প্রথম ম্যাচেই রং হারা রংপুরের ব্যাটিং!
ব্যাটিংটা কি করতে পারলো রংপুর?
স্কোরবোর্ডেই লেখা উত্তরটা! ৯৮ রানেই শেষ রংপুর রাইডার্সের ইনিংস। একশও পার করতে পারলো না। অথচ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা! নতুন টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই চ্যাম্পিয়নদের কাছ থেকে এমন ব্যাটিংয়ের আশা কেউ করেনি।
ম্যাচ শুরুর আগেই রংপুর রাইডার্স ফেভারিট তত্তে¡ এই ম্যাচে এগিয়ে ছিলো। কিন্তু কাগজে-কলমে হিসেবের অংক ক্রিকেটে সবসময় কাজে লাগে না। সেটা জানিয়েই চিটাগং ভাইকিংসও প্রথম ম্যাচের প্রথম ধাপেই বুঝিয়ে দিলো এবারের টুর্নামেন্টে হিসেব বদলে দিতেই নেমেছে তারা।
টসে জিতে চিটাগং ভাইকিংস অধিনায়ক মুশফিক রহিম বোলিং বেছে নেন। নতুন টুর্নামেন্ট। নতুন উইকেট। প্রথম ম্যাচ। এমন পরিস্থিতিতে উইকেট কেমন আচরণ করে সেই পরীক্ষায় রংপুরের ব্যাটসম্যানরা আগে পড়–ক, সেই চিন্তায় মুশফিক বোলিং বেছে নিলেন।
এবং সম্ভবত এই ম্যাচে সেটা ছিলো তার সেরা সিদ্ধান্ত। ১৪ রানে রংপুর যখন ৪ উইকেট হারায় তখনো মনে হচ্ছিলো কেউ না কেউ সামলে দেবে। কিন্তু খানিকবাদে ৩২ রানে ৬ উইকেট হারানো দলে পরিণত হয়ে গেল রংপুর। ব্যাটিংয়ের পুরো রংই যেন হারিয়ে বসলো চ্যাম্পিয়নরা। রবি বোপারা একপ্রান্ত আঁকড়ে খানিকটা সামাল দেয়ার চেষ্টা চালান। মুলত তার ৪৪ রানের ব্যাটিংয়ের কল্যানেই রংপুর এতক্ষণ খেলতে পারলো।
ইনিংসের ১০ ওভারের মধ্যেই অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে মাঠে ব্যাট হাতে নেমে পড়তে হলো। মিশন একটাই-দলকে উদ্ধার করা! তবে ব্যাট হাতে তিনিও দলকে সহায়তা করতে পারলেন না।
রংপুরের ব্যাটিংয়ের শুরুটা ধসিয়ে দেন চিটাগং ভাইকিংসের দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার ফ্রাইলিঙ্ক। নিজের শুরুর ওভারেই সাফল্য পান এই পেসার। অ্যালেক্স হেলসকে শূন্য রানে বিদায় করেন। এক বল পরে মোহাম্মদ মিঠুনের স্ট্যাম্প উপড়ে দিলেন। এক ওভারে দুই উইকেট হারানোর সেই সঙ্কট থেকে আর বেরিয়ে আসতে পারেন রংপুর। মিডলঅর্ডারে রবি বোপারা ও লেটঅর্ডারে সোহাগ গাজী ছাড়া রংপুরের আর কোন ব্যাটসম্যান দুই অংকের ঘরে পৌছাতে পারেননি।
ফ্রাইলিঙ্ক, আবু জায়েদ রাহী, মোহাম্মদ খালেদের পেস বোলিংয়ের কৃতিত্বের দিনে চিটাগং ভাইকিংসের স্পিনার নাঈম হাসানও পিঠ চাপড়ে দেয়ার মতো প্রশংসা পাচ্ছেন। বিদেশি তারকাদের ভিড়ে দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার রোবি ফ্রাইলিঙ্ককে নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে তেমন আলোচনাই ছিলো না। সেই তিনিই টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচেই ৪ উইকেট নিয়ে পারফরমেন্সের স্পটলাইটের কেন্দ্রবিন্দুতে! ৪ ওভারে ১৪ রানে ৪ উইকেট। ডটবল ১৫টি!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: রংপুর রাইডার্স: ৯৮/১০ (২০ ওভারে, মারুফ ১, হেলস ০, মিঠুন ০, রুশো ৭, বোপারা ৪৪, হাওয়েল ৮, ফরহাদ রেজা ৩, মাশরাফি ২, সোহাগ গাজী ২১, ফ্রাইলিঙ্ক ৪/১৪, জায়েদ ২/৩০, নাঈম হাসান ২/১০)