এমন সেঞ্চুরিতে তামিম নিজেই স্বপ্নের ঘোরে!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম
অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ফাইনালসেরা তামিম

অসাধারণ সেঞ্চুরিতে ফাইনালসেরা তামিম

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরো টুর্নামেন্টের প্রথম ১৩ ম্যাচে তার মাত্র দুটো হাফসেঞ্চুরি। এর মধ্যে আবার তিনবার শূন্য রানে আউটের ইনিংসও আছে। ব্যাটসম্যানের নাম যখন তামিম ইকবাল তখন এতো অল্প’তে সন্তুষ্ঠ হওয়া তাকে মানায় না। তামিমও সন্তুষ্ঠ ছিলেন না। তবে সব দুঃখ-অসন্তোষ ভুলিয়ে দিলেন তামিম বিপিএলের ফাইনালে। টুর্নামেন্টে নিজের ১৪ নম্বর ম্যাচে খেললেন মন মাতানো এক ইনিংস।

৬১ বলে হার না মানা ১৪১ রান। ১০ বাউন্ডারি ও ১১ ছক্কা! স্ট্রাইক রেট ২৩১.১৪!
টি-টুয়েন্টিতে ‘বিগ ম্যাচে’ এমনসব ইনিংস খেলার জন্য মুলত ক্রিস গেইলই বিখ্যাত। গেলোবারের ফাইনালে এই ঢাকা ডায়নামাইটসের বিপক্ষেই রংপুরের হয়ে গেইল ১৮ ছক্কায় অবিশ্বাস্য ১৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। আর এবারের ফাইনালে সেই ঢাকার বিপক্ষেই ব্যাট হাতে একই কান্ড ঘটালেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের তামিম ইকবাল।
পুরো টুর্নামেন্টে নরম-শরম ব্যাটিং করা তামিম ইকবাল ফাইনালেই খেলে দিলেন স্বপ্নের ইনিংস। বিপিএলের ইতিহাসে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। এক ম্যাচে বাংলাদেশি কোন ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান।

নেহাত ভাষার প্রয়োগে বোঝানো যাবে না ফাইনালে তামিম ইকবালের সেঞ্চুরির সৌন্দর্য, মাহাতœ্য! অবাক করার বিষয় হলো তামিম নিজেকে ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেন না কি করে এমন দুর্ধর্ষ সেঞ্চুরির দেখা মিললো!

১৭ রানে দলকে জেতানোর পরে লম্বা সময় ধরে চলা ড্রেসিংরুমে আনন্দ-উল্লাস ও কেক কেটে মূহূর্তটাকে স্মরণীয় করে রাখার পর সংবাদ সম্মেলনে এসেও তামিম নিজেই ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেন না স্বপ্নের ঘোরে আছেন নাকি বাস্তবতায়-‘ আমি এখনো স্বপ্নের ঘোরে আছি। নিজেই এখনো বুঝতে পারছি না কিভাবে এমন ইনিংস খেললাম। ম্যাচের হাইলাইটস দেখলে এখন হয়তো বুঝতে পারবো হ্যাঁ, আমি সত্যিই এমন একটা ইনিংস খেলেছি। এনামুল হক বিজয় যখন আউট হয়েছিলো তখন আমি একটু তেতে ছিলাম। পরে নিজেকে শান্ত করেছি। নিজেকে বলেছি, আবার নতুন করে শুরু করতে হবে। আর আমার ইনিংসটা...হাইলাইটস দেখার পর বলতে পারবো কেমন করে এমন ইনিংস খেলেছি!’

ক্রিকেট ক্যারিয়ার জুড়ে সবাই খেলার মাঠে এমনকিছু একটা করার স্বপ্ন দেখে। ফাইনালে আসলে তামিম কি ভাবনা নিয়ে নেমেছিলেন এই প্রসঙ্গে তার উত্তর-‘সত্যি কথা বলতে কি আমি কখনো চিন্তাই করিনি যে এমন একটা ইনিংস খেলবো। ব্যাটিং নিয়ে আমি একটাই কথা বলতে চাই, ইনিংস জুড়ে আমার পরিকল্পনাটা বেশ ভাল ছিলো। বারবার শুধু একটাই চিন্তা ছিলো আমার, সাকিব বা নারায়নকে উইকেট দেয়া যাবে না। আর তাই আমি পুরো ইনিংস জুড়ে নারায়ানকে খেলেছি তেমন কোন ঝুঁিক না নিয়ে। সাকিব ও নারায়ন ঢাকার বোলিং লাইনআপে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই টুর্নামেন্টে ঢাকার সাফল্যের  পেছনে এই দুই স্পিনারের সবচেয়ে বড় অবদান ছিলো। আমি মুলত পেস বোলারদের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। ফাইনালের উইকেটটা দুর্দান্ত ছিলো। এই উইকেটে দুশো রানও একসময় কম মনে হচ্ছিলো। ঢাকার ব্যাটিংয়ের সময় একসঙ্গে দুতিনটা উইকেট পড়ে না গেলে আমার মনে হয় আমাদের এই দুশো ছুঁই ছুঁই স্কোরকেও তখন অনেক কম মনে হতো।’

১৯৯ রানের বিশাল সঞ্চয় নিয়েও কুমিল্লা ভিক্টেরিয়ান্স একসময় বড় টেনশনে পড়ে যায়। ঢাকার ইনিংস যেভাবে সামনে বাড়ছিলো তাতে এই ম্যাচ সাকিবের দলও জিতে নিতে পারতো। ম্যাচের টেনশনের সেই সময়ের উল্লেখ করে তামিম জানান- ‘রান তাড়ায় ঢাকার ব্যাটিংয়ের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিলো। তাছাড়া প্রথম ১২ ওভার পর্যন্ত ওরা প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি পাচ্ছিলো। তবে আমার অভিজ্ঞতা দিয়ে আমি জানতাম এমন পরিস্থিতিতে যখনই কোন দল বড় রান তাড়া করে তখন একটা দুটো উইকেট তুলে নিতে পারলেই কিন্তু পুরো খেলাটার দৃশ্যপটই বদলে যায়। খেলার বিরতিতেও আমি বারবার এটাই বলছিলাম, একটা বা দুটো উইকেট আমাদের নিতে হবে, তাহলেই খেলার মোড় বদলে যাবে। সৌভাগ্যবশত আমরা ঐ দুটো উইকেটও পেয়ে গেলাম। একটা রানআউটও হলো। আন্দ্রে রাসেল এসেও তাড়াতাড়ি আউট হয়ে গেলো। মুলত ঢাকার ব্যাটিংয়ের ঐ জায়গাটায় ম্যাচের মোড় আমাদের দিকে ঘুরে গেলো।’

শুধু ব্যাট হাতে সেঞ্চুরিই নয়। ফাইনালে দুর্দান্ত কায়দায় দুটো ক্যাচও ধরেছেন তামিম। ওয়াহাব রিয়াজের বলে প্রথমে প্রায় ২০ গজ দৌড়ে সাকিব আল হাসানের ক্যাচ লুফেছেন। খানিকবাদে কাইরন পোলার্ডের ক্যাচও সামনে অনেকদুর দৌড়ে তালুতে রাখেন। নিজের সেঞ্চুরির সঙ্গে সেই দুটো ক্যাচকেও অনেক কার্যকর ভাবছেন তামিম- ‘ফাইনালে যে কোন ক্যাচই অনেক বড় চাপ। সেটা সহজ ক্যাচ  হোক না কঠিন ক্যাচ যাই হোক না কেন। আমার ফিল্ডিংয়ের ব্যাপারে বলি, আমি হয়তো বা মাঠে ফিল্ডিংয়ের সময় খুব চটপটে বা দ্রæতগতির না। তবে আমি কখনোই বলকে ভয় করি না। এই কথা যখন বলছি তখন মনে রাখতে হবে এমনদিনও আসবে যেদিন আমার হাত থেকে ক্যাচ মিসও হতে পারে। আবার এমনদিনও আসবে যেদিন আমি খুব ভাল কোন ক্যাচ ধরতে পারবো। মাঠে আমার একটাই লক্ষ্য থাকে সুযোগটা পেলে সেটাকে যেন কাজে লাগাতে পারি।’

সত্যিই তাই! ফাইনালে সুযোগ ছিলো সেঞ্চুরি করার। তামিম সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন। ২৪ রানে কাজী অনিকের বলে উইকেটকিপার নুুরুল হাসান সোহান কুমিল্লার ওপেনার তামিমের একটা ক্যাচ ফেলে দেন।

ফাইনালে বাকি সময়টায় ঢাকা তামিমকে আর আউটই করতে পারলো না!

   

রনির তাণ্ডবে তামিম-মুশফিকদের হার



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের সুপার লিগ পর্বে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে মোহামেডান। রনি তালুকদারের বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে প্রাইম ব্যাংককে ৩৩ রানে হারিয়েছে সাদাকালোরা।

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে হয় মোহামেডানকে। রনি তালুকদারের সেঞ্চুরি আর মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন এবং মেহেদী হাসান মিরাজের ফিফটিতে ব্যাটিংটা উপভোগ করে তারা। ৫০ ওভার শেষে তাদের স্কোরবোর্ডে শোভা পায় ৬ উইকেটে ৩১৭ রানের বড় সংগ্রহ।

১৩১ বলে ৮ চার এবং ৯ ছক্কায় ১৪১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস আসে রনির ব্যাটে। রুবেল হোসেনের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ঠিক ৫০ রান করেন ফর্মে থাকা অঙ্কন। মিরাজ ২৯ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে খেলেন  ৫৩ রানের হার না মানা ইনিংস। প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ মেহেদী।

জবাব দিতে নেমে মোহামেডানের স্কোর টপকে যাওয়ার চেষ্টা কম করেনি প্রাইম ব্যাংক। ওপেনার তামিম ইকবাল (১৪) ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়ে যান শাহাদাত দিপু, শেখ মেহেদী, সানজামুলরা। তবে তাদের কেউই তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরেছেন আক্ষেপ সঙ্গী করে।

প্রাইমের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান আসে শেখ মেহেদীর ব্যাটে। ৫১ রান করেন শাহাদাত দিপু। ১ রানের জন্য ফিফটি মিস হয় সানজামুলের। তাদের প্রচেষ্টার পরও ৪৮.৫ ওভারে ২৮৪ রানে গুটিয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। মোহামেডানের হয়ে সমান দুটি করে উইকেট নেন আবু হায়দার রনি, মুশফিক হাসান এবং নাসুম আহমেদ।

;

শেখ জামালের কাছে হেরে শিরোপা-স্বপ্ন শেষ শাইনপুকুরের



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে এবার চমকের পর চমক দেখিয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। প্রথম পর্বে আবাহনীর পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পয়েন্ট নিয়ে সুপার লিগে জায়গা করে নেয় তারা। সুপার লিগেও প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছিল দলটি। তবে সুপার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে হোঁচট খেতে হল তাদের। দলটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নামে শাইনপুকুর। জিসান আলম ও অধিনায়ক আকবর আলির ব্যাটে লড়াকু সংগ্রহ পায় তারা। ৪৬.১ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে জমা করে ২৬৪ রান।

দুই রানের জন্য সেঞ্চুরি মিসের আক্ষেপে পোড়েন শাইনপুকুর ওপেনার জিসান আলম। তাইবুর রহমানের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তাকে থামতে হয় ৯৮ রানে। ৬৪ রান আসে আকবর আলির ব্যাটে।

শেখ জামালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইবুর।

২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার সাইফ হাসানের ফিফটি ও তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সেঞ্চুরিতে ৪৬.২ ওভারেই লক্ষ্য পৌঁছে যায় শেখ জামাল।

নাহিদ রানার বলে তানজিদ হাসান তামিমের ক্যাচ হওয়ার আগে ৬৭ রান করেন সাইফ। অন্যদিকে সমান ছয়টি করে চার-ছক্কায় ১০১ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে জিতিয়ে তবেই মাঠ ছাড়েন ফজলে মাহমুদ।

এই হারে শিরোপার স্বপ্ন ফিকে হয়ে গেল শাইনপুকুরের। অন্যদিকে শিরোপার দৌড়ে না থাকলেও সুপার লিগে প্রথম জয়ের উৎসব করছে শেখ জামাল।

;

বিশ্বকাপে ‘ভালো কিছুর সম্ভাবনা’ দেখছেন সাকিব



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী জুনে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজে বসবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই বিশ্ব আসরে বাংলাদেশ কেমন করবে সেটার জবাব আপাতত সময়ের কাছে তোলা। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরুর কয়েক মাস আগেই খুব বেশি প্রত্যাশা বা মাতামাতি করতে নিষেধ করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কণ্ঠে অবশ্য অন্য সুর শোনা গেল।

 টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু করবে বলে বিশ্বাস সাকিবের। বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন না দেখালেও অন্তত সমর্থকদের আনন্দ করার মতো কিছু উপলক্ষ্য এনে দিতে চান এই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার, ‘বিশ্বকাপ পাওয়ার মতো অবস্থায় আসছি কি না, এটা বলাটা একটু মুশকিল। তবে টি-টোয়েন্টিতে যে কেউ যে কাউকে হারাতে পারে, বড় ছোট দল নেই। বলছি না, ট্রফি জিততে পারব কি পারব না। তবে আমাদের ভালো কিছুর সম্ভাবনা আছে।’

সেজন্য সবার আগে নিজেদের সামর্থ্যে বিশ্বাস রাখার বার্তা সাকিবের। যুক্তরাষ্ট্রে  এক অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর পর্বে সাকিব বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাসটা দরকার, ওই বিশ্বাসটা নিয়ে যদি খেলতে পারি, আমরা ভালো করব।’

গত বছর ভারতে বিশ্বকাপের পর চোখ ও আঙুলের চোট নিয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে সাকিবকে। দীর্ঘ বিরতি শেষ গত মাসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জাতীয় দলের জার্সিতে মাঠে ফিরেছিলেন সাকিব। এর মাঝে অবশ্য দেশের দুই ঘরোয়া টুর্নামেন্ট বিপিএল এবং ডিপিএলে কিছু ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।

এবার জিম্বাবুয়ে সিরিজেও খেলতে চান সাকিব। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নিজেকে প্রস্তুত করার জন্য জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সুযোগ হিসেবে দেখছেন এই তারকা অলরাউন্ডার।

;

শান্তর সেঞ্চুরিতে শিরোপার আরও কাছে আবাহনী



স্পোর্টস ডেস্ক, বার্তা ২৪
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে শিরোপার আরও কাছে পৌঁছে গেল আবাহনী লিমিটেড। গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ১৭১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে আকাশি-হলুদরা।

ফতুল্লার খানসাহেব ওসমান আলি স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করে আবাহনী। দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও লিটন দাস সমান ৩৩ রানে ফেরেন। তিনে নেমে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৮৪ বলে ৮ চার এবং ৬ ছক্কায় ১০১ রান আসে তার ব্যাটে।

চার এবং পাঁচে নেমে ফিফটি করেন এনামুল হক বিজয় ও তাওহিদ হৃদয়। দ্রুতলয়ে ব্যাট চালিয়ে ৬৮ রান করেন এনামুল, হৃদয় অপরাজিত থাকেন ৫৮ রানে। শেষদিকে ১৭ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ৫০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেটে ৩৪৩ রান করে আবাহনী।

প্রাইম ব্যাংকের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শেখ পারভেজ জীবন।

জবাব দিতে গাজী গ্রুপ খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। দলটির মিডল অর্ডার ব্যাটার সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন। তবে আবাহনীর রানপাহাড় টপকানোর জন্য তা মোটেও যথেষ্ট ছিল না। অন্য ব্যাটারদের গড়পড়তা পারফরম্যান্স ৩৫.১ ওভারে ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় গাজী।

আবাহনীর পক্ষে ৪৪ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন স্পিনার রাকিবুল হাসান। দুটি করে উইকেট যায় তানজিম হাসান সাকিব ও সৈকতের ঝুলিতে।

প্রথম পর্বে ১১ ম্যাচের সবকটিতে জয় পায় আবাহনী, এখন সুপার লিগেও দুই ম্যাচ জিতে শিরোপার সুবাস পাচ্ছে তারা।

 

;