দুর্দান্ত শুরুর পরও বাংলাদেশ ২১১ অলআউট
বৃষ্টির বাধায় টানা দুই দিন মাঠের বাইরেই ছিলেন ক্রিকেটাররা। রোববার সূর্য হেসে উঠতেই শুরু হয়ে ওয়েলিংটন টেস্ট। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটাও ছিল আশা জাগানিয়া। তামিম ইকবাল ও সাদমান ইসলামের ব্যাটে মজবুত ভিত গড়ে নিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন! ১ উইকেটে যে দলটির সংগ্রহ ছিল ১১৯, তারাই কীনা এক পর্যায়ে ২১১ রানে অলআউট।
এরপর জবাবে নেমে ১ম ইনিংসে ২ উইকেটে নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৩৮ রান। এ রিপোর্ট লেখার সময় খেলা বৃষ্টিতে বন্ধ রয়েছে।
রোববার টেস্টের তৃতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনেই নিউজিল্যান্ডের বোলাররা তুলে নেয় ৭ উইকেট। নিল ওয়েগানার শর্ট বল আর ট্রেন্ট বোল্ট দাপটে অসহায় মনে হলো সফরকারীদের।
এর আগে ওয়েলিংটন টেস্টের সকালটি ছিল বাংলাদেশের। দুর্দান্ত সূচনা করেন তামিম-সাদমান। প্রথম টেস্টের পর দ্বিতীয় টেস্টেও কথা বলল দু'জনের ব্যাট।
টানা তিন ইনিংসে অর্ধশত রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন তারা। হ্যামিল্টন টেস্টে ৫৭ ও ৮৮ রানের জুটির পর এবার ওয়েলিংটনে ৭৫ রান। নিউজিল্যান্ডের টেস্ট ইতিহাসে সফরকারী কোনো দলের উদ্বোধনী জুটিতে টানা তিন অর্ধশত রানের জুটি এবার নিয়ে হয়েছে মাত্র দ্বিতীয়বার।
প্রথম কীর্তিটি গড়েন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্যারি কারস্টেন ও হার্শেল গিবস। ১৯৯৯ সালে উদ্বোধনী জুটিতে টানা তিন ইনিংসে করেন ৭৬, ১২৭ ও ৭৩ রান।
২৭ রান করে সাদমান ফিরলেও সাবলীল ছিল তামিম ইকবালের ব্যাট। হ্যামিল্টনে শতরান করা এই ওপেনার আরো একটা শতকের পথেই ছিলেন। মুমিনুল হককে নিয়ে পথ দেখান দলকে। কিন্তু তাতে বাধ সাধলেন নিল ওয়েগনার। তার শর্ট বলেই সর্বনাশ।
ভাঙে ৪৪ রানের জুটি। মুমিনুল ফেরেন ১৫ রানে। দ্রুত সাজঘরের পথ ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। লাঞ্চের পর ফিরে যান তামিমও। ১০ চারে ১১৪ বলে ৭৪ রান করেন তিনি।
এরপর শুধু আক্ষেপই সঙ্গী হয়েছে টাইগারদের। সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা উইকেট উপহার দিয়ে ফিরেছেন। লিটন দাস-তাইজুল ইসলাম কিছুটা সময় লড়লেও লাভ হয়নি। লিটন ৩৩ রানে ফেরেন।
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ৬১ ওভারে ২১১/১০ (তামিম ৭৪, সাদমান ২৭, মুমিনুল ১৫, মিঠুন ৩, সৌম্য ২০, মাহমুদউল্লাহ ১৩, লিটন ৩৩, তাইজুল ৮, মুস্তাফিজ ০, আবু জায়েদ ৪, ইবাদত ০*; বোল্ট ৩/৩৮, সাউদি ১/৫২, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/১৫, হেনরি ১/৬৭, ওয়েগনার ৪/২৮)।