খুলনার হ্যাটট্রিক হার, রাজশাহীর প্রথম জয়
কৌশলে একটু বদল আনলো রাজশাহী। সেই বদলই রাজশাহীকে ম্যাচ জেতালো। দুই ম্যাচে পদ্মাপাড়ের দলের প্রথম জয়। আর ব্যাটিংয়ে টানা ব্যর্থতায় আরেক ম্যাচে ডুবলো খুলনা। হারলো তিন ম্যাচের তিনটিতেই! হ্যাটট্রিক হার।
খুলনার ১১৭ রানের মামুলি সংগ্রহকে টপকে যেতে রাজশাহী কিংসের সময় একটু বেশি লাগলেও উইকেট বেশি হারাতে হয়নি। ১৮.৫ ওভারে ৭ উইকেটের জয় তুলে নেয় রাজশাহী।
১১ রানে ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজের উইকেট হারানোর পর খুলনার বোলার এবং প্রেসবক্স সবাইকে চমকে দিয়ে ব্যাট হাতে মাঠে প্রবেশ করলেন রাজশাহীর অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। খেললেন ৪৫ বলে ৫১ রানের অনবদ্য ইনিংস। বিপিএলের মাঠে এক ম্যাচে এটাই মিরাজের সেরা স্কোর। আগেরটা ছিলো অপরাজিত ৪১। মিরাজের সঙ্গে অপরপ্রান্তে মমিনুল হকও ৪৩ বলে ৪৪ রান করে প্রথম ম্যাচের ব্যর্থতা কাটিয়ে উঠলেন। কিন্তু লো-স্কোরের এই ম্যাচে জায়গা বদলে ব্যাটিং অর্ডারে ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই ওয়ানডাউনে ব্যাট করতে নামা রাজশাহী কিংসের অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটের ওপরই থাকলো সব স্পটলাইট।
বিপিএলে এখন পর্যন্ত স্থানীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে প্রথম হাফসেঞ্চুরিটা এলো মেহেদি হাসান মিরাজের ব্যাটেই। নামের পাশে লেগে থাকা অলরাউন্ডার পদবীকে মানানসই করলেন মেহেদি মিরাজ এই ম্যাচে।
বুধবার রাতের ম্যাচে খুলনা শুধু একটা জিনিষই জিতে; টস! ব্যাটিংয়ের শুরুটা বাদ দিলে ম্যাচের বাকি সময়জুড়ে সবকিছুতেই খুলনা টাইটানসের শুধু ব্যর্থতা আর ব্যর্থতা। টুর্নামেন্টের তিন ম্যাচের কোনটিতেই খুলনা ম্যাচ জেতার মতো পরিস্থিতিই তৈরি করতে পারেনি।
রাজশাহীর বিপক্ষে খুলনার ব্যাটিংয়ের শুরুটা হয় বেশ। ৪.৫ ওভারে ওপেনিং জুটিতে উঠলো ৪০ রান। ওপেনার পল স্টার্লিং ১৬ রান করে ফিরলেন। অপর ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী ৪ বাউন্ডারিতে ২৩ রান করলেন। দুজনেই ফিরলেন দলের ৪০ রানের স্কোরে। মিডলঅর্ডারে ডেডিভ মালানের ২২ রান ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যান বলার মতো রান জমাই করতে পারলেন না।
ইসুরু উদানা ও মুস্তাফিজুর রহমান রাজশাহীর এই বাঁহাতি পেসারই খুলনার অর্ধেক ব্যাটিং লাইন আপ গুটিয়ে দেন। শ্রীলঙ্কান উদানা ১৫ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। মুস্তাফিজের বোলিং বিশ্লেষণ ৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট। পুরো ২০ ওভার খেললেও সবমিলিয়ে খুলনার ইনিংসে ডটবলের সংখ্যাও কম নয়।
১২০ বলের মধ্যে ৫৫টি ডট!
সংক্ষিপ্ত স্কোর: খুলনা টাইটানস: ১১৭/৯ (২০ ওভারে, স্টার্লিং ১৬, জুনায়েদ ২৩, মালান ২২, আরিফুল ১২, ভিসা ১৪, উদানা ৩/১৮, মুস্তাফিজ ২/১৫, সৌম্য ১/৬)। রাজশাহী কিংস: ১১৮/৩ (১৮.৫ ওভারে মমিনুল ৪৪, মেহেদি হাসান মিরাজ ৫১, জহির খান ১/১৮)। ফল: রাজশাহী কিংস ৭ উইকেটে জয়ী।