বিপিএল তার কলঙ্ক, এবার মুকুট চান আশরাফুল!



এম.এম. কায়সার, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪,কম
অনুশীলন মাঠে দুর থেকে আশরাফুলকে দেখতে পেয়েই সাকিব এগিয়ে যান। দুজনের হ্যান্ডসেকের সেই মুর্হূতকে ক্যামেরায় ধরে রাখতে ফটোসাংবাদিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়-  ছবি: বার্তা২৪

অনুশীলন মাঠে দুর থেকে আশরাফুলকে দেখতে পেয়েই সাকিব এগিয়ে যান। দুজনের হ্যান্ডসেকের সেই মুর্হূতকে ক্যামেরায় ধরে রাখতে ফটোসাংবাদিকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়- ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিপিএলে ‘দুই নম্বরি ক্রিকেট’ তার ক্যারিয়ারের ৫ বছর ৯ মাস সময় খেয়ে ফেলেছে! স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ স্বীকার করে এই সময়টায় ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন। সেই নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক আগেই ফিরেছেন  মোহাম্মদ আশরাফুল। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে খেলেছেন। এক মৌসুমে পাঁচটি সেঞ্চুরিও করেছেন। গেল বছরের ১৩ আগস্ট থেকে আর্ন্তজাতিক ক্রিকেটে তার খেলার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। আর নতুন বছরের শুরুতেই আরেকবার বিপিএলে ফিরছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটের একসময়ের ওয়ান্ডার বয়।

এই বিপিএলের দ্বিতীয় আসর কেড়ে নিয়েছিলো আশরাফুলের সুনাম। দিয়েছিলো দুর্নাম। দ্বিতীয় আসরের একটি ম্যাচে স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠে তার বিপক্ষে। বিবেকের তাড়নায় ভেঙ্গে পড়ে একসময় স্বীকার করেন নিজের অপরাধ। শাস্তি হিসেবে পাঁচবছর ৯ মাস ক্রিকেটে নিষিদ্ধ ছিলেন আশরাফুল। পঙ্কিলে পড়া বিপিএলকে উদ্ধার করতে বিসিবি দুই মৌসুম টুর্নামেন্টটা বন্ধ রাখে। নিষেধাজ্ঞা থাকায় আশরাফুল এই টুর্নামেন্টের তৃতীয় এবং চতুর্থ, পঞ্চম আসরে খেলতে পারেননি। বদনামের ভাগীদার হওয়া সেই টুর্নামেন্টে আশরাফুল এবার ফিরছেন। ষষ্ঠ আসরের প্রথম দিনেই এবারের টুর্নামেন্টে আশরাফুলের দল চিটাগাং ভাইকিংস মাঠে নামছে।

যে টুর্নামেন্টে মান-মর্যাদা সন্মান হারিয়ে কলঙ্কিত হয়েছিলেন আশরাফুল, এখন সেই টুর্নামেন্টকে ঘিরেই অনেক দুরের স্বপ্ন দেখছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকনিষ্ঠ টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান। আশরাফুল স্বপ্ন দেখছেন আরেকবার জাতীয় দলে ফেরার। বাস্তবতা বলছে আশরাফুলের সেই স্বপ্ন সফল হওয়ার সম্ভাবনা ভীষণ ক্ষীণ!

চিটাগাং ভাইকিংসের হয়ে বুধবার, ২ জানুয়ারি বিসিবির ক্রিকেট একাডেমির মাঠে অনুশীলন শেষে নিজের সেই কঠিন বাস্তবতার মোড়কে আঁকড়ে রাখা স্বপ্নের কথা বলছিলেন আশরাফুল-
‘‘নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রথম শ্রেণী ও প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে খেলতে পেরেছিলাম। তবে ওসব খেলা তো টেলিভিশনে সম্প্রচার হয় না। তাই তেমন কারো নজরে আসে না। বিপিএলে সেই সমস্যা নেই। বিপিএল একটা আর্ন্তজাতিক মানের টুর্নামেন্ট। এখানে এবার খেলতে পেরে আসলে নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে হচ্ছে। আমাকে দলে নেয়ার জন্য চিটাগং ভাইকিংস কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিপিএলের টি-টুয়েন্টির খেলাটা আমার জানা আছে। ভালো অভিজ্ঞতা আছে। আল্লাহর রহমতে যদি সুযোগ পাই তবে ভাল খেলার চেষ্টা করবো। বিপিএলে ভাল খেললে সেটা গননার মধ্যে আসে। আমি ১৩ বছর আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলেছি। বিপিএলের প্রথম দুই আসরেও খেলেছিলাম। সেসময় চ্যাম্পিয়ন দলের অংশও ছিলাম আমি। ভাল খেলেছিলাম। এবার চিটাগাং ভাইকিংসের হয়েও ভালো ক্রিকেট খেলার জন্য মুখিয়ে আমি। আমার পারফরমেন্সে দল যেন ভাল ফল পায় সেই চেষ্টাই থাকবে। আমি যদি ফিরে আসতে পারি তাহলে একটা উদারহরণও তৈরি হবে। লম্বা সময় জাতীয় দলের বাইরে থেকেও আবার পারফরমেন্স করে ফিরে আসার চ্যালেঞ্জও তৈরি হবে। পেছনের সাড়ে পাঁচ বছরের সময়টায় অনেককিছুই মিস করেছি। তবে আমার সবকিছুরই একটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। বাংলাদেশের হয়ে লম্বা সময় ধরে খেলেছি। লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটে নিষিদ্ধও থেকেছি। ঘরোয়া ক্রিকেটে আবার ফিরে এসেছি। প্রিমিয়ার ক্রিকেটে খেলেছি। তবে এই ফরমেটের ক্রিকেটে খেলার জন্য আমি বলতে পারেন উন্মুখ হয়েছিলাম। বিপিএলে পারফরমেন্স করলে সেটা একটু আলাদা ভাবে নজরে পড়ে সবার। বাংলাদেশ দলে খেলার স্বপ্ন থাকে সব ক্রিকেটারের। সেই স্বপ্ন সফল করার জন্য বিপিএল একটা বড় প্ল্যাটফর্ম। এই টুর্নামেন্টের জন্য আমি আসলে অপেক্ষায় ছিলাম। পাঁচবছর আমি এই ফরমেটের ক্রিকেট খেলিনি। এখন খেলতে নামার আগে অবশ্যই আমার অন্যরকম একটা অনুভুতি হচ্ছে। তবে সবকিছুই আমি উপভোগ করার চেষ্টা করছি।

স্বপ্ন দেখছি যে বাংলাদেশ দলের জার্সিটা আবার পরতে চাই। সেই স্বপ্ন পুরুণের জন্য সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম এই টুর্নামেন্ট। জানি যে বিপিএলে যদি আমি ভালো খেলি, তাহলে আমার স্বপ্ন সফল করার একটা সুযোগ আছে। আমি টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট ভালবাসি। আমি একটা জায়গা খুঁজছিলাম। এবারের টুর্নামেন্টে সেটা পেয়েছি। এটাকে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।

আমি প্রিমিয়ার লিগে যখন পাঁচটা সেঞ্চুরি করেছিলাম, তখনো কিন্তু আমার ওপর একটা নিষেধাজ্ঞা ছিলো যে আমি আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট খেলতে পারবো না। তবে এখন এই বিপিএলের সময় সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি আগেই ফিরেছি। তবে আমার প্রধান ফোকাস ছিলো এই বিপিএলকে ঘিরেই। পারফরমেন্সের জন্য অপেক্ষা করছি।’’

   

চেন্নাইয়ের জার্সিতে খেলার স্বপ্ন দেখতেন মুস্তাফিজ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মুস্তাফিজুর রহমানের আইপিএলে খেলা নিয়ে কম কথা হয়নি। বিশেষ করে আইপিএলের মাঝপথে তাকে জিম্বাবুয়ে সিরিজের জন্য দেশে ফিরিয়ে আনার প্রশ্নে বিসিবি পরিচালকদের মধ্যেও মতদ্বৈধতা দেখা গেছে। বিসিবির ক্রিকেট অপারেশন্স প্রধান জালাল ইউনুস এও বলেছিলেন, আইপিএল খেলে মুস্তাফিজের শেখার কিছু নেই। তবে মুস্তাফিজ নিজে কিন্তু সেভাবে ভাবছেন না। বরং আইপিএলে খেলার কিছু উপকারী দিক খুঁজে পেয়েছেন দেশের অন্যতম সেরা এই পেসার।

চেন্নাই সুপার কিংসের সোশ্যাল মিডিয়া চ্যানেলের সঙ্গে আলাপে নিজের ব্যক্তিজীবন এবং ক্রিকেট ক্যারিয়ারের বেশকিছু বিষয় খোলাসা করেছেন মুস্তাফিজ। আইপিএলের মতো টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে তার ভাবনা বর্ণনা করতে গিয়ে মুস্তাফিজ বলেন, ‘আইপিএলে সব দেশের তারকা ক্রিকেটাররা থাকে। এখানে সাফল্য পেলে অন্যত্র সফল হওয়া সহজ হয়ে যায়।’

২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেক হয় মুস্তাফিজের। প্রথম আসরে খেলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। সেবার অরেঞ্জ আর্মির হয়ে শিরোপাও জিতেছিলেন, হয়েছিলেন টুর্নামেন্টের সেরা উদীয়মান ক্রিকেটার। এরপর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, রাজস্থান রয়্যালস এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের জার্সিতেও দেখা গেছে তাকে।

তবে সবসময়ই তার ভেতর সুপ্ত বাসনা ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার। মুস্তাফিজের ভাষায়, ‘চেন্নাইয়ের হয়ে এবারই প্রথম খেলছি। ২০১৬ সালে আইপিএলে অভিষেকের পর থেকেই চেন্নাইয়ের হয়ে খেলার স্বপ্ন ছিল। যেদিন চেন্নাইয়ের তরফ থেকে ডাক পাই, আমি ওই রাতে ঘুমাতে পারিনি।’

চেন্নাই সুপার কিংস তারকায় ঠাঁসা এক দল। মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক দলটির সবচেয়ে জনপ্রিয় মুখ। এছাড়া কোচিং প্যানেলেও রয়েছেন স্টিফেন ফ্লেমিং, মাইক হাসি, ডোয়াইন ব্রাভোর মতো কিংবদন্তি ক্রিকেটাররা। তাদের সান্নিধ্যে থেকে, দিকনির্দেশনায় খেলে কী শিখতে পেরেছেন সেটাও অকপটেই জানালেন মুস্তাফিজ, ‘মাহি ভাই, ডিজে ব্রাভোরা ডেথ ওভারে ফিল্ডিং সাজানো নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন, এই বিষয়গুলো কাজে লেগেছে। (ধোনির সঙ্গে) বোলিং নিয়ে মূলত কথা হয়। মাঠেই বেশি কথা হয়। মাহি ভাই নিজে এসেই আমাকে বলেন কোনটা কীভাবে করলে ভালো হয়।’

আইপিএলের চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট ঝুলিতে পুরেছেন মুস্তাফিজ। চেন্নাইয়ের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি এখন তিনিই। যদিও শেষ কয়েক ম্যাচে বেশ খরুচে বোলিং করেছেন। তবে বাংলাদেশে ফেরার আগে আরও দুইটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেতে পারেন মুস্তাফিজ। সে দুটি ম্যাচে নিশ্চয়ই নিজের সেরাটা মেলে ধরতে চাইবেন ‘কাটার মাস্টার’খ্যাত এই গতিতারকা।

;

আচমকা অবসরে পাকিস্তানের তারকা ক্রিকেটার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাট চুকানোর ঘোষণা দিয়েছেন পাকিস্তানের তারকা নারী ক্রিকেটার বিসমাহ মারুফ। দীর্ঘ ১৭ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের জার্সিতে রেকর্ড ১৩৬ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেও লিগে খেলা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।

দীর্ঘসময় পাকিস্তানের নারী দলের নেতৃত্ব দেয়া বিসমাহর অধীনে মোট ৯৬টি ম্যাচ খেলেছে দল। ৬২ টি-টোয়েন্টি ও ৩৪টি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের অধিনায়কত্ব করেছেন তিনি।

ব্যাট-বল তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়ার মুহূর্তে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি-দুই ফরম্যাটেই পাকিস্তানের জার্সিতে সর্বোচ্চ রান বিসমাহর। ১৩৬ ওয়ানডেতে ২৯.৫৫ গড়ে তার রান ৩ হাজার ৩৬৯। এই ফরম্যাটে ২১ বার ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি। টি-টোয়েন্টিতে ১৪০ ম্যাচে মারুফের রান ২৮৯৩, ফিফটি ১২টি।

আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত নেয়া প্রসঙ্গে মারুফ জানান, ‘আমি যে খেলাটিকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসি তা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটি আমার জন্য একটি অবিশ্বাস্য যাত্রা, চ্যালেঞ্জ, জয় এবং অবিস্মরণীয় স্মৃতিতে ভরা। আমি আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট যাত্রায় শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে।’

;

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;