শেষের হিসেবে এলোমেলো ব্রাদার্স, হারল ২ রানে
এমন ম্যাচও কেউ হারে!
বিকেএসপির কাছে ২ রানে হারের পর গালে হাত দিয়ে সেই চিন্তাই করছিলেন ব্রার্দাসের ক্রিকেটাররা। ১২ বলে ম্যাচ জিততে ব্রার্দাসের প্রয়োজন ছিলো ১৬ রান। হাতে জমা ৫ উইকেট। যে কোনো বিচারে ব্রার্দাস তখন ম্যাচে হট ফেভারিট। অথচ সেই ম্যাচও শেষ বলে এসে হেরে গেল ব্রার্দাস!
নাটকীয় কায়দায় ২ রানে ম্যাচ জিতে বিকেএসপি তখন মিরপুরে শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনন্দে মাতোয়ারা।
শেষ দুই ওভারে চাই ১৬ রান। উইকেট অক্ষত ৫টি। শরীফুল্লাহ উইকেটে জমে গেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো অন্যপ্রান্তে। কোন ব্যাটসম্যানই যে দাঁড়াতেই পারলেন না! মড়ক লাগা শুরু হলো দলের ভারতীয় ব্যাটসম্যান চিরাগ জানি ৯৬ রানে আউট হতেই। ৪৮ নম্বর ওভারের শেষ বলে ফেরেন তিনি।
মাকিদুল পরের ওভারে মাত্র ৪ রান খরচা করে শিকার করেন দুই উইকেট। শেষ ওভারে ব্রার্দাসের জয়ের হিসেব দাঁড়ায় ১২ রানের। সুমন খানের করা শেষ ওভারের প্রথম বলটাই হলো ‘নো বল’! কিন্তু পরেই দারুণ দক্ষতায় ফিরলেন সুমন। তৃতীয় বলে রান নিতে গিয়ে এবাদত হোসেন রান আউট। চতুর্থ বলে শরীফুল্লাহ দুই রান নিয়ে স্ট্রাইক নিজের কাছেই রাখলেন। পঞ্চম বলে শরীফুল্লাহ বাউন্ডারি হাঁকালেন। শেষ বলে ম্যাচ জিততে ব্রার্দাসের চাই ৩ রান। দুই রান হলেও ম্যাচ টাই হবে। কিন্তু সেই বলেই শেষ উইকেটও হারাল ব্রার্দাস, শাখায়াত হোসেন রানআউট!
ব্রার্দাসের স্কোরবোর্ডে রান তখন ২৬৫। শরীফুল্লাহ ৪৬ রানে অপরাজিত। দশম ব্যাটসম্যান নাইম ইসলাম জুনিয়র ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগই যে পেলেন না! বিকেএসপি ম্যাচ জিতল ২ রানে।
শেষে এসে ভজকট ব্যাটিংয়ে ব্রার্দাস নিশ্চিত জয়ী ম্যাচ থেকে হার নিয়ে ফিরল।
মিরপুরে এই ম্যাচে টসে জিতে বিকেএসপি ব্যাটিং বেছে নেয়। দলের ২৬৭ রানের স্কোরে তিন হাফসেঞ্চুরিতে বড় অবদান রাখেন শামীম হোসেন (৯৬ বলে ৭১ রান), অধিনায়ক আকবর আলী (৬০ বলে ৫৬ রান) ও পারভেজ হোসেন ইমন (৫৪ বলে ৬৯ রান)।
বড় রান তাড়া করতে নেমে ব্রার্দাসকে জয়ের স্বপ্ন দেখায় জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৫২ ও সিএস জানির ১২০ বলে ৯৬ রানের ইনিংস। কিন্তু শেষে এসে সরল অংকের উত্তর ভুল লেখার মতো করে ম্যাচ হারলো ব্রার্দাস!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বিকেএসপি: ২৬৭/৯ (৫০ ওভারে, শামীম হোসেন ৭১, আকবর আলী ৫৬, পারভেজ হোসেন ইমন ৬৯, শরীফ ৩/৬৫)।
ব্রার্দাস: ২৬৫/৯ (৫০ ওভারে, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৫২, জানি ৯৬, শরীফুল্লাহ ৪২*, মাকিদুল ৪/৬২, শামীম ২/৪৩)।
ফল: বিকেএসপি ২ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা: শামীম হোসেন।