বিশ্বকাপের আগে ক্রিকেট দলের জন্য মনোবিদ
ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে নৃশংস হামলার রক্তাক্ত দৃশ্য ক্রিকেটাররা খুব কাছ থেকে দেখেছেন। ভাগ্য গুণে সেই হামলা থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল অক্ষত অবস্থায় ফিরে আসতে পেরেছে। তবে মানসিকভাবে প্রচণ্ড ধাক্কা খেয়েছেন ক্রিকেটাররা। এই মানসিক বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে ক্রিকেটারদের সময় লাগবে। প্রয়োজন হতে পারে মনোবিদের পরামর্শ।
চোখের সামনে দেখা সেই ভয়াবহ ঘটনার দুঃসহ স্মৃতি ক্রিকেটারদের এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। বিসিবি চত্বরে সোমবার দুপুরে শোকরানা মিলাদে উপস্থিত স্পিনার তাইজুল ইসলাম বলছিলেন, 'এখনো সেই সময়ের কথা মনে হলেই নড়াচড়া করতে ভুলে যাই যেন।'
ক্রিকেটারদের বিপদ শুনে সেদিন ছুটে যাওয়া সাংবাদিকদের একজন ছিলেন ক্রিকইনফোর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ইসাম। বার্তা২৪.কম-কে ইসামও জানালেন, 'এখনো আশপাশে কোন শব্দ হলেই আমি চমকে উঠি। আমিও খুব শিগগিরই মনোবিদের পরামর্শ নেবো।'
দেশে ফেরার পর ক্রিকেটাররা বাসায় পরিবার পরিজনের সঙ্গেই আছেন। তবে আত্মীয় স্বজন যাদের সঙ্গেই দেখা হচ্ছে তখনই ঘুরে ফিরে চলে আসছে সেই ভয়াল দিনের প্রসঙ্গ।
ক্রিকেটারদের এই মানসিক যন্ত্রণা ও চাপ কাটিয়ে উঠার প্রসঙ্গে বিসিবি কি ভাবছে সেটা জানতে চাওয়া হলে বিসিবি সভাপতি জানান, 'আমার দৃঢ় বিশ্বাস ছিল ক্রিকেটাররা দ্রুতই এই মানসিক সঙ্কটটা কাটিয়ে উঠতে পারবে। আমি আজকে ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছি, মনে হয়েছে ক্রিকেটাররা আগের চেয়ে ধকল কিছুটা কাটিয়ে উঠেছেন। ক্রিকেটারদের কোন ধরনের মনোবিদের পরামর্শের প্রয়োজন হবে কিনা সেই বিষয়ে আমরা নিজেরাই চিন্তা ভাবনা করছি। সামনে বিশ্বকাপ ক্রিকেট আছে। তার আগে আমরা একজন মনোবিদ এনে ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি বাড়ানোর কাজ করবো। সেই মনোবিদ আসার পর যদি কোন ক্রিকেটার মনে করেন তার বিশেষ কোন পরামর্শের প্রয়োজন রয়েছে তবে তিনি নিতেই পারেন।'
ইংল্যান্ডে বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দল আয়ারল্যান্ডে একটি তিনজাতি ওয়ানডে টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। তিনজাতি সেই টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি সেশনে একজন মনোবিদ সময় কাটাবেন।
মনোবিদের সহায়তা এর আগেও বাংলাদেশ ক্রিকেট দল নিয়েছিল এবং সে সময় ক্রিকেটাররা বেশ উপকৃতও হয়েছিলেন।