ইনজুরি নিয়েই বিশ্বকাপে যাবেন মাহমুদউল্লাহ!
কাঁধের চোটের সমস্যার কথা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলে আসছিলেন সেই নিউজিল্যান্ড সফর থেকেই। ব্যথা নিয়েই নিউজিল্যান্ড সফরে খেলেন তিনি। চোটের মাত্রা কেমন সেটা পরীক্ষায় নিউজিল্যান্ডেই এমআরআইও করান। একটু দেরিতে পাওয়া সেই এমআরএই রিপোর্ট খুব সুখকর কোন তথ্য দিচ্ছে না। জানা গেছে কাঁধের চোটে তার চিড় তার গ্রেড-থ্রি পর্যায়ের। চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে, এই চোট থেকে পুরোপুরি মুক্তি পেতে হলে সার্জারির প্রয়োজন। তবে এমন চোট নিয়েও ক্রিকেটাররা খেলে থাকেন। যেহেতু বিশ্বকাপ সামনে। তাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও সেই টুর্নামেন্টে খেলবেন এবং এই চোট নিয়েই!
সাধারণত এমন চোটে কোন পড়লে তাকে বেশ লম্বা সময় বিশ্রামে থাকতে হয়। আপাতত মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের জন্যও সেই প্রেসক্রিপশনই দিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসকরা। অন্তত আয়ারল্যান্ড সফরে তিনজাতি ক্রিকেটের আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের প্রতিদ্বদ্বিতাপূর্ণ কোন ক্রিকেটে খেলার সম্ভাবনা নেই। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে তার খেলার কথা শোনা গেলেও বাড়তি সতর্কতার জন্য এবারের লিগে তাকে না খেলারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
মাহমুদউল্লার ইনজুরির ধরণ এবং সার্বিক চিকিৎসার ধরণ নিয়ে বিসিবির চিকিৎসকরা আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে একটু জানা গেছে যে তার কাঁধের এই চোট গ্রেড-তিন পর্যায়ের ল্যাব্রাম টিয়ার। এই চোট নিয়ে খেলা যায়। তবে জোরে বল থ্রো করলে বা ডাইভ দিলে এই চোট আরো অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে। আর এই চোট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সার্জারি করালে পুরোমাত্রায় আবার ফিটনেস ফিরে পেতে চার থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগে।
মুস্তাফিজুর রহমান আগে একই ধরনের এই চোটে পড়েছিলেন। বেশকিছুদিন ইনজুরি বয়ে চলার পর তিনিও সার্জারির পরে মুক্তি পান। তবে এই সার্জারির কারণে মাঝে লম্বা সময় তাকে ক্রিকেট মাঠ থেকে দুরে থাকতে হয়।
শুধু মাহমুদউল্লাহ নন, এই একই ধরনের চোট আছে মেহেদি মিরাজেরও। মিরাজও লম্বা সময় ধরে এই চোট নিয়েই খেলে চলেছেন। মাহমুদউল্লাহও বিশ্বকাপে একই পথে হাঁটছেন। চোট নিয়েই বিশ্বকাপ মিশন যাচ্ছেন বাংলাদেশের এই মিডলঅর্ডার স্মম্ভ।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সেঞ্চুরি আছে তিনটি। যার দুটিই করেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। অন্যটি তামিম ইকবাল।