যন্ত।

;

নিজের অবসর প্রসঙ্গে জানালেন লিওনেল মেসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বর্তমান ফুটবল বিশ্বের অন্যতম মহাতারকা এবং সর্বকালের সেরা ফুটবলারদের একজন, তিনি লিওনেল আন্দ্রেস মেসি। ফুটবল খেলে যতরকম সাফল্য অর্জন করা যায়, বিশ বছরের ক্যারিয়ারে তার প্রায় সবই নিজের নামে করে নিয়েছেন মেসি। সবশেষ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের শিরোপাটা তুলে ধরে নিজেকে নিয়ে গিয়েছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

এত সাফল্যমণ্ডিত ও বর্নাঢ্য ফুটবল ক্যারিয়ারের মাঝে খারাপ সময়ও পার করতে হয়েছে তাকে। একের অধিকবার ফাইনালে নিজের দলকে না জেতাতে পারার আক্ষেপ তাকে ভেতর থেকে যন্ত্রণা দিয়েছে বেশ কয়েকদিন। ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬- টানা তিন বছর তিনটি আন্তর্জাতিক ফাইনালে হারের পর হতাশায় তো ফুটবল থেকেই অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেছিলেন।

তবে হার মেনে নেওয়ার সময় সেটি ছিল না, তার আরও কিছু অর্জন করার বাকি, দেশের জন্য এবং নিজের জন্যও, এমনটাই তার মন বলছিল। তাইতো ২০১৮ বিশ্বকাপের আগে আবারও ফিরে এলেন। তবে রাশিয়া বিশ্বকাপেও তাকে হতাশা হজম করতে হয়েছে। তবুও থেমে থাকেননি মেসি, নিজের সর্বোচ্চটা ঢেলে দিয়েছেন মাঠের খেলায়, দেশের জন্য।

২০২১ সালে ব্রাজিলকে কোপা আমেরিকার ফাইনালে হারিয়ে প্রথমবার আর্জেন্টিনার জন্য আন্তর্জাতিক কোনো শিরোপা হাতে তুলে নেন মেসি। তখনই হয়তো বুঝেছিলেন যে আরও কিছু অর্জন বাকি আছে তার। কোপার শিরোপার পর ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে হারিয়ে জিতে নিলেন ফিনালিসিমার ট্রফিটাও। শেষে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফিটাও পেল মেসির হাতের স্পর্শ। ফুটবল যেন পূর্ণতা পেল ২০২২ সালের ১৮ই ডিসেম্বর রাতে।

অনেকে ধরেই নিয়েছিল বিশ্বকাপ অর্জনের পর হয়তো ফুটবলকে বিদায় জানাবেন লিওনেল মেসি। তবে না, নিজের ক্যারিয়ারটা আরেকটু দীর্ঘ করতে চান তিনি। আপাতত ২০২৪ কোপা আমেরিকাতে খেলবেন এমনটা নিশ্চিত করেছেন এই ফুটবল জাদুকর।

সম্প্রতি নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে এমবিসি’র ‘বিগ টাইম পডকাস্টে’ কথা বলেন তিনি। সেখানেই জানিয়েছেন কবে নিবেন অবসর। মেসি বলেন, ‘অবসরের মুহূর্তটা কেমন হবে জানি, যখন টের পাব আর পারফর্ম করতে পারছি না। নিজেকে উপভোগ করছি না, সতীর্থদের কোনো সাহায্য করতে পারছি না। আমি বুঝি কখন আমি ভালো খেলছি, কখন খারাপ খেলছি। যখন আমার মনে হবে এখন সেই সিদ্ধান্তটা নেওয়া সময় হয়েছে, আমার বয়স কত সেটি মনে না রেখেই অবসরের সিদ্ধান্ত নেব।’

ঠিক কবে অবসরে যাবেন এটি না বললেও মেসির কথা থেকে এটি পরিষ্কারভাবেই বোঝা যায় যে, এখনই থামছেন না তিনি। যতদিন সম্ভব নিজেকে টেনে নিতে থাকবেন ফুটবল স্বর্গেরাজ্যের অনন্য এক উচ্চতায়।  

;

দি মারিয়াকে হত্যার হুমকিদাতারা আটক



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন আগে আর্জেন্টিনার অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ড এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আনহেল দি মারিয়া হত্যার হুমকি পান। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর কিছুটা আতঙ্কও ছড়িয়ে পড়ে তার পরিবার এবং আত্মীয়দের মধ্যে। গতকাল সেই হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করেছে আর্জেন্টিনার ফেডারেল পুলিশ ও তাদের বিশেষ ইউনিট পিডিআই।

আর্জেন্টিনার জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী পাত্রিসিয়া বুলরিখ জানিয়েছেন, এই হুমকি দেওয়ার মূল হোতার নাম পাবলো আকোত্তো। মাদক চোরাচালানের ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান আছে। দি মারিয়াকে হুমকি দেওয়ায় তাকে সহযোগিতা করেছেন সারা বেলেন গুতিরেজ ও গ্যাব্রিয়েল ইসমায়েল পাস্তোরে।

রোজারিওতে নিজ বাসায় তার পরিবারের উদ্দেশে হত্যার হুমকি সম্বলিত বার্তা দিয়ে যায় শহরের দুর্ধর্ষ মাদক চোরাকারবারিরা। সোমবার ভোরে হুমকি–সংবলিত কাগজ লিখে ছুঁড়ে ফেলে যায় অজ্ঞাত একটি দল। একটি ধূসর গাড়ি থেকে ছুঁড়ে ফেলা সেই কাগজে দি মারিয়ার পরিবারের উদ্দেশে লেখা ছিল, ‘আর্জেন্টাইন তারকা যদি শহরে ফেরেন, তাহলে প্রাদেশিক গভর্নরও এই ফুটবলারের পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে পারবেন না।‘

পাবলো আকোত্তো এই হুমকি দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। আর্জেন্টিনার সংবাদমাধ্যম টিওয়াইসি স্পোর্টস জানিয়েছে, নিজ নিজ বাসা থেকে পালানোর সময় এই তিন হুমকিদাতাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

;

মুম্বাই-হায়দরাবাদ ম্যাচে যত রেকর্ড



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আইপিএলে বুধবার রাতের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যকার ম্যাচটি দীর্ঘদিন মনে থাকবে বিশ্বের ক্রিকেট প্রেমীদের। এই ম্যাচেই বিশ্ব ক্রিকেট দেখল একাধিক রেকর্ড। এদিন দুই ইনিংস মিলে মোট রান হয়েছে ৫২৩। ওয়ানডে ম্যাচগুলোতে প্রায়ই যে রানের দেখা মিলে, আইপিএলের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এই ম্যাচেই তা দেখা গেল।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট হাতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রান তোলে হায়দরাবাদ, যা আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। জবাবে রান তাড়ায় ২৪৬ রান তোলে মুম্বাই। এতে ৩১ রানের জয় পায় ‘টিম অরেঞ্জ’।

৫২৩ রানের এই ম্যাচে সর্বোচ্চ সংগ্রহ ছাড়াও হয়েছে অনন্য সব রেকর্ড। সেসব রেকর্ডে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ

সানরাইজার্স হায়দরাবাদের করা এই ম্যাচে ২৭৭ রানের সংগ্রহ আইপিএলের ১৭ আসরের সর্বোচ্চ। এতদিন রেকর্ড ছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর দখলে। ২০১৩ সালে পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ৫ উইকেটে ২৬৩ রান করেছিল তারা। তার এক দশক পেরিয়ে আজ রেকর্ডটি ভেঙে দিল হায়দরাবাদের।

ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড

হায়দরাবাদের ২৭৭ এর বিপরীতে মুম্বাইয়ের ২৪৬ রান। এতে দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট রান ৫২৩। যা শুধু আইপিএল নয়, স্বীকৃত যেকোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। আইপিএলের গত রাতের ম্যাচটি এখানে পেছনে ফেলল দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৫১৭ রানের আগের রেকর্ডটি।

সবচেয়ে বেশি ছক্কা

দুই দল মিলিয়ে এই ম্যাচে ছক্কা হাঁকিয়েছে মোট ৩৮টি। এটা ক্রিকেটের যেকোনো ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কার রেকর্ড, বিশ্ব রেকর্ডই বলা যায়। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১৮ সালে আফগানিস্তান প্রিমিয়ার লিগে বালখ লেজেন্ডস ও কাবুল জাওয়ানানের মধ্যকার ম্যাচে ৩৭টি ছক্কা নিয়ে।

সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারি

দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৬৯টি বাউন্ডারি হয়েছে এ ম্যাচে, ৩৮টি ছক্কার ও ২১টি চার। যা আইপিএলের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি বাউন্ডারির রেকর্ড। যৌথভাবে এই রেকর্ড ধরে আছে ২০১০ আসরের চেন্নাই সুপার কিংস ও রাজস্থান রয়্যালসের ম্যাচটি।

;