মুশফিকের চিটাগংও প্লে’অফে, টেনশনে সাকিবের ঢাকা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম থেকে
আন্দ্রে রাসেলের হ্যাটট্রিকের ম্যাচটিতেও হেরে গেল ঢাকা

আন্দ্রে রাসেলের হ্যাটট্রিকের ম্যাচটিতেও হেরে গেল ঢাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

অবশেষে জিতলাম!

চিটাগং ভাইকিংসের অধিনায়ক মুশফিক রহিম এখন স্বস্তি পেতেই পারেন। ঢাকাকে ১১ রানে হারিয়ে চিটাগং নিজ শহরে নিজেদের শেষ ম্যাচে এসে হাসলো। এই জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে চিটাগং ভাইকিংসও নাম লেখালো টুর্নামেন্টের প্লে’অফে। আর ১০ পয়েন্টে থাকা ঢাকা ডায়নামাইটসের অপেক্ষা বাড়লো, সঙ্গে টেনশনও।

নিজ মাঠে টানা তিন ম্যাচ হেরে চিটাগং ভাইকিংসের দুঃশ্চিন্তা বাড়ছিলো। কিন্তু এই মাঠে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে জয়ে চিটাগং ভুলে যাওয়া হাসি ফিরে পেলো যেন!

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টসে জিতে এই ম্যাচে মুশফিক ব্যাটিং বেছে নিলেন। পাওয়ার প্লেতে ওপেনার মোহাম্মদ শাহজাদ বাজে শটস খেলে আউট হলেও অন্যপ্রান্তে ক্যামেরুন ডেলপোর্ট দলকে বড় স্কোরের পথে রাখেন। ৫৭ বলে ৭১ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন এই বাঁহাতি। মুশফিক রহিমের ব্যাটও দলকে চমৎকার সমর্থন দিলো। ২ ছক্কা ও ৪ বাউন্ডারিতে মুশফিক করেন ৪৩ রান। ১৭৪ রানের স্কোর চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক উইকেটের জন্য তেমন বড় কোন চ্যালেঞ্জ নয়। কিন্তু চিটাগং ভাইকিংসের বোলাররা এই ম্যাচে ডিসিপ্লিন বোলিং করে নিজ শহরের দর্শকদের সামনে জয়ের আনন্দ পেলো। 

শেষ ৩০ বলে ম্যাচ জিততে ঢাকা ডায়নামাইটসের সামনে প্রয়োজন দাড়ায় ৫৩ রানের। উইকেটে তখন ব্যাট হাতে সাকিব আল হাসান ও আন্দ্রে রাসেল। টি-টুয়েন্টির বিশ্বসেরা দুই অলরাউন্ডার। দুজনেই তখন উইকেটে সেট, ৩০ এর বেশি রান দুজনের ব্যাটেই। কিন্তু এই ম্যাচে যে ফিনিসার হতে পারলেন না ঢাকার এই দুই সেরার একজনও।

বোলিংয়ে হ্যাটট্রিক করা রাসেলের সামনে সুযোগ ছিলো এই ম্যাচকে ব্যাটে-বলে স্মরণীয় করে রাখার। ভাগ্যও সঙ্গে ছিলো বেশ। ডেলপোর্টের বলে ২২ রানে একবার বোল্ড হলেও দেখা গেলো সেটা ছিলো ‘নো বল’! সেই সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না রাসেল। ৩৯ রান করে শানাকার বলে রাসেলের আউটের পরে ম্যাচ জেতার দায়িত্ব চাপে সাকিব ও শুভাগত হোমের ওপর। শুভাগত আরেকবার ব্যর্থ। ১৮ নম্বর ওভারে নাঈম ইসলাম মাত্র ৫ রান খরচ করে শুভাগত হোমকে বিদায় করেন। এরপর সাকিবও দলকে জেতানোর চেষ্টা চালান। কিন্তু এবারো সেই শানাকা দৃশ্যপটে হাজির। শানাকাকে ছক্কা হাঁকানোর চেষ্টায় সাকিব তুলে মারলেন। বল বাউন্ডারি পর্যন্ত পৌছালো না। ৫৩ রানে সাকিব ক্যাচ হয়ে যখন ফিরছেন ততক্ষনে ম্যাচ পুরোটাই হেলে পড়েছে চিটাগং ভাইকিংসের পালে।

সাকিব ও রাসেলের চেষ্টার আগে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহান ভাল সুযোগ পেয়েছিলেন এই ম্যাচে তারকা হওয়ার। কিন্তু এই ম্যাচটা যেন নিজের করে নেয়ার জন্যই নেমেছিলেন দেলপোর্ট। ২৩ বলে ৩৩ রান করা সোহানের উইকেটও তিনিই শিকার করেন। পরের বলেই কাইরন পোলার্ড ছেলেমানুষি কায়দায় শূন্য রানে রানআউট হন।

সাকিব ও রাসেল সেই ধাক্কা প্রায় সামলে দিয়ে ঢাকাকে জয়ের পথ দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু এই ম্যাচের শুরুর মতো শেষের অংশেও চিটাগং ভাইকিংসের পারফরমেন্সটা ছিলো বেশি উজ্জ্বল।

ম্যাচ জয়ের পর চিটাগং ভাইকিংস দল বেঁধে মাঠের চারধারে দৌড়ে উইনিং ল্যাপ দেয়। গ্যালারির দর্শকদের ধন্যবাদ জানায়। নিজ মাঠে একেবারে শেষ ম্যাচে এসে এই জয়টা চিটাগংয়ের জন্য কতবেশি প্রয়োজন ছিলো, তাগিদটা বোঝা গেলো তাতেই!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: চিটাগং ভাইকিংস: ১৭৪/৫ (২০ ওভারে, শাহজাদ ২১, ডেলপোর্টস৭১, ইয়াসির আলী ১৯, মুশফিক ৪৩, রাসেল ৩/৩৮, নারিন ২/২০)। ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৬৩/৯ (২০ ওভারে, মিজানুর ১১, সাকিব ৫৩, নুুরুল হাসান ৩৩, রাসেল ৩৯, আবু জায়েদ ৩/২৫, শানাকা ২/৩৪, ডেলপোর্ট ১/৩১, নাঈম হাসান ১/৩৭)। ফল: চিটাগং ভাইকিংস ১১ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: ক্যামেরুন ডেলপোর্ট।

   

রিয়ান ঝড়ের পর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রাজস্থানের জয় 



স্পোর্টস ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০ বলে জয়ের জন্য তখন ৫৩ রান দরকার দিল্লি ক্যাপিটালসের। সেখানে জয়ের পাল্লা রাজস্থান রয়্যালসেরই ভারী ছিল। তবে এক ট্রিস্টান স্টাবসে চড়ে জয়ের স্বপ্ন বুনছিল রাজধানীর দলটি। এই প্রোটিয়া ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ের বিপরীতে শেষ দিকে এসে রাজস্থানের পেসাররা দেখান নৈপুণ্য। এতেই শেষ পর্যন্ত ১২ রানের জয় পায় সঞ্জু স্যামসনের দল। 

এদিকে রাজস্থানের টানা দ্বিতীয় জয়ে এদিন ব্যাট হাতে বড় অবদান ছিল রিয়ান পরাগের। আইপিএলের ২০১৯ সালের আসরে অভিষেক পরাগের। সেই আসর থেকেই রাজস্থানের হয়ে খেলেন তিনি। নিয়মিত জায়গাও পান একাদশে। তবে পারফর্ম যেন একেবারেই শূন্যের কাতারে। এই আসরের আগে মোট ৫৪ ম্যাচে স্রেফ ৬০০ রান করেছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটার। সেখানে দুটি ফিফটির মারে সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল ৫৬ রানের। এমন বাজে পারফর্মে বেশ সমালোচিতও হচ্ছিলেন তিনি। যেন এন্টারটেইনমেন্টের জন্যই থাকেন দলে। তবে সেসব সমালোচনাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ২০২৪ সালে যেন দেখা মিলল নতুন রিয়ানের। আসরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে করেন ৪৩ রান। পরে আজকের দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে খেলেন ক্যারিয়ার সেরা অপরাজিত ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। এতেই ১৮৫ রানের বড় সংগ্রহ পায় রাজস্থান। ম্যাচে বাকি কাজ সারেন বোলাররা মিলে। 

জয়পুরে এদিন দিনের একমাত্র ম্যাচে টসে জিতে আগে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। সেখানে আগে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রান তোলে রাজস্থান। 

চ্যালেঞ্জিং সেই লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই দিল্লিকে পেস তোপে ভোজ্ঞান নাদ্রে বার্গার। তবে ডেভিড ওয়ার্নার ও অধিনায়ক ঋষভ পন্তের জুটিতে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল দিল্লি। তবে দলীয় ১০৫ রানের মাথায় এই দুই বাঁহাতি ব্যাটার ফিরলে জয়ের পথ হয়ে পড়ে বেশ কঠিন। ৪৯ রান করে ফেরেন ওয়ার্নার। তবে হাল ছাড়েননি স্টাবস। লড়েছেন শেষ ওভার পর্যন্ত। তবে শেষ হাসি হাসে রাজস্থানই। ১৭৩ রানে থামে দিল্লির ইনিংস। রাজস্থানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন বার্গার ও চাহাল। 

এর আগে ব্যাট করতে নেমে রাজস্থানের শুরুটাও ছিল ছন্দহীন। ৩৬ রানেই সাজঘরে দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তিন ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল, সঞ্জু স্যামসন ও জস বাটলার। সেখানে ধীরগতিতে এগিয়ে আগে চাপ সামাল দেন রিয়ান। শুরুর ২৬ বলে করেছিলেন ২৬ রান। পরে শেষ ১৯ বলে করেছেন ৫৮ রান। ৮৪ রানের এই বিধ্বংসী ইনিংসে ৭টি চার ও ৬টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। এদিকে রিয়ানকে সঙ্গ দিয়ে ২৯ রানে ইনিংস খেলেন অশ্বিন। এবং শেষে এসে ধ্রুব জুরেলের ২০ রানের ক্যামিওতে ১৮৫ রানের লড়াকু পুঁজি পায় রাজস্থান। নান্দনিক এই ইনিংসের জবাবে ম্যাচসেরার খেতাবও জেতেন রিয়ান।

সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ

রাজস্থান রয়্যালসঃ ১৮৫/৫ (২০ ওভার) (রিয়ান ৮৪*, অশ্বিন ২৯; অক্ষর ১/২১, খলিল ১/২৪)

দিল্লি ক্যাপিটালসঃ ১৭৩/৫ (২০ ওভার) (ওয়ার্নার ৪৯, স্টাবস ৪৪*; চাহাল ২/১৯, বার্গার ২/২৯)

ফলঃ ১২ রানে জয়ী রাজস্থান

ম্যাচসেরাঃ রিয়ান পরাগ

;

‘অধিনায়ক’ শান্তকে নিয়ে যা বললেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ভারত বিশ্বকাপের ঠিক আগে দেশের শীর্ষ সারির এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেছিলেন, ঠিক বিশ্বকাপ পর্যন্তই নেতৃত্বে থাকবেন তিনি। এর একদিন পরেও না। শেষ পর্যন্ত হয়েছেও তাই। বিশ্বকাপের পরই ছেড়েছেন দায়িত্ব। পরে লঙ্কান সিরিজের আগে পূর্ণকালীন তিন ফরম্যাটের নতুন অধিনায়ক হন নাজমুল হোসেন শান্ত।

এদিকে নেতৃত্ব তো ছেড়েছেনই, গত বছরের ৬ নভেম্বর বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচেই চোট পান সাকিব। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত খেলেনি আন্তর্জাতিক কোনো ম্যাচে। সেখান থেকে সাড়ে চার মাসেরও বেশি সময় পর ফের লঙ্কানদের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিরতে চলেছেন সাকিব।

দ্বিতীয় টেস্টে নিয়ে নিজের ভাবনা, শান্তর অধিনায়কত্ব এসব নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) রূপায়ণ সিটি উত্তরার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সাকিব। সেখানে শান্তর লম্বা পথ দেখছেন দেশসেরা এই অলরাউন্ডার।

শান্তর অধিনায়কত্বে আস্থা রাখছেন সাকিব। জানালেন সাপোর্ট পেলে নেতৃত্বে শান্ত হয়ে উঠবেন দারুণ একজন। তবে শান্তর অধিনায়কত্ব নিয়ে এখনই কোনো মন্তব্য করতে চান না সাকিব, ‘খুবই আর্লি স্টেজ (শান্তর অধিনায়কত্বে মন্তব্য করা)। আমি  নিশ্চিত বিসিবি ওকে (শান্ত) লম্বা সময়ের কথা ভেবেই নিয়েছে। ওর শুরুটা খুব ভালো হয়েছে। কিছু ফলাফল ওর পক্ষে এসেছে যেটা ওকে সাহায্য করবে সামনে এগিয়ে যেতে। সবার সমর্থন থাকলে শান্ত অসাধারণ একজন অধিনায়ক হবে।’

;

শামীমের ব্যাটে রূপগঞ্জের হাসি, ৫ উইকেট নিয়েও মলিন রিশাদের মুখ



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা চার জয়ের পর মোহামেডানের কাছে হেরে ছন্দপতন হয়েছিল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের। তবে সে হার ভুলে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে রূপগঞ্জ। শামিম পাটোয়ারি এবং তৌফিক খান তুষারের জোড়া ফিফটিতে পারটেক্সকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে তারা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন পারটেক্স অধিনায়ক মিজানুর রহমান। কিন্তু অধিনায়ক বাদে দলটির অন্য কেউ সে সিদ্ধান্তের মান রাখতে পারেননি। দলীয় সর্বোচ্চ ৮৮ রানের ইনিংস খেলে মিজান নিজেই যা দলের স্কোরকে ভদ্রস্থ করার চেষ্টা করেছেন। তার ৮৮ রানের ইনিংসে চড়ে ৪৭.২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৯১ রান পর্যন্ত পৌঁছে।

রূপগঞ্জের পক্ষে সর্বোচ্চ তিনটি করে উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম এবং শুভাগত হোম। মাশরাফি ৯ ওভার বল করে ৩০ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।

তবে রূপগঞ্জের দুই ব্যাটার শামিম এবং তুষারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫.৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রূপগঞ্জ। ওপেনার তুষারের ব্যাটে আসে ৮৩ রান। আর ৪৩ বলে ৬ চার এবং ৮ ছক্কায় ৮৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেল দলকে জয় এনে দেন ম্যাচসেরা শামিম।

এদিকে ৫ উইকেট নিয়েও শাইনপুকুরকে জেতাতে পারেননি স্পিনার রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নেয়ার পথে শাইনপুকুরকে ২৬ রানে হারিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়ন। দিনের অপর ম্যাচে বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবকে ৩৮ রানে হারিয়ে টুর্নামেন্টে প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছে গাজী টায়ার্স।

;

‘লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিৎ বাংলাদেশের’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট টেস্টে ৩২৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এতে ১-০ তে পিছিয়ে স্বাগতিকরা। বড় হারের সে স্মৃতিকে পেছনে রেখে বাংলাদেশের সামনে এখন আরেকটি টেস্টের চ্যালেঞ্জ। চট্টগ্রামে লঙ্কানদের ধরাশায়ী সিরিজে সমতা ফেরাতে মরিয়া বাংলাদেশ, তাতে সিরিজ হার এড়ানোর পাশাপাশি প্রথম টেস্টে বড় হারের কষ্টও কিছুটা লাঘব হতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচের আগে হেড কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে ‘ব্যক্তিগত কারণে’ অস্ট্রেলিয়া গেছেন। কোচ না থাকায় কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়বে বাংলাদেশ। তবে দল এবং একইসঙ্গে সমর্থকদের জন্য সুখবর, টেস্ট সিরিজে খেলার কথা না থাকলেও দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে দলে ফিরেছেন সাকিব আল হাসান। 

দলে ফিরেই সাকিব জানালেন, লঙ্কানদের বিপক্ষে টেস্ট জেতা উচিত বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডেতে ভালো ক্রিকেট খেলার পর এমনটাই চাইছেন সাকিব, ‘আশা তো সব সময় করি আমরা জিতব। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে সব সময়ই আমরা স্ট্রাগল করেছি, আমাদের জন্য ডিফিকাল্ট। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনেক ভালো করা উচিত এবং টেস্ট ম্যাচ জেতা উচিত।’

অনভিজ্ঞ একটা দল নিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের অথৈ সাগরে হাবুডুবু খেতে থাকা বাংলাদেশ দলের জন্য সাকিবের প্রত্যাবর্তন অনেক আনন্দের সংবাদ। প্রথম টেস্ট শেষে অধিনায়ক শান্ত সংবাদ সম্মেলনে সেটাই বলেছিলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা আমাদের কাজে লাগবে।’

;