চ্যাম্পিয়ন রংপুরকে বিদায় করে ঢাকা ফাইনালে



এম. এম. কায়সার, স্পেশাল করেপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
বোলারদের দাপটে অনায়াসে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটস

বোলারদের দাপটে অনায়াসে রংপুরকে হারিয়ে ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটস

  • Font increase
  • Font Decrease

১৪২ রান যৎসামান্য সঞ্চয়। নকআউট জেতার মতো কিছু নয়।

ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে হেরে রংপুর রাইডার্সের ডাগআউটে সেই হতাশা। আর ফাইনালে খেলার আনন্দ নিয়ে ঢাকা ডায়নামাইটস আত্মহারা! ৯৭ রানে ৫ উইকেট হারানো ঢাকার ইনিংসে এক সময় খানিকটা টেনশন ছড়ায়। তবে ঢাকার সব উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দুর হয়ে গেলো আন্দ্রে রাসেলের ১৯ বলে অপরাজিত ৪০ রানের নির্ভরতায়। ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে কোয়ালিফায়ারে জিতে টানা দ্বিতীয়বার বিপিএলের ফাইনালে উঠে এলো ঢাকা ডায়নামাইটস। ৮ ফেব্রুয়ারির রাতের ফাইনালে ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

ম্যাচ জিততে শেষ ৫০ বলে ঢাকার প্রয়োজন দাড়ায় ৪৩ রান। উইকেটে নুরুল হাসান সোহান ও আন্দ্রে রাসেল নিরাপদ ভঙ্গিতে ব্যাট করতে ঢাকাকে ফাইনালে তুলে আনেন, তখনো ম্যাচের ২০ বল বাকি! শেষের দিকে এসে রাসেল একটু চড়াও হন নাজমুল ইসলাম অপুর ওপর। অপুর শেষ ওভারে তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে ঢাকাকে ফাইনালে তোলার আনন্দে ভাসান আন্দ্রে রাসেল।

ব্যাটিংয়ে আন্দ্রে রাসেল আর বোলিংয়ে রুবেল হোসেন; ঢাকাকে ফাইনালে তোলার মুল কারিগর এই দুই তারকা।

ম্যাচে রুবেল হোসেন প্রথম ওভারে পাঁচ রান দিলেন। কিন্তু নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতেই নিয়ে রুবেল যা করলেন তাতেই বদলে গেলো রংপুরের ইনিংসের চালচিত্র। সেই ওভারের প্রথম বলেই ক্রিস গেইল আউট। দ্বিতীয় বলে রাইলি রুশোও গেলেন। মেডেন ওভার, সঙ্গে দুটি প্রাইজ উইকেট! দ্বিতীয় ওভার শেষে স্কোরবোর্ডের নিজের বোলিং বিশ্লেষণ দেখে রুবেলের বুকের ছাতি আরও স্ফীত হওয়ার কথা; ২-১-৫-২!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/06/1549469386252.jpg

অন্যপ্রান্ত থেকে সাকিবও তখন দুরন্ত। ইনিংসের ১৫ নম্বর ওভারে বেনি হাওয়েলকে এলবি’র ফাঁদে ফেললেন। সাকিবের সেই ওভারও মেডেন! ওপেনিং জুটি ছাড়া ম্যাচের আর কোন সময় রংপুরের ব্যাটসম্যানদের দাড়াতেই পারেনি।

বৃত্তের বাইরে চিন্তা করাটা মাশরাফির জন্য নতুন কিছু নয়!

ওপেনিংয়ে নাদিফ চৌধুরীকে খেলানোর চিন্তাও সেই পরিকল্পনারই অংশ। নতুন পজিশনে নিজের কাজটা বেশ ভালই করে চলেছিলেন নাদিফ চৌধুরী। শুভাগত হোমকে টানা তিন বলে তিন ছক্কা হাঁকিয়ে রংপুরের ইনিংসের রঙিন স্বপ্নের রং ছড়ান তিনি। তবে একসঙ্গে সব রং তুলিতে লেপ্টে দিলে ছবিটা নষ্ট হয়ে যায়; সেটা যেন ভুলে গিয়েছিলেন নাদিফ চৌধুরী। যখন বুঝলেন তখন তার ইনিংস শেষ, আউট! সেই ওভারেই চার নম্বর ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে নাদিফ ক্যাচ তুলে দিলেন। পরের ওভারে রুবেল হোসেন যা করলেন তাতে ম্যাচের লাগাম পুরোটাই চলে গেলো ঢাকা ডায়নামাইটসের হাতে! নিজের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম দুই বলে ক্রিস গেইল ও রাইলি রুশোকে আউট করলেন রুবেল। আকস্মিক তিন বলে তিন উইকেট হারিয়ে রংপুরের ব্যাটিং রং হারানো তৈলচিত্র!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/06/1549469468497.jpg

৪১ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলো। স্কোরবোর্ডে রানের চাকা ওখানেই থেমে রইলো, কিন্তু উড়ে গেল আরো দুই উইকেট! টানা তিন বলে শূন্য রানে তিন উইকেট! শ্বাসবন্ধ হয়ে পড়া রংপুরের ব্যাটিংয়ের হাল ধরলেন মিঠুন চৌধুরী ও রবি বোপারা। এই দুজনের চতুর্থ উইকেট জুটিতে যোগ হওয়া ৬৪ রানের কল্যানে রংপুরের ব্যাটিং ফের সাদাকালো থেকে সবুজ রংয়ের স্বপ্নে ফিরলো।

বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংয়ের শেষের কাজটা করতে পারেন না-এই অভিযোগ আরেকবার সুযোগ দিয়ে মিঠুন ২ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ২৭ বলে ৩৮ রানে ফিরলেন। মিঠুনের আউটের সঙ্গে সঙ্গে আরেকবার ছন্দপতন রংপুরের ইনিংসে। পরের ছয় ব্যাটসম্যান যে ব্যাটিং করলেন তাকে ব্যাটিং বলা যায় না; তার নাম আসা ও যাওয়া, ডাগআউটে! শেষের এই ছয়জনের সম্মিলিত সঞ্চয় ৯ রান!

তারপরও রংপুরের ইনিংস ১৪২ গিয়ে পৌছালো তার পুরো কৃতিত্ব রবি বোপারার। ৪৩ বলে তার ৪৯ রান রংপুরকে এই নকআউটে লড়াইয়ের মামুলি পুঁজি দিলো। তবে মামুলি কিছু নিয়ে ঢাকাকে আটকানো যায় না।

টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়ে রংপুরের কোচ টম মুডি কোচিং ডায়েরিতে সেই কথাই লিখলেন!

সংক্ষিপ্ত স্কোর: রংপুর রাইডার্স: ১৪২/১০ (১৮.৪ ওভারে, গেইল ১৫, নাদিফ ২৭, মিঠুন ৩৮, বোপারা ৪৯, রুবেল ৪/২৩, কাজী অনিক ২/২১, রাসেল ২/৩১, সাকিব ১/২৯)। ঢাকা ডায়নামাইটস: ১৪৭/৫ (১৬.৪ ওভারে, নারায়ন ১৪, রনি তালুকদার ৩৫, সাকিব ২৩, পোলার্ড ১৪, সোহান ৯*, রাসেল ৪০*, মাশরাফি ২/৩২)। ফল: ঢাকা ডায়নামাইটস ৫ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা : রুবেল হোসেন

   

বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দলে অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেলের ছেলে  



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটকে বিশ্ব দরবারে পরিচয় করা অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার, গ্রান্ট ফ্লাওয়াদের নাম সবচেয়ে বেশি এলেও সেই তালিকায় আরও এক নাম অ্যালিস্টার ক্যাম্পবেল। ৯০-এর দশকে জিমাম্বুয়ে ক্রিকেট মাতিয়েচেন তারাই। সেই দলের ক্যাম্পবেলের ছেলেও আসতে চলেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। আসন্ন বাংলাদেশ সফরে প্রথমবারের মতো জিম্বাবুয়ের দলে ডাক পেলেন জোনাথন ক্যাম্পবেল। 

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজটিকে সামনে রেখে আজ (বুধবার) ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করলো জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট। সেই দলের একমাত্র আনক্যাপড ক্রিকেটার জোনাথনই। নেতৃত্বে থাকছেন দলটির সময়ের অন্যতম তারকা ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা এবং এই সিরিজে কোচের ভূমিকায় থাকবেন স্টুয়ার্ট মাতসিকেনিয়েরি।

সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরের দল থেকে ১২ জনের মিলেছে এই দলে জায়গা। এছাড়া দলে ফিরেছেন তাদিওয়ানাশে মারুমনি এবং ফারাজ আকরাম। সিকান্দার রাজা, শন উইলিয়ামস, ক্রেইগ আরভিন, ব্লেসিং মুজারাবানিদের মিলিয়ে বেশ অভিজ্ঞ দল নিয়েই শান্ত-হৃদয়দের বিপক্ষে খেলতে আসছে জিম্বাবুয়ে। 

এদিকে জোনাথন ছিলেন সবশেষ আফ্রিকান গেমসে সোনাজয়ী জিম্বাবুয়ে ইমার্জিং দলে। সেখান থেকেই বিবেচিত হলেন জাতীয় দলে। টপ-অর্ডার ব্যাটার ছাড়াও নিয়মিত লেগ স্পিনার হিসেবেও কার্যকরী এই ২৬ বছর বয়সী ক্রিকেটার। 

আগামী ৩ মে শুরু হবে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি। সেই ম্যাচ সহ সিরিজের পরের দুই ম্যাচ যথাক্রমে ৫ ও ৭ মে অনুষ্ঠিত হবে চট্টগ্রামে। সিরিজের সেই দুই ম্যাচ মিরপুরের হোম অব ক্রিকেটে, ১০ ও ১২ মে। 

বাংলাদেশ সফরের জিম্বাবুয়ে দল: সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), ফারাজ আকরাম, বেনেট ব্রায়ান, রায়ান বার্ল, জোনাথন ক্যাম্পবেল, ক্রেইগ আরভিন, জয়লর্ড গাম্বি, লুক জংওয়ে, ক্লাইভ মাদান্দে, তাদিওয়ানাশে মারুমানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, আইনস্লে এন্ডলোভু, রিচার্ড এনগারাভা, শন উইলিয়ামস। 

;

হাল ছেড়ে দেয়ার আক্ষেপ পচেত্তিনোর



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রিমিয়ার লিগের তথাকথিত ‘বিগ সিক্স’-এর দুই দলের খেলা। যদিও ফর্ম আর ক্লাবের বর্তমান পারিপার্শ্বিকতার দিক দিয়ে আর্সেনাল-চেলসি এখন দুই মেরুতে। আর্সেনাল যেখানে লিগ শিরোপার দৌড়ে ম্যানচেস্টার সিটি আর লিভারপুলকে টক্কর করে দিচ্ছে, সেখানে চেলসি কোনো মতে লিগ টেবিলের প্রথমভাগে থাকার চেষ্টা করছে। গত রাতে লিগে এই দুই দলের খেলায় চেলসিকে ৫-০ গোল ধসিয়ে দিয়েছে আর্সেনাল।

খেলোয়াড়রা দ্বিতীয়ার্ধে হাল ছেড়ে দিয়েছেন বলে ম্যাচশেষে আক্ষেপ করেছেন চেলসি কোচ মরিসিও পচেত্তিনো, ‘আমরা মাঝবিরতিতে কথা বলেছিলাম যে, এমন ম্যাচ আমরা এভাবে শুরু করতে পারি না। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা আবার বাজেভাবে শুরু করি। দুই গোল হজম করার পর দলের সবাই হাল ছেড়ে দেয়। এরপর তো আমরা ম্যাচেই ছিলাম না।’

আর্সেনালের সামনে এমন অসহায় আত্মসমর্পণে খেলোয়াড়দের চারিত্রিক দৃঢ়তা নিয়ে তার মনে প্রশ্ন জেগেছে কিনা এমন কথা নাকচ করে দিয়ে পচেত্তিনো বলেন, ‘না, এটা আসলে চারিত্রিক দৃঢ়তার বিষয় না। আমি ফুটবল খেলেছি, অনেক বড় বড় খেলোয়াড়দের সঙ্গে খেলার সময় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি। আমি ম্যারাডোনা, বাতিস্তুতা, রোনালদিনহোদের সঙ্গে খেলেছি। মৌসুমের কোনো এক সময় যখন এমন কিছু হয়, তখন এই বড় মাপের খেলোয়াড়রাও হাল ছেড়ে দেয়।’

তবে মৌসুমের এই পর্যায়ে এসে চেলসির জন্য এমন হাল ছেড়ে দেয়ার মানে সমূহ বিপর্যয়। আর্সেনালের কাছে বড় হারের পর চেলসির পয়েন্ট এখন ৩২ ম্যাচে ৪৭, পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান নবম। আগামী মৌসুমে অন্তত ইউরোপা কনফারেন্স লিগে খেলতে হলেও তাদের পেছনে ফেলতে হবে সাতে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং আটে থাকা ওয়েস্ট হ্যাম ইউনাইটেডকে। ৩৪ ম্যাচ খেলা ওয়েস্ট হ্যামের পয়েন্ট এখন ৪৮ আর চেলসির সমান ৩২ ম্যাচ খেলে ম্যান ইউনাইটেডের প্রাপ্তি ৫০ পয়েন্ট।

;

শুভ জন্মদিন ‘লিটল মাস্টার ব্লাস্টার’



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শচীন রমেশ টেন্ডুলকার, যিনি শুধুমাত্র একজন ক্রিকেটারই নন, বরং প্রজন্মের পর প্রজন্মের জন্য একজন অনুপ্রেরণা। বিশ্বজুড়ে কত খেলোয়াড় যে শচীনের খেলা দেখে এবং শচীনের খেলার ধরণকে অনুসরণ করেই ক্রিকেটকে ভালোবেসেছেন তার হিসেব বের করা দুষ্কর।

ক্রিকেট খেলাটাকে যারা পছন্দ করেন তারা শচীনকেও পছন্দ করেন বা ভালোবাসেন। বিশ্বের বেশিরভাগ খেলোয়াড়েরই ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীর পাশাপাশি ‘হেটার’ থাকলেও শচীনকে অপছন্দ করে এমন কাউকে আপনি খুঁজে পাবেন না।

ভারতীয়দের কাছে শচীন টেন্ডুলকার একজন দেবতা সমতুল্য। ভারতীয়রা ক্রিকেট খেলাটাকে যেভাবে মনেপ্রাণের সঙ্গে মিশিয়ে রেখেছেন, ঠিক তার পাশাপাশি শচীনের জন্যও তাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ জায়গা আছে। তাই তো ভারতীয় ক্রিকেট দলের কথা শুনলে বা ভাবলেই তাদের মাথায় সর্বপ্রথমেই ভেসে ওঠে শচীনের ছবি।

বর্ণিল ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ব্যাট হাতে কতশত রেকর্ড যে শচীন নিজের নামে করেছেন তার সঠিক হিসেব হয়ত তিনি নিজেও জানেন না। ২০১১ সালে নিজ দেশ ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপের শিরোপাটি হাতে তুলে নিয়ে ক্যারিয়ারকে দিয়েছেন পূর্ণতা, নিজেকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়।

আজ ২৪শে এপ্রিল শচীনের জন্মদিন। হাফ সেঞ্চুরি পেরিয়ে ৫১তে পা রাখলেন সাবেক ভারতীয় এই তারকা ক্রিকেটার। সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের মধ্যে একজনের জন্মদিন আজ, খুব স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়া যেন ভেসে যাচ্ছে শচীনময় পোস্টে। জন্মদিনের উইশ করে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশি-বিদেশি একাধিক ক্রিকেটার এবং ক্রীড়া জগতের মানুষেরা।

চলমান আইপিএলের প্রায় সব ফ্র্যাঞ্চাইজির অফিশিয়াল পেজ ও প্রোফাইল থেকেই তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পোস্ট। এছাড়াও ভারত জাতীয় দলের পেজ ছাড়াও অন্যান্য দেশের বিভিন্ন পেজেও তার ছবি শেয়ার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে তাকে।

শুভেচ্ছা জানানোর এই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি শচীনের সতীর্থরাও। তার সঙ্গে একই স্কোয়াডে বিশ্বকাপ খেলা যুবরাজ সিং লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন ক্রিকেট ঈশ্বর! মাঠে বোলারদের নাস্তানাবুদ করা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপের সকল অর্জন, আপনার থেকেই শিখেছি জীবনের লক্ষ্য কিভাবে আরও উচ্চতায় নিতে হয়। অনেক অনেক ভালোবাসা!’

আরেক সাবেক ভারতীয় ব্যাটার সুরেশ রাইনা বলেছেন, ‘আপনার বর্ণিল ক্যারিয়ার লক্ষ লক্ষ মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছে, মাঠে এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আপনি আদর্শ। আপনার স্বাস্থ্য, জীবন যেন সুন্দর-সুখের হয় এবং আপনার কভার ড্রাইভের মতোই যেন দুর্দান্ত একটি বছর আপনার কাটুক এই কামনা করছি!’

তার সঙ্গে খেলার সুযোগ না হলেও তাকে আদর্শ মানেন বর্তমান প্রজন্মের ভারতীয় ক্রিকেটাররাও। যার যার সোশ্যাল মিডিয়ায় শচীনকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন শুবমান গিল, বিরাট কোহলি সহ আরও অনেক ভারতীয় ক্রিকেটার। এছাড়াও তাকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে উইশ করেছেন বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররা।

;

আর্সেনালের গোলবন্যায় ভাসলো চেলসি



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘লন্ডন ডার্বি’-তে গতরাতে নিজেদের মাঠে যেন সেরা ফর্মেই ছিল আর্সেনাল। চেলসির সঙ্গে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে তারা। ব্লুজদের জাল বরাবর মোট ২৭টি শট চালিয়েছে গানাররা। বিপরীতে চেলসি নিয়েছে মাত্র একটি শট। এই পরিসংখ্যানেই বোঝা যায় যে ঘরের মাঠে গতরাতের ম্যাচে কেমন দাপুটে ছিল আর্সেনাল।

এমিরেটসে দলীয় নৈপুণ্যে মরিসিও পচেত্তিনোর দলকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। আর এই জয়ের মাধ্যমে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপার দৌড়ে নিজেদের আরও এক ধাপ এগিয়ে নিল আর্সেনাল।

এদিন ম্যাচে শুরু থেকেই চেলসিকে চেপে ধরে আর্সেনাল। ইংলিশ মিডফিল্ডার ডেকলান রাইসের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লিয়ান্দ্রো ট্রোসার্ড। পরপর আরও কিছু আক্রমণ করে স্বাগতিকরা ব্যস্ত রাখে নীল জার্সিধারী ডিফেন্ডারদের। তবে প্রথমার্ধে আর কোনো গোলের দেখা পায়নি তারা।

আক্রমণ কিংবা রক্ষণ, কোনো ক্ষেত্রেই একটুও নিয়ন্ত্রণ ছিল না চেলসির। বিরতির পর চেলসির ডিফেন্স লাইন যেন তাদের ঘরের মতো পুরোটাই ভেঙে পড়ে। কারণ মাত্র ১৮ মিনিটের ব্যবধানে চেলসি হজম করে পুরো এক হালি গোল। ৫২তম মিনিটে হোয়াইট, ৫৭ ও ৬৫তম মিনিটে হাভার্টজ এবং ৭০তম মিনিটে আবারও হোয়াইটের গোলে যেন পুরোপুরি উড়ে যায় চেলসি।

৩৪ ম্যাচ শেষে শীর্ষে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৭৭। এক ম্যাচ কম খেলা লিভারপুলের পয়েন্ট ৭৪ এবং দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৭৩। সিটি নিজেদের পরের দুই ম্যাচের কোনটিতে হোঁচট খেলে শিরোপার দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে আর্সেনাল। তাই আপাতত টাইটেল রেসে আর্সেনাল এগিয়ে আছে তা বলাই যায়।

;