ডায়নামাইটসের বিস্ফোরণ! ঢাকার সঞ্চয় ১৮৯
একটু আগে এই উইকেটে দিনের প্রথম ম্যাচে রান তুলতে ব্যাটসম্যানদের ‘দম’ ফুরিয়ে যায়। সেই একই উইকেটে দ্বিতীয় ম্যাচে রান উৎসবে মাতলো ঢাকা ডায়নামাইটস। যে উইকেটে রংপুর ও চিটাগং দু’দল মিলে ৩৯ ওভারে ১৭ উইকেট হারিয়ে তুললো ১৯৯ রান; সেই উইকেটে ঢাকা ডায়নামাইটস ২০ ওভারে ৫ উইকেটে যোগাড় করলো ১৮৯ রান।
রান তোলার এই পার্থক্য বোঝাচ্ছে মিরপুরের স্লো উইকেটেও রান তোলা যায়; সেজন্য যা চাই তার নাম-দক্ষতা। ষষ্ঠ বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটস সেই দক্ষতা দেখালো পেশি ফুলিয়ে। সবমিলিয়ে ২০ ওভারের ইনিংসে ঢাকা ছক্কা হাঁকালো এক ডজন। বাউন্ডারি ১৫টি।
রান যা তোলার আসল কাজটা ঢাকা সেরে ফেললো শুরুর ঝড়েই। প্রথম ৬ ওভারে উঠলো বিনা উইকেটে ৬৮ রান। আফগানিস্তানের ওপেনার হযরতউল্লাহ জাজাই বিপিএলে নিজের অভিষেক ম্যাচই রানে রাঙালেন। পঞ্চাশ পুরো করলেন মাত্র ২২ বলে, তিন বাউন্ডারি ও পাঁচ ছক্কায়। থামলেন ৪১ বলে ৭৮ রান তুলে।
তবে শুরুটা যেভাবে করেছিলো ঢাকা; ইনিংসের শেষাংশে সেই ঝড়ের বেগ রাখতে পারলো না। শুরুর ১০ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে ঢাকা তোলে ১১৩ রান। আর শেষের ১০ ওভারে যোগাড় মাত্র ৭৬ রান।
ওপেনিং জুটি ভাঙ্গার পর ঢাকার রান তোলার গতিও কমে গেল আকস্মিকভাবে। পরের চার উইকেট হারায় ঢাকা মাত্র ১৮ রানের মধ্যে। কাইরন পোলার্ড, সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসান সোহান মিডলঅর্ডারে এই তিনজনই সিঙ্গেল ডিজিটে আউট। মাঝের ব্যাটসম্যানদের এই ব্যর্থতায় ঢাকার রানের চাকা একেবারে মহাসড়ক থেকে নেমে যেন গলির মোড়ে থমকে দাড়ালো! শুরুর ঝড়ে মনে হচ্ছিলো যে গতিতে ঢাকা ছুটছে তাতে স্কোরবোর্ডে নিশ্চিত ২০০ রান উঠছে। কিন্তু স্পিনার আরাফাত সানি বল হাতে নিয়েই চমক দেখান। নিজের প্রথম দুই ওভারে সাকিব ও নুরুল হাসান সোহানের প্রাইজ উইকেট শিকার করেন সানি।
পরের ম্যাচে নামার আগে রাজশাহী কিংসের সামনে আরো একটা বড় হোমওয়ার্ক বাকি আছে; ক্যাচ প্রাকটিশ! আকাশে উঠা দুটো ক্যাচ মাটিতে ফেলে দেন রাজশাহীর ফিল্ডাররা। এর মধ্যে উইকেটকিপার জাকির হাসান হাতে বিশাল কিপিং গ্লাভস নিয়েও একটা হাই ক্যাচ মিস করেন। বিস্ময় জাগে-এমন ক্যাচও উইকেটকিপার মিস করে?
বিস্ময় আরেকটু জাগলো ১৯ বল খেলেও মাত্র ২১ রান করলেন একজন ব্যাটসম্যান। যার নাম আন্দ্রে রাসেল!